সহবাস – শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……একটা পায়ের ওপর আর-একটা পা মুড়ে সোমা শুয়ে আছে। শাড়িটা একই উঠে গেছে গোড়ালি থেকে। আরও একটু আলো থাকলে ওর জঙ্ঘার লোমগুলো দেখা যেত! বুকের ওপরে শাড়ি নেই। পাতলা একটা মলমলের ব্লাউজ, স্তনদুটোকে ঢেকে রেখেছে। একটু যেন গড়িয়ে পড়েছে ওরা, স্বাভাবিকতাবেই। ও, জানে, নীচে ব্রেসিয়ার নেই। রণেন এই জিনিসটা একদম পছন্দ করে না। এমন কি, বহুদিন বলেছে, গরম কাল রাত, গায়ে কিছু না-ই দিলে। আমি ছাড়া কে দেখছে তোমায়! কিন্তু ওকে বোঝানো যাবে না। সংস্কার,অভ্যেস। তা ছাড়া, সব মেয়েরাই বোধহয় আলোকে ভয় পায়। আলো যেন আর-একটা পুরুষ। জানলা দিয়ে ঢুকে যদি চোখে পড়ে, একটি অর্ধনগ্ন যুবতী শরীর এলিয়ে দিয়ে শুয়ে রয়েছে, তাহলে হয়তো ওর কোনও কুকর্ম করতে ইচ্ছে হবে। …..

….কোনও মেয়ের মুখে “বাথরুমে ছিলাম” কথাটা বেশ অশ্লীল শোনায়। অর্থাৎ, মনে করিয়ে দেয় বাথরুমের ভেতরের দৃশ্যটা। কী করছিলে এতক্ষণ ধরে!….
….প্রচণ্ড সাজগোজ করেছে উজ্জয়িনী। চুল বেধেছে বড় করে। কোমরের নিচে পরেছে শাড়িটা। একটু মোটাসোটা, তবে বাচ্চাকাচ্চা হয়নি তো, তাই পেটটা, নাভিটা দেখাতে ওর লজ্জা করে না। …..

…….বাড়িটার ভেতরে চারদিকে কিলবিল করছে মেয়েরা। এত সব পেট বার করা পোশাক। উঁচু স্তন, স্নো-পাউডারে শাদা মুখ……

Leave a Reply