অনুবাদঃ নিয়াজ মোরশেদ
…..সাদা সুগােল একটা বাহু উচু করলাে সে—এমন হাত জীবনে কখনাে দেখিনি আমি! আস্তে, খুব আস্তে, চুলের নিচে হাত চালিয়ে একটা বাধন খুললাে। তারপর হঠাৎ লম্বা কাফনের মতাে কাপড়টা খুলে পড়ে গেল তার শরীর থেকে। আমার চোখজোড়া উঠতে শুরু করলাে তার গা বেয়ে। ধবধবে সাদা প্রায় স্বচ্ছ একটা ঝলপােশাক এখন তার পরনে! নিখুঁত রাজকীয় দেহটার ভাজগুলাে আড়াল করার চেয়ে প্রকট করে তােলার দায়িত্বই যেন পালন করছে সে পােশাক। ছােট ছোট সন্দর পা দুটোয় চটি, সােনার পেরেক লাগানাে। তারপর গােড়ালি, দুনিয়ার সেরা ভাষ্কর স্বপ্নেও কখনাে এমন নিখুঁত গােড়ালি দেখেনি। নিরেট সােনার তৈরি একটা দুই মাথাওয়ালা সাপ কোমরের সাথে এটে রেখেছে সাদা আলখাল্লাটা । এর ওপর থেকেই তার অপরূপ দেহসুষমা ঢেউয়ের মতাে রেখায় ক্রমশ স্ফীত হয়ে উঠেছে। সে সৌন্দর্যের কথা বর্ণনা করে বােঝানাে সম্ভব নয়। তুষার ধবল স্তন দুটোর উপর যেখানে ভাঁজ হয়ে আছে তার বাহু যুগল সেখানে শেষ হয়েছে আলখাল্লার প্রান্ত। আরাে ওপরে তার মুখের দিকে তাকালাম আমি। সঙ্গে সঙ্গে কুঁকড়ে গেলাম ভেতরে ভেতরে। স্বর্গবাসী দেবীদের সৌন্দর্যের কথা শুনেছিলাম, এখন দেখলাম।……