ভয়ঙ্কর মগজখেকো – অনীশ দাস অপু

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

….চোখে আঁধার দেখছে ডুবোয়াস। এখন কোনমতে বাড়ি ফিরতে পারলেই হলো। সে ঘরে ঢুকেই রুবির দুই উত্তাল বাদামী বক্ষের মাঝখানে নিজের মাথাটা সেঁধিয়ে দেবে এবং স্ত্রীকে সেই সুন্দর সুন্দর মিষ্টি মিষ্টি কথাগুলো বলতে বলবে যেগুলো শুনলে তার সমস্ত ক্লান্তি এবং অবসাদ দূর হয়ে যায়। ….

…..স্যানফ্রান্সিসকোতে কোরি কিছুদিন কাজ করেছে। ওখানে টপলেস বারগুলোকে আকর্ষণীয়, অতীতের নির্দোষ টোকেন হিসেবে দেখা হয়। পিনআপ পত্রিকার মেয়েদের মতো। কিন্তু মিলওয়াকিতে নারীর নগ্ন বক্ষ প্রদর্শনে যুব সমাজ গোল্লায় চলে যাচ্ছে বলে ইদানীং অনেকেই মনে করছেন ।…..

……‘বেচারা । তোমকে ওরা কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে, তাই না?’ রোয়ান এডির সমতল পেট স্পর্শ করল। ওর আঙুলগুলো প্যান্টের
ঢুকে গেল । খুঁজে পেল এডির স্ফীত পুরুষাঙ্গ। আস্তে আস্তে চাপ দিতে বলল, ‘বাড়ি চলো। তোমাকে অনেক মজা দেব।’…..

…..ডাবল বেডে ন্যাংটো হয়ে শুয়ে আছে এডি গল্ট, তার একটা হাত ছড়ানো, অন্য হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে বেডপোস্ট। এটি তার একটি প্রিয় পজিশন, রোয়ান শিখিয়েছে। এরকম পজিশনে তার শরীর নিয়ে নানান দারুণ খেলায় মেতে ওঠে মেয়েটা। বেশিরভাগ সময়েই রোয়ান শুরু করার কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই বীর্যপাত হওয়ার উপক্রম হয় এডির এবং এত দ্রুত ঘটনাটা না ঘটার জন্য সে প্রাণপনে চেষ্টা করে কিন্তু আজকের সন্ধ্যায় এদিকে মনোযোগই দিতে পারছে না এডি। সে খালি প্ল্যান্টের কথাই ভাবছে ।
রোয়ান অবশ্য বুঝতে পারে খেলায় কে ভান করছে আর কে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে। সে মাথাটা সরিয়ে নিল, এডির অর্ধ উত্থিত পুরুষাঙ্গ বের করে দিল মুখ থেকে। এক মুহূর্ত ওকে ধরে রইল তারপর নিজের দেহলতা মেলে দিল এডির শরীরের ওপর। রোয়ানের মখমলের মতো মসৃণ চুল আদর বুলাতে লাগল এডিকে । ‘টায়ার্ড, বেবি?’
রোয়ান ওর পাশে বসল । একটা হাত রাখল এডির নগ্ন পেটে। রোয়ানের মুখ গম্ভীর কিন্তু ওর ছোট ছোট বর্তুলাকার বক্ষ থেকে চোখ সরাতে পারছে না এডি । …..সে একটা হাত বাড়িয়ে রোয়ানের একটি বুকে আদর করতে লাগল । রোয়ান সরে গেল, রোয়ান সামনে ঝুঁকল, গোলাপী স্তনের বোঁটা গুঁজে দিল এডির মুখে। এডি চুকচুক করে চুষতে লাগল ।…..

…..খুব ভোরে ঘুম ভেঙে গেল কোরির। সেনাবাহিনীর দিনগুলোর সেই অভ্যাস আজও পরিবর্তন হয়নি। ও গা চুলকোতে গিয়ে দেখল নগ্ন হয়ে শুয়ে আছে ৷ পাজামা না পরেই ঘুমিয়ে পড়েছিল কোরি।
কপালে ভাঁজ পড়ল ওর, এখনও অর্ধজাগ্রত, মনে করার চেষ্টা করল পাজামা না পরে ঘুমাতে যাওয়ার কারণ কী। এক সেকেণ্ড পরে আবিষ্কার করল ও একা নয়।
ওর পাশে শুয়ে আছে দিনা। ওর দিকে মুখ করে । দিনা কখন এল? দিনাকে তো কোরি ওর বেডরুম শেয়ার করতে দিয়েছে। নিজে লিভিংরুমের মেঝেয় তোষক আর চাদর পেতে শুয়েছে । দিনার ঝলমলে কালো চুল ছড়িয়ে আছে বালিশে । কোরি জানে না মাঝরাতে, যখন ঘুম আসছিল না দিনার, বালিশ নিয়ে চুপিচুপি এসে শুয়ে পড়েছে ওর পাশে। অনেক দিন পুরুষের সাহচর্য থেকে বঞ্চিত দিনা। আর কোরিকে ওর ভালোও লেগেছে বেশ। কোরির উষ্ণ স্পর্শ পেতে চাইছিল দেহ-মন। কিন্তু মাঝরাত্তিরে কোরির কাছে এসে দিনা দেখে সে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমাচ্ছে । তাই ওকে আর বিরক্ত করেনি দিনা। ওর পাশে শুয়ে পড়েছে। দুষ্টামি করার ইচ্ছা জাগলেও কোরির ঘুম ভাঙাতে ইচ্ছা করেনি। একটু পরে নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছে । তবে এখন, এই সদ্য ভোরে, কোরি যখন ওর বুকের ওপর হাত রাখল, ঘুমের মধ্যে নড়েচড়ে উঠল দিনা, কোরির কাছে ঘন হয়ে এল। টের পেল ওর বুক থেকে পিঠের দিকে চলে যাচ্ছে কোরির হাত, খুঁজছে দিনার ব্রা’র স্ট্যাপ । তারপর বন্ধনমুক্ত হলো দিনার আশ্চর্য সুন্দর দুই ক্রিমরঙা বুক। চোখ বুজে রইল দিনা। চোখ বুজে কোরির আদর খাচ্ছে। ওর শরীর জুড়ে তৃষ্ণা। এই বিপুল তৃষ্ণা কোরি মিটিয়ে আধো জাগরণে তা-ই কামনা করছে দিনা। টের পেল ওর ঘাড়ে কোরি, আঙুল খেলা করছে ওর উন্মুক্ত বাদামী স্তনে । আদরে আদরে স্তনের বোঁটা শক্ত হয়ে গেল দিনার। ওর স্তন মুখে পুরে নিল কোরি।
সুখের আতিশয্যে গুঙিয়ে উঠল দিনা ‘আহ’ বলে ।
এই প্রথম চোখ মেলে চাইল । সে চোখের ভাষা বুঝতে একটুও সময় লাগল না কোরির। টানা টানা কাজল কালো ও চোখে প্রেম-ভালোবাসা-কামনা-বাসনা পর ফুটে আছে একসঙ্গে। একই সঙ্গে আর্ত আহ্বান জানাচ্ছে ‘আমাকে নাও! আমাকে নাও!’
কোরি দিনার শরীরের ওপর উঠে এল। এবং দিনার ৩৬-২৬-৩৬ ফিগারের দুর্দান্ত শরীরটি আবিষ্কারের অনাবিল আনন্দে মেতে রইল পরবর্তী একঘণ্টা ।….

……কোরি দিনার শরীরের ওপর দিয়ে হাত বাড়িয়ে এক থাবড়া মেরে ঘড়ির অ্যালার্ম বন্ধ করে দিল। চোখ এখনও বুজেই আছে। পুরোপুরি জেগে ওঠেনি। ঘুমঘুম ভাবটা তাড়িয়ে দিতে মিনিটখানেক শুয়ে থাকল চিত হয়ে । দিনা ওর দিকে পেছন ফিরে শুয়ে আছে। অ্যালার্মের আওয়াজ ওর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। কোরি দিনার দিকে এগিয়ে নিল শরীর। আজ বেশ গরম পড়েছে। দিনার ত্বক খুব উষ্ণ, ভিজে আছে ঘামে।
দিনার ওল্টানো তানপুরার মতো নিতম্বে একটা হাত রাখল কোরি। মাখন কোমল ত্বকের স্পর্শ ওকে আবার জাগিয়ে তুলল । দিনা নড়াচড়া করছে না । বেচারী ঘুমাচ্ছে ঘুমাক। হয়তো গত কয়েক দিনে রাতের বেলা টানা ঘুমানোর সুযোগই পায়নি ।
কিন্তু দিনাকে ঘুম থেকে তোলা দরকার। দু’জনেরই কাজ আছে। অথবা, মুচকি হেসে ভাবল কোরি, সকাল বেলা একটু সেক্স করতে দিনা হয়তো আপত্তি করবে না । দিনার সুডৌল নিতম্ব থেকে কোরির হাতটি উঠে গেল ওর নগ্ন, মসৃণ কাঁধে। হাতের তালু দিয়ে জায়গাটা আস্তে আস্তে ডলতে লাগল। দিনা উঁ করে উঠল তবে ভাঙল না ঘুম ।……

Please follow and like us: