যুবক যুবতীরা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

পৃ-৪ঃ

…….নিচু হয়ে যখন ইজিচেয়ারের হাতলে গেলাসটা রাখলাে, আমি ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ব্লাউজের নিচটা শাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে, শোবার সময় সব মেয়েই এরকম বের করে দেয়, নিচের বােতাম খােলা, ওর পেটের কাছে একটা ফর্সা ত্রিকোণ আমার চোখে পড়লাে। এবং যে হাত দিয়ে ও গেলার্সটা রাখলাে, সেই হাতের নিচে ভিজে দাগ। শীতকালেও অনেক মেয়ের বগল ঘামে ভিজে থাকে এবং সাধারণত তারা কিরকমের মেয়ে, আমি জানি। আপনি ঘুমােবেন না? গায়ত্রী জিজ্ঞেস করে।………

পৃ-৯-১০ঃ

………গায়ত্রীর সঙ্গে মিনিট দশেক কি কি বিষয়ে যেন কথা বললাম। তারপর ও উঠে বললাে, “দাঁড়ান, চায়ের জল চাপিয়ে আসি। খাট থেকে নামতেই আমি ওর হাত ধরলাম। খাটের পাশে পা ঝুলিয়ে আমি বসেছিলাম ওকে হাত ধরে পাশে নিয়ে এলাম। ও বললাে, “দেখেছেন, আমি কতটা লম্বা, প্রায় আপনার সমান।……

…….আমি ওর বুকে মুখটা গুজে দিলাম। গায়ত্রী বললাে, একি একি। কিন্তু সরে গেল না। আমি দুই হাতে ওর কোমর শক্ত করে জড়িয়ে ওর দুই বুকের মাঝখানের সমতলভূমিতে গরম নিঃশ্বাস ফেলতে লাগলাম, একটু একটু করে বুঝতে পারলাম, ওর বুকে তাপ আসছে, ওর শরীর আকন্দ ফুলের আঠার মতাে আমার চোখে মুখে লেগে যাচ্ছে, ও সরে দাঁড়াচ্ছে না। আমি মনে মনে কাতর অনুরােধ করলাম, গায়ত্রী সরে যাও,—……

…….খাটের উপর জায়গা হচ্ছিল না বলে আমি লাথি মেরে পাশবালিশটা ফেলে দিলাম মাটিতে। গায়ত্রী সারা শরীর দিয়ে হাসছে। একবার বললাে, ও, আপনার মনে এই ছিল।  …….

………সৌন্দর্য বুঝি নাকে-চোখে থাকে? সৌন্দর্য তাে এই জায়গায়। আমি হাত দিয়ে ওর সৌন্দর্যস্থানগুলি দেখিয়ে দিলুম ও চুমু খেলাম। ও বললাে, আপনি একটি আস্ত রাক্ষস। আঃ, সত্যি লাগছে, দাগ হয়ে যাবে যে!…….আমি প্রথম ওর ব্লাউজ খুলে স্তনের কুঁড়িতে আলতাে করে ঠোঁট ছুইয়ে বলেছিলাম, কী সুন্দর তােমার বুক! তাতেই ও খুশী চোখে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু আমি তাে বলিনি, কী সুন্দর তুমি! আমি ওর সম্পূর্ণ বসন সরিয়ে বলেছিলুম, কী সুন্দর তােমার উরু, বলিনি, কী সুন্দর তুমি সে কথাও শুনতে ও চায় নি। অর্থাৎ ভালােবাসা কথাটা শুনতে চায়নি। মাত্র তিন দিনের চেনা এর মধ্যে আবার ভালােবাসা! ধুৎ!………

পৃ-৩৭ঃ

…….তাপস সােজা আমার কাছে চলে এলাে কি করে ওর এরকম দৃঢ়বিশ্বাস হয়েছিল জানিনা। আমার মুখটাকে জোর করে ধরে ঠিক আমার ঠোটের নিচে ও কানের পাশে যেখানে সাদা দাগ, দীর্ঘ চুমু খেলাে। আমার চোখে কান্না এসেছিল, আমি দুহাতে ওকে ঠেলে দিতে গেলুম। কারুর মুখে কোনাে কথা নেই। ও আমার ব্লাউজ, শাড়ি, শায়া সব খুলে ফেললাে। আমি আর বাধা দিইনি। তাপস আমাকে বিছানায় শুইয়ে ফেলে একদৃষ্টে চেয়ে রইলাে। আমি ক্লিষ্ট গলায় বললুম, ‘তুই কি এখনাে কোনাে মেয়ের শরীর দেখিসনি?…..

পৃ-৪৯ঃ

……….রঘুনন্দনের বৌ এর হৃদয় নেই। ও যখন বাসন মাজে উঠোনে বসে, ওর সম্পূর্ণ বুক আলগা থাকে। ঘুরতে ফিরতে আমার চোখে পড়ে, ওর কোনাে ইশ নেই। বুকের নীচে যে-স্ত্রীলােকের হৃদয় থাকে, সে কখনও অপর পুরুষের সামনে অবহেলা ভরে নিজের বুক খুলে রাখে না। স্ত্রীলােকের হৃদয় গােপন রাখার জন্যই বুক গােপন রাখতে হয়। আসলে ও নিজের বুকের ঐ দুই যোড়ার কোনাে মানে জানে না। ভাবে বুঝি কাচ্চা-বাচ্চার জন্য দু’খানা দুধ জমাবার ঘটি। গায়ত্রীরও একটা খারাপ অভ্যেস আছে, রাত্রে শােবার আগে বডিস পরে দুই বগলে স্নাে মাখো মুখে, গালে, বুকে মাখতে পারে, কিন্তু বগলে কেন? গােড়ার দিকে খাটে শুয়ে শুয়ে সিগারেট টানতে টানতে ওগুলাে দেখতে আমার খুব লােভীর মত ভালাে লাগতাে, মাঝে মাঝে উঠে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতুম। ………

পৃ-৫৪-৫৫ঃ

……‘আমি সেফটি রেজার দিয়ে কাটতে জানি! তােমার হয়ে গেলে আমাকে দিও, আমার একটু লাগবে।
‘তুমি কী করবে?
‘আমার দরকার আছে।
“ওঃ, আচ্ছা, তােমারটা আমি কেটে দিচ্ছি।
‘না, আমিই পারবাে। ‘হাতের নিচের চুল কাটবে তাে? বাঁ হাতেরটা তুমি পারলেও, ডান হাতের নিচে পারবে কি করে?
খুব পারবাে,বাঁহাত দিয়ে।
‘না, এসােনা লক্ষী, দেখ আমি কি সুন্দর করে দিচ্ছি।

গায়ত্রীকে ধরে এনে দাঁড় করালুম। ও ভিনাস ডি মেলাের ভঙ্গীতে দুই হাত উচু করে দাঁড়ালাে। আমি সাবান মাখিয়ে খুব যত্ন করে সাবধানে ওকে কামিয়ে দিলাম।

‘লাগছে?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।
‘ই, খুব দুষ্টুমি করে গায়ত্রী। 

………তবে আমি গায়ত্রীর বগলের সাবান ধুয়ে না দিয়ে চেটে নিতাম। তার বদলে তােয়ালে দিয়ে মুছে দিয়ে আমি ওর বুকে মুখ গুজলাম।

গায়ত্রী, আমার বিষম ইচ্ছে করে শিল্প মতাে স্তন্যপান করতে। তােমার বুকে দুধ নেই কেন? 

‘বাঃ, তুমি যে বিয়ের পর প্রথম প্রথম বলতে, আমার বুকে অমৃত আছে। আমরা দুজনে হাে হাে করে হেসে উঠলুম। ‘তুমি বুঝি তখন আমার কথা বিশ্বাস করতে না। আমি জিজ্ঞেস করলুম।

‘তুমি বুঝি বিশ্বাস করে বলতে? গায়ত্রী বললাে, ‘ওসব বিয়ের পর কিছুদিন বলতে হয়, শুনতেও ভালােলাগে।’

‘না সত্যিই, বুকের দুধ খেতে আমার বিষম ইচ্ছে করে। ‘আচ্ছা, আমার একটা ছেলে হােক, তখন খেও। কবে তােমার ছেলে হবে? …………

পৃ-৬২ঃ

………একদিন মনে আছে, পুরাে দুঘন্টা ভিজেছিলাম এখানে বসে, ছায়ার সঙ্গে বাসন্তী আর নীলা বলে দুটি মেয়ে এসেছিল প্রচণ্ড বৃষ্টি, সবাই দৌড়ে দৌড়ে পালালাে-আমরা বৃষ্টির মধ্যেই বসে রইলুম, দূরের বারান্দা থেকে সবাই আমাদের দেখতে লাগলাে – ……..মেয়েদুটো হাসছিল খিলখিল করে। ভিজে ব্লাউজ ব্রেসিয়ার ফুড়ে বুকের গােল স্পষ্ট হয়ে উঠলাে ওদের। আমি ওদের অশ্লীল গল্প শােনাতে লাগলাম, ক্রমশঃ আধােশােয়া প্রত্যেকটি মেয়ের বুকে ও পিছনে চারটি বাটির মতাে গােল দেখে উত্তেজিত হয়ে আমি নীলা বলে মেয়েটির পিছনে আস্তে আস্তে পা দিয়ে টোকা মেরেছিলাম……..

পৃ-৭৬ঃ

………অবিনাশবাবু তােমার সারা মুখ ভরিয়ে অবলীলায় তােমার ব্লাউজের মধ্যে দিয়ে পিঠে হাত ঢুকিয়ে দিলেন, সকলের সামনে তােমার জামার মধ্যে পিঠে অবিনাশের হাত ঘুরতে লাগল, কোনাে দ্বিধা নেই। আড়ষ্টতা নেই। ……

Leave a Reply