…….চিত্রসেনের সঙ্গে আছেন তাঁর সহধর্মিণী মালিনী এবং কন্যা পুষ্পদন্তী। দেবতাদের সঙ্গে উপদেবতার মর্যাদাপ্রাপ্ত গন্ধর্ব ও অপ্সরাগণ এই নন্দনবনে প্রতিদিন আসেন। দেবতারা স্বভাবত ‘পীযুষপাননিরতা অপ্সরােগণসেবিতাঃ’ এবং তাঁদের সঙ্গে নিত্য রমণরত। ……….
…….শিখিধ্বজ স্বগতােক্তি করেছিলেন, “আহা, তােমার শ্রীতমা দুহিতাটি ‘কগ্রীবাযুতা সৈব দিব্যাভরণভূষিতা/ পীনােন্নতৌ কুচৌ’– কস্তুকণ্ঠ দিব্য আভরণে ভূষিতা, ওর স্তনদ্বয় পীনােন্নত, নিতম্ব বিস্তৃত ‘নিতম্বেী।ঃ বিস্তৃতৌ’।” এমন বর্ণনা শ্রবণ করার সঙ্গে সঙ্গে চিত্রসেন একাধারে ক্রোধ ও লজ্জায় রক্তিম হয়ে গেছিলেন। …….
………মালিনীর দিকে অপাঙ্গ দৃষ্টিপাত করে দেবসেনাপ্রধান চলে গিয়েছিলেন। চিত্রসেন জানেন, আর স্বল্পদিন পরেই পুষ্পদন্তী দেবভােগ্যা হয়ে যাবে, এই অনিবার্যতা সত্ত্বেও পিতার সতর্কতা দিয়ে কন্যাকে তিনি রক্ষা করার চেষ্টা করেন।…….
……….অপ্সরাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন উর্বশী, অম্বুজাক্ষী, ঋতুস্থলা, ঘৃতাচী, প্রমদ্বরা, মঞ্জুঘােষা, বিদ্যুৎপৰ্ণা, পুষ্পগন্ধা, রুচিরা, শুচিকা, সুকেশিনী, সুপ্রিয়া, রম্ভা, হেমা, সােমা প্রমুখ। ………..অপ্সরাগণ সর্বদা সুবেশী, সুকেশী, আভরণভূষিতা। তাঁদের মণিমাণিক্য খচিত স্বর্ণালঙ্কার সমূহ দিনাবসানেও জাজ্বল্যমান। এঁরা রূপময়ী, সুতনুকা। এঁদের স্তনদ্বয় হেমকলশবৎ উচ্চ। মধ্যদেশ উত্তম, ক্ষীণ ও মুষ্টিগ্রাহ্য। নিতম্ব ও জঙ্ঘা স্কুল ও আবিস্তীর্ণ। মধ্যং ক্ষামঞ্চ চাঙ্গা মুষ্টিগ্রাহ্যমনুত্তমম্।……….