অনুবাদঃ মণীন্দ্র দত্ত
…..পুরুষ ও নারীর ভালবাসায় এমন একটা মুহূর্ত আসে যখন সে ভালবাসা। | চরমে ওঠে-যখন সে ভালবাসা হয়ে ওঠে চেতনাহীন, বিবেচনাহীন ও ইন্দ্রিয়ানুভূতির স্পর্শহীন। সেই ঈস্টারের রাতে সেই মুহূর্তটি এসেছে নেখয়ুদভের জীবনে। কাতয়ুশার কথা মনে হওয়া মাত্রই সব কিছু যেন ঢাকা পড়ে যায় : চকচকে কালাে মাথাটি, সুন্দর কুমারী দেহকে ঘিরে থাকা চুনট-করা সাদা আটোসাটো পােষাকটি, তার অনুদ্ধত বুক, লজ্জারুণ গাল দুটি, নরম উজ্জলতামাখা দুটি কালাে চোখ, এবং তার সমস্ত সত্তাকে জুড়ে থাকা দুটি বিশেষ গুণ, পবিত্রতা ও অকলংক ভালবাসা—যে ভালবাসা শুধু তার জন্য নয় (তা সে জানে), সকলের জন্য এবং সব কিছুর জন্য, শুধু তার জন্য নয়, সংসারে যা কিছু আছে সকলেরই জন্য, এমন কি যে ভিক্ষুকটিকে সে এই মাত্র চুম্বন করেছে তার জন্যও।……….
…….পাঁচ হাজার রুবল ব্যয়ে একজন বিখ্যাত শিল্পীকে দিয়ে ছবিখানি আঁকানাে হয়েছিল। নীচু-গলা কাল ভেলভেটের পােষাকে তাকে আঁকা হয়েছে । শিল্পী বিশেষ যত্ন করে দুটি স্তন, তাদের ভিতরকার ফাকটা এবং উজ্জ্বল সুন্দর কাধ ও গলা একেছে। ছবিটা পুরােপুরি রুচিবিগর্হিত ও ভয়ংকর। ……..
……‘আঃ, কী ভয়ংকর! ঐ অর্ধ-নগ্ন নারী, তার শ্বেতপাথরের মত কাধ ও গলা, ঠোটের উপরকার বিজয়িনীর হাসি,-সব কিছুর দিকে তাকিয়ে নিজের মনেই সে কথাগুলি বলল। ঐ ছবির আধ-খােলা বুক আরেকটি যুবতীর কথা তাকে মনে করিয়ে দিল, কয়েকদিন আগে ঐ একই ভাবে বুক-খােলা অবস্থায় সে তাকে দেখেছে। সে মিসি। বল-নাচে যাবার জন্য তৈরি হয়ে নিজেকে ঐ বলনাচের সাজে দেখাবার জন্যই একটা মিথ্যা অজুহাতে সে তাকে তারই ঘরে ডেকে পাঠিয়েছিল। বিরক্তির সঙ্গেই তার সুন্দর কঁধ ও বাহুর কথা মে স্মরণ করল।………