……..বালিশের তলায় দু-হাত ভাঁজ করে, মাথা হেলিয়ে, উপুড় হয়ে শুয়ে রয়েছে দেবমাল্য। মাঝে মাঝে চোখ খুলে দেখছে। অনেক কিছু মিশ্র ভাবনার মধ্যেই বেশ টের পাচ্ছে, বিয়ে করা ঘরের বউ-এর সান্নিধ্য কামনাতেই শরীর জাগছে, পুরুষাঙ্গ টানটান হয়ে উঠছে এবং অনিবার্য টান পড়ছে। অথচ মাত্রই একটু নড়ে-চড়ে শােওয়া ছাড়া, বালিশে মুখ চেপে দু-একটা শব্দ ছাড়া কোনও ভাষা বেরুল না। বেরুতেই পারত, বেরুনােটাই স্বাভাবিক ছিল। নির্জন সকাল, ছুটির দিন, তাড়াহুড়াে নেই, মাত্র দুজন ফ্ল্যাটে, হাত বাড়িয়ে ওকে টেনে ধরলেই আকুলি-বিকুলি ইচ্ছেরা, ইচ্ছের হাত-মুখ-নাক ডুবে যেতে পারত কুন্তলার মুখে বুকে নাভিতে-জঙ্ঘায়, ওলট-পালট হতে পারত বিছানায়…..
…….হঠাৎ একটা অদ্ভুত আচরণ করল কুন্তলা। খাটের পাশ দিয়ে ঘুরে এসে সটান উঠে এল বিছানার ওপর। দেবমাল্যর গায়ের ওপর থেকে এক ঝটকায় কম্বলটা সরিয়ে দিয়ে, দুহাতে বেড় দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরল, তারপর সাপটে চুমু খেতে লাগল ওকে। ভারসাম্য রাখতে না পেরে বিছানায় টাল খেয়ে পড়ল দেবমাল্য। উন্মত্ত আর আগ্রাসী চুম্বনের মধ্যে ওর একটা হাত টেনে নিয়ে কুন্তলা কার্ডিগানের নীচে ঢুকিয়ে দিল ডানদিকের স্তনে। দেবমাল্য পরাস্ত এবং সম্পূর্ণ হতচকিত, অথচ সেই বিফলতার মধ্যেই টের পাচ্ছে কুন্তলার পূর্ণ শরীর, সুগন্ধ আর চুম্বনের লালায়, পেষণে ওর শরীরের রসায়ন পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং জাগছে। আস্তে আস্তে কুন্তলা হাত বাড়াচ্ছে দেবমাল্যর তলপেট বেয়ে নীচের দিকে। রােমরাজির মাঝখান থেকে নরম মুঠিতে ধরে নিয়েছে ওর কঠিন আর গরম পুরুষাঙ্গ। তারপর চাপছে, নাড়ছে। চোখ বুজে আসছে দেবমাল্যর, আপনা আপনি হাত ক্রিয়াশীল হয়ে উঠছে, হাতড়াচ্ছে কুন্তলার ট্রাউজার্সের কাছে ……….
………আমি হাংরি ফর ফুড না, হাংরি ফর সামথিং এলস। বলতে বলতেই কুন্তলার আচরণ সম্পূর্ণ পালটে গেল। দেবমাল্যকে ঠেলে ফেলে দিয়ে, নিজেই ওর গায়ের ওপর উঠে বসল। দ্রুত হাতে একে একে খুলে ফেলতে লাগল জামা কাপড়, এমনকী অন্তর্বাসও। হতচকিত দেবমাল্য সম্পূর্ণ পরাস্ত এবার। কুন্তলা টানাটানি করে খুলে ফেলে দিল ওরও পাতলুন, গেঞ্জি। নিজের পূর্ণ নগ্ন শরীর দিয়ে কুন্তলা অধিকার করে নিল দেবমাল্যকে। ওর হাত আর মুখের যথেচ্ছ নিষ্পেষণে, লেহনে জেগে উঠল অনিবার্য পৌরুষ। দুরন্ত আদিম লীলায় মেতে উঠল পুরুষ-নারী।…………