সাইয়েদ জামিলের গুচ্ছ কবিতা

›› কবিতা / কাব্য  ›› ১৮+  

বায়োকেমিস্ট্রি

তুমি অনেক নারীকে দেখেছো, জামিল। ছুঁয়েছো অনেক মেদ
মাংস। খেয়েছোও,
বৎস, এইবার, এসব ছাড়ো। তোমার বয়েস পশ্চিমে হেলে
যাচ্ছে। মনে রেখো, আলো ও অন্ধকারের বিপরীতে, বহুদূর
যেতে হবে, তোমাকে, জামিল
দক্ষিণ ভূগোলের দিকে, দ্যাখো, আবছায়া পাখির পালক,
ভেজামেঘ, পিয়ানো আর জলের প্রবাহ। নিষ্ঠুর রঙের বিভায়,
সেইখানে, শুয়ে আছে কেমিস্ট্রি পড়ানো এক প্রাচীন অধ্যাপিকা।
শেষবার, তুমি ওই অধ্যাপিকার হাত ধরো। তাঁর আত্মার পাশে
শুয়ে থাকো। ডুবে থাকো তাঁর যোনি ও স্তনের মাদকতায়,
বিশ্বস্ততাই তোমার অস্ত্র ও সৌন্দর্য, জামিল

আপনাকে, কার্ল গুস্তাভ ইয়ুঙ

স্বেচ্ছায় শাড়ি খুলে শ্রীমতি কাদম্বরী আমার মুখের ভেতর পুরে দিলো
তাঁর অহঙ্কারি দুধের বোঁটা। দুপা ফাঁক ক’রে ঊরুসন্ধি দেখিয়ে বললো,
‘ও নব্য ঠাকুর পো, এ শরীর তোমারও।’
আমি মুসলমানের পোলা, আমার ঘেন্না হলো। তবু আমি কাদম্বরীর
সাথে রতিক্রিয়া সম্পন্ন করলাম। আর, এখন আমার মনে পড়ছে, রতিক্রিয়ার
সময় কাদম্বরী বউঠান ‘আঁ আঁ’-র বদলে ‘রবি রবি’ ব’লে অস্ফুট স্বরে
গোঙাচ্ছিলো।
এখন আমার অনুশোচনা হচ্ছে; নারীর শরীরকে মনে হচ্ছে ঘিঞ্জি-শিল্প-গলি।
এইখানে দাঁড়িয়ে আমি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বাবু না কি রবীন্দ্রনাথ-
কার কাছে ক্ষমা চাইবো?

হস্তমৈথুন সমগ্র

আমার লিঙ্গকে আমি জানি। হা মুখ
যোনি দেখলেই সে লুম্পেনের মতো খাঁড়া
হয়ে যায় না। সংযম কাকে বলে সে
জানে। এবং সে জানে ভোদা ঠাপানোর
বর্বর পদ্ধতিগুলি। হে রাষ্ট্রব্যবস্থা,
হে পরিবার পরিকল্পনা, ভোদার সঙ্কীর্ণ
গহ্বরে সে আর সার্কাস দেখাবে না।

দাঁত এবং জিভবা
ওই সব বিরল স্তনের বোঁটায় বসাতে পারি দাঁত। লোল জিভবায় চাটতে পারি মাংসের সৌন্দর্য। কিন্তু এর অর্থ এই নয় এই দাঁত হিংস্র, জিভবা লোভাতুর।
ভালোবাসার রূপালি অন্ধকারে দাঁত জিভবা সকলেই প্রেমিক।
হজরত গালিবের জন্য যৌন অনুষঙ্গহীন প্রেমের কবিতা
আকাশ কামার্ত হ’লে তার যৌনাঙ্গ থেকে চুঁইয়ে পড়া জলই কি বৃষ্টি নয়? সমভূমির ফুঁসে ওঠা উঁচু বুক, যাকে তুমি পাহাড় বলো, সে কি পৃথিবীর স্তন নয়? আর আড়াই হাজার ফিট উঁচু থেকে সমুদ্রকে আমার চিরকালই নীল নাভি মনে হয়।
এখনও কামার্ত হ’য়ে পড়ি মধ্যরাতের ট্রাকের শব্দে। সুদৃশ্য বিল্ডিং দেখলে শরীর জেগে ওঠে। স্বপ্নের ভেতর রোজ রূপবতী রাস্তাকে আলিঙ্গন ক’রে শুয়ে থাকি। ভোরের কোলবালিশ জুড়ে লেগে থাকে স্বপ্নদোষের চিহ্ন।
রেললাইনের সাথে বহুবার সফল সঙ্গম করেছি। বহুবার লেহন করেছি মাটির ফাটল। কামড়ে দিয়েছি উড়োজাহাজের উড়ন্ত ওলান। বাস ট্রাক ট্যাম্পুর লাজ্জাস্থানে রোপন করেছি অন্ধকার।
কবিতার দু ঊরুর ফাঁকে পেন ও পেনিসের সংগ্রাম লিখে রাখার চেষ্টা করছি। আমার পড়ার টেবিল জানে, কীভাবে শীৎকারের শব্দে জেগে উঠে সাড়া দিতে হয়।

আন্টির সাথে ক্লাইমেক্স

‘ছাদে গিয়ে পৃথিবী দেখবে, চলো।’ বললো,
তিন তলার আন্টি। আমি শান্তি কুটিরের ছয়
তলায় থাকি। বললাম, ‘অ্যাঁ! পৃথিবী!’ পানির
টাঙ্কির পেছনে দাঁড়িয়ে খাঁ খাঁ রোদ্দুর ও নির্জনতা
ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। আন্টি শরীর
দেখিয়ে বলে, ‘দ্যাখ্ বান্দর!’ আমি দেখি একটা
ডাবল ডেকার বাস আমাকে থেতলে যায়।

ক্রাইম স্টোরি

যে মেয়েটা আমাকে অসম্ভব ভালোবাসতো তার
যৌনাঙ্গে আমি ছুরিকাঘাত করেছিলাম আর ফাঁসিয়ে
দিয়েছিলাম আমার পুলিস বন্ধুটিকে, যার বুটের
সৌন্দর্যে আমি ঈর্ষান্বিত ছিলাম। এখন আরেকটা
মেয়ে ভুট্টা ক্ষেতে খাঁড়ায়া আছে। কামারশালা থেকে
এক্ষুনি রওনা দিবো আমি। ভুট্টাক্ষেত দুই কিলো দূরে।

মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের পর লিখিত কয়েকটি লাইন
সিনথির ওষ্ঠে চুমু খেলে রসে ওর গুদ ভিজে যেতো। মুখ ও গুদের সম্পর্ক নিয়ে আমি প্রণয়ন করতে চাই একখানা ছহিহুল কিতাব।……..

নিমগাছ

স্ত্রীদুগ্ধ পান করতে করতে লোকটা ভাবলো,
পৃথিবীতে ইঞ্জিন আবিষ্কারের পূর্বে যেসব নিমগাছ
জন্মেছিলো সেসব নিমগাছ ইঞ্জিনের শব্দ শোনে নাই—

লোকটার ভাবনার ওপর দিয়ে তিনটে খরগোশ
দিগন্তের দিকে দৌড়ে গ্যালো।
আর, দিগন্ত থেকে খ’সে পড়লো প্রকাণ্ড এক পুরুষাঙ্গ!
দিগন্ত থেকে খ’সে পড়া পুরুষাঙ্গের রঙ ঘন ও সুরেলা।

 

Leave a Reply