…..শিবির চোখ ক্রমশ বড় হয়ে উঠল শুনতে শুনতে। বিছানায় সে ধড়মড়িয়ে উঠে বসতেই চাদরটা পড়ে গেল বুক থেকে। একটা ব্লাউজ পরে আছে, বোধহয় মায়ের, সামনের সব কটা বোতাম খোলা। সঙ্গে সঙ্গে রতন মুখ ঘুরিয়ে কুলুঙ্গির দিকে তাকাল। তার কান দুটো গরম হয়ে চোখে ছড়িয়ে পড়ল। মুহূর্ত পরই শিবি তাড়াতাড়ি চাদরটা বুকের সামনে তুলে ধরল।…..
….খুলে রেখে বাড়ির ভিতরে চলল। রতন দেখল শুধুমাত্র একটা ভিজে শপশপে গামছা শিবির শরীরে জড়ানো গলা থেকে হাঁটু পর্যন্ত। আব্রু রক্ষা করতে শরীরে আর কোনও বস্ত্র নেই। তার মাথার মধ্যে কৈশোর ও যৌবনের সংযোগ রাখা অদৃশ্য যোগাযোগটি ভস্ম হয়ে তার স্বার্থহীন নিষ্পাপ সারল্যকে বিচ্ছিন্ন করে দিল মুহূর্তে। সে কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। এখন শিবির কাছাকাছি হতে তার সঙ্কোচ হচ্ছে। তার স্বাভাবিক বোধ থেকে মনে হল ওর শরীরের দিকে তাকানো উচিত নয় । কিন্তু সে তাকাল ।
“আরে এসো…দু’ মিনিট, আমার হয়ে এসেছে।” শিবি ঘুরে দাঁড়িয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে রইল । চোখ নামিয়ে রতন ভিতরে পা বাড়াল ।
“দরজাটা বন্ধ করে দাও” শিবি চৌবাচ্চার দিকে এগোল। রতন ছোট্ট উঠোনের একধারে দাঁড়িয়ে দেখল শিবি মগ জল মাথায় ঢালল । জলের ধারা মাথা থেকে গোড়ালি পর্যন্ত নামছে । গামছাটা চামড়ার মতো পিঠের আর পাছার সঙ্গে সেঁটে। এভাবে সে মেয়েদের শরীর কখনও দেখেনি। বাড়িতে তার মা দিদি বা উপরের বউদি আর তার ননদ রয়েছে কিন্তু কেউই শরীরকে এমন অবহেলায় পুরুষদের চোখের সামনে খোলামেলা করে না ।
“হয়ে গেছে। বাব্বাঃ জল যা ঠাণ্ডা । ” শিবি তারে ঝোলানো শুকনো ফ্ৰক আর ইজের টেনে নামিয়ে ছুটে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করল ।……
…..শিবির মুখ চোখ বদলে গেল। অসহায় নিরাশ্রিত করুণাপ্রার্থীর মতো ভঙ্গিটা নিমেষে অন্তর্হিত হল । নাক কুঁচকে চোখ দুটো ছোট করে চাপা খরখরে গলায় বলল, “বিয়ে বিয়ে খেলায় খেলুড়ে হতে গেলে কেন ? কে তোমায় মাথার দিব্যি দিয়েছিল ? আমাদের বাড়িতে যেতে কেন ? শিবানি দত্তর বুক চোরের মতো তো দেখতে….আমি কিছু বুঝি না ভেবেছ ?….
….বোঝাতে চাইল সে একটা নোংরা লোক। কোন সাবালক পুরুষমানুষ না মেয়েদের বুকের দিকে তাকায় ? এটা কি হীন নোংরা ব্যাপার ?…
….রাতে শোয়ার আগে ঘরের আলো নিবিয়ে শিবি শাড়ি ব্লাউজ, ব্রেশিয়ার খুলে বিছানায় শুয়ে জড়িয়ে ধরল রতনকে। “কি মানুষ গা, কাঠের মতো শুয়ে `আছ ?” আদুরে গলায় বলল, “আজ আমাদের প্রথম রাত না ?”…..