সংগ্রহঃ অপু চৌধুরী
হিমযুগ
– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
শরীরের যুদ্ধ থেকে বহুদূর চলে গিয়ে ফিরে আসি শরীরের কাছে
কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে-
শিশিরে ধুয়েছো বুক, কোমল জ্যোঃস্নার মতো যোনি
মধুকূপী ঘাসের মতন রোম, কিছুটা খয়েরি
কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে-
আমার নিশ্বাস পড়ে দ্রুত, বড়ো ঘাম হয়, মুখে আসে স’তি
কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে।
নয় ক্রুদ্ধ যুদ্ধ, ঠোঁটে রক্ত, জঙ্ঘার উত্থান, নয় ভালোবাসা
ভালোবাসা চলে যায় একমাস সতোরো দিন পরে
অথবা বৎসর কাটে, যুগ, তবু সভ্যতা রয়েছে আজও তেমনি বর্বর
তুমি হও নদীর গর্ভের মতো, গভীরতা, ঠান্ডা, দেবদূতী
কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে।
মৃত শহরের পাশে জেগে উঠে দেখি আমার প্লেগ, পরমাণু কিছু নয়,
স্বপ্ন অপছন্দ হলে পুনরায় দেখাবার নিয়ম হয়েছে
মানুষ গিয়েছে মরে, মানুষ রয়েছে আজও বেঁচে
ভুল স্বপ্নে, শিশিরে ধুয়েছো বুক, কোমল জ্যোৎস্নার মতো যোনী
তুমি কথা দিয়েছিলে…..
এবার তোমার কাছে হয়েছি নিঃশেষে নতজানু
কথা রাখো! নয় রক্তে অশ্বখুর, স্তনে দাঁত, বাঘের আঁচড় কিংবা
ঊরুর শীৎকার
মোহমুগ্ধরের মতো পাছা আর দুলিও না, তুমি হৃদয় ও শরীরে ভাষ্য
নও, বেশ্যা নও, তুমি শেষবার
পৃথিবীর মুক্তি চেয়েছিলে, মুক্তি, হিমযুগ, কথা দিয়েছিলে তুমি
উদাসীন সঙ্গম শেখাবে।।
কাব্যগ্রন্থঃ- আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি
সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে
-হুমায়ুন আজাদ
……আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সবচে সুন্দর মেয়ে দুইহাতে টেনে সারারাত
চুষবে নষ্টের লিঙ্গ; লম্পটের অশ্লীল উরুতে
গাঁথা থাকবে অপার্থিব সৌন্দর্যের দেবী। চ’লে যাবে,
কিশোরীরা চ’লে যাবে, আমাদের তীব্র প্রেমিকারা
ওষ্ঠ আর আলিঙ্গন ঘৃণা ক’রে চ’লে যাবে, নষ্টদের
উপপত্নী হবে। এই সব গ্রন্থ শ্লোক মুদ্রাযন্ত্র
শিশির বেহালা ধান রাজনীতি দোয়েলের স্বর
গদ্য পদ্য আমার সমস্ত ছাত্রী মার্ক্স-লেনিন,
আর বাঙলার বনের মত আমার শ্যামল কন্যা-
রাহুগ্রস্থ সভ্যতার অবশিষ্ট সামান্য আলোক
আমি জানি তারা সব নষ্টদের অধিকারে যাবে।
স্তন
-খালেদ মতিন
আমি কবি, শিল্পী তাই
অতি প্রাচীন বিলাসের মত
আদি অনাদি অকৃত্রিম
অগাধ স্তনযুগলের
বন্দনা করি তোমার
নারীর সুপুষ্ট স্তন বিলাসেই
কবির কবিতা
কোণারক, মোহন শিল্প অজন্তার
রুবেন্স আর পিকাশোর
ললিত আঁকা ছবি
ল্যাগেজ ভ্যানে নরম তুলোর মত
বেফাঁস লাফিয়ে আসা যুগলচঞ্চু
উন্মুখ স্তনেই জন্ম নেয় মহান শিল্প
কাব্যের ললিত সাপখেলা
নারীর সুপুষ্ট স্তনবিলাসেই
রক্তবীর্য
স্নায়ুঘাত
লৌহপেশী
উদ্দাম পুরুষকার স্তনেই উজ্জীবিত
তোমার স্তন
– জাহিদুল ইসলাম সবুজ
তোমার অল্পবয়েসি স্তনের পরতে পরতে
আমার মৃত্যু।
তোমার স্তনের বোটায় মৃগনাভীর সুগন্ধের পসরা।
তোমার স্তনের দুলুনিতে
ধরণী কেপে ওঠে থেকে থেকে।
স্তনযুগল তোমার খোলা আদিম থাকার সময়,
আমি নেশায় পাগল হয়ে যাই।
সেই সুখ
– আবুল হাসান
সেই সুখ মাছের ভিতরে ছিল,
সেই সুখ মাংসের ভিতরে ছিল,
রাতের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যেতো ছেলেবেলা
সেই সুখ চাঁদের ভিতরে ছিল,
সেই সুখ নারীর ভিতরে ছিল !
নারী কোন রমণীকে বলে ?
যার চোখ মুখ স্তন ফুটেছে সেই রমণী কি নারী ?
সেই সুখ নারীর ভিতরে ছিল,
যখন আমরা খুব গলাগলি শুয়ে
অনু অপলাদের স্তন শরীর মুখ উরু থেকে
অকস্মাৎ ঝিনুকের মতো যোনি,
অর্থাৎ নারীকে আমরা যখোন খুঁজেছি
হরিণের মতো হুররে দাঁত দিয়ে ছিঁড়েছি তাদের নখ, অন্ধকারে
সেই সুখ নারীর ভিতরে ছিল।
যখন আমরা শীতে গলাবন্ধে পশমী চাদর জড়িয়েছি
কিশোরীর কামরাঙা কেড়ে নিয়ে দাঁত বসিয়েছি
সেই সুখ পশমী চাদরে ছিল, কামরাঙা কিশোরীতে ছিল !
রঙীন বুদ্বুদ মাছ, তাজা মাংস, সুপেয় মশলার ঘ্রাণ;
চিংড়ি মাছের ঝোল যখোন খেতাম শীতল পাটিতে বসে
সেই সুখ শীতল পাটিতে ছিল।
প্রথম যে কার ঠোঁটে চুমু খাই মনে নেই
প্রথম কোনদিন আমি স্নান করি মনে নেই
কবে কাঁচা আম নুন লঙ্কা দিয়ে খেতে খেতে
দাঁত টক হয়েছিল মনে নেই
মনে নেই কবে যৌবনের প্রথম মিথুন আমি ঘটিয়েছিলাম
মনে নেই…
যা কিছু আমার মনে নেই তাই হলো সুখ !
আহ ! সে সুখ…
ভ্রমণযাত্রা
– আবুল হাসান
…….আমি উপজাতি কুমারীর করুণ নশ্বর নম্র স্তনের অপার আঘ্রাণে
প্রাচীন অনাধুনিক হয়ে গিয়েছিলাম শিশুর মতো!
আমি ভুলে গিয়েছিলাম পৃথিবীতে তিন চতুর্থাংশ লোক এখনো ক্ষুধার্ত!
আমি ভুলে গিয়েছিলাম রাজনীতি একটি কালো হরিণের নাম!
আমি ভুলে গিয়েছিলাম সব কুমারীর কৌমার্য থাকে না, যেমন
সব করাতকলের কাছে কাঠমিস্ত্রির বাড়ি, সব বনভূমিতে
বিদ্যুৎবেগবতী বাঘিনী!……….
আমার আত্মার সেই সুন্দরের আর্শিটি
– আবুল হাসান
……আমি জানি তোমার স্তনেরও পরিমাণ আর্শির নিকটে জমা আছে!
তোমার অশ্রুর তুমি কতটুকু, তোমার দুঃখের তুমি কতটুকু, তাও তার জানা!
আর গতকাল তুমি সজল শাসনে কেন কোমল ও-দুটি চোখ
বেঁধে নিজ শরীরের একাকিত্ব দেখতে চেয়েছিলে, কেন তুমি
রোদ্দুরে রোয়াকে বসে কাত হয়ে সূর্যাস্তের পতন দেখেছিলে
তাও আর্শি জেনে গেছে আমার আত্মার তলে সেই সুন্দরের আর্শিটি!…..
হরিণ
– আবুল হাসান
‘তুমি পর্বতের পাশে বসে আছ :
তোমাকে পর্বত থেকে আরো যেন উঁচু মনে হয়,
তুমি মেঘে উড়ে যাও, তোমাকে উড়িয়ে
দ্রুত বাতাস বইতে থাকে লোকালয়ে,
তুমি স্তনের কাছে কোমল হরিণ পোষো,
সে-হরিণ একটি হৃদয়।’
কিশোর ঘোষের কিছু কবিতার অংশঃ
১.
….চকলেট কিনে-দি, কান্নামোছা রুমাল বুনে দিই ওকে
মুচকি হেসে
পই-পই করে বলেছি, রাস্তা পার হওয়ার সময়
দু’পাশের মেঘ দেখে নেবে
তাছাড়া লোডশেডিঙের তো মা-বাপ নেই
মাথার পাশে চাঁদও রাখা চাই মনে করে
তবু ঘুম না এলে, নিজের বাঁ হাতকে
অন্যের ভেবে সুড়সুড়ি দিও
এতেও কাজ না হলে ঘুমের ওষুধের স্তন খামছে ধরো
এক গ্লাস জলের সঙ্গে
গিলে ফ্যালো নিজেকে….
২.
….আজকাল ব্রা’র দোকানে ব্রা পাওয়া যায় না, সেখানে বিভিন্ন রঙ ও সাইজের স্তন ঝুলে থাকে। মেসার্স মায়া হোসিয়ারি থেকে নীল দাম দিয়ে মেয়েরা তাদের অন্তর্বাসের মেধায় সুবিধাজনক বুক খুঁজে নিতে আসে।
এদিকে আষাঢ় পড়ে গেল মেঘে-
বজ্রবিদ্যুত্সহ বছরের প্রথম বীর্যপাত হল
গতকাল রাতে….
…..ভোরকে ভেঙিয়ে এক মোরগ ডেকে উঠল
পৃথিবীর প্রতিটি পাড়ার গৃহস্থ-বেশ্যালয় এবার
ছিমছাম শোবার ঘর হয়ে যাবে
রোদ উঠবে যত
গতকালও কি চাঁদের কলঙ্ক ছিল
কালো আকাশের চরিত্রে কোথাও?
ধর্ষিত জ্যোত্স্নাযোনির কষরক্ত ও কুয়াশা ভেজা
কন্ডোম পড়ে আছে বাড়ির পেছনে, ধূসর নর্দমায়
আর ডাস্টবিনে কাক, কুকুরের সঙ্গে
বেজন্মা শিশুর ছদ্মবেশে তোমাকে খুঁজছে জীবন
এরপর খাঁ খাঁ নির্জন দুপুর পেরিয়ে, মায়াবী
বিকেলের বুক চিরে ফ্যাকাশে সন্ধে-আকাশ
অপলক চেয়ে থাকা নক্ষত্রমণ্ডল.
দেখছে, প্রতিটি মুখোশের ভিতরে বন্দি একটি বিষাদ-মানুষ
প্রতিটি বিষাদ-মানুষের বুকের ভিতরে একজন অসহায় ঈশ্বর
নরকের যাবত্জীবনে কারাদণ্ডিত!…..
কবিতা সিংহের কবিতার অংশঃ
………“হরিণী না জানে ঘর কোথা রে হরিণ?
একতারা হয়ে যায় তার ছিঁড়ে বীণ
শিখা খায় লক লক
আগুনে আহুতি হোক
চোখ নাক স্তন ত্বক মাংসের ঋণ
বৈরী অপনা মাসে হরিণা অচিন।
কিংবা
শমীবৃক্ষে শস্ত্র খুলে রাখো
খুলে রাখো রমণী ধরম্
কিম্পুরুষের সঙ্গে ঘটে যায় পৃথিবীর
সমস্ত অফলা সঙ্গম।”……
মিতুল দত্তের কবিতার অংশঃ
…….যেভাবে বুক দুটোকে বেঁধে রাখিস
মনে হয় ওরা তোর মেয়ে
একটুখানি ঢিলে দিলে বেয়াড়া অসভ্য হয়ে
ডেকে আনবে পাড়ার ছেলেদের
স্নানের সময় যেই খুলে দিস
হুটোপাটি করে ওরা স্নান করে
কেউ কাউকে একটু কষ্ট না দিয়ে
যে যার মতো একা (দুর্বার জন্য কবিতা)……..
কবি আমারু-র কবিতার অংশ
…….পদ্মলোচনা কন্যা
পথের দুধারে বিছায়ে চোখ
তোমার অপেক্ষায়
বাড়ির ফটকে ঠেকায়ে রাখে
স্তনযুগল
যেন পুতপবিত্র রন্ধনপাত্র।
রামানুজনের অনুবাদে প্রাচীন তামিল কবিতা
মাটির পৃথিবীর চেয়েও বিশাল
আকাশের চেয়েও উঁচু
সমুদ্রের জলের চেয়েও গভীর
তার জন্য আমার প্রেম
যার বাস পাহাড়ি উপত্যকায়
যেখানে মধুকর
কুচকুচে কালো বৃন্তলযুক্ত কুরিঞ্চি ফুল
চুষে সাজায় ঘন মিষ্টি মধু।……
যোনি আর জরায়ু
– সুলেখা শামুক – জলের চোখে জল
পুরুষ কবে দেখেছে
নারীর কী?
নারী মানে সেবাদাসী,
নারী মানে ঝি!
নারীর কবে মন ছিলো
ছিলো কবে আত্মা,
বাবা,স্বামী,ছেলে কখন
কে দিয়েছে পাত্তা?
খাবে-দাবে কাজ করবে
একই ঘরের বৃত্তে,
সেলাই,ফোঁড়াই,গল্প,গুজব
এইতো সুখ চিত্তে।
নারী মানেই একটা দেহ
কিছু নরম অঙ্গ,
মোমের মতো গলে পড়া
পুরুষ চাইলে সঙ্গ।
নারী মানে ফুল ফোটানো
দোল খাওয়া এক বায়ু,
নারী মানেই নিঃসন্দেহে
যোনি আর জরায়ু।
যোনি-কাহিনি
-আমীর খান
এক যোনিতে জন্মকষ্ট এক যোনিতে সুখ
এক যোনিতে লন্ডভন্ড এক যোনিতে দুখ।
এক যোনিতে বেশ্যা নারী এক যোনিতে স্ত্রী
এক যোনিতে গর্ভধারী এক যোনিতে শ্রী।
এক যোনিতে লোলুপ-নজর অসুস্থ সব পরুষ
এক যোনিতে যত্ন-আদর স্বামীর মত মানুষ।
এক যোনিতে আসিয়া বানু অত্যাচারীর দল
এক যোনিতেই নতজানু পুরুষ শক্তি বল।
এক যোনিতে বিশ্ববাসী ধর্মে আছে লিখা,
তবে কেন এ সর্বনাশী নারীর ভাগ্য-রিখা?
যোনি রক্ষা-জীবন রক্ষা, নারীকুলের অঙ্গ
যোনি লোভী শয়তানেরা কবির চোখে ব্যঙ্গ!
অন্ধকার জঙ্গলে…
-হিজল জোবায়ের
ঐ অন্ধকার জঙ্গলে সোনা খুঁজতে গিয়ে আমি তোমাকে পেয়েছি চাঁদ; আমার ভরা-কলস প্রবল তৃষ্ণায় মুখ গুঁজে ছিলে— শব্দহীন ঝরছিল পাতা বায়ুতন্তুর ভেতরে— আমি ফিরতে পারি নি, মুখে বাসিগন্ধ, চোখে ঘুম, বুকে তৃষ্ণা নিয়ে থেকে গেছি; আমি আর লোকালয়ে ফিরি নি তোমার সোনার লোভে— জঙ্গলে হারানো রাখাল হয়ে এ গাছ ও গাছ ঘুরে ঘুরে তোমাকেই কেন্দ্র করেছি
আমার ছোট্ট ঘর, ক্ষীর ও সন্দেশ; আমার বাচ্চা বউ, নতমুখ, নদীর অলঙ্কারে সজ্জিত ঢেউ ভেঙ্গে ভেঙ্গে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে, আমাকে খুঁজছে তার স্বপ্নের ভেতর— অন্ধকারে জুলজুল চেয়ে আছে তার খোলা স্তন, ডাকছে আমাকে ক্ষীর ও সন্দেশ— তার দেহের ভেতর আরও এক দেহ, জাইগোট পাকিয়ে ওঠে, ফুলের পাঁপড়ির মতন লজ্জাস্থান ফেটে বেরিয়ে আসতে চায়…………
বলি না কাউকে, ভালোবাসতে
-হ্যারল্ড নর্স
অনুবাদ: শিমুল সালাহ্উদ্দিন
মূল কবিতা: I Would not Recommend Love
চি-চীল চিৎকারে, ভীড়ে, তীব্র ব্যথার মাথা
কিন্তু আমি হাসতে হাসতে পেরোচ্ছি রাস্তাটা
সাবওয়েতে উঁকি দিয়ে দেখতে পেলাম হঠাৎ
হাত মারতে স্কুল ফেরত এক বাচ্চাছেলে কাৎ
খুব গোপনে লিখলাম আমি ‘বয়ঃসন্ধি নরক’
কারণ, আমিতো ঠিক এমন ছিলাম না
আমার মতোন আমিই প্রথম এবং শেষজনা
লুকিয়ে আমি ফেলতাম আমার তীব্র সংবেদনও
সাঁতার কাটার স্বচ্ছ জলে আর তালকুঠুরি বক্ষে
ভালোবাসতাম আর খুব করে চাইতাম
ফোলাফোলা ঠোঁট আর ফুলফোলানো যোনি
পাগল ছিলাম সুডৌল পাছার জন্যি
যেমন পাগল ছিলেন হুইটম্যান ও লোরকা
কাতুলাস ও মারলো
এবং মিকেলাঞ্জেলো
এবং সক্রেটিস
তারাই তো সব শংসা করেছিলেন
(মোদের মাথায় এসব ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন)
এবং আমি লিখলাম, ‘বন্ধুরা
যদি বাঁচতে চাও, কখনো ভালোবেসোনা
এজন্যই,
ভালোবাসতে আমি কখনো বলবো না।
কবিতার কাজ
-হ্যারল্ড নর্স
অনুবাদ: শিমুল সালাহ্উদ্দিন
মূল কবিতা:Business of Poetry
কবিতার কাজ হলো সেই তরুণের ছবিটি আঁকা,
যে গাইতে জানে আর, জানে ভালোবাসতে
সেই বালিকাকে, যার প্রচণ্ড আগ্রহ কামে আর সঙ্গীতে,
যা আবার কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় তাদের দুজনের
আলাদা হৃদয়ের ভয়াল একাকীত্বের সাথে, সেই হতাশাও এমন,
তা যেনো ঠিক সেই অপহৃত, আশারোদে বিছিয়ে থাকা গীটারের কান্নাসুর,
যে সুরে হিংস্র বন্য মানুষেরা জীবন ছিঁড়ে ছিঁড়ে নিচ্ছে
এক সুপ্রাচীন হলুদ বইয়ের পৃষ্ঠা থেকে
কবিতা সমগ্র : উচ্চারণ
সৈয়দ আলী আহসান
……প্রেমের ইচ্ছাগুলো
রাত্রির গান হয়ে
অন্ধকারের সেতু হয়েছিল
এবং তোমার উজ্জ্বল ঊরুতে
আমার স্পর্শ কেঁপেছিল।….
হ্যারল্ড নর্সের কবিতাদুটি আমার অনুবাদ করা। নাম উল্লেখ করাটা উচিত ছিলো।
আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। আমি জানতাম না। আপনার নাম অনুবাদক হিসেবে দেয়া হল।
আমার এমন ধরনের কবিতা আরো দরকার।