মূল নরওয়েজিয়ান থেকে ইংরেজি অনুবাদ ডন বার্টলেট
ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ সাকী আসান
…….‘আমাকে যেতেই হবে,’ এমন এক একঘেয়ে স্বরে কথাটা বলল পুরুষটা, যেন এ কথা বলতে বলতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে অনেক আগেই । তার হাত দুটো নারী শরীরের চেনা পথগুলো হাতড়াতে লাগল, এ কাজে সে ক্লান্ত হয়নি কখনো ৷
নারীটি টের পেল, পুরুষটার কণ্ঠে বিরক্তি খেলে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে তার হাতও খেলে যাচ্ছে । বলিষ্ঠ কিন্তু মৃদু পুরুষ হাত তার মেরুদণ্ড বেয়ে কোমড়ের স্কার্টের ভেতর দিয়ে টাইটসের ভেতরে নেমে যাচ্ছে । তারা দুজন নিপুণ নর্তকী যুগলের মতো, যারা নিজের সঙ্গীর প্রতিটি ভঙ্গি, পদক্ষেপ শ্বাস-প্ৰশ্বাস, ছন্দকে চেনে । প্রথমে আদর-সোহাগ । আনন্দময় । তারপর মিলন । বেদনাময় ।
নারীর পোশাকের ওপর দিয়ে সোহাগের ছোঁয়া দিয়ে যাচ্ছে পুরুষ হাত, পুরু জামার নিচে স্তনবৃন্ত খুঁজে ফিরছে । লোকটা আগাগোড়াই নারীটির স্তনবৃন্ত পছন্দ করে, ও দুটোর কাছে ফিরে ফিরে যায় সবসময় । এর কারণ হয়তো এটা হতে পারে যে, লোকটার নিজের কোনো স্তনবৃন্ত নেই ।
“তুমি কি গ্যারেজের সামনে গাড়ি রেখেছ?’ স্তনের বোটা শক্তভাবে মুচড়ে দিয়ে জিজ্ঞেশ করল পুরুষটা ।
নারীটা মাথা ঝাঁকালো এবং একটা আনন্দ তীরবেগে ছুটে এসে তার মাথায় গেঁথে যাবার মতো যন্ত্রণা তৈরি করল। তার ভেতর জেগে ওঠা যৌনতা পুরুষটার আঙুলগুলোর জন্য উন্মুখ হয়ে উঠল । আঙুলগুলো তার স্তন আঁকড়ে ধরবে শীঘ্রীই । ‘আমার ছেলে বসে আছে গাড়িতে ।’
পুরুষটার হাত থেমে গেল আচমকা ।…..
……এখন নারীটার কথাতে বিরক্তি ঝরে পড়ল । কারণ পুরুষটা তাদের আলাপের মধ্যে নারীটার স্বামীকে টেনে এনেছে । আর বিরক্ত না হয়ে এ বিষয়ে কিছু বলা নারীটার জন্য কঠিন । তাছাড়া তার শরীর এখন পুরুষটাকে দ্রুত পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে । লোকটার প্যান্টের চেইন খুলে ফেলল সারা কেভিনসল্যান্ড ।
‘না…’ সারার কোমড় জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করল লোকটা । সারা তার অন্য হাতটা দিয়ে লোকটার গালে কষে চড় বসিয়ে দিল । বিস্ময় নিয়ে পুরুষটি তাকাল, তার গাল রক্তিম হয়ে গেছে । নারীটি হাসল, পুরুষটার মাথার পুরু কালো চুল আঁকড়ে ধরে মুখটাকে নিজের মুখের কাছে টেনে আনল ‘তুমি যেত পারো,’ হিসহিস করে বলল নারীটা । “কিন্তু প্রথমে আমাকে আদর করতে হবে । বোঝা গেছে?’
সারা তার মুখের ওপর লোকটার শ্বাস-প্রশ্বাস অনুভব করছে্ লোকটার নিঃশ্বাস ভারী আর ঘন হয়ে উঠছে । খোলা হাতটা আরেকটা চড় দিল নারীটা এবং তার অন্য হাতে পুরুষটার শিশ্ন ফুসে উঠল।…..পুরুষটার কোমড় ধাক্কা দিচ্ছে, প্রতিবারই আগেরবারের চেয়ে জোরে জোরে, কিন্তু অপর পক্ষ থেকে সাড়া মিলছে না । নিঃসাড়ভাবে পড়ে আছে নারীটি, মোহনীয় যাদু ফুরিয়ে গেছে, উত্তেজনা মিলিয়ে গেছে, রয়ে গেছে কেবল নিরাশা। পুরুষটাকে হারিয়ে ফেলছে সে। এখন, এখানে মিলনের জন্য শয্যাশায়ী থেকে, সে তাকে হারিয়ে ফেলবে ।
বিছানার পায়ার কাছে দাঁড়িয়ে পুরুষটি চোখ বন্ধ করে সেক্স করছে। তার খোলা বুকের দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে আছে সারা। শুরুতে বিষয়টাকে তার অদ্ভুত মনে হয়েছিল, কিন্তু কিছুদিন পরে পুরুষটার বুকের মাংসপেশীর ওপর টানা বিরতীহীন সাদা ত্বককে সে পছন্দ করতে আড়ম্ভ করল। এই ত্বক তাকে প্রাচীন সেসব মূর্তির কথা মনে করিয়ে দিত, সামাজিক শালীনতা রক্ষা করার উদ্দেশে যেসব মূর্তির স্তনবৃত্ত থাকত না ।
পুরুষটার গোঙানি চড়া হচ্ছে ধীরে ধীরে । সে জানে, দ্রুতই পুরুষটা ভয়ানক গর্জন করে উঠবে । এই গর্জন পছন্দ করে নারীটা। যদিও প্রতিবারই পুরুষটার বন্য আকাঙ্ক্ষাকে চরম পুলক ছেয়ে যায়, তবুও প্রতিবারই তার বিস্ময়কর এক বেদনার্ত বহিপ্রকাশ ঘটে। সারা এখন চূড়ান্ত গর্জনের জন্য অপেক্ষা করছে। ছবি, জানালার পর্দা আর কার্পেট গুটিয়ে ফেলা বেডরুমে এক প্রবল গর্জনময় বিদায়ের অপেক্ষা । তারপর পোশাক-পরিচ্ছেদ পরে লোকটা চলে যাবে দেশের অন্য এক এলাকায় । সেখানে সে এমন একটা চাকরি পেয়েছে যেটাকে নাকি না বলা অসম্ভব । কিন্তু এই মিলনকে না বলতে পারছে ও। এই মিলনকে । এবং এই মিলনের আনন্দে ও গর্জেও উঠবে একটু পরে ।
চোখ বন্ধ করল নারীটি। কিন্তু গর্জন শোনা গেল না। পুরুষটার কোমড়ের দুলুনি থেমে গেছে ।
‘কী হল?’ চোখ খুলে জিজ্ঞেশ করল নারীটি। পুরুষটার চেহারা কুচকে আছে । কিন্তু মিলনের আনন্দ নেই সেখানে ।
‘একটা চেহারা,’ ফিসফিস করে বলল পুরুষটা ।
নারীটা গুটিয়ে গেল। ‘কোথায়?”
‘জানালার ওপাশে।
বিছানার অপর পাশে, ঠিক নারীর মাথার ওপর জানালাটা । সে ঘুরে শুল, তার যৌনির ভেতর থেকে শিশ্নটা বের হয়ে গেল, সেটা এরিমধ্যে নিস্তেজ হয়ে গেছে । মাথার ওপরে জানালাটা দেয়ালের এত উঁচুতে যে, সে যিখানে শুয়ে ছিল সেখান থেকে বাইরের কিছু দেখতে পেল না। এবং মাইরের মানুষের জন্যও জানালা এতটাই উঁচুতে যে, বাইরে দাঁড়িয়ে কেউ উকি দিয়ে ঘরের ভেতরটা দেখতে পাবে না । বাইরে দিনের আলো ম্লান। জন্মিলায় কেবল ছাদের বাতিটার দুটো প্রতিবিম্ব দেখতে পেল সারা । ‘নিজেকেই দেখেছ তুমি’ কিছুটা ব্যাখ্যার ঢঙে বলল সে।…..
…..জুডাস। জুডাস চুমু। স্লেমডাল্সভিয়েনের দিকে ওরা গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় নিজের মুখের ভেতর র্যাকেলর জিহ্বার কথা ভাবল হ্যারি । তার মৃদু শ্বাস আর উচ্চস্বরে আর্তনাদ, র্যাকেলের শ্রোণিতে ওর শ্রোণির তীব্র আঘাতের বেদনা, যখন ও আরও দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গম করার জন্য লিঙ্গ চালনা বন্ধ করে দিয়েছিল তখনকার হতাশায় তার চীৎকার। সেখানে সে সঙ্গমকে দীর্ঘ করার জন্য আসেনি । সেখানে সে এসেছিল দানবকে দূর করতে, তার শরীরকে শুদ্ধ করতে, যাতে করে সে বাসায় ফিরতে পারে এবং আত্মাকে শুদ্ধ করতে পারে ।….
…..‘আপনি কী করেন, স্টপ? ট্রন্ডহেইমে লেকচার শেষে যখন একজন নারী আপনার কাছে আসে, সে বলে যে তার মাত্র একটা স্তন তবে আপনার সঙ্গে সেক্স করতে চায় । আপনি কি তাকে আপনার হোটেল রুমে একটু বাড়তি-পাঠ- এর জন্য নিমন্ত্রণ করবেন?’
দর্শকরা পিনপতন নীরব হয়ে গেল, এবং এমনকি বসেকেও হতবুদ্ধ দেখাচ্ছে।
কেবল আর্ড স্টপকে মনে হল সে প্রশ্নটাকে মজার বলে ভাবছে । মা, আমার মনে হয় না আমি সেটা করব । এ কারণে নয় যে, কেবল একটা স্তন দিয়ে সেক্স আনন্দদায়ক হবে না, বরং এ কারণে যে, ট্রন্ডহেইমের হোটেলের বিছানাগুলো
খুবই সরু।’…..
……মেয়েটা একটা বিয়ের আংটি পরে আছে। স্টপের সামনে দিয়ে নিতম্ব আন্দোলিত করে সে রুমের দিকে হেঁটে গেল। তার নিতম্বজোড়া কি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে? তার সুগঠিত নিম্নাংশে কালো ট্রাউজার আটোসাঁটো হয়ে আছে, এবং আর্ভ স্টপ তার আকের ব্রাইগে অ্যাপার্টমেন্টের বিছানায় ট্রাউজারবিহীন এই নিম্নাংশকে কল্পনা করল । কিন্তু মেয়েটাকে অনেক বেশি পেশাদার মনে হচ্ছে ।
আলোকিত ঘরের ভেতর দাঁড়িয়ে উদোম বুকের একটা লোক চোখ বন্ধ করে তার পাছা সামনে-পেছনে ঠেলছে, যেন লোকটা নাচছে। লোকটার সামনের বিছানা থেকে একজোড়া পা ওপরের দিকে ছড়িয়ে দেওয়া।
দেখতে পাচ্ছে না, তবে ও জানে যে, এ হচ্ছে সারা। জানা যে, পা থাকা মহিলাটা তার মা । জানে যে, ওরা সঙ্গম করছে । ম্যাথিয়াস তুষারের মাথাটায় ওর উরু চেপে ধরল, অনুভব করল। ও নিঃশ্বাস নিতে পারছে না, স্টিলের তার আঁটো হয়ে বসে যাচ্ছে ।
ওর মায়ের ওপর লোকটার কোমড় মূহুমূহু ধাক্কা দিচ্ছে। ম্যাথিয়াস রুমের ভেতরের লোকটার বুকের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল । ওর উরুসন্ধি থেকে শীতল নিসাড়তা পাকস্থলী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ল এবং ওর মাথা অব্দি পৌঁছানো পর্যন্ত শীতল নিঃসাড়তা ওপরে উঠতেই লাগল। মা’র ভেতর লোকটা তার শিশু প্রবল জোরে ঠেলছে । পর্নো ম্যাগাজিনের লোকেরা যেমনটা করে। শীঘ্রীই লোকটা ওর মায়ের যোনির ভেতর বীর্যস্খলন করবে। আর লোকটার কোনো স্তনবৃত্ত নেই ।……