অনুবাদঃ সৌম্য ঘােষ
…..যে সব রমণী আমার জীবনে এসেছে, তাদের মধ্যে অ্যান্টিওপি আমাকে প্রায় ধরে ফেলেছিল। সে ছিল আমাজন্ রমণীরাজ্যের রাণী এবং তার অন্য প্রজাদের মত তার বুকে একটি মাত্র স্তন ছিল। ছােটাছুটি এবং কুস্তিতে দক্ষ এই রমণীর মাংসপেশীগুলাে ছিল আমাদের অ্যাথলিটদের মতই কঠিন। আমি ওর মােকাবিলা করেছিলাম খালি হাতে। আমার হাতে বাঁধা পড়ে চিতাবাঘের মত ফুঁসছিল। অস্ত্র কেড়ে নেওয়ায় ও দাঁত নখ দিয়ে লড়ছিল। আমি হাসছিলাম বলে এবং আমাকে না ভালােবেসে ওর উপায় ছিল না বলে ও রেগে গিয়েছিল। সত্যিকারের কুমারী মেয়ে এই একবারই পেয়েছি।….
….বিদেশী ক্রীটবাসীদের অদ্ভুত দেখাচ্ছিল। অ্যামফিথিয়েটার-এর গ্যালারীতে জায়গা না থাকায় ওরা প্রবেশপথে এবং সিঁড়িতে ধাক্কাধাক্কি করছিল। ওদের অধিকাংশ মেয়েরই বুক খােলা। কেউ হাল্কা ধরণের বডিস পরেছে বুকে। সেই বডিসেরও আবার এমনই কার্টিং, যা লজ্জা ঢাকার পক্ষে যথেষ্ট নয়। অর্থাৎ বডিস পরলেও দুই স্তনের সবটাই দেখা যাচ্ছে। পুরুষদের মধ্যে মেয়েদেরও কোমর ও পাছায় আঁটসাঁট বেল্ট ও কর্সলেট।…..
….আমাকে দেখেই ছুটে এল অ্যারিয়্যাডনী এবং কোনাে কথা বলে তার তপ্ত ঠোটদুটো আমার ঠোটে চেপে ধরলাে যে আর একটু হলে আমরা দুজনেই উল্টে পড়তাম।….‘আমার পেছনে পেছনে এসাে। অবশ্য কেউ আমাদের দেখে ফেললেও কিছু যায় আসে না, তবে গাছের ছায়ায় আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারবাে। অ্যারিয়্যাডনী বললাে বাগানের যে দিকে পাতার ভিড়, যেখানে বড় বড় গাছগুলাে চাদকে আড়াল করলেও সমুদ্রের বুকে চাঁদের প্রতিফলন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, আমাকে সেখানে নিয়ে যায় আমার সঙ্গিনী। সে এর মধ্যেই তার পােষাক বদলে ফেলেছে। এখন তার পরনে ঘাঘরা প্যাটার্ণ স্কার্ট আর আঁটসাঁট উর্ধ্বাবরনীর বদলে হাল্কা ঢিলে পােষাক, যার আড়ালে সে সম্পূর্ণ নগ্ন।….