ভাষান্তর : ওয়াহিদ রেজা
সাগর সঙ্গমে
…..হঠাৎ এমিলিয়া আমার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে মৃদুকণ্ঠে বললাে, ‘এ্যাই, একটা চুমু খাও না।’
আমি তার এই কামার্ত আহ্বানে উত্তেজিত হয়ে তাকে চুমু খেলাম। এমিলিয়া তার জামা ও ব্রা খুলে জাপটে ধরল আমাকে। তার নগ্ন পেট আমার পেটে লেগে রইল। ধুলাে মাখা মেঝে, জানালার নিচে শুরু হলাে আমাদের যৌনতা। বুঝতে পারছি, একটি নিরাপদ আশ্রয় স্থাপনের খুশিতে হঠাই কামাবেগের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে তার মধ্যে। মনের সুপ্ত বাসনা ফাঁকা ঘরগুলাের রঙ ও চুন বালির গন্ধে আরাে রােমাঞ্চিত হয়ে উঠেছিল। পুলকে হাওয়া বইছিল মনের মণিকোঠায়। আগের সােহাগ প্রেমে তার দেহমনে এমন উত্তেজনা জাগানাে কখনাে সম্ভব হয়নি।…..
…..তাকিয়ে আছি এমিলিয়ার দিকে। ভেবে পাচ্ছি না-কি করবাে। পাতলা ফিনে নাইটির ভেতর দিয়ে তার দেহের ভাঁজ, স্তনের স্পষ্ট গঠন দেখা যাচ্ছে । হঠাৎ আমার মনে হলাে, এমিলিয়া যেহেতু আমাকে আর ভালােবাসে না সেহেতু তার সঙ্গে দৈহিক মিলন সম্ভব নয়। প্রেম তাে কেবল মানসিক কোনাে ব্যাপার নয়, অনবদ্য আর স্বাভাবিক দৈহিক মিলনও বটে।….
…..মনে মনে যা ভেবেছিলাম অবশেষে তাই হলাে। দু’জনে ঘরের মাঝখানে চলে এলো। বাতিস্তা এমিলিয়ার মুখের কাছে মুখ আনলেন। ঘাড় নাড়লেন। আরাে কাছে টেনে নিলেন তাকে। তারপর চুমু না খেয়ে একটানে এমিলিয়ার গায়ের জামাটি ছিড়ে ফেললেন। এমিলিয়ার নগ্ন কাঁধে বাতিস্তার মাথাটি নেমে এলাে। এমিলিয়া স্থির, সে যেন শেষ পর্বের প্রত্যাশায় প্রহর গুণছে। হঠাৎ জানালার দিকে দৃষ্টি পড়ল তার। এবং আমাকে দেখতে পেয়েই অবজ্ঞাসূচক একটা ভঙ্গি করে এক হাতে জামা চেপে ধরে দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে গেল ঘর থেকে।…..
…..কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি, এমিলিয়া ধুম ন্যাংটো হয়ে শুয়ে আছে।
প্রথমে আমি তাকে চিনতে পারি নি। তারপর যখন দৃষ্টি পড়ল নুড়ির ওপর ছড়ানাে দু’হাতের ওপর, তখন দেখলাম এক হাতের আঙুলে একটি সােনার আংটি। সেটা কিছুদিন আগে পরিণয় সূত্রে আমার কাছ থেকেই পেয়েছে এমিলিয়া। ভারি সুন্দর আর কামার্ত দেখাচ্ছে তার নগ্ন দেহটি। হঠাৎ মনে কামনার উদয় হলাে। দৈহিক মিলনের একটা তীব্র আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠল শিরায় শিরায়। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে, এমিলিয়ার ওপর। সে তাে রাজি হবে না।
‘এমিলিয়া!’ আমি তার পেছনে থেকে ডেকে উঠলাম।
সে চমকে উঠে পেছনে তাকিয়েই হাত বাড়াল জামা নিতে। বললাম, ‘ভয় নেই এমিলিয়া, আমি রিকার্ডো প্রায় মিনিট পাঁচেক ধরে তােমায় দেখছিলাম, মনে হচ্ছে আজ প্রথম দেখছি।’……
ফুলের বয়স
…..ডেসি: না, একটা সরু প্যাসেজ পার হয়ে যেতে হয় সে ঘরে। প্যাসেজে তখন আলাে জ্বলছিল, তাই ভাওলার ঘরের আলােটা যে দরজার ফাঁক দিয়ে বাইরে পড়েছিল সেটা আমি দেখতে পাই নি। আমি সােজা গিয়ে তার ঘরের দরজা খুললাম আর দেখলাম তারা যে তিনজন সিনেমায় গিয়েছে বলে জানতাম, সে তিনজনই রয়েছে সেখানে। কিন্তু দরজা খুলে যা দেখলাম তাতে আর ফিরে আসার কথা মনেই থাকল না আমার। কৌতূহল বশে ভালাে করে দেখার জন্যে সেখানে কাঠের পুতুলের মতাে দাঁড়িয়ে রইলাম।
আমি: কী দেখলে?
ডেসি: দেখলাম ঘরের চওড়া বিছানায় হাত আর হাঁটুতে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে সম্পূর্ণ নগ্নাবস্থায় বসে আছে ভাওলা। তার মাথাটা নিচু করে বালিশে ঠেকানাে। মাথার কাছে রয়েছে চেন্দাল। সেও সম্পূর্ণ উলঙ্গ। তার একটা হাত পাছায়, অন্য হাতটা বিছানার ওপর। ভাওলার পেছনে উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। টিবেরি। তার হাত দুটো আর পেটটা ভাওলার পাছায় ঠেকানাে।
আমি: তাদের ওই অবস্থায় দেখে তুমি কী ভাবলে?
ডেসি: কিছুই ভাবি নি। ব্যাপারটা তখন আমার কাছে একেবারেই নতুন এবং মজার। একটা অদ্ভুত ধারণা আমার মনে বদ্ধমূল হয়েছিল, যেন এরকম কিছু আমি অন্য কোথাও দেখেছি।
আমি; আগেই দেখেছ?
ডেসি: হ্যা। কয়েক বছর আগে ভাওলা আর টিবেরি গিয়েছিল জাপানে বেড়াতে। তাদের সাথে আমিও গিয়েছিলাম। সেখানে সে হাতে আঁকা কয়েকটা মৈথুন মূর্তির ছবি কেনে। ছবিগুলাে একটা অ্যালবামে রেখেছিল ভাওলা। আসলে সে কামকলায় তৃপ্তি পাবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতাে। ছবিগুলো নাকি সেসব আসন ও ভঙ্গিমার। যে ডয়ারে ভাওলা ফ্রিজের চাবি রাখতাে সে ড্রয়ারেই থাকতো অ্যালবামটা। আমি তাে প্রায়ই ফ্রিজ খুলতে যেতাম, তাই ছবিগুলাে খুটিয়ে খুটিয় দেখতে আমার কোনাে অসুবিধা হয় নি, বিশেষ করে ভাওলার অনুপস্থিতিতে। চেন্দাল, ভাওলা ও টিবেরিকে ওই অবস্থায় দেখে আমার ওই জাপানি ছবি মনে পড়ে গেল।
আমি: কেন, অমন কোনাে ভঙ্গিমার ছবি দেখেছিলে নাকি?
ডেসি; না, ওই ছবিগুলােতে কেবল দু’জন নারী পুরুষের যৌনলীলার ব্যাপারই ছিল, সেখানে তৃতীয় কোনাে ব্যক্তি নেই। মিলটা হচ্ছে তিনজনের মুখের ভাব, তাদের চেহারায় উগ্র লালসার যে ছাপ ফুটে উঠেছিল, ছবির সঙ্গে মিল সেখানে ভাওলা তখনাে হাঁটু গেড়ে পাছা উঁচু করে হাতের ওপর ভর দিয়ে বসে আছে এতে। ক্ষণে ক্ষণে কাঁধের ওপর দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে দেখছিল, কুকুর যেভাবে তাকায়, টিবেরির মুখের ভঙ্গিটা ছিল শক্ত কোনাে কাজ করার মতাে কঠিন।
আমি: কিন্তু টিবেরি তাে পেছনে ফিরে ছিল, তার মুখ তুমি দেখলে কী ভাবে?
ডেসি: বিছানার ঠিক ওপরেই ছিল একটা আয়না, নেই আয়নায় তার মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। জাপানি ছবির মতােই সে মুখ।
আমি: জাপানি?
ডেসি: হ্যা, টিবেরির মুখটা ছিল অনেকটা জাপানিদের মতাে, লােমহীন ভ্র, চোখ দুটো ছােট ছােট, নাকটা ঈষৎ চ্যাপ্টা, নিচের ঠোট পুরু আর মুখাটা কেমন ভাবলেশহীন। ঠিক যেন একজন জাপানি সামুরাই। অবশ্য তার গায়ের রঙ হলদেটে নয় বরং লালচে ফর্সা বলা যেতে পারে।
আমি: তুমি দরজার পাশে দাঁড়িয়েছিলে । তারপর কী ঘটলাে?
ডেসি: টিবেরি হঠাৎ জোরে নিতম্বে একটা ধাক্কা মেরে রাগান্বিত কণ্ঠে বললাে, ‘আমেরিকা তাই। ভাওলার মুখে একটা যন্ত্রণার ছাপ। চোখ দুটো বিস্ফারিত। সে শুধু বললাে, নাও।’ চোন্দল এতােক্ষণ অপেক্ষা করছিল ইঙ্গিত পাবার । তাই ইঙ্গিত পাওয়া মাত্রই সে তার হাতটা ঢুকিয়ে দিল দুই উরুর মাঝখানে। আমি আর সহ্য করতে না পেরে ছুটে বাথরুমে পালালাম।।
আমি: তুমি ছুটে পালালে কেন? কোনাে রকম শব্দ না করে পা টিপে টিপে সরে আসতে পারতে, যাতে কেউ দেখতে না পায়।
ডেসি: লাভ হতাে না, কারণ টিবেরি আমাকে দেখে ফেলেছিল। বিছানার ওপর। যে আয়নাটার কথা বলেছিলাম সেই আয়নায় আমাদের চোখাচোখি হয়েছল। তাহ’ আমার চোখের সামনে কি ঘটছে সে সম্পর্কে কোনাে স্পষ্ট ধারণা ছিল না আমার।……….
……আমি : তােমার প্রেমে?
কেসি ; হ্যা, আমার প্রেমে। অন্য কোনাে ভাবেই ব্যক্ত করা যায় না তার মনােভাব। আমার বয়স তখন পনেরাে। আমাদের মধ্যে মা মেয়ের সম্পর্কও তখন আর নেই। অন্য কোনাে গভর্নেসও নেই । দৈবক্রমে আমিও স্লিম ও সুন্দরী হয়ে উঠেছি তখন, তাই স্বাভাবিক ভাবেই আমাকে দিয়ে গভর্নেসদের যৌনলীলা চালাবার মতলবটা এসেছিল ভওলার মাথায়।
আমি ; ভাওলা তােমার প্রেমে পড়ার সাথে সাথেই তা বুঝতে পেরেছিলে তুমি?
ডেসি ; প্রথমটায় আমি তেমন খেয়াল করি নি। আমার তখন একমাত্র চিন্তা আমাকে বেশ্যা হতেই হবে। প্রচুর টাকা উপার্জন করতে হবে আর মুক্তি পেতে হবে ভাওলার হাত থেকে।
আমি ; তা সত্ত্বেও ভাওলা কি তার মনােভাব প্রকাশ করেছিল আকারে ইঙ্গিতে?
ডেসি ; হঁ্যা, আমাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করেছিল সে।
আমি ; কী দৃষ্টিতে?
ডেসি; যেন সে আমাকে চেনেই না, এমন ভাব দেখাতাে। মাঝে মাঝে ঠাট্টাতামাশাও করতাে সে আমার সঙ্গে।
আমি ; ঠাট্টা তামাশা? কী রকম?
ডেসি; যেমন কোনাে মা তাদের মেয়েদের সঙ্গে করে। তফাৎ শুধু, ভাওলার বেশির ভাগ তামাশাই ছিল যৌন বিষয়ক অর্থাৎ সেক্সচ্যুয়াল। ক্রমশ বেড়েই চললাে সেই ঠাট্টার মাত্র। কখনাে আমাকে আদর করতাে, কখনাে চুমু খেতাে, কখনাে স্তন-জাজা-পাছায় হাত বুলিয়ে আদর করতাে। সেসময় অনেকদিন পর সে আমাকে একটা উপহারও দিয়েছিল। ……
…..ডেসি : আমি তুলনা করেছিলাম আপনাকে বােঝাবার জন্যে যে, কস্টটা এসেছিল বাইরে থেকেই, সেটা দিবাস্বপ্ন নয়। সত্যি কথা বলতে কি সেই কথাই আমাকে আত্মমৈথুনে লিপ্ত হতে বেশি করে প্রভাবিত করেছিল।
আমি : বেশি করে? তার মানে?
জেসি ; আমি আপনাকে আগেই বলেছি, আমি নিয়মিত হস্তমৈথুন করতাম, দিনে অন্তত দুবার। একবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর, আরেক বার রাতে শুতে যাবার আগে । কখনাে কখনাে দিনের বেলাও করতাম। যেমন ধরুন, পড়বে বলে, সেসময় ইচ্ছেটা প্রবল হয়ে উঠল। তখন আমি উ জরায় চার দিয়ে আবার পড়ার টেবিলে বসলাম । তারপর দুউরুর মধ্যে হাত রেখে পড়তে পড়তে বা লিখতে লিখতে কাজটা শুরু করলাম যতোক্ষণ না তৃপ্তি লাজ করি। প্রায়ই করতাম এরকম । অভ্যাসে দাড়িয়ে গিয়েছিল কাজটা। সেসময় কিন্তু আমার কোনাে হুশ থাকতাে না। একদিন রাতে ওই রকম করতে করতে হতে প্রায় ব্যথা হয় ।…….
……আমি তােমার মা, তােমাকে আমি বেশ ভালােভাবেই জানি, আর এও বলি , একমাত্র মেয়ে নও যে টাকার জন্যে এ কাজ করতে যাচ্ছে। না, টাকা , ব্যাপারই নয় তােমার কাছে। তুমি যথেষ্ট ধনী। তোমার জন্যে একজন সেকস নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। স্কুলের অন্য সব মেয়েদের মতাে টাকার কাঙাল হইও না। তােমাকে সত্য কথাই বলছি আমি। তােমার ভালাে লাগার জন্যেই এ কা তুমি। তােমার অবস্থা এখন এমন যে, একজন শক্ত সমর্থ পুরুষ পেলে নিজেই বা খরচ করে তুমি তার সঙ্গসুখ লাভ করতে চাইবে। আমি সেরকম একজন পুরুষকেই ফোন করছি। দেখাে, খুবই ভালাে লাগবে তােমার তার সঙ্গে ফুর্তি করতে। লােকটা আমাকে অনেক দিন ধরেই বলছে, ডায়ােমিরা, এমন একটা মেয়ে আমাকে দাও যে সত্যি সত্যিই কুমারী, এবং প্রথম তার কুমারীত্ব বিসর্জন দেবে আমার কাছে। আমি যাই, তাকে ফোনটা করে আসি। লােকটি সুপুরুষী, শিক্ষিত, আর সবচে’ বড় কথা হলাে, সে মার্জিত ও রুচি সম্পন্ন। সেক্সগেমে সে কখনাে ক্লান্তি বােধ করে না, আর বয়েসটাও চল্লিশ থেকে পঞ্চাশের মধ্যে অর্থাৎ তােমার যে রকম খেলারাম দরকার সেই রকমই। তার জিনিসটাও বেশ বড়াে। প্রথমে সামান্য একটু ব্যথা পেলেও দেখবে তুমি কী দারুণ সুখই না পাচ্ছ। সত্যি, লােকটা খেলতে পারে খুব ভালাে। একবার তােমার কৌমার্যের কপাট ভাঙলেই অন্য যে কোনাে লােকের সঙ্গে এরকম খেলায় মাততে পারবে তুমি। এটা তুমি বুঝতে চাইছ না, ভেতরে ভেতরে যে পাপ তােমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে, সে পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি আমি, অথচ তার জন্যে তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করছ-কতাে টাকা আমি তােমাকে দেবাে?’ এবার তার মুখ দিয়ে পতিতালয়ের ভাষার খই ফুটতে শুরু করল। আমি তাকে বাধা দিয়ে বললাম, ‘মা, স্পষ্ট করে বলাে কেবল সেক্স করার জন্যে নয়, আমার কুমারীত্বের দাম কতাে দেবে তুমি? দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস, তাই না? দুটোর জন্যেই টাকা চাই আমি। বলাে কতাে দেবে?’…..
……আমি; কি সেটা?
ডেসি; সেটা আমার মাসিকের ব্যাপার। তখনো অবশ্য মাসিক শুরু হয়নি কিন্তু মনে হয় সেদিনের কথাবার্তায় আবেগের বশে একটু আগেই শুরু হতে চলেছিল। ডায়োমিরা যখন আমার পা দুটো ফাক করে দেখতে যাচ্ছিল সেই সময় তার নজরে পড়ল আমার পেন্টিতে সামান্য রক্তের ছাপ।
আমি; এতে কী প্রতিক্রিয়া হলো?
ডেসি; খুবই খারাপ। ফোনে এতক্ষন বুঝিয়ে রাজি করানোর পর সে দেখল যে জিনিশটা বিক্রি করতে যাচ্ছে সেটা এখন বিক্রি করা যাবে না।
আমি; সে কী বললো?
ডেসি; আমাকে কিছুই বললো না। মাথাটা একটু নেড়ে সে আমার পেন্টাটা টেনে সরিয়ে আমার লালচে যোনিকেশগুলো পরীক্ষা করল, তারপর দৌড়ে ফিরে গেল টেলিফোনের কাছে। রিসিভার তুলে নিয়ে বিজয়ীর সুরে বললো, ‘দ্যাখো, আমি খুলেই দেখেছি জিনিশটা। ওগুলো কালো নয়, লাল। এখন বলো কী করবে তুমি? হয় তুমি এখুনি চলে এসে মালটাকে বুঝে নাও না হলে আমি অন্য আরেকজনকে দেখি। কী বললে? ঠিক আছে, তাহলে এক্ষুনি চলে এসো।
আমি; তারপর সে কী করল?
ডেসি; সে আমার কাছে ফিরে এলো। এসে আমার পাছায় হাত দিয়ে বললো, ‘দেখেছ, কি একটা বিপদেই না ফেলেছ তুমি আমাকে………
……..ডায়ােমিরা একটু ভেবে নিয়ে বললো, এখনাে ভালাে করে মাসিক শুরু হয় নি। মাত্র দু’এক ফোটা রক্ত বেরিয়েছে। এখন আমি যা বলি তাই করাে । যাও, বাথরুমে গিয়ে ভালাে করে গুদুটা ধুয়ে ফ্যালাে, তারপর এসে চুপচাপ বিছানায় শুয়ে থাকো। ঘরটা অন্ধকার রেখাে । অন্ধকারে ও জায়গার সামান্য একটু রক্তের ছাপ দেখতে পাবে না সে। দেখতে পেলে কিন্তু সব শেষ। আর কোনােদিনই সে আসবে না এখানে। আমরা তাে জানি, বেটাছেলেরা ও জিনিসটা মােটেই সহ্য করতে পারে না। সে যখন আসবে, আমি তাকে বলে দেবাে, তােমার লজ্জা একটু বেশি, তাই তুমি চাও অন্ধকারেই কামকাজ হােক । সে এতে কোনাে আপত্তি করবে বলে মনে হয় না। আমি বিছানায় একটা তােয়ালে বিছিয়ে দেবাে যাতে বিছানাটা নষ্ট না হয়। নাও, তাড়াতাড়ি করাে, দেরি কোরাে না।
আমি ; তখন তার হতবুদ্ধি ভাবটা কেটে গিয়েছিল?
ডেসি : নিশ্চয় । ওই বুদ্ধির অভিজ্ঞতা থেকেই সে সামলে নিয়েছিল সব কিছু। আমাকে যেমন বললাে আমিও তেমনই করলাম, কারণ কণ্ঠস্বরটাও আমাকে তা-ই করতে বলছিল । বিছানা থেকে উঠে আমি বাথরুমে গেলাম, কমােডে বসে জায়গাটা ধুতে ধুতে দেখলাম ডায়ােমিরা আলমারি থেকে একটা লাল রঙের তােয়ালে বের করে বিছানায় পাতলাে। বালিশগুলােকে ঠিকঠাক মতাে সাজাল। জানালাগুলাে বন্ধ করে পর্দা টেনে দিল যাতে ঘরটা অন্ধকার হয়ে যায়। এবং অল্প পাওয়ারের একটা বাতি জ্বেলে রাখল টেবিলের ওপর। ইতিমধ্যে আমি ফ্রেশ হয়ে ঘরে ঢুকে বিছানাটা দেখলাম। সেখানে শােবার কোনাে ইচ্ছেই ছিল না আমার। একটা আশ্চর্য ব্যাপার ঘটল তখন। আমার মাসিক হওয়ায় সে যেমন অবাক ও বিচলিত হয়েছিল সেটা চাপা দেওয়ার জন্যে তখন সে তার পেশার নৈতিকতা তুলে বক্তৃতা শুরু করল আমার কাছে।
আমি : নৈতিকতা?
ডেসি : হ্যা, মন দিয়ে শুনুন। তার বক্তৃতার প্রতিটি কথাই মনে আছে আমার, ওভাবে পুতুলের মতাে দাঁড়িয়ে থেকো না। শুয়ে পড়াে। বিছানাটা যাতে নােংরা না। হয় সে জন্যে আমি তােয়ালে পেতে দিয়েছি। পােশাকটা পরেই থাকো। পুরুষরা মেয়েদের পােশাক নিজ হাতে খুলতে ভালােবাসে। ওটাই তাদের স্বভাব। তারা চায় বিয়ের কনে। তার মানে প্রথমে তার ঘােমটা খুলবে, তারপর জামা, স্কাট, ব্রা, এই করতে করতে শরীরটা যখন পুরােপুরি ন্যাংটা হয়ে যাবে তখন তাকে জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নেবে, বুঝেছ? তােমার মতাে একটা স্কুল পড়ুয়া কচি মেয়েকে পলে তারা একেবারে পাগল হয়ে যাব। একটা সুন্দরী মেয়ের সঙ্গম লাভে যদি তারা খরচ করে তাহলে একটা কুমারী মেয়ের কৌমার্য হরণে খরচ করবে……
…….ডেসি : ও একটু অবাক হয়ে গেল। খােলাখুলি জানতে চাইল সব কথা। আমি বেশ গর্বসহকারে বললাম যে, আমি আমার সতীত্ব বিসর্জন দিয়েছি। পরিপূর্ণ উপভােগ করেছি নারী-পুরুষের সঙ্গম সুখ ।
আমি ; এমিলিও বিশ্বাস করল সে কথা?
ডােস ; করল। জানতে চাইল মিলনকালে আমি কষ্ট পেয়েছিলাম কিনা। ভায়ােমিরার কথাটা আমার মনে ছিল । বললাম, শুরুতে একটু লাগলেও পরে ভালােই লেগেছিল। এমিলি ও জিজ্ঞেস করল, ‘রক্ত বেরিয়েছিল?’ আমি উত্তর দিয়েছিলাম, হ্যা। বিছানার ওপর পাতা তােয়ালেটা ভিজে গিয়েছিল। উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল এমিলি ও। ও জিজ্ঞেস করল, তার জন্যে কতাে টাকা দিয়েছিল তােমাকে?’ আমি বললাম, কি জানি কতাে। কারণ লােকটা টাকাগুলাে আমার পেটের ওপর রেখে বলেছিল, “তােমার ওই জিনিসটার দাম আমি দিলাম তােমাকে। কিন্তু সেই টাকা বাড়িঅলি ওই মহিলা নিজেই তুলে নিয়েছে। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে এমিলিও বললাে, তাহলে আমি এখন দাঁড়িয়ে আছি একটা বেশ্যার সামনে?
আমি : স্বাভাবিক, বলতেই পারে।…..
…..ডেসি; এমিলিও তখনই আমার দেহটাকে ভোগ করতে চাইল। বললো, “আমি তোমাকে ভালবাসি। কিন্তু এখন আমার কাছে টাকা নেই। আমি জানতাম সে কথা। শুধু ওকে প্রলব্ধ করার জন্য আমি আমার জামার বোতামগুলো খুলে স্তনের উচু জায়গা দুটো ওকে দেখলাম । …..
……ডেসি; টিবেরি একজন বিকৃতকামী পুরুষ। সে আমাকে বললো, জানালায় ভর দিয়ে দাড়িয়ে রাস্তার ল্যাম্প পােস্টটা দ্যাখাে।’ আমি তাই করতে লাগলাম। টিবেরি আমার পেছনে দাড়িয়ে আস্তে আস্তে আমার স্কার্ট আর ইজেরটা খুললাে, তারপর…
আমি : থাক থাক, বুঝেছি। তখন তুমি কী করলে?
ডেসি ; তার ওই জঘন্য আচরণে আমার গা গুলিয়ে উঠেছিল। কিন্তু লােকটা এতােই বিকৃতকামী যে আমার নিতম্বের আকার দেখে এবং পাছার মাংশল ভাতে সংস্পর্শে তার শিশ্নটার উত্তেজনা এতােই প্রখর হয়ে উঠল যে, সঙ্গে সঙ্গেই বীর্যপাত হয়ে গেল তার। সে যখন জোর করে আমার ঘাড় ধরে বলে উঠল, ‘বিপ্লব জাহানামে যাক।’ আমিও অজান্তেই উচ্চারণ করলাম কথাটা। তারপর পােশাক পরে আমি। আমার দাবি বিশ কোটি লিরা চাইলাম তার কাছে।
আমি : সে দিল?
ডেসি : ওয়াদা ভঙ্গ করল সে।……..
……ডেসি : মৈথুন তাে অনেক রকমের হয়। আমরা মুখ দিয়েই করতাম সে কাজ মানে ওরাল সেক্স যাকে বলে। না, তাকে ঠিক আমরা বললে ভুল হবে, কাজটা আমি নিজেই করতাম। প্রথম ঘটনাটা ঘটে এভাবে, একদিন গাড়ি করে আমরা সিনেমা দেখে ফিরছিলাম। গাড়ি চালাচ্ছিল জিয়াের্জিও। আমি ওকে আদর করতে করতে ওর প্যান্টের জিপারটা এক টানে খুলে ফেলে ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিলাম। তারপর টেনে বের করে আনলাম ওর পুরুষাঙ্গটি। ওটা তখন উত্তেজনায় বেশ বড়াে, নিটোল এবং কাঠের মতাে শক্ত হয়ে উঠেছে। আমি নিচু হয়ে চুমু খেলাম ওটাতে, এরপর প্রায় অর্ধেকটা মুখে নিয়ে চুষতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পরই বুঝলাম চরম মুহূর্তটি উপস্থিত। ঝলকে ঝলকে বেরিয়ে এলাে উষ্ণ জেলির মতাে চটচটে একরাশ আশটে পথ। ওর পুরুষাঙ্গটি শিথিল ও ছােট হয়ে গেল। …..
……একদিন আমার ঘুরে বেড়িয়ে ফিরছিলাম আমার গাড়িতেই। সেদিন ও নিজেই প্যান্টের জিপার খুলে শিশ্নটা বের করে বা হাতে টেনে নামিয়ে নিল আমার মাথাটা। আমিও যথারীতি মুখে পুড়ে নিলাম ওটা। নীরবে চুষতে লাগলাম। ……
……এরােস্ট্রাটো প্রশ্ন করল, ‘ইনিই তােমার মা?’ ‘হ্যা। আমি বললাম। এর সন্দরী মহিলা তাে!’ ‘হ্যা। তার সঙ্গে পরে আলাপ কোরাে, এখন চলাে বিছানায়। যাই। মনে রেখাে, আমি কিন্তু এখনাে কুমারী, এবং আমি কুমারীই থাকতে চাই । তমি সব রকম সেক্সই করতে পারাে। কিন্তু আমার কৌমার্য ভঙ্গ কোরাে না। এরােস্ট্র্যাটো কথাটার কি মানে বুঝল জানি না তবে আমাকে কোলে করে বিছানায়। শুয়ে দিয়ে নিজেও আমার পাশে শুয়ে পড়ল। কিছুক্ষণ আমার গলায়, মুখে, গালে, স্তনে চুমু খাওয়ার পর সে আমার স্কার্টটা গুটিয়ে দিল। তারপর আমার দুই উরুতে চুমু খেতে খেতে মুখটা তুলে আমার পিউবিক হেয়ারে ভরা যৌনাঙ্গে পাগলের মতাে অনেকক্ষণ ধরে জিভ দিয়ে সুড়সুড়ি দিতে লাগল। একসময় আমার উত্তেজনার পরিসমাপ্তি ঘটল। দেহটা শিথিল হয়ে গেল। চুপচাপ শুয়ে থাকলাম আমি। এরােস্ট্র্যাটো উঠে দাঁড়িয়ে বেশবাস ঠিক করে নিল। এরপর আমি বালিশের তলা। থেকে একটা পঞ্চাশ হাজার লিরার নােট বের করে তার হাতে দিয়ে বললাম, এটা তুমি নাও। তােমার তাে টাকা দেবার ক্ষমতা নেই বললে।’ এরােস্ট্র্যাটো বিনাবাক্যে নােটটা পকেটে ঢুকিয়ে উঠে দাঁড়াল।….
….কিন্তু আমি লক্ষ করলাম, তার মন পড়ে রয়েছে আমার দেহটাকে ভোগ করার উগ্র বাসনায়। তার পুরুষাঙ্গটি বেশ বড়, শক্ত ও মসৃণ। আমি তাকে তৃপ্তি দেবার জন্যে সেই বিশেষ অঙ্গটি আমার মুখে পুড়ে নিলাম। কিন্তু সে নিজেই ওটাকে টেনে বের করে নিল। বুঝলাম বুর্জোয়াদের উপর প্রতিশোধ স্পৃহা ও শক্তিকে সে অক্ষুন্ন রাখতে চাইছে। আমি তখন ভীষণ ক্লান্ত, তাই তার অনীহা দেখে আমি শুয়ে পড়লাম ভাওলার বিছানায়, এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লাম। এস্ট্রোটো আমাকে জাগায় নি। পরে তার কাছে আমি শুনেছি কিভাবে সে ভাওলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল।
আমি ; ভাওলার সঙ্গে?
ডেসি ; হ্যা, আমি যখন এরােস্ট্র্যাটোর শিশ্নটা মুঠো করে ধরে ঘুমােচ্ছিলাম সেই সময় ভাওলা চুপিচুপি কখন দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে আমরা কেউ তা বুঝতে পারি নি। এরােস্ট্র্যাটো অবশ্য জেগে ছিল, কিন্তু তার মুখটা ছিল আমার দিকে ফেরানাে। সেই সুযােগে ভাওলা তার দামি ক্যামেরাটা দিয়ে একের পর এক আমাদের ছবি তুলে চলছিল। হঠাৎ একসময় এরােস্ট্র্যাটো মুখ ফেরাতেই ভাওলাকে দেখতে পেয়ে চমকে ওঠে। কিন্তু দেখে ভাওলার মুখে হাসির ঝিলিক।
ডেসি : এরােস্ট্র্যাটো উঠে বাইরে গেছে। তখন নিশ্চয়ি ভাওলার সঙ্গে তার একটা বােঝাপড়া হয়েছিল, কারণ এর কয়েক দিন পরই ভাওলা তাকে কর্মচারী হিশেবে নিয়ােগ করেছিল। আমার কাছে এরােস্ট্র্যাটো যা পায় নি তা পেয়েছিল ভাওলার কাছে। বিকৃতকামী ভাওলা পরে আমাকেও টানতে চেয়েছিল সেই দলে । কিন্তু আমি দূরত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিলাম। আমি সােজাসুজিই তাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম-আমি পালিয়ে যাবাে।………
মিলন বাসনা
…..মায়ের এরকম যুক্তি শুনে মেয়েরও হাসি পেল। মুখে সে কিছুই বললাে না। কিন্তু লিও ম্লান হেসে বললাে, ‘না, সত্যি বলছি, ওই ধরনের মহিলা ও আমি পছন্দ করি না। কথাটা বলেই সে কার্লার ফ্রক উচিয়ে থাকা উন্নত বুকে একবার দুই বুলিয়ে ওর গােলাপি গাল ও পূর্ণ যৌবনভরা শরীরের দিকে লােভনীয় সইতে করে মনে মনে বললাে, ‘আমি কেবল এমন মেয়ে চাই।…..
…..শাদা মনের মেয়ে কার্লা, একথার অর্থ ও বুঝতে পারল না। কিন্তু লিও ‘এসাে’ বলেই ওর হাত ধরে দু’জনে সেই বারান্দার খালি কোণ পেরিয়ে আড়ালে ঢুকে গেল। এবং ধূর্ত লিও তখনই বারান্দার আলােটা সুইচ টিপে নিভিয়ে দিল। ভেতরে গিয়েই লিও নিজের ঠোট দিয়ে কার্লার স্তন, হাত ও সবশেষে ঠোটও স্পর্শ করতে লাগল,….কণ্ঠস্বরটা একটু দূরে সরে যেতেই লিও কার্লাকে একেবারে বুকে সপটে নিল, তারপর চুমােয় চুমােয় ভরিয়ে দিতে লাগল ওর মুখ চোখ ঠোট ঘাড়।…..
…..আবার সারাঘরে নিরবতা নেমে এলাে। কিছুক্ষণ পর লিসা বললাে, তুমি যদি কিছু মনে না করাে, এই সুযােগে আমি একটু শুয়ে পড়ি কেমন? তুমি যেমন আছ থাকো, নইলে তােমার যা ভালাে লাগে তাই করাে। লজ্জার কোনাে কারণ নেই।
শুতে গিয়ে লিসার পােশাকের নিচের দিকটা বিশ্রীভাবে উপরের দিকে উঠে যাওয়ায় তার পায়ের কিছুটা অংশ প্রায় হাঁটুর নিচ পর্যন্ত উন্মুক্ত হয়ে গেল। অথচ লিসার সেদিকে খেয়াল নেই। তার মানেই হলাে লিসা মাইকেলকে নিজ-দেহের ওসব জায়গাগুলাে দেখাতে চায় এবং তার অন্তরে কুভাব জাগিয়ে তুলতে চায়।…..
…..এটা ভেবেই মাইকেল ওর একটা হাত লিসার পিঠ থেকে নিচ দিয়ে কোমরটা জড়িয়ে ধরল। লিসা ঠোটের কোণে গরে হাতি তুলে, ‘এই, ও কি। না, দুষ্টু!’ পর্যন্ত বলেই চুপ করে গেল।
মাইকেলের ভেতরটা যেন ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছিল। ও মৃদু হেসে লিসাকে আরাে কাছে টেনে নিল। সেই দুর্বল, মেকি ‘নানা’ শব্দ বলতে বলতে নিজেই তার উদ্ধত বুকটা মাইকেলের মুখের সামনে নুইয়ে দিল। মাখাটা মিলল এসে কাঁধে। কয়েক মুহূর্ত পর লিসার মেকি লজ্জার ভান অগ্রাহ্য করে মাইকেল তার মাথাটা টেনে নিয়ে, মুখটাকে ধরে চুমায় চুমায় ভরিয়ে দিল। পূর্ণ হলো লিসার মনােকামনা! তবু, ঢঙ দেখিয়ে লিসা বলে উঠল, দুস্ট কোথাকার, কি দুস্টূরে বাবা। যদিও মাইকেলের হাত তার স্তনে, সেটা না সরিয়ে দিয়ে সে ওই হাতের পেষণস্বাদ অনুভব করছিল চোখ বুজে।….এবং শিহরণে ছটফট করায় ও অসাবধানতায় এক থেকে মেঝেতে পড়েই গেল। আর এই পড়ে যাওয়ায় তার পোশাক আশাক উপরে উঠে গেল। প্রায় বিবস্ত্র হয়ে গেল লিসা। সেই সুযােগে মাইক আবার জড়িয়ে ধরল লিসাকে। বুকে তুলে নিল। লিসা আনন্দে এবার আত্মসমর্পণ করল যাতে মাইকেল তাকে নিয়ে যা খুশি করতে পারে। চোখ বুজে শুয়ে যেন মাইকেল তাকে পরিপূর্ণভাবে উপভােগ করতে পারে। কামনার অন নিথর হয়ে রইল।…..
…..কালা অস্ফুট কণ্ঠে বলতে লাগল, আমাকে যেতে দাও। আমাকে যেতে দাও। যদিও লিওর অত্যাচার সত্ত্বেও স্থির হয়ে শুয়ে ছিল কার্লা। ক্লান্ত হয়ে পড়ে ছিল।
লিও অজস্র চুমু খেতে লাগল ওর সর্বাঙ্গে। একজন পুরুষের গরম ঠোটের স্পর্শ সম্পর্কেও অচেতন হয়ে রইল ও। ওর ঘুম এসে গেল অথচ ওর মুখের ওপর আরেকটা কামনা দীপ্ত মুখ ঝুঁকে রয়েছে। এরপর চরম অবস্থায় কার্লার খেয়াল হলাে যে, ওর গায়ের পােশাক কেবল শিথিলই নয়, দেহ থেকে সেগুলাে প্রায় বিচ্ছিন্ন। তখন ও ধীরে ধীরে বুকের ওপর জামাটা টেনে তুললাে, তারপর নিচের দিকে কাপড়টা সংযত করে নিল। কিন্তু লিও তা করতে দেবে কেন? তখনাে যে তার কাজ শেষ হয় নি। অজ্ঞান অবুঝ নারীকে এভাবে পেলেও কি লাভ হয়? কিন্তু সত্যি আজ সবদিকেই তার বিধি বাম!……
…..কার্লার মুখে জমে উঠল বিষাদের ছায়া। অস্ফুট কণ্ঠে ও বলে উঠল, ‘কি বলছ তুমি! তােমার ফ্ল্যাটে, এ অসম্ভব। না-না।
দুজনেই নীরব হয়ে রইল। সেই নিরবতার মধ্যে লিও পোশাকে ঢাকা কার্লার উন্নত স্তন দুটো দেখে অস্থির বােধ করতে লাগল। ভাবতে লাগল, কি অপূর্ব ওই শরীর, ওকে আমার পেতেই হবে। ভাবতে ভাবতে বামনার আবেলে ওকে কোমরের কাছে জড়িয়ে ধরে আদর মেশানাে কথ বলতে লাগল, ‘কার্লা, লক্ষ্মী কাল। আমার, তােমাকে আসতেই হবে।…..
…..লিও বললাে, “ওসব পরে জানবে, আগে বলাে তুমি আমাকে ভালােবাসা তাে? কার্লার সলজ্জ জবাব, বাসি। আর তুমি?
‘আমি! লিও ভাবের আবেগে বলে, ‘একথা কি বলতে হয় ডার্লিং আমার সমস্ত দেহ মন যে তােমার। আমি যে তােমারই একথা কি আমার চোখ মুখ সব কিছু বলে দেয় না। আমি তােমাকে ভালােবাসি, তােমাকে সব রকমভাবে পেতে চাই। এই যে শরীরের সব কিছু, এই ঠোট, এই রক্তিম কপােল, এই সুগঠিত বাহু, এই শরু কাধ, এই সুন্দর স্তন, এই সম্পূর্ণ দেহ-যাতে নারীত্বের ঘ্রাণ মিশে আছে তার মধুর স্বাদ, মিষ্টতার আহ্বান, আকর্ষণের নিমন্ত্রণ! ওহ আমি যে পাগল হয়ে যাই। বলতে বলতে লিও আবেগের বশে কার্লার দেহের ওপর নিজেকে সব আছড়ে ফেললাে। প্রাণপণে জড়িয়ে ধরে রাখল। …..
…..এতে লিও কামনার আগুন তাে নিভলােই না বরং আরো দাও দাও করে জ্বলতে লাগল। তখন সে ভাবল, শুধু শুধু এই অসুবিধার জায়গায় কেন, ওকে সোজা বেডরুমে গিয়ে নিচিন্তে আরামে ভােগ করা যাক। এই ভাবনা মনে আসতেই লিও উঠে দাড়াল, এবং কার্লাকেও তুলে বেডরুমের দিকে নিয়ে চললাে । সেখানে গিয়ে সাজানো বিছানা দেখে কামভাব তীল হয়ে উঠল লি ওর। কামের তীব্রতায় সে নিজের গায়ের জামা প্যান্ট ছিড়েছুঁড়ে উলঙ্গ হয়ে গেল। তারপর ঝাপিয়ে পড়ল কার্লার উপর। তার যৌন উন্মাদনার ফলে কার্লার জামা ব্রা বিভিন্ন জায়গায় ছিড়ে গেছে। বােতামগুলাে কোথায় হারিয়ে গেছে। জামা কাপড় সম্পূর্ণ স্থানচ্যুত হয়ে পড়েছে। লিও আদর করতে করতে একসময় একটা হাত ঢুকিয়ে দিল কার্লার দু’স্তনের মাঝখানে। এবং সেখানে একটা কাগজের অস্তিত্ব অনুভব করে অবাক হয়ে বলে উঠল, ‘ওখানে ওটা কী!’ …….
……নাও, চলাে এবার বিছানায় যাই।’
লিওই প্রথম ঘুমিয়ে পড়ল। কার্লার অপ্রত্যাশিত ও অনভিজ্ঞ যৌন সংসর্গে লিওর কোনাে লাভই হলাে না, তবুও সে নেতিয়ে পড়ল। চরম মুহূর্তে যখন ঘর্মাক্ত অবস্থায় দু’জনে অঙ্গাঅঙ্গি জড়িত তার একটু পর কালা টের পেল ওর কটিদেশ থেকে লিও ধীরে ধীরে হাত সরিয়ে নিচ্ছে। দু’জনের মাথা একই বালিশে পাশাপাশি। কিছুক্ষণ পরই মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়ল লিও।
ঘুমন্ত লিওর শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শুনতে শুনতে এলােমেলাে ভাবনায় ডুবে গেল কার্লা : কাল সকালে কী হবে? ওর মনে হতে লাগল, যেন একটা যুগ এই গাঢ় অন্ধকারের অতলে ডুবে গেল। কাল সকাল কেমন হবে?’ এই ভাবনা পেয়ে বসল ওকে। ওর মাথায় যন্ত্রণা হতে লাগল। এই বিছানার ওপরও নিজে নড়তে বা হাত পা নাড়াতে সাহস পাচ্ছে না ও। কেমন একটা দুর্বলতা ওকে পেয়ে বসেছে। যদিও নিজের নগ্ন দেহের সঙ্গে আরেকটা উলঙ্গ দেহের স্পর্শের একটা স্পষ্ট অনুভূতি অনুভব করছে ও। বিছানার এই উষ্ণ সান্নিধ্য ওর মধ্যে একটা নতুন রােমাঞ্চ এনে দিচ্ছে! তবুও এই অপরিচিত পরিবেশ, এই বাতাবরণ, এ বাড়ি ঘরকে ওর স্মৃতির মণিকোঠায় তুলে রাখল। এবং একটু আগে যা কিছু ঘটে গেল ওর জীবনে তাতে ও তখন পুলক অনুভব করেছে সত্যি, কিন্তু এখন ওর একটুও আশ্চর্য লাগছে না । অবাক লাগছে না। …..