জীবাণু – রূপক সাহা

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……প্রায় তিন মাস রিঙ্কির সঙ্গে দেখা হয়নি। ওর গায়ের গন্ধ নিইনি। চুমুতে চুমুতে ওর ঠোট লাল করে দিইনি! দেব কী করে? আমি তাে কলকাতাতেই ছিলাম না। ক্রিসমাসের আগে বাড়ি ফিরে এসেছি। রিঙ্কিকে কাছে পাওয়ার জন্য সারা শরীর আর মন উন্মুখ হয়ে আছে।…..

….আড়চোখে দেখলাম, মমতাজ টাইট সালােয়ার কামিজ পরে নাচছে। গাছের আড়াল থেকে ঝট করে বেরিয়ে এসে মমতাজকে বুকে জড়িয়ে ধরল রাজেশ খন্না, সঙ্গে-সঙ্গে আমার চোখের সামনে অন্য একটা দৃশ্য ভেসে উঠল। রিঙ্কিকে পৌঁছে দিয়ে কঙ্কণা বেরিয়ে গেছে। এক মুহূর্তও নষ্ট না করে রিঙ্কিকে আমি বুকে জড়িয়ে ধরলাম। ‘আহ, কতদিন কোনও মেয়েকে জড়িয়ে ধরিনি! গত তিন মাস ভুবনেশ্বরে এমন একটা হােটেলে ছিলাম, যা একদম বিজনেস সেন্টারে। একটা সেক্সি মেয়ে পর্যন্ত চোখে পড়েনি।…..

……অবশ্য বিঙ্কিকে পটানাে আমার খুব সহজ হয়নি। যেদিন প্রথমে ওকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম, সেদিন ওর কী রাগ। সেই রাগটা কেটেছে আমার বাক্যবাণ আর হাতের গুণে। ওর শরীরের উপর এখন আমার হাত ইচ্ছেমতাে খেলা করে। বাধা তে ও দেয়ই না, উল্টে আমার সুবিধে করে দেয়।……

……..এর আগে কোনওদিন বিঙ্কির্কে আমার বেডরুমে নিয়ে আসিনি। ঘরে ঢুকেই ও টান টান হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল। তার পর হাই তুলে বলল,খুব টায়ার্ড লাগছে গো। এই কয়েক দিন আগে ক্রিসমাস গেল। অথচ কী গরম দ্যাখো।” মাথার উপর ফুল স্পিডে পাখা ঘুরছে। তবুও শরীরে তাপ অনুভব করলাম রিঙ্কির শােয়ার ভঙ্গিটা দেখে। বুক থেকে ওড়না সরে গেছে। গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকা সালােয়ার কামিজ। স্পষ্টই বােঝা যাচ্ছে ওর কোমর আর তলপেটে কোনও মেদ নেই। পা দুটো টান টান করে দু’পাশে ছড়ানাে। বুক থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত একবার চোখ বােলাতেই সারা শরীর শিরশির করে উঠল। তবুও নিজেকে দমিয়ে রাখলাম। অনেক সময় আছে। তিন মাসের খিদে কয়েক মুহুর্তে মিটিয়ে ফেলা উচিত হবে না। বললাম, “তুমি রেস্ট নাও রিঙ্কি। আমি ততক্ষণে স্নান করে আসি।”

শুনে ঝট করে উঠে বসে রিঙ্গি বলল, “এই, আমারও মন করতে ইচ্ছে করছে গাে।
“তা হলে তুমি আগে যাও।”
“তোমার বাথরুমটা কোথায়?”
“এই তো অ্যাটাচড।” হাত বাড়িয়ে দরজাটা খুলে দিলাম। তার পর বাথরুমের ভেতরে ঢুকে বললাম, “এসো, লেডিস ফাস্ট।

বাথরুমে ঢুকে রিক্তি বলে উঠল, “ওয়াও। লাভলি। এত সুন্দর বাথটব! সত্যি মনে মনে এতদিন আমি এই রকমই একটা বাথরুমের স্বপ্ন দেখতাম।” কথাটা বলেই রিঙ্কি আমাকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খেল।

নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না। বাথরুমের দরজাটা পা দিয়ে ঠেলে বন্ধ করে ওকে কাছে টেনে আনলাম। তার পর ওর ঠোট একবার চুষে নিয়ে ফিসফিস করে বললাম, “এই, একসঙ্গে স্নান করবে রিঙ্কি?”

ওই একটা চুমুতেই রিঙ্কির শরির শিথিল হয়ে গেল। আমাকে আকড়ে ধরে বলল, নর্ট এ ব্যাড আইডিয়া। কিন্তু তোমার গীতা মাসি?”

“ওকে নিয়ে ভেবো না। আমাদের ডিসটার্ব করবে না।”

নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দ্রুত হাতে রিঙ্কি সালােয়ারটা খুলে ফেলল। তার পর কামিজ। ওর পরনে শুধু টু পিস। দু’ পা পিছনে গিয়ে মডেলদের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রিঙ্কি বলল, “কেমন লাগছে গাে আমাকে?”

“ওয়ান্ডারফুল।”
“বিপাশা বসুর মতাে? না তার চেয়ে বেটার?”

বিপাশা বসুকে কোনওদিন এই পোশাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। কী করে বলব, রিঙ্কি বেটার কি না ? তবুও ওর মন রাখার জন্য বললাম, “ফার বেটার।”

পিছনে হাত দিয়ে এ বার ব্রা-টা খুলে ফেলল রিঙ্কি। ওর দুটো স্তন উন্মুক্ত। ওকে দাঁড়ানাে অবস্থায় এ ভাবে কোনওদিন দেখিনি। এখন মনে হচ্ছে, সত্যিই মডেলিং করলে ওকে ফেলে দেওয়া যাবে না। ওই অবস্থায় ক্যাট ওয়াক করে রিঙ্কি আমার সামনে এল। মুখে রহস্যময় হাসি। কিছুক্ষণ আগে থানায় বসে থাকা মেয়েটার সঙ্গে এই রিঙ্কিকে আমি মেলাতে পারলাম না। অর্ধনগ্ন রিঙ্কি আরও বেশি সুন্দর। কেন যে মেয়েরা অর্থহীন সারা শরীরকে মােড়কে ঢেকে রাখে, বােঝা মুশকিল।

হাত বাড়িয়ে ওকে কাছে টানার চেষ্টা করতেই রিঙ্কি দ্রুত পিছনে ঘুরে গেল। তার পর ওইভাবে ক্যাটওয়াক করতে করতেই একটু দূরে গিয়ে দাঁড়াল। বাথটাবের উল্টোদিকে একটা বড় আয়না আছে। রিঙ্কির শরীরের দুদিকটাই আমি দেখতে পাচ্ছি। হাঁটার সময় ওর নিতম্বটা দুলছিল। সেদিকে চোখ যেতেই আমি দ্রুত হাতে জামা আর ইউজার্সটা খুলে ফেললাম। রিঙ্কির মুখে সেই হাসিটা এখনও লেগে আছে। চুম্বকের মতো আমাকে টানছে ওর দুঠোদুটি। উদগ্র কামনায় দু’পা এগিয়ে ওকে আমি জড়িয়ে ধরলাম। তার পর চুমুতে চুমুতে ওর শরীর ভরিয়ে দিতে লাগলাম। দুজনেরই শরীরের উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। ওর শীৎকার ধ্বনি আমাকে আরও উত্তেজিত করে তুলল।

দুজনের একসঙ্গে স্নান করার কথা। হাত বাড়িয়ে তাই শাওয়ারটা আমি খুলে দিলাম। বৃষ্টির ধারার মতাে জল নামতেই রিঙ্কি শিউরে উঠল। তার পর কেমন যেন গােঙানির মতাে করে বলল, “আই লাভ ইউ শুভ। ” বললাম, “আই লাভ ইউ টু।”

আমার বুকের সঙ্গে লেপ্টে আছে ওর দুটো স্তন। বুকের খাঁজে জল নেমে যাচ্ছে নীচের দিকে। এক টানে ওর শরীরের বাকি অংশটাকে নগ্ন করে দিলাম। তার পর ওকে আনার দিকে ঘুরিয়ে বললাম, “খুব সুন্দর লাগছে তােমাকে রিস্কি।”

ওর বুকের উপর আমার হাত খেলা করছে। বাথরুমের জ্যোৎস্না রঙের আলােতে ওকে পলী বলে মনে হচ্ছে। শাওয়ারের জলে ওর সব অপরাধ যেন ধুয়ে গেল। অদ্ভুত এক পবিত্রতা এখন ওর মানসিগ্ধ খে। দেখলাম, আয়না নিজের দিকে একবার তাকিয়েই দুহাতে মুখ ঢেকে ফেলল রিঙ্গি। তারপর পুরাে শরীর ঘুরিয়ে আমার বুকে মুখ রেখে বলল, “ইস, তোমার কাছে আমার কোনও কিছু আর লুকোনাে রইল না গাে।………..

………বাথরুমে ঢুকতেই কাল রাতের কথা মনে পড়ে গেল। ঠিক যে জায়গাটায় দাড়িয়ে, বিঙ্কি আমাকে বলেছিল, আমার আর কোনও কিছুই তােমার কাছে গোপন রইল না সেখানে এসে দাঁড়ালাম। আয়নায় ওর পুরাে নগ্ন শরীরটা এখন দেখা যাচ্ছিল। চোখ বুজে রিঙ্কিকে ফের দেখার চেষ্টা করলাম। ওই কথাটা ওর মুখে শােনার পরই ফুল সাইজ একটা তোয়ালে দিয়ে ওর শরীরটা মুড়ে দিয়েছিলাম। তার পর পাঁজকোলা করে ওকে তুলে এনেছিলাম আমার বিছানায়। অনেকটাই সময় লেগেছিল ওকে পরিতৃপ্ত করতে। সম্ভোগের  ক্লান্ত হয়ে যখন আমি শুয়ে পড়েছিলাম, তখন রিঙ্কি আমার কানের কাছে মুখ এনে বলছিল, “আই লাভ ইউ শুভ্র, এক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার।…….

…..কথাগুলো মনে করতেই আমার ইন্দ্রিয়গুলাে ফের জাগতে শুরু করল। সত্যি কথা বলতে কী রিঙ্কি আমার জীবনে প্রথম মেয়ে নয়। মেয়েদের শরীর সম্পর্কে আমার হাতে খড়ি লাভলি মারফত। গীতামাসির ভাইঝি। আমি কলেজে পড়ার সময় ও রােজই আমাদের বাড়িতে আসত। টুকটাক ফাইফরমাশ খাটত। পনেরাে-ষােলাে বছর বয়স। একটু আগে আগেই ওর শরীরে যৌবন এসে গেছিল। আঁটোসাটো ফ্রকে ওর ভারী দুটো স্তন আটকাতে চাইত না। ইংরাজিতে জীবন যৌবন মার্কা বইটই পড়ে, কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে ব্লু ফিল্মের ক্যাসেট দেখে আমার তখন অদম্য কৌতূহল মেয়েদের শরীর নিয়ে।

লাভলি আমার টোপে পা দিয়েছিল। কখনও সখনও বাড়ি ফৗকা পেলে ওর শরীর থেকে আমি সেই কৌতূহল মিটিয়ে নিতাম। প্রথমে আমার আগ্রহটাই ছিল বেশি। পরে লাভলিও সুযােগের অপেক্ষায় থাকত। নানা ছুতোয় আমার কাছে ঘুরঘুর করত। আমি বাঙ্গালাের যাওয়ার কিছুদিন আগে হঠাৎ লাভলি আমাদের বাড়ি আসা বন্ধ করে দিল।………

……..এখন যদি আমি উল্টো কথা বলি, ও তাে হাসবেই। ভাবা যায়, প্রায় উনত্রিশ বছর বয়স হতে চলল, স্বপ্নময় কোনও মেয়েকে নিয়ে শােয়নি? একবার বাস থেকে নামার সময় কোন এক মেয়ের স্তন নাকি ওর বুক ছুঁয়ে গেছিল। সেটা নাকি এমন অভিজ্ঞতা, যার জন্য ও দু’রাত্তির ঘুমােতে পারেনি।…….

…….স্বপ্নময় হাঁ করে লাভলির যাওয়া দেখছে। তার পর চোখ ফিরিয়ে আমায় বলল, “শুভ্র, এই সেই মেয়েটা না? আগে তােদের বাড়িতে ফ্রক পরে ঘুরত? ব্রেস্ট দু’টো বড় বড় লাগত। কী নাম যেন রে? এখন তাে দেখে ভদ্রঘরের বলে মনে হচ্ছে।”…….

……..একটু আগে যে মেয়েটাকে দেখে দুই ভাই উত্তেজিত হল, আজ থেকে দু’বছর আগে এক দুপুর বেলায় প্রায় নির্জন বাড়িতে খানিকটা জোর করে তাকে ভােগ করেছিলাম। ওর শরীর নিয়ে খেলা করার সে-ই প্রথম দিন। মেয়েটা ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল। কিন্তু আমাকে বাধা নেয়নি, কোনও কথাও বলেনি। চুপচাপ সহ্য করে গেছিল আমার অত্যাচার।

আমার শরীর থেকে বেরিয়ে আসা নির্যাস যখন ওর উরুর উপর টপটপ করে পড়ছিল, তখন ভয়ে, আতঙ্কে একদৃষ্টিতে ও সেদিকে তাকিয়েছিল। হঠাৎই ওর সেই মুখটা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল। ছাদে চিলেকোঠার ঘরে সেদিন লাভলি আধশােয়া। কয়েক সেকেন্ড পর এক বার ওয়াক করে উঠেছিল। হয়তো ওর গা গুলিয়ে উঠেছিল ঘন তরল সেই পদার্থের স্পর্শে। আমি এখন পায়জামায় দড়ি লাগানোেয় বাস্ত। পাছে ও বমি করে ফেলে এবং সেই শব্দে নীচ থেকে কেউ উঠে আসে, সেই আশঙ্কায় মেঝেয় লুটিয়ে থাকা ফ্রকটা আমি লাভলির মুখে চেপে ধরেছিলাম।

এ সব কথা কোনও দিনই আমার মুখ থেকে বেরবে না। ওই ঘটনার পর লাভলি বেশ কিছুদিন আমাকে এড়িয়ে এড়িয়ে চলত। কিন্তু আমি তখন রক্তের স্বাদ প্রিয় বাঘ। সুযােগ বুঝে ফের একদিন ড্রয়িংরুমের সোফাতেই জোর করে ওকে শােয়ালাম। দুপুর বেলায় ও পিসির খোঁজে এসেছিল। জানত না, গীতামাসি খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়ি চলে গেছে। আর কলেজ ছুটি থাকার দরুন আমি সেদিন বাড়িতে। আশ্চর্য, সেদিন পরে আমাকে একটুও জোর খাটাতে হয়নি। ফ্রকের বােতাম ও নিজেই একটা একটা করে খুলে দিয়েছিল। ওর ফরসা দু’টো শুনে আমি যখন মুখ ঘসছিলাম, তখন লাভলির মুখে শীৎকার ধ্বনি শুনেছিলাম।…….

…….“শুভ্রদা, কী খাবেন?” “তােকে বলতে গিয়েও আটকে গেলাম দু হাত মাথার পিছনে তুলে লম্বা চুলের গোছা সামলাচ্ছে লাভলি। খােপা তৈরি করছে। ওর সুডৌল দুটো স্তন আমার হাতের নাগালে, পেটে হুইস্কি, শরীরে চনমনে ভাষা ওকে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘ চুমু দেওয়ার একটা প্রবল তাগিদ অনুভব করলাম।…..

……..ভাবলাম, আসবে না। আশ্চর্য, লাভলি কিন্তু সােফা ছেড়ে উঠে এসে আমার সামনে দাড়াল। হাত দিয়ে টেনে এক ঝটকায় ওকে আমার কোলে নিয়ে এলাম। তার পর আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। ওর ভিজে ঠোটে দীর্ঘ চুমু দিয়ে বললাম, “তােকেও আমার খুব ভাল লাগেরে।”

লাভলির ঠোটটা থরথর করে কাপছে। ওর চোখের পাতা ভারী হয়ে এসেছে। আমার কোলের উপর ওর শরীরটা পলকা বলে মনে হচ্ছে। ওর নিতম্বের স্পর্শে আমার সারা শরীরে রক্ত দাপাদাপি করতে শুরু করল। দু’হাত দিয়ে ওকে জড়িয়ে আছি। ওর নরম স্তন লেপ্টে আছে আমার বুকে। লাভলি হঠাৎ এক হাতে আমাকে জড়িয়ে ফিসফিস করে বলল, “শুভ্রদা, আরেকটা দাও না গো।” বলতে বলতেই নিজের একটা আঙুল ঠোটে চুইয়ে ও চুমুর ইঙ্গিত করল। এ বার শুধু ঠোটেই নয়, পুরাে মুখ মণ্ডল জুড়েই চুমু দিতে দিতে ঘাড় ও বুকের কাছে নেমে এলাম। তার পর থেমে ফিসফিস করে বললাম, “তাের ভাল লাগছে?”
“খুউব। ঠিক আগের মতাে।”
“আগের কথা তাের মনে আছে?”
চোখ বােজা অবস্থাতেই ঘাড় নাড়ল লাভূলি “আমি কিছুই ভুলিনি গো।” কথাটা বলে আমার বুকে ও মুখ লুকোল, “প্রতিটা দিনের সব কথা আমার মনে আছে। তােমরা ভুলে যেতে পারাে, কিন্তু মেয়েরা কখনও এ সব ভােলে না।”
“এতদিন তুই কোথায় ছিলি, লাভলি ?”
“ওপরে চলাে। তার পর বলছি।” ওপরে মানে… আমার ঘরে। পাজকোলা করে লাভলিকে আমি তুলে নিলাম। ও আমার গলা জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা দিয়ে রইল। ওর মুখ দেখে কেন জানি না, আমার মনে হল এই মুহূর্তটার জন্য ও যেন অপেক্ষা করছিল। সিড়ি দিয়ে উঠে লাভলিকে আমার বিছানায় এনে ফেললাম। চিত হয়ে শুয়ে ও বলল, “শুভ্রদা, প্লিজ লাইটটা নিভিয়ে দেবে? আমার লজ্জা করছে।”

হাত বাড়িয়ে আলােটা নিভিয়ে দিলাম। বাথরুমের দরজা খােলা। স্নান করার পর আলাে নিভিয়ে বেরােইনি। শােয়ার ঘরে আবছা আলাে। আমার শরীর দিয়ে লাভলিকে গ্রাস করে বললাম, “দাড়া, তােকে একবার আদর করে নিই। তারপর তাের সব কথা আমি শুনব।”

নিজেকে ছাড়িয়ে লাভলি এ বার উঠে বসল। প্রথমে কামিজটা খুলে ফেলল। ওর ফরসা দু’টো স্তন আমার চোখের সামনে। পরম যত্নে দুই হাতে দুটো স্তন তুলে ধরলাম। তার পর মুখ ডুবিয়ে চুমু দিতে লাগলাম। ওর স্তন নিয়ে খেলা করার ফাকেই সালোয়ারটা খুলে ফেলল লাভলি। আমার পাজামার দড়িটা খুজে বেড়াচ্ছে ও। বেতের লাঠির মতাে শক্ত হয়ে ওঠা আমার পুরুষাঙ্গে ওর হাত।

ওর আগ্রহ দেখে আমার অবাক হওয়ার কারণ নেই। কেননা, লাভলি এখন আর আগের মতাে কুমারী নেই। ও বিবাহিত এবং নিশ্চয়ই যৌনজীবনে অভ্যস্ত। কামকুর্লায় যদি ও অংশ নেয়, সেটাই ওর কাছে প্রত্যাশিত। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমরা দু’জনে সারা শরীরের স্পর্শ অনুভব করতে লাগলাম। ওর নরম ও মসৃণ উরু আমার উরু ছুঁতেই শরীরে বিদ্যুতের ঝটকা। লাভলি দুটি পা সুনানী ছড়িয়ে রাখল। ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে আমি বললাম, “কই, ‘আগের মতাে পালিয়ে যেতে তাে তুই এখন চাইছিস না।”

লাভলি ঘড়ঘড়ে গলায় বলল, “আগে অত বুঝতাম না গো।”
“বিয়ের পর বুঝেছিস, তাই না?”
‘না। সেটাও ঠিক না। বিয়ের আগে আমি যা ছিলাম, এখনও তাই আছি।”
অবাক হয়ে বললাম, “তার মানে?”
“মানে, আমার স্বামীর কোনও ক্ষমতাই নেই। পিসি তাড়াহুড়াে করে আমার বিয়ে দিয়েছিল। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে প্রথম দিনই বুঝে গেলাম, লােকটা অক্ষম। বিয়ের আগেই জানত। তবুও কেন বিয়ে করল, জানি না। যতবার জিজ্ঞেস করেছি, ততবারই হাঁ করে তাকিয়ে থেকেছে।”
“তার পর?”
“রােজ রাতে আমার পাশে শুয়ে লােকটা যখন নিশ্চিন্তে ঘুমােত, তখন আমার সারা শরীরে জ্বালা জ্বলা করত। ভাবতাম, আমার জীবনটা বােধহয় নষ্ট হয়ে গেল। তখনই তােমার কথা আমার মনে পড়ত গাে।”………

……আধ ঘণ্টা পর শ্রান্ত শরীরে আমরা দুজনেই শুয়ে আছি। আমার বুকের উপর মাথা লাভলির সুগন্ধ ভেসে আসছে ওর চুল থেকে। আমার সর্বাঙ্গ ছুঁয়ে আছে ও। আমার বুকটা
হাঁপরের মতো ওঠানামা করার সময় লাভলির দেহটাও ওঠানামা করছিল। কয়েক দিন আগে এই বিছানাতেই রিঙ্কিকে নিয়ে শুয়েছিলাম। সেটা একটা আলাদা অভিজ্ঞতা। তাতে ছিল শুধুই রিরংসা। একটু আগে অন্য অভিজ্ঞতা হল।

ভগবানে আমি বিশ্বাস করি না। কথাটা শুনে দু হাতে ওর মুখটা তুলে চুমু খেলাম। ভিজে ঠোট। সঙ্গে সঙ্গে শরীরটা ফের উত্তেজিত হয়ে উঠল। ওকে জড়িয়ে ধরে উল্টে গেলাম। এখন লাভলির বুকের উপর আমি। চুমুর সঙ্গে ওর শরীরটা পিষে দিতে দিতে আমি বললাম, “পাজিতে যখন লেখা আছে, তখন তোর ইচ্ছে পূরণ হবেই।”…..

….স্নান শেষ করে তােয়ালে জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরতেই দেখি, হাতে পাজামা-পাঞ্জাবি নিয়ে লাভলি দাড়িয়ে আছে। পরনে সদ্য কিনে আনা ফিনফিনে নাইট গাউন। দেহের প্রতিটি খাজ ফুটে উঠেছে। ওর দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে বললাম, “সুপার্ব। আয়নায় দ্যাখ, তােকে কেমন দেখাচ্ছে। “…..
আমার আয়না নেই। বিরাট আয়না আছে বাথরুনে। হাত ধরে ওকে আয়নার সামনে এনে দাড় করালাম। পিছন থেকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে বললাম, “তােকে এত সুন্দর লাগছে। অথচ তুই সেটা পরতেই চাইছিলি না।”
আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে থেকে লাভলি অস্ফুট স্বরে বলল, “আমার কপালে এত সুখ সইবে শুভ্রদা?”
ওর ঘাড়ের কাছে চুমু দিয়ে বললাম, “সইবে। এখন ঘরে চল। তােকে ভীষণ চটকাতে ইচ্ছে করছে।”………..

…….বিছানায় বসে দু হাত দিয়ে ম্যাক্সিটা খুলে ফেলল শর্মিলা। এখন ও সম্পূর্ণ উলঙ্গ। | ম্যাক্সিটা মেঝেতে ছুঁড়ে দিয়ে ও আমার আরও কাছে সরে এল। বুকে শুকনাে আমসক্তের মতাে দুটো স্তন। আমার চোখের সামনে ঝুলছে। হলদে দাত বের করেও হাসছে। চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে। সত্যিই ভয় পেয়ে আমি চিৎকার করে উঠলাম, “উর্মি, আমায় বাঁচাও।”
…ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলাম। লাইট জ্বালিয়ে দেখি, না কেউ নেই! তা হলে কি এতক্ষণ আমি স্বপ্ন দেখছিলাম? উফ, কী বিভৎস স্বপ্ন! সারা রাত্তির আর ঘুমােতেই পারলাম না। চোখ বুজলেই শর্মিলার শুকনাে দুটো স্তন আমার সামনে ঝুলতে লাগল।……..

Please follow and like us:

Leave a Reply