১৪ই ফেব্রুয়ারী ও তার আগের কাহিনি – বুদ্ধদেব হালদার

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

….পাশ কাটিয়ে এগিয়ে গেলাম। গলিটা বেঁকে গিয়ে যেখানে আরও একটা সরু গলির সঙ্গে মিশে গেছে সেখানটায় দেখলাম একজোড়া কপোত-কপোতী। মেয়েটির গেঞ্জির ভিতর ছেলেটি মাথা ঢুকিয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমাকে দেখেই তড়িঘড়ি করে মাথা বের করে নিল। আহা, খুব ঠান্ডা লেগেছে। তা মাথাটা বের করার কী আছে? রাখো, ওখানেই রাখো না! তাতে আমার কী? তোমার সম্পত্তি তুমিই তো দেখভাল করবে গো খোকাবাবু!…..

…..জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। এই শীতে আমি প্রায় তিন-চারটে সোয়েটার চাপিয়েছি। অথচ নুপুর শুধুই একটা পাতলা নাইটি পড়ে বেড়াচ্ছে। গায়ে নিদেনপক্ষে কোনও চাদরও নেই। ওর বুকের বিচ্ছিরি ফুলে ওঠাটা আমাকে  অস্বস্তিতে ফেলছে। এমনকী বুকের উপরের ভাঁজটাও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কী জানি বাবা! এটাই হয়তো আধুনিকতা৷ আমি তো সেকেলে মানুষ। কাজেই আমার একটু অসুবিধা হচ্ছে বইকি। ….

…..নুপুর বউদির বয়েস আমার থেকে অনেকটাই কম৷ ওই উনত্রিশ- তিরিশের কাছাকাছি হবে। আমার চাইতে প্রায় দশ বছরের ছোট। এর মধ্যেই বিয়েসাদি করে একটা সাত বছরের মেয়েও হয়ে গেছে। ভাবো দিকি। আমি যদি ঠিকঠাক সময়ে একটা বিয়ে করতুম তাহলে এতদিনে নুপুরের মতো আমারও একটা সেক্সি বউ থাকত। আমি অবশ্য ভাবছি তপনদার কথা৷ তপন চক্রবর্তী অর্থাৎ নুপুরের একমাত্র বরের কথা। বয়েস ওই পঞ্চাশের কাছাকাছি। আমার থেকে অনেকটাই বড়। এই বয়েসেও কীভাবে হ্যান্ডেল করছে নুপুরকে? …..

…..একটু পরেই নুপুর চা নিয়ে ঘরে এল। সেই একই অবস্থায় আছে এখনও। গায়ে কোনও চাদর বা গরম পোশাক নেই৷ একটুখানি ঝুঁকে আমাকে আরো একবার বুকের ভাঁজ দেখালো। ঠোঁটে একটা পিঙ্ক লিপস্টিক দিয়ে রেখেছে সে৷ আমার সামনে চায়ের কাপপ্লেটটা রেখে একটুখানি হাসল, ‘খেয়ে বোলো চিনি ঠিকঠাক আছে কি না? নাকি আরও চিনি লাগবে তোমার?’……

…..এভাবে পড়াবার মুডটাই নষ্ট হয়ে যায়৷ কনসেনট্রেশন বলে একটা শব্দ আছে তো নাকি? এভাবে কেউ যদি বুকের ভেতরটা তছনছ করে দিয়ে যায়, তাহলে আর কীই-বা বাকি থাকে শুনি? আমি হাঁটুটা মুড়ে ভালো করে বসার চেষ্টা করলাম৷ এই মুহূর্তে কিছুতেই ওঠা যাবে না৷ কারণ, আমার ওইটা শক্ত হয়ে উঠে রয়েছে। এবং চিনচিনে একটা হালকা ব্যথা করছে ওইখানটায়। এসব দেখেই বোধয় কবিরা লিখেছিলেন ‘ঝনঝনিল অসি পিধানে’। ভাগ্যিস জিন্সের ফুলপ্যান্টটা পরে এসেছি। নাহলে সামনেটা ফুলে ঢোল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকত৷ আমি পা দুটো দিয়ে কিছুটা চাপ দিলাম৷ কেন এমন হয় এসব নিয়ে একবার আমাদের স্কুলের মধুমিতা ম্যাডাম বলেছিলেন। সেসব আজ আর যদিও স্পষ্ট মনে নেই। তবে মনে আছে টেস্টোস্টেরন নামক এক হরমোনের নির্গমনের জন্যই নাকি হঠাৎ হঠাৎ নেতানো নারকোল দড়ি আলকেউটের মতন আচরন করে। মেয়েদের অবশ্য এসব দাঁড়ানো-টাঁড়ানোর কোনও ব্যাপারই নেই। তাই ওদের হ্যাপা কম৷….

……আমার প্রায় বুকের কাছ ঘেঁষে শুয়ে আছে নুপুর। আমার মুখের উপর তার প্রতিটা নিশ্বাস আমি গুনে ফেলতে পারছি। আমার মুখের দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে রয়েছে সে। তার শরীর থেকে কী সুন্দর একটা সুগন্ধী ছেয়ে ফেলছে আমার শরীরের প্রতিটা রোমকূপ। একটা রোমাঞ্চে আবর্তিত হচ্ছি আমি। তার চোখে তৃপ্তির স্বাদ। গায়ে একটা সুতোও নেই তার এই মুহূর্তে। সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় আমার পাশে শুয়ে রয়েছে। এবং আমার শরীরেও এই মুহূর্তে কোনও জামাকাপড় নেই। নুপুর আমার বুকের কাছে মাথাটা সরিয়ে আনল। চুল থেকে আবারও একটা মিষ্টি গন্ধ পেলাম। হয়তো আজ দুপুরেই শ্যাম্পু করেছিল সে। তার মতো রূপসী মেয়েকে ছুঁতে পারাও তো একটা স্বপ্নের মতো ইতিহাস। সে আমার বাম কাঁধটা আঁকড়ে ধরে ঠোঁট কামড়ে ধরল। এরপর পায়ের উপরের পাতা ওর পা দিয়ে ঘষতে ঘষতে বলল, ‘তোমার মাংসের স্বাদ দারুণ।’

আমি কিছু বলতে পারলাম না ওকে। শুধু ওর রইলাম। সে আবারও আমার গালে হালকা করে ‘আমি ভীষণ স্যাটিসফায়েড। তোমাকে আমার ভালো লেগেছে রজতেন্দ্র। আমি তোমাকে বারবার পেতে চাই।’

সে পুণরায় আমার ঠোঁটে, গালে, বুকে কামড় বসাতে লাগল। আমি চুপ করে ঝুম মেরে শুয়েছিলাম৷ কিছুক্ষণ আগেই আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। আমরা স্ব-ইচ্ছায় একে অপরকে নিজেদের মধ্যে প্রবেশ করিয়েছি। আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে একে অপরের কাছে ব্যবহার করেছি প্রিয় খাদ্যদ্রব্যের মতো। পিঁয়াজখোসার মতন সে আমায় ছাড়িয়েছে একে একে। আমাকে বুঝিয়েছে মেয়েশরীরের দাম। আমি তার ফর্সা হাতটা আমার কোমরের থেকে সরিয়ে রেখে ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার বর যদি কখনও এসব জানতে পারে নুপুর?’

সে শব্দ করে হেসে উঠল। আমার পেটে একটা চিমটি কেটে বলল, ‘আমি ওই বুড়োকে কেয়ারই করি না? বুঝলে?’….

….সে আমার হাত ছাড়ল না। আমাকে কিছুটা বিদ্রুপের সুরে বলল, ‘তোমাকে খেয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি বারবার তোমাকে খেতে চাই৷’ থেমে গিয়ে বলল, ‘চিন্তা কোরো না। ফ্রি-সার্ভিস দিতে হবে না৷ পরিবর্তে টাকা দেবো তোমায়, যেমন তোমরা ছেলেরা লাগাবার পর বেশ্যাদের দিকে টাকা ছুঁড়ে দাও।’….

নুপুর আমার দিকে এগিয়ে এসে জামা ধরে টান মারল, হা ও আজ পড়বে না। ওর ছুটি। বাবার সঙ্গে বর্ধমানে গিয়েছে ওর পিসির বাড়ি। ইচ্ছে করেই তোমায় ফোন করে কিছু বলিনি।’ জড়িয়ে ধরে ঠোঁট চুষতে লাগল। কী করব বুঝতে পারলাম না আমি। এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগে কখনও হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। ভিতরে ভিতরে আমার ভয় করতে লাগল। সে আমার হাতটা নিয়ে তার অসম্ভব ফুলে থাকা স্তনের উপর রেখে আমার জামার বোতামগুলো টেনে খুলতে শুরু করল। চাপ পড়ে উপরের দিকের কয়েকটা বোতাম তো ছিঁড়ে মেঝেতে গড়াগড়ি দিতে শুরু করল। প্ৰথম দিকে আমি কিছুটা ছটফট করছিলাম। ভীষণ ভয় করতে শুরু করেছিল আমার৷ কিন্তু এসব কোনও কিছুকেই পাত্তা দিল না নুপুর। হঠাৎ করে একটা দারুণ ধাক্কা মারল আমায়। ছিটকে পড়লাম ওর বিছানায়৷ জামার হাতার কাছটা ছিঁড়ে গেছে কিছুটা। আমাকে বিছানায় শুইয়ে খুব শক্ত করে জাপটে ধরল। আমি ওর এরকম আচরন দেখে যতটা না অবাক হলাম, তার চাইতে অনেক বেশি ভয় পেলাম। আমার চেয়ে বয়েসে অনেক ছোটো মেয়ে, তার উপর আবার বিবাহিতা, যদি এমন অবস্থায় কেউ আমাদের দেখে নেয় তাহলে পুরো দোষটাই আমার উপর এসে পড়বে। আমি প্রায় কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম, ‘নুপুর আমাকে ছেড়ে দাও প্লিজ।’

সে শক্ত করে আমার চুলের মুঠি টেনে ধরল। শরীর অসম্ভব গরম তার। জ্বর হলে যেমন উত্তাপ বাড়ে, ঠিক তেমনই গায়ের তাপ তীব্র হয়ে উঠেছে৷ আমার অনুরোধের কোনও উত্তর দিল না সে৷ আমার প্যান্টটা নিজের হাতে খুলে ফেলল। আমার জাঙ্গিয়াটাও এক টানে খুলে ফেলল। আমি ওর শরীরের নীচে চুপটি করে শুয়ে রইলাম। সে আমার ঠোঁটে কামড় বসাল জোরে। ওর মুখের লালা ভর্তি হয়ে গেল আমার মুখে৷ ও আমার জিভটাকে নিজের জিভ দিয়ে চাটল অনেকক্ষণ ধরে। আমিও ওকে জড়িয়ে ধরলাম আলতো করে। ওর চোখের পাতায় কানে হালকা করে কামড় দিলাম ওর দেখাদেখি। আর ওকে ভয় করছে না ততটা। নুপুর আমাকে উলটে দিয়ে দিল। আমি ওর কামরাঙার ভিতর শিখ গুঁজে দিলাম। এত ব্যথা করে জানতাম না তো! মুহূর্তেই দেখি শক্ত ইক্ষুর ছাল উঠে গিয়ে রক্ত পড়ছে। অথচ নুপুর আরও নিবিড় করে জড়িয়ে রয়েছে আমায়। ওর মুখের দিকে
একবার তাকালাম। চোখ বুজে রয়েছে সে। বড় তৃপ্তি তার চোখেমুখে। তার জন্মান্তরের ক্ষুধা যেন নিমেষেই আমার ক্ষুধাটাকে বাড়িয়ে তুলেছে। জোরে জোরে করতে শুরু করলাম আমি। আরো জোরে চাইছে সে। এবং তার চাহিদা মতোই আমি তাকে অনুশীলন করা শুরু করলাম। তার সুগঠিত বৃহৎ স্তন কামড়ে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছিল আমার। ইচ্ছে করছিল সমস্ত আগুনে ওকে জ্বালিয়ে ছারখার করে ফেলতে। তৃষ্ণার অধিক তৃষ্ণা বেড়ে যেতে রইল। আমি ওকে আঁকড়ে ধরে নিজেকে মেলে ধরলাম। কী আরাম লাগছে আমার। কী ভীষণ স্রোতে বইছি আমি। আর নিজেকে আটকাতে পারলাম না। ওর যোনিতে বীর্যপাত ঘটালাম। এক অপরূপ স্বর্গের দিকে উড়ে চলেছি আমি। অথচ এমন মুহূর্তে পর্ণার কথা মনে পড়ছে খুব। ….‘আঃ কী করছ?’ নুপুর চাপা গলায় আর্তনাদ করে উঠল।

আমি দেখলাম ওর স্তনে আমার দাঁতের দাগ চেপে বসে রয়েছে। ফর্সা চামড়াটার অনেক ভিতরে দাগটা নীল রঙের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আমি কামড়াচ্ছিলাম অনেকক্ষণ ধরে। ভালো লাগছিল। এরকম বাতাবিলেবুর মতো এত বড় স্তন ঘাঁটতে৷ আর কী নরম কাজ সমাপ্ত করে যখন ওর গায়ের উপর আলগা হয়ে শুয়ে টিপতেই সে হাতের চেটো দিয়ে কোমরের কাছের ভেজা চ্যাটচ্যাটে জায়গাটা মুছে নিল একবার। আর সেই অবস্থায় আমার মাথায় হাত বুলোতে রইল।…’আমার বুকের এখানে কেটে গেছে।’ স্তনের উপর আঙুল দেখিয়ে নুপুর আমার দিকে তাকাল।…..

….‘আপনি আলরেডি ১০ মিনিট দেরি করে ফেলেছেন। বসুন।’ ঝাঁ- চকচকে অফিসটায় ঢুকতেই সিডিউল মিলিয়ে দেখে রিসেপশনিস্ট যুবতী মহিলাটি মন্তব্য করলেন। অসম্ভব রূপবতী তিনি। স্বচ্ছ কাচের মতো তার চোখের মনি। গালের দুপাশে যেন ফরসা মোমের প্রলেপ দিয়ে আবৃত। আর ঠোঁটদুটো ভেজা ভেজা। হয়তো নুপুরের মতোই সুস্বাদু। আমি চোখ ফেরাতে পারলাম না। তিনি আমার সিভির হার্ডকপি চেয়ে নিয়ে এইচআর- এর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। আমি বাইরে বসে অপেক্ষা করতে শুরু করলাম। হয়তো কিছুক্ষণ পরই আমাকে ডাকা হবে৷ বসে বসে আমি ওই যুবতী রিসেপশনিস্টটাকেই লক্ষ করছিলাম। কী নিখুঁতভাবে যেন নিজেকে সাজিয়ে রেখেছেন। কাঁধের কিছুটা নীচে ব্রা-এর স্ট্র্যাপ দুটো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর ওনার স্তনদুটিও স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বড়। এক ক্লান্ত বেলায় যেন শতাব্দীর নড়বড়ে সাঁকোয় একদিন দেখা হয়েছিল এরকমই এক মেয়ের সাথে। কে বলতে পারে গতজন্মে এই মেয়েটাকেই ভালোবাসিনি আমি? আমি তার দিকে তাকিয়ে প্রেমিক পুরুষের মতোই চুপটি করে বসে রইলাম। এভাবে কখন যে দুপুর একটা বেজে গেল তা বুঝতেই পারলাম না। হঠাৎ করে নিজের সম্বিত খুঁজে পেলাম। ভিতর থেকে ডাক এসেছে।…..