……বেশ জ্যোছনা আছে। চাঁদ টগবগ করছে মাথার ওপর। যেই পথে নেমেছি, কী একটা দৌড়ে আসছে দেখলাম। পাশ দিয়ে অমানষী চেরা গলায় ক্রীরকম ডাক ডেকে দৌড়ে গেল—উলঙ্গ, মাথায় এলো চুল, জ্যোছনায় স্তনদুটো দুলতেও দেখলাম। ‘আমার গা বাজল। কিন্তু রাগ হল ভীষণ । ধরিত্তিকে চিনতে পেরেছিলাম কি না। অমনি জাল ফেলে তাড়া করলাম ! সে কী দৌড়…..
…..প্রিয়নাথ একটু আগে খেয়া পেরিয়ে যেতে দেখেছে সেই ধরিত্রীর মেয়ে কুসমি বা কুসমকে ৷ এখন সেই চেহারা দেখতে পায় । আঁটো, নিটোল গড়ন, একটু হাল্কাও বটে, ছিপছিপে আর মাজাভারি। উজ্জল শ্যামবর্ণ । টানা চোখদুটো—ঠিকই, বলেছে গগন, কী যেন অমানষিক দৃষ্টির আলোয় ঈষৎ ধুসর, ঈষৎ নীল । ব্রেসিয়ার ছিল কি? প্রিয়নাথের মনে পড়ে না। শধু মনে পড়ে, আশ্চর্য সুন্দর একটি যুবতী সে দেখেছে ৷…..
……আর সম্পুর্ণ চুবচুবে ভিজে শরীরে দাঁড়িয়ে আছে কুসম । খুব পাতলা স্বচ্ছ কাপড় চামড়া বা মাংসের ভাঁজসমেত শরীরকে ঠেলে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে ব্রেসিয়ার বা জামা কিছুই গায়ে নেই ওর। দুটো স্তন লজ্জাশুন্য। ওর দুই উরু অকপট, সন্ধিস্থলে রক্তাক্ত ধূসর হাস ঝুলছে ; যার ফলে প্রিয়নাথের মনে হয় কিছুটা আব্রু রক্ষা পেয়েছে ।…..
…..প্লেট দুটো রাখবার সময় তার হাতকাটা ব্লাউজের অনেকটা পাশ থেকে দেখতে পায় প্রিয়নাথ । সে চোখ ফেরাতে পারে না। বিজয়েন্দ, বলে নিন, খাওয়া যাক,স্বাধীন চমৎকার পায়েস করে ।
প্রিয়নাথ আনমনে প্লেট তুলে নিয়ে খায়। স্বাধীনকে ভর্তি সন্দরী তো মনে হয়নি আগের—আগের বার। দিনে দেখেছিল বলে ? রাত্রি একটা মায়া আনে নিঃসন্দেহে ।…..
……কুসম এগিয়ে এসে খুব কাছে মখোমখি দাঁড়ায় । ডান হাতটা ম্যাজিশিয়ানের মতো তোলে । তারপর তর্জনীটা চাঁদের ওপর দিয়ে এনে তার ভুরুর মধ্যে রাখতেই প্রিয়নাথ তার শ্বাস-প্রশ্বাসের গন্ধ পায় । মহূর্তে সে দিশাহারা হয়ে তাকে বুকে চেপে ধরে। কুসম ব্রেসিয়ার পরেনি, টের পায় তার কঠিন দুটি স্তন অনভব করতে করতে সে তীব্র আবেগে ওর মুখের দিকে মুখ নিয়ে যায় ৷ কুসম এত জোরে তার নীচের ঠোঁটটা কামড়ে ধরে যে অস্ফুট আর্তনাদ করে ছেড়ে দেয় প্রিয়নাথ । কুসম সরে যায় না।….
….পাটবনে যেমন দেখেছিল, সেই রকম ভিজে শরীর কসমের ! স্তন দুটো ঠেলে বেরিয়ে আসছে, কাঁপছে, দুলছে। কাপড় কাচের মতো স্বচ্ছ এবং শ্বাসপ্রশ্বাস ফেলছে কসম ।….