শিখর থেকে শিখরে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……যৌন ক্ষমতা নেই, তবু যৌন বাসনা আছে কেন ? এক এক সময় মেরিকে জড়িয়ে ধরার জন্য তার মনটা আকুলি-বিকুলি করে। প্রত্যেকদিন সকালে মেরি যখন টাটকা সাজ পােশাক পরে আসে, তাকে ভারী সুন্দর দেখায়, কুলদীপের ইচ্ছে করে খাট থেকে লাফিয়ে নেমে গিয়ে তাকে আদর করতে। মেরির দেহের গড়ন চমৎকার, সাধারণ মেয়েদের তুলনায় সে বেশ লম্বা, কুলদীপ লম্বা মেয়েদেরই পছন্দ করে, মেরির কোমরটা সরু, নিটোল দুই বুক। কখনাে মেরি ঝুঁকে দাঁড়ালে তার স্তনের রেখা দেখা যায়, সেদিকে কয়েক মুহূর্ত লােভীর মতন তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে নেয় কুলদীপ্ত মনে মনে সে যে কতবার মেরিকে চুমু খেয়েছে, তা যদি মেরি জানত। কেন এমন হয় ? শরীর অক্ষম, অথচ শারীরিক মিলনের জন্য তীব্র টান। কুলদীপ যুবক হয়েও যুবক নয়। এর যন্ত্রণা অন্য কেউ বুঝবে না।……..

…….চাদরটা সামান্য সরে গেছে। নীনা প্রায় স্বচ্ছ একটি সাদা পােশাক পরে আছে। নিঃশ্বাসে দুলছে ওর সুমেরু চূড়ার মতন দুই স্তন। কুলদীপ বুঝতে পারছে যে তারও হাত, চোখ, কান গরম হয়ে উঠছে, নীনার শরীরের তাপ আসছে তার শরীরে ।……

……..কুলদীপ হাতটা সরিয়ে নিতেই নীললাে, আমাকে আর একটু আদর করাে। তােমার ছোঁয়া এত ভালাে লাগছ। কুলদীপ চাদরটা টেনে দিল নীনার গলা পর্যন্ত। সে নীনার বুক দেখতে চায় । যদি নিজেকে সামলাতে না পারে। সে নীনার মুখে শুধু হাত বুলিয়ে আদর করতে লাগলাে ।…..

…..এবার নীনাও ধমকের সুরে বললাে, তুমি বারবার এই কথা বলল কেন, কুলদীপ ? পেনিস আর ক্লিটোরিসের যুদ্ধ ছাড়া বুঝি ভালােবাসার ফুলফিলমেন্ট হয় না? আমি তা মনে করি না। আমার মতে ভালােবাসার সম্পর্ক অনেক গভীর।…..

 

Leave a Reply