ময়ূরাক্ষী, তুমি দিলে – হর্ষ দত্ত

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…….এমন একটা আদিম-উল্লাসের ছবি কখনও কি ও চিন্তা করেছে । ছবির জগতে এরকম কোনও রচনা দেখেছিল বলেও মনে পড়ল না সুনীতের ; আকাশের দিকে দুহাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে কোনও যুবতী, সামান্য অবনত স্তনের উপর চাঁদের নরম আলাে ঠিকরে পড়েছে। যুবতীকে ঘিরে আছে তিনটে যুবক—আবরণহীন, উদ্ধত, বর্শার ফলার মতাে সুতীক্ষ্ণ অবয়ব। যুবকদের চোখে-মুখে অন্ধকারের রঙ। কাউকে চেনা যাচ্ছে না। সবাই যুবতীর বুকের উপর থেকে গড়িয়ে পড়া জ্যোৎস্নায় হাত ভেজাতে চাইছে।……..

…….ময়ূরাক্ষী চোখের ইশারায় মা আর বােনকে পাশের ঘরে চলে যেতে বলেছিল । হাত নেড়ে দাঁড়াতে বলেছিল মৌলিনাথকে। বুকের কাপড়টা বাবার সামনেই নিলাজে ঠিক করে নিয়েছিল মণি । মৌলিনাথ চোখ বুজে ফেলেছিলেন। তবু এক পলকেই দেখেছিলেন, মণির পাতলা সাদা কাপড়ের ব্লাউজের তলায় কোনও আবরণী নেই । রাত্রে শােয়ার সময় হয়ত খুলে শুয়েছিল, সকালে উঠে এই সব অভাবনীয় জটিলতার নিষ্ঠুর তাড়নায় পরতে ভুলে গেছে। সােমনাথের মুখের কাছে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ময়ূরাক্ষী বলেছিল, অই সােম্ব, শােন, তাের বয়সী ছেলের পুরুষাঙ্গ আমি এই প্রথম দেখব না বুঝলি ! নে, প্যান্ট খােল । লজ্জা! পুলিশের ভােলাই খেতে লজ্জা করে না !…..

……..ওর হাতে জমে আছে স্বেদবিন্দু। কলকাতায়, কখনও কোনও নির্জনে সুনীত ময়ূরাক্ষীকে একা পায়। ময়ূরাক্ষীর ঠোঁট নিয়ে খেলা করে, ওর স্তনবৃন্তে হাত ছুঁইয়ে রাখে। অত নিবিড়তার মধ্যেও ময়ূরাক্ষী নিঃশেষে সহজ হতে পারে না। সামান্য শক্ত করে রাখে দীর্ঘতনু।

সুনীতকে জড়িয়ে ধরে ময়ূরাক্ষী আবেগকম্পিত গলায় বলেছে, তুমি খুব কষ্ট পাচ্ছে, না !
—কেন একথা বলছাে ? সুনীত নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছিল।
—এই তাে আমি তােমার কাছে এসেছি—একা। হায়াৎ, চয়ন কেউ কোথাও নেই। শুধু তুমি আর আমি। সুনীত—এসাে—
ময়ূরাক্ষীর সমস্ত শরীর তীব্র কামনায় বার বার কেঁপে উঠছিল। গরম নিঃশ্বাস সুনীতের গলায় এসে লেগেছে। | সুনীত আস্তে আস্তে ময়ূরাক্ষীর কমনীয় বাহু দুটোকে আগা করে ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছিল। তারপর ওর বুকের উপরে নিজেকে ফেলে দিয়েছে সবেগে! অশ্রান্ত চুম্বনের ধারাপাতে ভিজে গেছিল ময়ুরাক্ষীর মুখ, বুক, বুকের ভেতরে রাখা আর একটা মুখ। | ময়ূরাক্ষীর বাহুর বন্ধন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। সুনীত পাগলের মতাে ময়ূরাক্ষীর ওষ্ঠাধর শুষে নিয়েছে। তেমনই ময়ুরাক্ষী।
কতক্ষণ এভাবে দুজন দুজনকে পেয়েছিল সুনীত জানে না। সন্ধ্যা গাঢ়তর হয়ে এসেছিল।……….ময়ূরাক্ষী ফিসফিস করে বলেছিল, সুনীত, আমি সাড়া না দিলে উনি উপরে উঠে আসবেন। —আসুন। সুনীত ওর বুকের মধ্যে মুখ গুজে পাগলামি করেছিল। না, সুনীত। ময়ূরাক্ষী জোর করে উঠে পড়ে কাপড় ঠিক করে নিয়েছে ।……..

Leave a Reply