………….বড় হয়েও, স্লিভলেস জামা পরলে বাবা মায়ের উপর রাগারাগি করত, “পাড়ার মধ্যে দিয়ে এই পােশাক পরে তােমার মেয়ে যায় কী করে? বগল বের করে হাঁটতে লজ্জা করে না?”…….
…….যতদিন যাচ্ছে শ্রীজিতা বুঝতে পারছে, পবিত্র জীবন বলে আসলে কিছু হয় না। জীবনকে ভােগ করাটাও একটা যােগ্যতা। এখন শরীর দিয়ে পুরুষকে মােহাচ্ছন্ন করতে, কাজ আদায় করে নিতে, এমনকী অতৃপ্ত যৌন তেষ্টা মেটাতেও তার মনে কোনও দ্বিধা হয় না। এটাকে সে প্রয়ােজন বলে মনে করে। অরণির মতাে পুরুষের সঙ্গে সে যখন বিছানায় যায়, তখন অরণি শুধু তার শরীর পায় না, সে-ও অরণির শরীর পায়। সন্তানের জন্ম দিলেও, তার স্বামীর কাছ থেকে যে শরীর সে পায়নি।……..
…….বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছনাের পর শ্রীজিতাকে কাছে টেনে নিয়েছিল ষাট বছরের নিঝর মল্লিক। ঠোট চেপে ধরেছিল ঠোঁটে। অনভ্যস্ত, বাজে ধরনের চুমু। আদরের ভানটুকুও নেই, শুধুই কাম। তাও বেশি বয়েসের দাঁতহীন কামড়। শ্রীজিতা বাধা দেয়নি। উলটে আরও একটু সুযােগ দিয়েছিল। তার একটা হাত তুলে নিজের বাঁ দিকের বুকের উপর রেখে… পােশাকের উপর দিয়েই রেখেছিল। এই লােকের বেশি সাহস নেই। ক্ষমতাও নেই।…….
………হলুদ আলাের সঙ্গে নাইটির রং মিশে যাওয়ার জন্য শ্রীজিতাকে দেখাচ্ছিল নগ্ন। শ্রীজিতা রূপসি। সাধারণ রূপসি নয়, তার চেয়ে বেশি। ফর্সা রং, টিকোলাে চোখমুখ। নিয়মিত চর্চা করে শরীরকে রেখেছে। মেদহীন ঝরঝরে। মেয়ে হওয়ার কারণে পেট ও বুকের শেপ যেটুকু এলােমেলাে হয়েছিল, তাকে দ্রুত নিজের জায়গায় ফিরিয়ে এনেছিল। শরীরের এই দুই অংশেই শ্রীজিতা আকর্ষণীয়। ………
……অরণি বিছানায় শুইয়ে শ্রীজিতাকে নগ্ন করছিল একটু-একটু করে, পরম যত্নে। যেন তার রূপে অল্প অল্প চুমুক দিচ্ছিল। শিহরনে, ভাল লাগায় শ্রীজিতা কেঁপে কেঁপে ওঠে। জীবনে এই প্রথম কোনও পুরুষ তার শরীর এত সুন্দরভাবে দেখছে।
এক সময়ে নগ্ন শ্রীজিতা অরণির চুলের মুঠো ধরে ফিসফিস করে বলেছিল, “সব নয়, প্লিজ সব নয়।” অরণি শােনেনি। সম্পূর্ণ নগ্ন করে বলেছিল, “তুমি ভীষণ সুন্দর…”……
…….শ্রীজিতা দাঁতে দাঁত চেপে বলেছিল, “আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে । তুমি আমার কাপড় খুলে দাও। তারপর আমাকে দেখাে ভাল করে। দেখে বলাে, তােমার বউ সুন্দরী কি না! তার শরীর পেতে তােমার ইচ্ছে করে কি না!”
এত রাগারাগি, এত আহ্বানেও বিধান গড়িমসি করত। পায়ের কাছে গুটিয়ে থাকা চাদর টানতে চাইত। কোনও-কোনওদিন এমনও হয়েছে, এই সব সময় শ্রীজিতা নিজেকে আর সামলাতে পারেনি। ফুঁসে উঠেছে। বিছানার উপর হাঁটু গেড়ে বসেছে। নাইটি খুলে ফেলে দিয়েছে ছুড়ে। হাত দু’পাশে ছড়িয়ে বলত, “এবার বলাে, এবার আমার এই শরীরটা পেতে ইচ্ছে করছে না তােমার? আমার বুক দুটো দেখাে। আমার পেট দেখাে, কোমর দেখাে, দেখাে আমার এই পা দুটো। ভাল নয়? মনে হয় না, কেড়ে নিই?” | এই সময়ে বিধান তাড়াতাড়ি উঠে তার হাত ধরে নিজের উপর টেনে নিত শ্রীজিতাকে। আদরে নয়, কথা থামানাের জন্য। স্বামীর বুকের উপর শুয়ে পড়েও শ্রীজিতা বুঝতে পারত কোথাও একটা ফাঁক রয়ে যাচ্ছে। …………
……….শ্রীজিতা তৈরি হল। ওয়ার্ডরােব খুলে বেছে নিল লং শ্রাগ। উজ্জ্বল হলুদ রঙের শ্যাগে লম্বা স্ট্রাইপ। স্লিটেড স্লিভস। অন্তর্বাস বাছল মন দিয়ে। অরণি এই ব্যাপারে নাকউঁচু। সে বলে, “বাঙালি মেয়েরা জারির মাহাত্ম্য বুঝতে শেখেনি। অন্তর্বাস সৌন্দর্যকে শার্প আর ম্যাচিওর করে।”
পােশাক খােলার পর যা হােক গােছের ব্রা-প্যান্টি দেখলে অরণি | ভুরু কোঁচকায়। শ্রীজিতা ফিসফিস করে বলে, “এসব আর কতক্ষণ?”
অরণি বলে, “এটাই তাে ভুল করাে। কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও | ওগুলাে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা যেন তােমার মতাে সুন্দরীর জন্য উপযুক্ত……শ্রীজিতা উঠে অরণির পাশে বসল। নিজের ও অরণির পােশাক খুলতে-খুলতে বলল, “না, কোথাও যাব না।”
অনেকটা সময় ধরে সােফায় বসেই নগ্ন শ্রীজিতা আদর করল নগ্ন অরণিকে। জেগে থাকা শরীরকে খেপিয়ে তুলল। নিজেও খেপে উঠল। একসময়ে শ্রীজিতাকে কোলে তুলে অরণি নিয়ে গেল বিছানায়। শিহরনে, আশ্লেষে কেঁপে-কেঁপে উঠল শ্রীজিতা। মৈথুনের চরম মুহুর্তে অরণির শরীরের সঙ্গে মিশে যেতে-যেতে সে ভাবল, এই রতিক্রীড়ায় একটুও কি ভালবাসা আছে? না, নেই। শরীরের ভাললাগা ছাড়া সব ফাঁকা।..…….অরণির নগ্ন বুকে হাত রেখে শ্রীজিতা বলে, “আমার ভাল হবে। …….অরণি টানটান হয়ে দাঁড়ানাে শ্রীজিতার দিকে তাকিয়েছিল। নগ্ন শ্রীজিতা হাতের জামাটা দিয়ে শরীরের সামনের একটু অংশ শুধু ঢেকে রেখেছে। সে কি আবার অরণিকে প্রলুব্ধ করছে?
“অ্যাই, ড্যাবড্যাব করে কী দেখছ?”
অরণি শুয়েই-শুয়েই হাত বাড়াল। শ্রীজিতা জামা দিয়ে শরীরের আর একটু অংশ ঢাকার অভিনয় করে। তাতে সে আর একটু উন্মুক্ত হয় যেন। চোখ পাকিয়ে বলেছিল, “ইস্ আর নয়।”……….