নীল প্রেমিক – নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

……….আই লাভ ইউ… ভালােবাসার এই বহিঃপ্রকাশ অসহ্য মনে হয়েছিল সৃঞ্জয়ীর। সে শুধু ফিসফিস করে বলতে পেরেছিল-বাট আই অ্যাম নট ইন এ্যা মুড…। কিন্তু হীরককে তখন দমানাে সত্যিই মুশকিল। সে এক হাতে সৃঞ্জয়ীর একটি স্তন চেপে ধরেছে। তাকে ক্রমশ নিজের কোলের ওপর বসাতে চাইছিল। সৃঞ্জয়ী প্রাণপণে নিজেকে ছাড়াতে চাইছিল। বারবার বলছিল—লিভ মি অ্যালােন…প্লিজ লিভ মি অ্যালােন…।………..

……..কিন্তু হঠাৎ সে চমকে উঠল। বসল সােজা হয়ে। মনে হল তার কোমরের কাছে যেন একটা বিছে কিংবা ওই ধরনের কোনও পতঙ্গ কিলবিল করছে। মুহূর্তে তন্দ্রাচ্ছন্নতা কেটে গেল তার। সৃঞ্জয়ী বুঝতে পারল যে, কোনও পতঙ্গ নয়, পাশের পুরুষ যাত্রীটির হাতের আঙুলগুলােই নৃশংসভাবে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে তার কোমরের কাছে। চাদরের ফাক দিয়ে তলপেটের দিকে উঠে আসতে চাইছে। তলপেট পেরিয়ে বুক-এর কাছে। আর তখনই শরীর ঘুলিয়ে উঠল সৃঞ্জয়ীর।………….

……….আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সৃঞ্জয়ী একটার পর একটা বেশবাস খুলতে লাগল। হাত তুলে বগলের গন্ধ শুকল। ………. ………আয়নার ঠিক সামনে সে দাঁড়িয়ে আছে। পুরােনাে দিনের ড্রেসিং-টেবিলের এক মানুষ সমান চকচকে আয়না। তাতে সৃঞ্জয়ীর পায়ের পাতা থেকে মাথার চুল পর্যন্ত দৃশ্যমান। এখন সৃঞ্জয়ীর পরনে ব্রা (সেটাও ঘামে ভিজে এবং বেশ ময়লা দেখাচ্ছে) এবং জিনস্ ট্রাউজার। আয়নার মধ্যে সে যেন নিজেকেই এখন ছুঁতে পারে। পেছন দিকে দুই হাত নিয়ে গিয়ে সে ব্রা-এর ফিতে খুলে ফেলল। ব্রা-টা খসে পড়ল মাটিতে পায়ের কাছে। আয়নার ভেতর নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেরই কেমন লজ্জা করতে লাগল। কতদিন নিজের দিকে এভাবে তাকানােই হয় না। নিজের স্তনদুটোর দিকে তাকিয়েছিল সৃঞ্জয়ী। তার স্তনের গড়ন ঠিক তার মনের মতাে। একেবারেই উগ্র এবং তীক্ষ্ণ নয়। বরং অধােমুখী। যেন ছােট্ট দুটো নরম বল আঠা দিয়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছে তার বুকে। তার স্তনের বিভাজনেরও শুরু অনেক নীচ থেকে। সে মনে-মনে জানে যে এটা ইউরােপীয় গড়ন। পৃথুলাস্তনী মেয়েদের তার একেবারেই পছন্দ নয়।

খাটের বাজুতে একটা পরিষ্কার, ধবধবে সাদা তােয়ালে। সেটা টেনে নিয়ে সৃঞ্জয়ী স্তনের ভেতরদিকের ঘাম মুছল। ঘাড়ের ঘাম মুছল। এই জায়গাটা বেশ গরম মনে হচ্ছে। মাথার ওপর বোঁবোঁ করে ফ্যান ঘুরছে, তবুও বিজবিজে ঘাম জমছে শরীরে। এবার সৃঞ্জয়ী ট্রাউজারের বােতাম খুলল। চাপা ট্রাউজার। খুলতে একটু কষ্টই হয়। সময় লাগে। এবার ক্রিম-রং প্যান্টিটা খুললেই সে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। প্যান্টিটা টেনে নামিয়ে মাটিতে ফেলে দিল। সম্পূর্ণ নিরাবরণ সৃঞ্জয়ী নিজেই নিজেকে দেখছে। তার যােনির কুঞ্চিত কেশদাম | ত্রিভুজাকৃতি কিংবা একটা ব-দ্বীপের মতাে। এই কেশদামের নিয়মিত, যত্ন নেয় সৃঞ্জয়ী। কোনও কেশ বিক্ষিপ্তভাবে বেড়ে গেলে তাকে আবার ছােট করে নিতে হয়। অকারণ যৌনতাকে প্রশ্রয় কোনওদিন দেয়নি সৃঞ্জয়ী; কিন্তু নিজের শরীরকে সে প্রাণপণে ভালোবাসে। এখন নিজের শরীরকে সরেজমিন তদন্ত করে তার মনে হল তার বগলের রােমগুলি পরিস্কার করা দরকার। কারণ আজ সে অফিসে যাবে জয়েন করতে স্লিভলেস ব্লাউজ এবং শাড়ি পরে। আর একই সঙ্গে পায়ের রােমগুলিও পরিষ্কার করবে ব্যাগে হেয়ার রিমুভার ক্রিম আছে, তুলাে আছে। অতএব অসুবিধে নেই। ঘড়ির দিকে তাকাল। সাড়ে আট। এখনও অনেকটা সময়। হাতব্যাগ থেকে সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটার বের করল সৃঞ্জয়ী। একটা সিগারেট ধরাল। তারপর আয়নার ঠিক বিপরীতে সিঙ্গল সােফাটায় হেলান দিয়ে বসল। সম্পূর্ণ নগ্ন সৃঞ্জয়ী। হাতে জ্বলন্ত সিগারেট।……….

……..সৃঞ্জয়ীর মনে হচ্ছিল সে যেন কোনও শিল্পীর মডেল। পােজ দিতে বসেছে। এই ঘরেরই কোনও কোণে শিল্পী ক্যানভাসে নগ্ন ধূমপানরতা সৃঞ্জয়ীকে এঁকে যাচ্ছেন। আয়নায় নিজের শরীরের প্রতিফলন দেখে নিজেই যেন বিস্মিত হয়ে যাচ্ছিল সৃঞ্জয়ী। তার শরীর এত ভালাে, এত সুগঠিত, এত অপরূপ? নিজের দিকে অনেককাল ভালােভাবে তাকানাে হয়নি। আজ যেন হঠাৎই সে অবসর পেয়েছে নিজের দিকে একটু তাকাবার। ……….

নিজেকে দেখছিল সৃঞ্জয়ী। দেখে যেন একটু লজ্জা পাচ্ছিল। তার স্তন দুটো খুব বড় নয়। ছোট-ছােট। যেন দুটো চড়াইপাখির বুক। অধােমুখী। একটু বাদামি তার স্তনবৃন্ত। কণ্ঠার দুটি হাড় একটু প্রকাশ্য। গলায় একটা সরু চেন। উরু দুটো বেশ লম্বা। খেলােয়াড় মেয়েদের যেমন হয়। এবং তার শরীরের তুলনায় তার নিতম্বদুটি বেশ ভারী। পেটের কাছটা যেন বালিয়াড়ির মতাে মসৃণ। ভুঁড়ি একেবারেই নেই। ছিপছিপে মেদহীন কোমর। একদৃষ্টে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে-থাকতে সৃঞ্জয়ীর মনে হল, এ কী কুঁড়েমি করছে সে। সিগারেট শেষ হয়ে গেছে। এবার হেয়ার রিমুভার ক্রিম বের করে সে বগলের চুল পরিস্কার করল। দু-পায়ের রােম পরিস্কার করল। তারপর সব ব্যাগের মধ্যে গুছিয়ে চানঘরে ঢুকল স্নান করতে। শাওয়ার খুলে দেখল জল বেশ ভালােই পড়ছে। শাওয়ারের নীচে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে স্নান করল। তারপর তােয়ালে দিয়ে গা মুছে যেরকম ভেবে রেখেছিল সেরকম একটা আকাশ নীল সিল্ক শাড়ি এবং সাদা-রং স্লিভলেস ব্লাউজ পরল।………

……….আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের নগ্ন শরীরকে বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখা। কী যে ভালাে লাগে নিজেকে এভাবে দেখতে আয়নার প্রতিফলনে। যেন নিজেকেই বারবার আবিষ্কার করা। আচ্ছা এটাকেই কি নার্সিসিজম বলে ? জলে স্নিগ্ধ, সতেজ শরীরটার দিকে তাকিয়েছিল সৃঞ্জয়ী। দেখছিল আর বিস্মিত হচ্ছিল। এরকম একটা অপরূপ শরীর তাকে ঈশ্বর দিয়েছেন? ……….. কী নিটোল ছােট্ট ছােট্ট দুটো স্তন এই শরীরে। স্তনদ্বয়ের আকার বিশাল হলে যেন তা সহ্য হত না সৃঞ্জয়ীর। স্তনের বোঁটাদুটি কালাে নয়, বাদামি-রং। এই বাদামি রং কোথা থেকে এল? এই মুহূর্তে তার ডান স্তনে এক বিন্দু জল থমকে আছে। যেন একখণ্ড মুক্তো। আর কেউ না জানুক সৃঞ্জয়ী জানে তার এই স্তনে এখনও কোনও পুরুষের লােভী হাত পড়েনি। একমাত্র একদিন হীরক অতর্কিতে তার এক স্তনে (কামিজের ওপর) হাত রেখে চুমু খেতে চেয়েছিল। সেদিন থেকেই হীরককে সে নিজের জীবন থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে।………..

………কোনও পুরুষ নেই যে তাকে ভালােবেসে বুকে টেনে নেবে। যেন সেই অভিমানেই সৃঞ্জয়ী নিজের ফলের মতাে স্তনযুগল নিজের দুহাতে মােচড় দেয়; বোঁটায় ধীরে ধীরে আঙুল বােলাতে থাকে। আর তার সারা শরীরে শিহরণ জাগতে থাকে। তার দুই চোখে যেন ঘুম নেমে আসে। চানঘর থেকে সে ঘরে আসে। ঘরের দরজা বন্ধ। জানলা বন্ধ। ……..সৃঞ্জয়ী টলতে-টলতে বিছানায় ছেড়ে দেয় নিজেকে। একটা পাশবালিশ টেনে নিয়ে দুই ঊরুর মধ্যে গুঁজে দেয়। সে বুঝতে পারে তার যােনিপ্রদেশ উষ্ণ ও সজল হয়ে আসছে। সে চোখ বুজিয়ে শুয়ে থাকে। তার সারা শরীর কাঁপতে থাকে। এইসময় সে কল্পনা করে কোনও পুরুষ তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করছে; নির্মমভাবে অথচ ভালােবেসে ধর্ষণ করছে। সে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকে। তারপর ধীরে-ধীরে শান্ত হয়। ঘড়ির দিকে তাকায়। প্রায় সাতটা বাজে। এসব কী পাগলামি করছে সে? একটু বাদেই তাে দিব্য আসবে। সে ধীরে ধীরে বিছানা থেকে উঠে পড়ে। পাশবালিশটাতে একটা দাগ হয়ে গেছে। লজ্জা পায় সৃঞ্জয়ী। ওয়াড়টা নিজেই কেচে দেবে সে। এখানকার কাজের লােক যেন টের না পায়। প্যান্টিটা গলিয়ে নেয়। তারপর একটা সিগারেট ধরায়।……..

………..সব ভালাে। শুধু, দিব্যর মতে, সে যেন বিছানায় একটু আড়ষ্ট। প্রথম দিন সহবাস করতে গিয়েই দিব্যর যেটা মনে হয়েছিল, কাবেরী যেন কীরকম শীতল। অনেক সাধ্যসাধনা, চেষ্টা এবং পরিশ্রম করে তাকে উত্তপ্ত করতে হয়। তবুও সঙ্গমের মুহূর্তে দিব্যর মনে হয় কাবেরী যেন বড় বেশি উদাসীন। যেন শরীরের এই খেলায় তার কোনও ভূমিকা নেই। দিব্য জোর করছে, তাই সে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু বিবাহিত জীবনে শরীরের ভূমিকা আর কতটুকু? সুতরাং দিব্য নিজের অতৃপ্তি নিজের মনেই গােপন রেখে ছিলেন। তাঁর আশা সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।…….

……….দিব্য ঢুকে এলেন বাড়িতে। পেছন থেকে কাবেরীকে জড়িয়ে ধরলেন। তার দুই স্তনে হাত দিলেন। কাবেরীর ঘাড়ে চুমু খেলেন। কাবেরী যেন একটু বিরক্ত হল।এখন ওসব থাক। আগে কিছু খাওয়াদাওয়া করাে?………

……… এই পর্ণা বেরিয়ে আয় না? আমার বরের সঙ্গে আলাপ করে যা। ঘর থেকে যে বেরিয়ে এল, সে বেশ দীর্ঘাঙ্গী, ফরসা, চুল ছােট করে ছাঁটা, পরনে একটা নাইটি। নাইটির স্বচ্ছতায় বুকদুটো যেন বড় দৃশ্যমান। দিব্যর অস্বস্তি হচ্ছিল। তিনি চোখ ফিরিয়ে নিলেন।……….

………..দেখলেন, বিছানা প্রস্তুত; কিন্তু কাবেরী সােফার ওপর বসে আছে। দিব্য বিছানায় শুয়ে কাবেরীকে ডাকলেন। গভীর আবেগে তাকে চুমু খেলেন। কাবেরীর পুরুষ্ট স্তনদুটো হাত দিয়ে খেলতে লাগলেন। কাবেরী বলল—তুমি আজ খুব টায়ার্ড। আজ আর ওসব করতে হবে না। বরং একটু ঘুমিয়ে নাও। আমি তােমার কপালে এমন হাত বুলিয়ে দিচ্ছি, তােমার ঘুম এসে যাবে। দিব্য কাতর গলায় বললেন কতদিন তােমাকে পাইনি। আজ যে খুব ইচ্ছে করছে…

কাবেরী বলল—বােকা ছেলে…বুড়াে খােকা। একটু ঘুমিয়ে নাও। ভােরের দিকে আমাকে যত পারাে আদর কোরাে। জানাে তাে ভােরে ওসব করতে খুব আরাম হয়।……….

………..ঘরে বিছানায় যেন একটা তুমুল যুদ্ধ চলছে! ভয়ংকর এক যুদ্ধ। তাহলে কি কাবেরী আর পর্ণা বিছানায়…? দিব্য ভেতরে-ভেতরে ভীষণ উত্তেজিত বােধ করছিলেন। তার হাত কাঁপছিল। তিনি হঠাৎ আলাের সুইচটা টিপে দিলেন। ঘরময় আলাে! আর সেই ঝকঝকে আলােতে দিব্য দেখলেন…কী দেখলেন? দেখলেন বিছানায় কাবেরী আর পর্ণা পাশাপাশি শুয়ে আছে। তাদের শরীরে একচুল সুতাে নেই। দুজনেই সম্পূর্ণ নগ্ন। পর্ণা কাবেরীর যােনিতে মুখ ডুবিয়ে দিয়েছে। আর কাবেরী চরম-আশ্লেষে টেনে ধরেছে পর্ণার দুই স্তন। দুজনেই মনে হয় এই পৃথিবীতে আর নেই; অদের মগ্ন চৈতন্য এখন ভাসছে অন্য লােকে, অন্য কোনও বিপজ্জনক অন্ধকারে। কিন্তু আলাে জ্বলে উঠতেই ওরা ছিটকে পরস্পরের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। কাবেরী জ্বলন্ত চোখে তাকাল হতবাক দিব্যর দিকে।…………

………রাগে, দুঃখে কাদতে ইচ্ছে করছিল সৃঞ্জয়ীর। সে প্রাণপণে নিজেকে ছাড়াতে চাইছিল। কিন্তু আদিত্যর শরীরে যেন অসুরের শক্তি! তার সঙ্গে পেরে উঠছিল না সৃঞ্জয়ী। তার শরীরের নানা বিপজ্জনক জায়গায় হাত দিচ্ছিল আদিত্য। সুগােল দুই স্তনে এমনভাবে ছােবল মারছিল যেন বৃন্ত থেকে ফল টেনে ছিডে নেবে। সৃঞ্জয়ীর ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে ক্রমশ তাকে বিছানার দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। তার সালােয়ারের দড়ির গিট খুলতে চাইছিল। দানবের মতাে লাগছিল আদিত্যকে। কিন্তু অত সহজে সৃঞ্জয়ীকে কাবু করা সম্ভব নয়। সে তার শরীরের সমস্ত শক্তি জড়াে করে ঠেলে দিল আদিত্যকে; তারপর ঠা-ঠাস্ করে দুটো চড় মেরেছিল তার গালে। এক ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে বাইরে এসেছিল।………

………সৃঞ্জয়ীর জিভে বিষ আছে—আগুন! দিব্য এতদিন যেন কুঁকড়ে ছিলেন। এবার তিনিও জেগে উঠছেন। তার শরীর, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জেগে উঠছে। দিব্য মৃদু এবং কোমলভাবে সৃঞ্জয়ীর টপ খুলে ফেললেন। সৃঞ্জয়ী বাধা দিল না। সে আরও নিবিড়ভাবে দিব্যকে জড়িয়ে ধরল। সৃঞ্জয়ীর ব্রা-এর ফিতে খুলে দিলেন দিব্য। আহ, কী সুন্দর দুটো স্তন সৃঞ্জয়ীর! অজন্তা, ইলােরা বা কোনারকের গায়ে আঁকা পাথরের নর্তকীর স্তন তাে এরকমই সুডৌল, কঠিন, পুরুষ্ট রসালাে। দুটো বৃন্ত যেন রসালাে লিচুর দুটো বিচি। সৃঞ্জয়ী তার দু-হাত ওপরে তুলল। দিব্য ইঙ্গিত বুঝলেন। তিনি সৃঞ্জয়ীর বগলে নিজের মুখ ডুবিয়ে দিলেন। অদ্ভুত সোঁদা গন্ধ নাকে এল। কোমল রােমের স্পর্শ নাকে। আহ, মেয়েদের বগলেও এত কাম সুপ্ত থাকে। এরপর দিব্যকে যেন কিছু করতে হচ্ছে না। সৃঞ্জয়ীই তাঁকে পরিচালিত করছে। দিব্যর মাথাটা ধরে সে নিজের দুই উত্তুঙ্গ স্তনের দিকে নিয়ে এল। দিব্য স্তনবৃন্তে ঠোট ছোঁয়ালেন। শিশু যেমন মায়ের স্তনবৃন্ত কামড়ে ধরে সেভাবে দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরলেন। সৃঞ্জয়ী শিউরে শিউরে উঠছিল আর তার মুখ দিয়ে আশ্লেষের, আরামের আওয়াজ বের হচ্ছিল। দিব্যর ঠোট স্তন থেকে নাভিতে তারপর তলপেট। আহ, সৃঞ্জয়ীর তলপেট যেন কোনও মাগরের মসৃণ বেলাভূমি। কী কোমল, কী তপ্ত, কামজ্বরে পুড়ে যাচ্ছে! এরপর? এরপর দিব্য সৃঞ্জয়ীর ট্রাউজার খুললেন, গােলাপি রং-এর প্যান্টি খুললেন। সৃঞ্জয়ী বসে নেই। সে পাথর থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। চাদের আলাে পড়েছে তার চুলে, তার পিঠে, তার স্তনচূড়ায়। যেন অজস্র কালাে পিপড়ে দিয়ে তৈরি ত্রিভুজাকৃতি যােনিদেশ। যা হয়তাে পৃথিবীর নবম আশ্চর্য! তাই কী? হয়তাে তাই। যে-কোনও যুবতী নারীর যােনিপ্রদেশে লুকোনাে থাকে পৃথিবীর নবম আশ্চর্য! দিব্য এখন সিংহের মতাে বলশালী। তিনি দণ্ডায়মাণ সৃঞ্জয়ীর যােনিদেশে নিজের মাথা ডুবিয়ে দিলেন। যেন কোনও এক অজানা অরণ্যের মধ্যে প্রবেশ করেছেন তিনি। যেখানে কোনওদিন রােদ ঢােকে না। তাই এত তীব্র বনজ গন্ধ, শ্যাওলার গন্ধ, যােনিমুখ সজল; ও কি গােপন ঝরনার চুঁইয়ে পড়া জল? দিব্য জিভ দিয়ে চাটতে লাগলেন। পৃথিবীর আদিম নারী ইভের মতাে লাগছে এখন সৃঞ্জয়ীকে। সে মুখ দিয়ে অস্ফুট সব। আর্তনাদ করছে আর দিব্যর মাথার চুল দুই হাতে প্রাণপণে টেনে ধরেছে। যেন দিব্যর মাথার সব চুল সে উপড়ে নেবে। দিব্য কিন্তু কোনও যন্ত্রণা অনুভব করছেন না। তিনি ক্রমশ সেঁদিয়ে যাচ্ছেন অরণ্যের অন্দরে, আরও অন্দরে। হঠাৎ সৃঞ্জয়ী যেন হিংস্র হয়ে উঠল।

সে দিব্যকে দুই হাতে টেনে তুলে দাঁড় করাল। টান মেরে দিব্যর বেল্টের ফাঁস খুলে দিল। দিব্যর ট্রাউজার খসে পড়ল মাটিতে। দিব্যর অন্তর্বাস টান মেরে নামিয়ে দিল সৃঞ্জয়ী। দিব্যর প্রকৃত পুরুষালি লিঙ্গ, লােহার মতাে শক্ত এবং দীর্ঘ, হঠাৎ যেন তীক্ষ্ণ ভােজালির মতাে লকলক করে উঠল সৃঞ্জয়ীর চোখের সামনে। দুই হাত দিয়ে পাগলের মতাে সেই গােপন অঙ্গকে আদর করতে লাগল সৃঞ্জয়ী। | তারপর নির্দ্বিধায় মুখে পুরে দিল। দিব্য দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছিল পড়ে যাবেন। তাঁর শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠেছে। অভূতপূর্ব শারীরিক আনন্দে কেঁপে-কেঁপে উঠছেন তিনি। তারপর একসময় প্রবল ঢেউয়ের মতাে ফুলে উঠলেন এবং ঢেউয়ের মতােই | চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ভেঙে পড়লেন। তারপর দুজনে ঘাসজমিতেই নগ্ন হয়ে বহুক্ষণ শুয়ে রইলেন। চাঁদের আলাে দুটো ভাস্কর্যের মতাে শরীরের ওপর স্থির হয়ে রইল। প্রকৃতি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইল সেই অপরূপ নগ্নতার দিকে। একসময় সংবিৎ ফিরল দিব্যর। তিনি পােশাক পরে নিলেন।………

………..সৃঞ্জয়ী ফিসফিস করে বলল—একটা চুমুতে হবে না। আমাকে আরও আদর করাে দিব্য। আমাকে তােমার কোলে বসতে দেবে?

এখন দিব্য চেয়ারে বসেছেন। আর তার দুই সবল জানুর ওপর চেপে বসেছে সৃঞ্জয়ী। সে আজ শাড়ি-জামা পরে এসেছে। তিন পেগ মদ পরপর খেয়ে তার মাথা ঝিমঝিম করছে। সে নিজের হাতে পটপট করে ব্লাউজের বােতাম খুলল। পিঠের পেছনে হাত দিয়ে গিয়ে ব্রেসিয়ারের ফিতে আলগা করল। তারপর নিজেই পাগলের মতাে এক হাত দিয়ে একটা বাতাবি লেবুর মতাে গােল এবং নিটোল স্তন টেনে হিঁচড়ে বের করে এনে দিব্যর মুখটা টেনে নামিয়ে বলল—খাও-খাও, আমার জ্বালা মেটাও। শৰ্বরের আগুনে আমি দিনরাত ছটফট করি। দিব্য দাঁত দিয়ে স্তনবৃন্তে মৃদু কামড় দিচ্ছিলেন। আর সৃঞ্জয়ী শিউরে-শিউরে উঠছিল। সে জিভ দিয়ে দিব্যর ঘাড় চাটতে লাগল, তাঁর চওড়া-বুকের রােমরাজিতে মাথা ডুবিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে চাইল। দিব্যর মনে হচ্ছিল, তিনি সৃঞ্জয়ীকে ছাদে শুইয়ে দেন, তাকে ধীরে ধীরে নগ্ন করেন, তারপর তার লৌহদন্ডের মতাে বিশাল লিঙ্গ নিয়ে সৃজয়ীর শরীরের পিচ্ছিল সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেন। কিন্তু নাহ, শরীর নয়, দিব্য ভালােবাসাকেই প্রাধান্য দিতে চান। তিনি সৃঞ্জয়ীর কানে কানে বললেন–শান্ত হও,……….

………চেষ্টা ব্যর্থ জেনেও সৃঞ্জয়ী ছুটে পালাতে চাইল সামনের দিকে। কিন্তু একসঙ্গে পাঁচ-ছজন তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ল। তাকে কাঁধের ওপর তুলে নিল। একজন তার একটা স্তন খামচে ধরে বলল-“আহ মালটা একবারে ডাঁশা মাইরি!..

…….তার শাগরেদরা এক-এক করে সৃঞ্জয়ীকে নিরাবরণ করছে। প্রথমে সেই সাদা টপ, তারপর স্তনের ওপর এঁটে বসে থাকা ব্রা খুলে নিল তারা। সৃঞ্জয়ী লজ্জায়, হতাশায় চোখ বুজিয়ে ফেলল। তারপর ট্রাউজার টেনে হিঁচড়ে খুলে নিল তারা। এরপর প্যান্টি। সম্পূর্ণ নগ্ন সৃঞ্জয়ীকে দেখে বৈকুণ্ঠ যেন অসুরের মতাে ভীষণ হয়ে উঠল। সে তার লুঙ্গি টেনে খুলে ফেলল। তারপর ঝাপিয়ে পড়ল সৃঞ্জয়ীর শরীরের ওপর। সৃঞ্জয়ী আবার একদলা থুতু ছিটোল বৈকুণ্ঠের চোখে আর মুখে। এতে বৈকুণ্ঠ মেঘের মতাে গর্জন করে উঠল। এবং সৃঞ্জয়ীর মাথাটা জোরে ঠুকে দিল সিমেন্টের মেঝেতে। প্রবল যন্ত্রণায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলল সৃঞ্জয়ী। তারপর আর কিছু মনে নেই। তার।………

Leave a Reply