অনুবাদঃ প্রবীর ঘােষ
…..লেলিটাকে আমি পাগলের মতাে ভালবাসি। লােলিটাই আমার জীবনের। কামনা, বাসনা। আমার জীবন, আমার মৃত্যু। আমি ন্যায়-অন্যায় জানি না পাপ-পুণ্য জানি না। শুধু জানি লেলিটাকে, লো-লি টা। শুধু মাত্র লো। লম্বায় চার ফুট দশ ইঞ্চি, বাদামী চুল, তন্বী প্রাণবন্ত দেহ, দুটি শিশু স্তন, পরনে আঁটো স্ন্যাকস, সে লােলো। স্কুলে ভলি আর ডলােরস। কিন্তু আমার কাছে ও সবসময়ই লােলিটা।……
…….তারপর হঠাৎ এল সেই উন্মুক্ত, নির্লজ্জ ভালবাসা, দু’টি মন এক হওয়ার সেই মর্মান্তিক যাতনা। একান্তভাবে পাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠলাে দুটি মন। ওদেরই বাগানে সন্ধ্যার পর এক ছন্নছাড়া অভিসারের বন্দোবস্ত হলাে। দু’জনে যখন মুখোমুখি। ভােম সমস্ত জড়তা এসে ভিড় জমাল। মিলন বাসনায় দু’টি মন, দু’টি দেহ কম্পিত দুর্বল। ভীরু সংকোচে এনাবেলের হাত ছুলাম। ওর হাতও সংকোচে অসার, মড় থর-থর। ওর চোখের দিকে গভীর বাসনা নিয়ে তাকালাম, তাকালাম ওর। লোনা-ঠোঁটের দিকে তৃষ্ণার্ত কাতর দৃষ্টিতে। বড় অসহায় মনে হলো নিজেদের। কোন বাধা নেই, কেউ নেই, আমরাই আমাদের কাছে বাধা হয়ে রইলাম, পারলাম। উষ্ণ আদরে নিজেদের ভাসিয়ে দিতে। নীল সমুদ্রের ঠাণ্ডা হাওয়াও সেদিন। আমাদের অসম্পূর্ণ স্পর্শের ব্যর্থতাকে শান্ত করতে পারেনি।……..
…..এরপর আরও একদিন আমরা অভিসারে গেলাম সমুদ্রতীরের নির্জন বালুতটে। বড় লাল পাথরের আড়ালে নির্জনতাকে খুঁজে নিলাম দু’জনে। তারপর দুটো হৃদয় বেপরােয়া হয়ে উঠলো। অনুভব করলাম নিবিড় উত্তপ্ত সান্নিধ্য। আদরে আদরে ভাসিয়ে দিলাম ওকে। ভেসে গেলাম আমি। ওর মসৃণ মধু-রঙা উরু দু’টির উপর সবেমাত্র বসেছি পরম পাওয়ার উদ্যোগে, এমন সময় দুটি দাড়িওয়ালা অনার্থীর আবির্ভাব ঘটলো, চোখ-চেনা এক প্রবীণ আর তার ভাই। বিস্মিত চোখে তাকাল ওরা। কানে এলাে ওদের অকথ্য খিস্তি। এ্যানাবেল ল্যাংটো হয়ে শুয়েছিল, ল্যাংটো আমিও। আমি উঠে পড়ে তাড়াতাড়ি শর্টটি (হাফ-প্যান্ট পরতে। লাগলাম। তড়িঘড়ি উঠে দাড়িয়ে এ্যানাবেল ও প্যান্টি পরতে লাগলো। ওকে। আমি আড়াল করবার চেষ্টা করলাম, ওরা যেন আমার প্রিয়ার নগ্নতা না দেখতে পায়।…….
……শেষ পর্যন্ত বিয়ে করলাম ভেলেরিয়াকে—এক পােলিশ ডাক্তারের মেয়ে। | নতুন বাড়িতে নতুন স্ত্রী আর অনেক স্বপ্ন নিয়ে উঠলাম। আবিষ্কার করতে দেরি। হল না এই সুন্দর দেহ, বৃহদাকার স্তনসর্বস্ব, মাখন মাখন স্ত্রীলােকটি একটি নির্বোধ। নিরেট জীব।…….
……খাবার ঘর পেরিয়ে বাইরে এলাম। সবুজের বন্যা ভেসে এল যেন, আর নিতান্তই অতর্কিতে নীল সমুদ্রের ঢেউ যেন বুকের মধ্যে আছড়ে পড়লো। রােদের মধ্যে মাদুর বিছানাে, চোখে কালো চশমা, গায়ে নিতান্তই তুচ্ছ আবরণ, হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে বসে আছে আমার চিরবাঞ্ছিত প্রিয়া, আমারই দিকে তাকিয়ে।
একে তো আমি চিনি, এ তাে আমার সেই প্রথম প্রেমিকা, আমার অন্তরাত্মা বলে উঠলাে এই তাে আমার সব। সেই এক ছােট মেয়ে পরী, তন্বী দেহ, মধুর মত গায়ের রঙ, কৃশ বাহু, বাদামী বব-করা রেশমের মতাে চুল। একটা সস্তা রুমাল গলা থেকে ঝুলছে বুকের ওপর, আমার জান্তব-দৃষ্টি থেকে আড়াল করে রেখেছে ওর শিশু-স্তন, কিন্তু আমার মন থেকে নয়। মনে পড়লাে কৈশােরের সেই স্মরণীয় দিন-যেদিন প্রথম ভালবেসেছিলাম, স্পর্শ করেছিলাম। সেই স্মৃতি তােলপাড় করে ফিরে এল সারা রক্তে, সেই ভালবাসার মর্মান্তিক যাতনা, সেই ভীরু সংকোচ, সেই থর থর কাপুনি।……..
……..কয়েকদিন থেকেই দরজার খিল দিচ্ছি না, ভেজানো থাকছে। আজও তাই। আমি লিখছিলাম। বিনা আমন্ত্রণে ঘরে আসবার সংকোচ লুকোবার জন্য অনেক পা ঘষাঘষি, নাড়াচাড়া আর শব্দ করলে লােলিটা। আমি মনে মনে হাসলাম। শেষ পর্যন্ত ঘরে এলাে লাে। ডেসকের উপর ঝুকলো সে, কি লিখছি দেখবে। লিখছি। আমার তৃষিত হৃদয় আর রাক্ষুসে ক্ষুধার কথা। নিকট আত্মীয়ের মত ওকে হাত বাড়িয়ে কাছে টানলাম। আমার হাঁটুর ওপর ওর শরীরের ভার রেখে কাগজটা পড়ার চেষ্টা করল। এক সময় দেখি, লাে ধীরে ধীরে আমার কোলে বসে পড়েছে। ওর নমনীয় উষ্ণ নিতম্বের অর্ধেক ডুবে রয়েছে আমার কোলে। ওর রমণীয় মুখের একট। পাশ, ফাক করা ঠোট আর চুল আমার মুখ থেকে মাত্র ইঞ্চি তিনেক দূরে। খসখসে জামার নিচে ওর দেহের উষ্ণতা অনুভব করছিলাম। একটু একটু করে করে ও পুরাে নিতম্বটা ডুবিয়ে দিল আমার কোলে। এই মহর্তে বঝে নিলাম ওর গলায়, ঠোটের এক পাশে চুমাে দিতে পারি বিনা বাধায় । জানি ও বাধা দেবে না, বরং চোখ বক। “ম ফেলবে হলিউড কায়দায়। ওর নিশ্বাসের ঈষৎ পরিবর্তন ঘটলাে, লাে আমার লেখা দেখছিলাে না, পরম কিছুর জন্যে অপেক্ষা করছিলাে কৌতুহল আর ধৈর্য নিয়ে। বর্তমান যুগের কিশোরী, সিনেমা পত্রিকার একনি পাঠিকা, স্বপ্নসঞ্চারী ক্লোজ-আপ অভিজ্ঞতা হয়তাে খুব একটা বিস্মিত হবে না—যদি সুদর্শন, কোন বয়স্ক পুরুষ বন্ধ — অনেক দেরি করে ফেলেছি, হঠাৎ পরিচারিকা লুই’র গলার শব্দে বাড়টা কেঁপে উঠলাে।……
……-নোংরা ছবি। বলে বইটা পিছন দিকে ছুড়ে মারলাম। বইটা নেবার ভান করে পরমুহূর্তেই লোলি। পড়লাে আমার গায়ের ওপরে। ওর কজিটা ধরে ফেললাম। উড়ন্ত মুরগির মত ম্যগাজিন ছিটকে পড়লো মাটিতে। মুচডে হাত ছাড়িয়ে নিলো, চিৎ হয়ে পড়লো সোফার লাগোয়া ছােট লিখবার টেবিলের ওপর পা দু’টি ছড়িয়ে দিল আমার কোলের দু’দিকে। সম্পূর্ণ নিরীহ বালিকাটির মত। পডে বইলো লেখার টেবিলে মাথা ও পিঠ দিয়ে আমার কোলে পা ছড়িয়ে।
উত্তেজনায় উন্মাদ হয়ে উঠলাম। চোখের সামনে ভেসে উঠলাে সমুদ্রতীরে নির্জন বালতটে পাথরের আড়ালে মসৃণ উরুর উত্তপ্ত সান্নিধ্য। সোফার উপর বসেই সত সঙ্গে চেষ্টা করলাম ওর ছলনাহীন শরীরের সঙ্গে আমার গোপন বাসনার সমন্বয় ঘটাতে। চালাকীর কাজটা সম্পূর্ণ করার জন্য কিছু কসরতের সাহায্য নিতে হচ্ছিলাে। লােকে অন্যমনস্ক রাখতে কথার ঝড় বইয়ে দিয়েছি। কিন্তু উত্তেজনায় এত ঘন ঘন নিশ্বাস পড়ছে, যে হাঁপিয়ে উঠছি। তবু আমার সমস্ত অন্তরাত্মা প্রিয় মিলনের আকাঙ্ক্ষায় পাগল হয়ে উঠেছে। আমার মনের চোখ দু’টি রয়েছে সেই সােনালী লক্ষ্যের দিকে। যােগাযােগটা ঘটাবার চেষ্টা করলাম । এই যাদুকরী সংযােগের কাছে আমার পাজামা, ওর স্কার্ট ও প্যান্টির পাতলা কাপড় নিতান্তই তুচ্ছ। | একট। চলতি, অর্থহীন গানের কথা আবৃত্তি করে চলেছি গুনগুন করে ; শরীরের। সঙ্গে সুরের মায়া। সুখের অতলে তলিয়ে যেতে যেতেও মনের মধ্যে অনুভব করছি সীমাহীন আশংকা, ঈশ্বর যদি বাধা দেন, সরিয়ে নেন এই আনন্দ মুহূর্তকে? এই। আশংকাই আমাকে প্রয়ােজনাতিরিক্ত তৎপর করে তুললো। আমার তৎপরতায় আঘাতে আঘাতে ওর উরুসন্ধি বার বার কেঁপে উঠছে। লাে’র পা দু’টি মােচড় দিয়ে উঠলো প্রচণ্ড উত্তেজনায়। আমি হাত বােলাতে লাগলাম ওর নির্লোম উরুতে। লােলিটা আমার পায়ের সঙ্গে পা ঘষতে লাগলো। ও থাকুক, এমনি ভাবে পড়ে থাকুক। আমার লাে, আমার প্রেমিকা আমার প্রিয়াকে দেহ-মন সবকিছু দিয়ে অনুভব করছি, আস্বাদন করছি।…….
…….সব বাধা চুরমার করে লোলিটার উপর ভেঙ্গে পড়লাম। চুমায় চুমায় পাগল করে তুললাম ওকে। আমার হাত দু’টিও লেলিটার প্রতিটি দেহ-সম্পদ আবিষ্কারের। নেশায় মেতে উঠলো। লোলিটা অামায় পরিপূর্ণ ভাবে গ্রহণ করেছে। আমার সঙ্গে। মত্ততায় মেতে উঠেছে ও।
পাশের ঘরে ফোন বাজছিল, যেন বহু যুগ ধরে বেজেই চলেছে। লােলিটা উঠে। দাড়ালো, মুখে রক্তাভা, এলােমেলাে চুল, ফোন ধরতে গেল ও। ওর মা কথা বলছে।..
……স্বামী হিসেবে সালটের প্রতি সব কর্তব্য আমি অবশ্যই। করে যাব, ঠকাবে না, কিন্তু প্রেমিকা হিসেবে ওকে আমার মনে স্থান দিতে পারবে। সার্লটের সঙ্গে সহবাসের সময় ওর কিশােরী কন্যার স্মৃতি জাগিয়ে তুলতাম। সার্লটের সুগঠিত স্তন, সুন্দর দু’টি বাদামী বোঁটা, সুঠাম উরু, উচ্ছসিত সন্ধি, সবেই অনুভব করতাম লােলিটার গন্ধ। লােলিটাকে নিয়ে যে সার্লট ভাবে, তা মনে হয়।……
…….ও নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। স্বাস্থ্যের উষ্ণতা বেড়েছে। বেড়েছে যৌন ক্ষিদে । প্রতিদিনই সহবাস চাইবে, তবে তা পরলােকগত স্বামীর কায়দায়। ওর ধারণা মিঃ হেসের কায়দায় মৈথুন করলে আমি বেশি আরাম পাব। ব্যাপারটা আমার কাছে দস্তুর মতো বিরক্তিকর।……
……..আধ ঘণ্টা ঘােরাঘুরি করে ফিরে এলাম। দরজা খুললাম। দরজা বন্ধ করলাম। স্নানের ঘরের দরজা খােলা, আলো জ্বলছিল। বিছানার মাঝখানে আমার দিকে পিছন ফিরে শুয়ে আছে লেলিটা, আমার প্রিয়া, আমার লল। পরনে পাতলা নাইট গাউন। গাউন উঠে ওর মাখনের মতাে উরু দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে মধুমাখা বাদামী দেহ, গাঢ় বাদামী স্তনের বোটা। দু’টো বালিশই নিয়েছে। সে। পাগলের মতাে ক্ষিপ্রবেগে পােশাক বদলালাম, পা-জামা পরলাম। খাটের উপর হাটু রেখেছি, লােলিটা মাথা ঘুরিয়ে তাকাল আমার দিকে।….
…….লাে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার কানে মুখ রাখলাে ; বজ্রের মতো বাজতে লাগলাে। ওর ফিসফিসানি, আমায় না পেয়ে হাতেই করলে না কি ? হেসে উঠলো লোলিটা।।
আর আস্তে উন্মুক্ত স্বপ্নের পৃথিবীতে ফিরে এলাম অামি যে খানে জীবনের কোনাে কিছুই অসম্ভব নয়।
—বলছে কি? বুঝতে পারছি না তো! নেশাখােরের মত বিড়বিড় করে বললাম।
—নেকু। তার মানে তুমি বলতে চাও তুমি এসব কিছুই বােঝ না, তুমি কোন। দিন? বিরক্তিতে বিকৃত হয়ে উঠল লােলিটার মুখ ।।
-তুমি কোনাে দিন—লােলিটা আবার এগিয়ে এলো আমার গায়ের উপর। ওর ছােট ছােট নরম দুটি স্তনেরই গভীর স্পর্শ আমার বুকে। অস্বস্তি লাগছে, বিরক্তিও। ওকে ঠেলে সরিয়ে দিলাম। লােলিটা যেন ক্ষেপে উঠল।
ছাড় ওসব, বুঝলে? ছোট বয়সে কোনােদিন কিছু করনি? —কোনােদিন নয়। সত্যি কথাই বললাম। লােলিটা আবার আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাে।বেশ, তোমায় দেখিয়ে দিচ্ছি কেমন করে শুরু করতে হয়।
লােলিটা আমায় চেপে ধরেছে। আমি এক প্রাণহীন যন্ত্রের হতে শুয়ে আছি। লােলিটা আমায় নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ওর হাত আমার পাজামার দড়িতে। সবে। তারুণ্যের ছোয়া লাগা লোলিটা, যার স্কুলের পড়াশুনার রিপোর্ট খুব ভাল, যে চৌধস। টেনিস খেলোয়াড়, যে বছর বারাে-তেরোতেই বত্রিশ-তেত্রিশের বুদ্ধির গভীরতা রাখে, যে এত স্নিগ্ধ এত মিষ্টি, এত সুন্দর এত স্বপ্নময় চোখের অধিকারী, সে কি করে এমন প্রগলভ এমন উদাম, এমন অগ্নীল হয়ে উঠতে পারে ? ওর চরিত্রের বৈপরীত্যতা।
আমায় অবাক করে। আমি, সাহিত্য নিয়ে আমার কারবার, মন নিয়ে আমার চিন্তা; বুঝতে পারি লােলিটার অহংবােধ ওকে বিভ্রান্ত করছে। লােলিটা আমা। ভালবাসে, নিজেকে প্রস্তুতও করছিল আমার জীবনের ঘাটতি পূরণ করতে, আমায় ভালবাসায় ভরিয়ে দিতে ; কিন্তু এই মুহূর্তে বিশেষ পরিবেশ ওকে দিয়ে যে অশ্লীল কথা বলিয়ে নিয়েছে তার থেকে ও পিছু হটতে চায় না। ওর অহংকারই ওকে ক্ষায়। হতে দিচ্ছে না। আমি দাতে দাত চেপে চরম নির্বোধের ভান করে পড়ে রইলামঅন্ততঃ যতক্ষণ সহ্য করতে পারি।
সঙ্গমের তৃপ্তিতে ভরপুর মন নিয়ে আমরা সকালের খাওয়া সেরে আবার উপুর হলাম বিছানায়। লোলিটা শােনালো ওর ক্যাম্প জীবনের যৌন অভিজ্ঞতার গল্প। এলিজাবেথের সঙ্গেই সমকামীতার গল্প। গল্প শুনতে শুনতে, আদর করতে করতে, ঘন ঘন চুমুর ফাকে নগ্ন করে ফেলেছি লােলিটাকে। আমার হাত আর ঠোট দুটোই। কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাজামার তলায় ওটাও বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। লােলিটা পাজামার দড়িটা খুলে ওটাকে আদর করতে করতে শশানাল তের বছরের একটি জোয়ান ছেলে চালি হােমসের সঙ্গে ওর সহবাসের গল্প। চার্লি হােমসের নৌকোয় চেপে ও আর ক্যাম্পের বান্ধবী বারবারা যেত সঁতারে। কোন ঝোপের কাছে নৌকো রেখে চালি আর বারবরা সঙ্গম করতাে। লােলিটা নৌকোয় বসে চারিদিকে। নজর রাখতাে। লােলিটার সঙ্গে সঙ্গম করতে চাইতাে চালি। প্রথম প্রথম আপতি করলেও শেষ পর্যন্ত সাড়া না দিয়ে পারেনি। চালি চালাক-চতুর ছেলে, সবসময় পকেটে গর্ভ নিরােধক জিনিসপত্র থাকে। সুতরাং যত খুশী নির্ভয়ে মজা লােট । দুই বান্ধবীতে প্রতিদিনই চালিকে দিয়ে চুটিয়ে মজা উপভোগ করেছে। ভাবুন। মাইরি? কি মেয়ে? মা ভাবতাে মেয়ে আমার শিশু, শুধু বড়ই বেয়াড়া মেজাজের। এই যা। এদিকে যে মেয়ে ! ভেবে লাভ নেই। হাদা আমিও কম নই। মনস্তত্ত্ব ও সাহিত্য নিয়ে আমার কারবার হলেও আমার ছােট্ট পরী-বন্ধুর কাছে হার মেনেছি। আমার সঙ্গে নিখুঁত প্রেম করেও কি করে যে আর এক ছােকরাকে সবকিছু দিয়ে। বসে রইলো। নারী চরিত্র বােঝা এই জন্যেই বুঝি ভগবানেরও অসাধ্য। সব জেনে সব শুনেও আমার কোনাে রাগ ও ঈর্ষা হচ্ছে না। আমি তবু ভালবাসি। গভীর ভাবে ভালবাসি লােলিটাকে, আমার প্রিয় বন্ধু লাে-কে।……
…..গল্পের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও যে কথন আবার সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে পড়েছিলাম খেয়াল নেই। খেয়াল হলো যখন, তখন বেলা দশটা। করিডােরে শব্দ হচ্ছে। হােটেলের।
লােকেরা কাজকর্ম করছে। লােলিটাকে বললাম, অনেক বেলা হয়েছে, ঝটপট সুনি সেরে তৈরি হও। আমরা বেরুবো। লোলিটা আমার বাহু বন্ধন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে দাড়ালো। দু-পা ফাক করে পাছায় হাত দিয়ে দাড়িয়ে। রইলাে সম্পূর্ণ নগ্ন পরীর মতো। বিছানা ছেড়ে নেমে এসে ওর সামনে হাটু গেড়ে। বসে দু’হাতের বেষ্টনিতে ওর নগ্ন পাছা জড়িয়ে ধরে উ -সন্ধিতে বার কয়েক নাক। ঘষে পরম আদরে একটি চুমু খেলাম, তারপর উঠে দাড়িয়ে ওর পাছায় একটি চড় কষিয়ে পাঠালাম বাথরুমে।
কখনাে লােলিটার রেশম চুল নিয়ে দু’হাতে খেলা করি, কখনাে চুলের মধ্যে গুজে দেই আমার মুখ আমার নাক আমার মনকে। মিষ্টি গন্ধ। আমি স্বর্গে ভেসে যাই।
কখনাে লােলিটাকে আদর করে কাছে টেনে নেই, ওর চোখের পাতায়, গালে, ঠোটে নরম ছােট ছােট দু’টি বুকে চুমুর পর চুমু একে যাই। উত্তাপ ছড়ায় লােলিটার মধ্যে। ও আমায় আঁকড়ে ধরে। ওর জিভের নােনতা স্বাদ পাই আমার জিভে। আমার। স্বর্গে গনগনে লাল আগুন জ্বলে ওঠে আমার বলিষ্ঠ হাত প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর নিতম্ভে, ওর নরম স্তনে, ওর উরুসন্ধিতে।…….
…….বাড়িতে ঢুকেই লােলিটা ভিজে সােয়েটার খুলে ফেললাে গা থেকে। ভিজে । জামায় প্রকট স্তন, স্তন বৃন্ত। দু’হাতে চুলে ঝাঁকুনি দিল। জল ছিটলো। তিরতির করে কেঁপে উঠলো নরম নরম দুটি বুক। আমি অবেশে অবশ। লােলিটা দু’হাত বাড়িয়ে আমায় জড়িয়ে ধরলাে, বললো, আমাকে কোলে করে নিয়ে যাবে ওপরে। প্লীজ ! আজ রাতে কেমন যেন রােমান্টিক মনে হচ্ছে নিজেকে। রােমান্স আমারও প্রতিটি রক্ত কণিকায় ছড়িয়ে পড়েছে। পরম যত্নে পরম আদরে। ওকে দু’হাতে পাঁজাকোলে করে তুলে নিয়ে একটি একটি করে সিড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে লাগলাম। আমার বা বুকে—হৃদয়ে, লোলিটার নরম স্তন, আমার ডান হাতে লােলিটার সদ্য স্নাত মসৃণ উরু। আমি চলেছি একটি একটি করে সিড়ি পার হয়ে। অনন্তকাল ধরে।…..
….-কি হােলাে যাচ্ছো কোথায় ? লােলিটা কাছে এসে দাড়ালাে। ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম ঘরের মধ্যে। দরজাটা বন্ধ করে দিলাম। আমার লাে আমার প্রিয়া অন্য কারাের সঙ্গে? আমি পাগল হয়ে যাব। এ আমি হতে দেব না। আমার মাথার মধ্যে দপদপ করছে। উন্মাদের মতাে টান মেরে ছিড়ে ফেললাম ওর পাতলা সার্ট, ছিড়ে ফেললাম ওর স্ন্যাক। উন্মাদের মতাে হাতড়ে বেড়াতে লাগলাম ওর শরীর, উরু সন্ধি, স্তন, ঠোট যদি কোন ব্যভিচারের ছায়া পড়ে থাকে সেখানে। কিন্তু বৃথাই এই অন্বেষণ। স্থির সিদ্ধান্তে পৌছবার মতাে কিছুই পেলাম , কিন্তু যা পেলাম, তা অস্পষ্ট হলেও একেবারেই পাগলের কল্পনা বলে মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারলাম না। আমি ভেঙে যাচ্ছি, সহ্য করতে পারছি না। সন্দেহ আমার। অসহ্য। লােলিটা স্বৈরিণী, আমি ভাবতে পারছি না। অসহ্য কষ্টে ভেঙ্গে পড়লাম লােলিটারই বুকে। নরম নগ্ন দুটি স্তনের মাঝে মুখ গুজে দিয়ে শান্তির আশায় ছটফট করছে আমার মন, আমার সমস্ত চেতনা।……
….সেই মুহূর্তে একটা জিনিস আবিষ্কার করলাম, আমি সম্পূর্ণ উলঙ্গ। দরজাটা বন্ধ করে আবার শুয়ে পড়লাম লোলিটার পাশে। লােকটা কিম্ভুতকিমাকার গােয়েন্দা হবে বুঝি। ঘুমন্ত লেলিটার ঠোটে ছােট্ট করে একটি চুমু দিলাম মনের সব ভালবাসা উজাড় করে। লােলিটা, আমার প্রিয়া, আমার ছােট্ট বন্ধু লােলিটা! ওর গালে হাত বােলালাম, তারপর হাতটা ওর স্তনে রেখে বুকের স্পন্দন অনুভব করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লাম।….
…..কপালে, নাকের ডগায়, চোখের পাতায় আর ঠোটে একে দিলাম। অনেক অনেক চুমু । উষ্ণ, উগ্র নিশ্বাস পড়ছে লাে’র। পা থেকে মাথা পর্যন্ত কাপছে ওর। জামা আর অন্তর্বাস ভিজে গেছে। পালটে দিলাম। আর পালটাতে গিয়েই ওর বাদামী-গােলাপী শরীর আমায় পাগল করে তুললাে। উদ্দাম আবেগে শেষ হয়ে যাচ্ছি আমি। প্রচণ্ড সংযমে পাগলামােকে সংযত করলাম শুধু স্তনবৃন্তে একটি চুমু খেয়ে। রতিকর্মের সব আশা ত্যাগ করে ওকে তুলে নিয়ে গেলাম গাড়িতে।..
…..ডিক মুখ খুলল বটে, তবে কথা বলার জন্য নয় বীয়ার পাওয়ার জন্য। সত্যি, ভেড়ার মত শান্ত। বীয়ারের গ্লাসটা শক্ত করে ধরে আছে হাতের মুঠোয়। আঙুলের নখ কালো আর ভাঙা। ওই হাতের মুঠোয় নিয়েছে, অসম্ভব নরম, অসম্ভব সুন্দর স্তন।……