পােজিও ব্রাচ্চিও লিনির তিনটি গল্প – শফিক রেহমান

›› অনুবাদ  ›› সম্পুর্ণ গল্প  

তুমি যেমনটা চাও 

কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে সেদিন তরুণটির আর তর সইছিল না। মাত্র কয়েক সপ্তাই আগে তার বিয়ে হয়েছিল। সেদিন আগেভাগেই বাড়িতে ফিরে সে। তার বউকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে জিজ্ঞাসা করল, এখনই? নাকি ডিনারের পরে?
তরুণী স্ত্রী বিনা দ্বিধায় তুরিত উত্তর দিল, ‘সুইটহার্ট, তুমি যেমনটা চাও। তারপর আমরা খাব।

কালি শুকিয়ে গেছে

তখন ইনডিয়া ছিল বৃটিশ শাসিত উপনিবেশ। সেখানে কয়েক মাস যাবত অবস্থান করছিলেন। এক ইংরেজ অফিসার । তিনি ইংল্যান্ডে তাবস্থানরত তার স্ত্রীকে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন এক বন্ধুর মাধ্যমে।

সপ্তাহ খানেক পরে সেই বন্ধুটি ফিরে যাচ্ছিলেন ইনডিয়াতে। তাই তিনি বন্ধু স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বললেন, আপনি কোনাে উত্তর দিতে চাইলে সেই চিঠি আমাকে দিতে পারেন । আমি পৌছে দেব।’

বন্ধুর স্ত্রী বিমর্ষ মুখে মাথা নেড়ে বললেন, আমি কি করে লিখব? সে তাে কলমটা নিয়ে গেছে আর এদিকে কালির দোয়াতটা শুকিয়ে গেছে।’ 

আমরা সবাই চাই এক 

গ্রামের এক পাদরি তার চার্চে সমবেত শ্রোতাদের কাছে খুব কড়া ভাষায় বয়ান করেছিলেন পরকীয়া প্রেম ও ব্যভিচারের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে উচু স্বরে চিৎকার করে পাদরি বলেন, পরকীয়া হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ পাপ। আর বিবাহিত নারীরা হচ্ছে , সবচেয়ে বেশি পাপী।’

তার এই বচন শুনে শ্রোতাদের মধ্যে বয়স্ক পুরুষরা সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেন। উৎসাহিত পাদরি আরাে বলে চললেন, ‘আর সে কারণেই এক ডজন বিবাহিত নারীর বদলে একটি কুমারী নারীই আমার কাম্য।

এ কথা শােনার পর এক প্রবীণ পুরুষ তার মনের ইচ্ছা এবং সেখানে উপস্থিত অনেকেরই মনের ইচ্ছা প্রকাশ করে। বললেন, “আমরা সবাই সেটাই চাই। তাই না?’

Leave a Reply