……….মিমি বিব্রস্ত বেশবাসে বাথরুমের দরজায় এসে দাঁড়াল। ফিনফিনে নাইটির আড়াল থেকে ভারী স্তন দুটি ঝুলে রয়েছে। তার সবুজ চোখের দৃষ্টিতে একই সঙ্গে হতাশা আর আতঙ্কের ছাপ ফুটে উঠেছে।……
…..প্রস্তাবটা টনির ভারী মনােমতাে হলাে। তারপর বন্ধ কেবিনের মধ্যে দুজনে দুজনকে অন্তরঙ্গ ভাবে চিনলাে, পরিতৃপ্তির আনন্দে দুজনের মনই পরিপূর্ণ। জাহাজ থেকে নেমে ট্রেনের এক ফাকা প্রথম শ্রেণীর কামরায় দু’জনে পাশাপাশি বসলাে। টনি জানালাে অন্য কোথাও না থেকে গ্যারী যেন তার ফ্ল্যাটেই থাকে। গ্যারী ভাবলাে সেটা মন্দ নয়। সেই থেকে সে টনির কাছেই রয়ে গেছে। …….টনি উপুড় হয়ে বিছানায় শুয়ে। পাতলা নাইটিটা কোমর পর্যন্ত উঠে বে-আব্রু হয়ে পড়েছে, ঘুমােচ্ছে।
…….এগিয়ে এলাে ন্যাটালির দিকে—শক্ত আলিঙ্গনে বেঁধে ফেললাে তাকে। আনন্দে, উত্তেজনায় ন্যাটালি কেঁপে কেঁপে উঠলাে। আচ্ছন্নের মতাে সে অনুভব করলাে, ড্যাজ তাকে নিয়ে শোবার ঘরে ঢুকছে। বিছানায় শরীর এলিয়ে দিয়ে শাস্তি পেলাে। একে একে তার পােশাক খুলে ফেললাে ড্যাজ—তপ্তচুম্বনে ভরিয়ে দিলােঠার নিরাবরণ অঙ্গ। বাধা দিল নান্যাটালি। ড্যাজের হাতে নির্ভয়ে | নিজেকে সমর্পণ করে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হলাে সে।..
……গেঈ একটু আগে আগে হেঁটে চলেছে। তার মাংসল—নিতম্ব ঢেউয়ের মতাে দুলছে হাঁটার ছন্দে। ফেনেল আরাে জোরে পা চালালাে।…
………পুকুরে গিয়ে গেঈ জামা প্যান্ট খুলে ফেললাে। এই নিরালা পরিবেশে নিরাবরণ হয়ে স্নান করার তার প্রবল ইচ্ছা হল। পােশাক পুকুরের পাড়ে রেখে সে জলে ঝাপ দিলাে। কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে ক্লান্ত হয়ে সে চিৎ হয়ে জলে ভেসে রইলাে। আরামে শান্তিতে তার চোখ বুজে এলাে।
হঠাৎ দুটো হনুমান পুকুর পাড় থেকে গেঈ-এর জামা প্যান্ট তুলে নিয়ে অদৃশ্য হলাে।
গেঈ জল থেকে উঠে অবাক হলাে। তার নজর গেলাে পলায়মান হনুমান দুটির ওপর। এখন উপায় ? এদিকে গ্যারী তাবুর ছায়ায় বসে স্যালিকের দেওয়া ম্যাপটার ওপর চোখ বােলাচ্ছিলাে। হঠাৎ সামনে তাকিয়ে তার হাত থেকে ম্যাপটা পড়ে গেলাে। একি স্বপ্ন না সত্যি। গেঈ সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে। গ্যারীর উষ্ণ নিঃশ্বাস পড়লাে গেঈর নিরাবরণ দেহে। গেঈ অসহায়ের মতাে বললাে ‘বাঁদরের কাণ্ডকারখানা দেখ, জামা প্যান্ট সব তুলে নিয়ে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছে। তুমি এনে দাও না প্লিজ!
গ্যারী আর দেরী না করে ছুটলাে পুকুর পাড়ে। গেঈ ধীরে ধীরে তাবুর ভেতর ঢুকলাে। শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হলাে তার। বুকটা হাপরের মতাে ওঠানামা করতে লাগলাে। নীচু হয়ে রুকস্যাক থেকে মার এক প্রস্থ জামা প্যান্ট বের করলাে সে। একমুহূর্ত কি ভাবলাে তারপরে ছুঁড়ে ফেলে দিল সব মাটিতে। | চিৎ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাে। তারপর পা মুড়ে দু’হাতের তালুতে স্তনদুটি ঢেকে অপেক্ষা করতে লাগলাে গ্যারীর জন্যে।
গ্যারীর সম্বন্ধে গেঈর ধারণা এতটুকু অমিল হয়নি। গ্যারীর সঙ্গসুখ বেশ আরামের। গত এক বছর ধরে মনের ওপর বড় ধকল যাচ্ছিল তার। আজ সুখের প্রচণ্ডতায় সব ধুয়ে মুছে গেলাে। কেমন একটা চরম পরিতৃপ্তি, কেমন একটা ঝিম ধরানাে নেশা। এই নেশা ভাঙতে চায়নি গেঈ-জন্মজন্মান্তর গ্যারীর পাশে এমনিভাবে শুয়ে থাকার ইচ্ছা তার মন ভরিয়ে রেখে দিলাে।…….
…….পােশাক খুলে ফেললাে শীঘ্র। বিরাট আয়নার সামনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নিজের নিরাবরণ রূপ দেখতে লাগলাে অনেক সময় ধরে। আয়নার পেছনে এক সঙ্কীর্ণ হুইল চেয়ারে বসে কালেনবার্গ তার প্রতিটি মনােহারী ভঙ্গিমাই হুবহু দেখতে লাগলেন। এক বিশেষ কায়দায় তৈরী আয়নাটি দ্বিমুখী। সামনের দিক থেকে সাধারণ আর পাঁচটা আয়নার মতােই।……..