পৃ-১০-১১ঃ
…..আলাে জ্বেলে দেখলুম সুন্দর একটি ছবি। মালতী ঘুমিয়ে আছে, শাড়িটা উঠে গিয়ে নিটোল একটি পা দেখা যাচ্ছে হাঁটু থেকে পাতা পর্যন্ত, আঁচল সরে গিয়ে একটি স্তন সম্পূর্ণ বেরিয়ে পড়েছে—সম্পূর্ণ গােল, নধর, উর্ধ্বমূখ। একটি শ্যামবরণী ভেনাস-বতিচেলির সদ্যতরুণী নয়, বরং টিসিয়ানাের কোন ছাত্রের আঁকা পঙ্কযুবতী, সারা ঘুমন্ত শরীরের মধ্যে ঐ অনাবৃত স্তন যেন চোখ মেলে তাকিয়ে আছে, রূপের চেতনা ও স্পর্ধা নিয়ে, লােকেদের অভিনন্দন নেবার জন্য। চুপচুপে ভেজা শিটোনা শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে আমার বেশ লাগছিল যেন চোখ দিয়েই কিছুটা তাপ কুড়িয়ে নিচ্ছিলাম ঐ ঘুমিয়ে-থাকা শরীর থেকে কিন্তু মনে হলাে হঠাৎ জেগে উঠলে হয়তাে লজ্জা পাবে, তাই কাছে গিয়ে ওর গা-না-ছুঁয়ে, আস্তে নামিয়ে দিলাম গােড়ালি পর্যন্ত শাড়িটা, স্তনটিকে ঢেকে দিলাম আঁচল দিয়ে। দেখলাম ওর চাদরটা নানা জায়গায় কুঁচকানাে, ও ঘুমিয়ে আছে একটি বালিশে মাথা রেখে, অন্যটা মধ্যিখানে গর্ত নিয়ে পাশে পড়ে আছে। তারপর চোখে পড়লাে আমার খাটের উপর ওর ব্লাউজ আর ব্রা–যেন তাড়াতাড়ি আন্দাজে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিলো।
ভেজা কাপড় ছাড়তে বাথরুমে এসে আমার হঠাৎ মনে হলাে আমি অনেকদিন পর উজ্জ্বল আলােয় মালতীর শরীর দেখলাম, মনে হলাে আগের চেয়েও সুন্দর হয়েছে তার শরীর না কি লােভনীয়? না কি সুন্দর? না কি দু-ই? টান চামড়া, ভরপুর মাংস, চিকণ মেদ, যৌবনের মধ্যাহ্ন বলা যায়, এর পরেই হেলবে, হয় রােগা হয়ে যাবে নয় তাে মােটা, হয় চামড়া ঢিলে হবে নয় তাে চর্বি জমে-জমে আকার-আকৃতি কিছু থাকবে না,……..কিন্তু আপাতত ওর শরীরের আকর্ষণ আমাকে মানতেই হলাে, যে-শরীর, শাড়ি-জামার খাপছাড়ানো অবস্থায় পরিষ্কার আলােয়, অনেকদিন পর, এক্ষুনি আমি দৈবাৎ দেখতে পেলুম। সেই একটি স্তন আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলাে আবার, কোথাও একটু ভাজ পড়েনি, বোটা ঘিরে কালাে মণ্ডলটির রং একটু গাঢ় হয়েছে বােধ হয় (ওর বুকের দুধ ছিলাে প্রচুর, বুমিকে ও দু-মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাইয়েছিলাে), তালের মতাে কালাের তলায় ঈষৎ গােলাপি তাকিয়ে আছে, যেন শিশুর মতাে, কোনাে চিরসুখী নিস্পাপ চোখের মত, যেন বলছে, “এই আমি, আর কিছু জানি না।’…. কেন ……আমি ঐ মাংসপিণ্ড মুচড়ে দিয়ে জাগিয়ে দিতে পারতাম ওকে, ওর নরম গলাটাকে দু-আঙুলে চেপে ধরে খুলে দিতে পারতাম ঘুমােননা চোখ, ওকে জাপটে ধরে গড়াতে পারতাম আমাদেব ছফুট চওড়া মেঝেতে।……….
পৃ-১৩ঃ
………. ‘ওটা কা বই পড়ছে?’ ব’লে মাঝে-মাঝে যখন নিচু হয় তখন ঢিলে শেমিজর মধ্য থেকে ঠেলে ওঠে তাদের যৌবনের প্রমাণ, ……মাঝে-মাঝে দু-বােন একসঙ্গে; এমনি হতে-হ’তে আমি একদিন গয়নার শেমিজের উপর হাত রাখলুম, সে হাতটা তুলে নিয়ে শেমিজের মধ্যে সেঁধিয়ে দিল। তারপর এই খেলা ছুটকির সঙ্গেও খেলতে হলাে আমাকে, মাঝে-মাঝে দু-বােনের সঙ্গে একই সময়ে। ……..
পৃ-১৫ঃ
……….যে-কোনাে একটা মেয়ে সামনে থেমে পড়লাম। সে আমার গালে হাত বুলিয়ে বললাে, ‘একেবারে কচি ছেলে দেখছি। তা এসাে ভাই এসাে!’ খানিকটা দুর্গন্ধ আর আবর্জনা পেরিয়ে তার ধারে এলুম-একতলার ঘর, একটি মাত্র জানলা, খাটে বিছানা, মেঝেতে ফরাশ, দেয়ালে ছবিতে তিনটি মােটাসােটা যুবতীর শাড়ি উড়ে যাচ্ছে-আমি বেশ বয়স্কভাব ধারণ করে মেয়েটাকে পাশে নিয়ে তাকিয়া ঠেস দিয়ে বসলুম, কিন্তু ভেবে পেলুম না এখন আমার কী বলা উচিত বা করা উচিত, কানের মধ্যে পিপি আওয়াজ হতে লাগলাে। বােধহয় আমাকে উৎসাহ দেবার জন্যই মেয়েটি ডিবে থেকে পান বের করে বললে, ‘খাবে আমি বিজ্ঞের মতে বললুম—কথা বলতে গিয়ে বড্ড মােটা শোনালাে আমার গলা—কী মসলা দিয়েছাে তােমার পানে?’ কী মসলা দিয়েছি পানে?’ মেয়েটা হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে, তার শাড়িটাকে দু-হাতে ধ’রে বুক পর্যন্ত তুলে ফেললে, কোমর দুলিয়ে বলে, এই মসলা! আর মুহুর্তে আমার সর্ব শরীর হিম হয়ে গেলাে, বরফের মতাে ঠাণ্ডা। তারপর দেখলুম মেয়েটা শুয়ে পড়েছে হাঁটু উঁচু করে, শুনলুম একটা ভাঙা গলার আওয়াজ –‘কী হলাে? ব’সে আছে কেন?’ কিন্তু আমি কিছুতেই আর জন্ত্রটাকে খুজে পাচ্ছি না। সে কুকড়ে গা ঢাকা দিয়েছে গর্তের মধ্যে, আমি তাকে যতই বলছি, বেরিয়ে আয়! বেরিয়ে আয়, জোচ্চোর।’ ততই সে গুটিয়ে যাচ্ছে পােকার মতাে। ………
পৃ-১৭ঃ
……বৃষ্টির শব্দ আমি একবার চুমু খেলাম তাকে, ঠিক চুমু নয় শুধু ঠোটের উপর ঠোঁট ট্রোলাম একবাব, পালকের মতাে হালকা, একবার হাত রাখলাম তার স্তনের উপর-পাখির মতো নরম আর উষ্ণ আর জীবন্ত মনে হলাে আমার হাতে তলাতেই তার হৃৎপিণ্ড ঢিপঢিপ করছে………..
পৃ-২০ঃ
………সেটাই নারীত্ব, সেটাই রূপ, সেটাই সম্মান। কী করুণ চেষ্টা আমার ফুটে ওঠা বুকের রেখা ঢাকতে কী লজ্জা তা নিয়ে, ঘুমােবার আগে নিজেকে মুড়ে রাখি আঁচলের এনডেলপে, ভিতরে একটা লাখ টাকা দামের চিঠি আছে তা জানি বলেই। ….মাঝে মাঝে আয়নায় দেখতুম নিজেকে-যেদিন ছুটি, তাড়া নেই—আমার সৃর্যি-চাদের উদীয়মান সৌন্দর্য, আমার রোগা, নগ্ন, ভয়-পাওয়া, উল্লসিত শরীর, আমার প্রথম বর্ষার কদমফুল, আমার সরু কাধ, ডিমের মতাে তলপেট। আমি কোমল হাতে আদর করি তাদের, মনে-মনে বলি তােরা ভালাে, তােরা আমার, তােরা আর একজনেরও। সবুর কর।’ ……….