অনুবাদঃ আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
ইংল্যান্ডের জীবন
……….যেসব পুরুষ যাত্রী বেশ্যালয়ে গমন করেছিল সেই সন্ধ্যায় আমরা তাদের অভিজ্ঞতার বিবরণ শুনলাম। তারা কোন হুরির সাক্ষাৎ পায়নি, যারা তাদের কুমারিত্ব ঘুচানাের জন্যে প্রতীক্ষায় ছিল। তারা মিলিত হয়েছে মধ্য বয়সী, মােটা, আরব ও কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাদের সঙ্গে। কেউ একবার বেশ্যালয়ে ঢুকলে তার পরিত্রাণ নেই। তাদের সাথে যে রকম দরকষাকষি হয়েছিল বেশ্যারা বখশিশ হিসেবে তার চাইতে বেশি অর্থ আদায় করেছে। যেহেতু যাত্রীদের অনেকের বেলায় এটা ছিল নারী মাংসের সাথে তাদের প্রথম সংস্পর্শ, অতএব সেই দেহে তাদের বিশেষ অঙ্গের প্রবেশমাত্র তারা নিঃশেষিত হয়েছে—অনেকে বিপরীত লিঙ্গের সাথে কোনরকম সংস্পর্শ ঘটার আগেইধরাশায়ী হয়েছে। যে বিষয়টি তাদেরকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল, তা হচ্ছে, তারা কোন যৌন রােগে আক্রান্ত হয়ে পড়বে কিনা। কারণ তাদের কেউই কোন ধরনের জন্ম নিরােধক উপাদানও দেখেনি। পরবর্তী দু’দিন ধরে তারা তাদের লিঙ্গ পরীক্ষা করে দেখছিল যে, সেখানে সিফিলিস বা গনােরিয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কিনা।…………
……….‘তােমার দুঃশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। সে উত্তর দিল। আমি সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন।
মহিলা তার সালােয়ার খুলে কামিজ কোমর পর্যন্ত তোলায় তার থলথলে পশ্চাদদেশ উন্মুক্ত হলাে। কলসির কাছে গিয়ে লােটায় পানি ভরলাে এবং সেই | পানি দিয়ে উরুর কেন্দ্রস্থলে ঝাপটা দিল। এরপর মধ্যাঙ্গ শুকালাে নােংরা ন্যাকড়া দিয়ে। চারপায়ার উপর চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লাে সে এবং হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছ পর্যন্ত তুললাে দু’পা। এসাে’ দু’হাত আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে সে আমন্ত্রণ | জানালাে আমাকে।
তখন পর্যন্ত আমি কোন মহিলার উরুর সংযােগ স্থল দেখতে কেমন তা দেখিনি। কমলা বােসের লােমশ গােপন স্থান এক ঝলক দেখে আমার মধ্যে শিহরণ জেগেছিল। মহিলাদের নিম্নাঙ্গ সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল মার্বেলের মূর্তিতে যেমন দেখেছি ঠিক তেমন, যেগুলাের কোনটারই যৌনকেশ ছিল না। এই কালাে, মােটা মহিলা, যে তার হাঁটু ভাঁজ করে থুতনি পর্যন্ত তুলেছে সে তার যৌনকেশ মুণ্ডন করেছে। আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে, কোন জায়গা দিয়ে তার | মাঝে প্রবেশ করতে হবে। আমি প্যান্ট খুলে তার উপর ঝুঁকে পড়তেই সে আমার লিঙ্গটি এক হাতে ধরে এর লক্ষ্যস্থলে নির্দেশ করে দিল। তার মধ্যে প্রবেশ করা মাত্রই আমার বীর্যপাত হয়ে গেল।
মহিলা যথার্থই দয়ার্দ্রচিত্তের দেহপসারিণী সে বুঝতে পেরেছে যে, আমার অর্থের বিনিময়ে আমি খুবই সামান্য পেয়েছি। সে চারপায়ার উপর উঠে বসে বললাে, তুমি যদি আবার চাও, তাহলে পাঁচ টাকা দিলেই চলবে। আমি নিশ্চিত হতে পারলাম না যে, আবার নিজেকে চাঙ্গা করে কাজটা করতে কত সময় লাগতে পারে। অতএব আমি নিবন্ত হলাম। সে আমাকে আশ্বাস দিল, ‘যখন খুশি চলে এসাে। …………
……..এছাড়া সপ্তাহে আরাে দু’দিন যেতাম এক ইংরেজ তরুণীর কাছে, বলরুমে নাচ শেখার জন্যে। নার্সদের একজন মাডগে মার্কহ্যামের রুমের পাশেই ছিল আমার চিলেকোঠার রুমটি। ত্রিশাের্ধ বয়সের মাডগে সহজ সরল দর্শন মহিলা। তার সহকর্মী, লিলিয়ান বুক বরং তার চেয়ে তরুণী, ভরাট স্তন বিশিষ্ট এবং অধিকতর আকর্ষণীয়। আমি অনুভব করলাম যে, | সুদর্শনা লিলিয়ানের চাইতে সাধারণ চেরায় মাডগের ক্ষেত্রে আমার সুযােগ বেশি।……….
………প্যানথিয়নের কাছেই এক পান্থশালায় উঠেছিলাম আমরা। সেখানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে দীর্ঘদেহী, একুহাৱা গড়নের পরিপূর্ণ স্তন ও প্রশস্ত নিতম্বের অধিকারী এক আফ্রো-আমেরিকান মেয়ে ছিল। তার নাম মেরি স্ট্রোকস।………
………আমার নার্ভাসনেস দূর করতে সাহায্য করার জন্যে ইতিমধ্যে সে আমাকে ফরাসি যৌন আচরণের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। “দি পিংক বুক’ নামে পরিচিত একটি বই এর কপি সংগ্রহ করেছিল সে, যাতে প্যারিসের বেশ্যালয়গুলাের তালিকা ছিল ঠিকানাসহ। অধিকাংশ বেশ্যালয় গেয়ার সেন্ট ল্যাজার এলাকায়। আমরা একটিতে গেলাম। সেখানকার মাদাম আমাদের স্বাগত জানিয়ে আয়নায় মােড়ানাে একটি বিরাট ড্রয়িং রুমে নিয়ে গেল। সে আমাদেরকে জানালাে কতাে খরচ পড়বে। বখশিশ আলাদা। হাততালি দিলাে মাদাম। এক ডজন মেয়ে রুমে এলাে, সবাই পুরােপুরি নগ্ন। তাদের যৌনকেশের অগ্রভাগ বাঁকানাে, যেন এগুলাে গোফ। তাদের জন্যে শ্যাম্পেন অর্ডার দেয়া হলাে। আমরা শ্যাম্পেন এবং মেয়েগুলাের কাছে যে সেবা পাবাে তার মূল্য পরিশােধ করলাম। আমরা যে মেয়েদের চাই তাদের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করলে তারা আমাদের দু’জনকে পৃথক পৃথক রুমে নিয়ে গেল। আমি যে মেয়েটিকে নিয়েছি সে একটি পানির পাত্র হাতে নিয়ে তার গােপনাঙ্গ ধৌত করলাে এবং আমাকেও নির্দেশ দিল আমার অঙ্গ ধুতে। সে জানতে চাইলাে যে, আমি তার মুখে আমার লিঙ্গ পুষ্টি করাতে চাই কিনা। আমি দৃঢ়তার সাথে মানা করলাম। অতীতের মতােই যােনবশেষ হয়ে গেল কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে। সতিন্দর তার অভিযান থেকে বের হয়ে এল আধ ঘণ্টা পর এবং তাকে অত্যন্ত পরিতৃপ্ত মনে হচ্ছিল। মেয়েটিও হাসিমুখে তাকে আবার আসতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। সে আমাকে চুথিয়া’ বলে গালি দিল এবং আবার হুমকি দিল মেরিকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার।
আমি সতিন্দরকে ঠেকিয়ে রাখলাম এমন ভান করে যে, অবশেষে আমি মেরিকে উপভােগ করতে সক্ষম হয়েছি। অথচ আমি শুধু তার লিপস্টিক লাগানাে পুরু ঠোটে চুমু দিয়েছিলাম। মেরি এটিকেই প্রেমের সূচনা বলে ধরে নিয়েছিল, যা পরিপূর্ণতা লাভ করবে পরে। কিন্তু আমি তা পারিনি। কয়েকদিন পর সে আমেরিকায় চলে যায়। আমরা একে অন্যকে চিঠি লিখা অব্যাহত রেখেছিলাম। ত্রিশ বছর পর সে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল রচেস্টারে, সেখানে আমি শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করছিলাম, তখন তার ওজন বেড়েছে বিপুল । অথচ সে ছিল দীর্ঘাঙ্গী এবং একহারা গড়নের, আর এখন মাংসের পাহাড়। আমি তাকে আমার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যাই। সারা রাত বাস জার্নি করে সে রচেস্টারে এসেছে। সে যখন বাথরুমে শাওয়ারের নিচে, তখন আমাকে বলেছিল তার দুটি বিয়ে এবং প্রেমিকদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা। বাথরুম থেকে বেরিয়ে তার বিশাল স্তন ও নিতম্ব ডলতে ডলতে আমার সাথে কথা চালিয়ে যাচ্ছিল। আমি তার স্তন মর্দন করলাম এবং তাকে চুমু দিলাম। সে বললাে, তুমি নিশ্চয়ই আমাকে এখন শয্যায় নিতে চাও না, তাই না প্রিয়। কারণ প্যারিসে আমি যখন সত্যিকার অর্থেই শয্যামােহিনী ছিলাম, তখনই তুমি তা করেনি। আমি আমার দুর্বল উদ্যোগ পরিত্যাগ করলাম। পরে সে আমাকে খোঁচা দিয়ে বললাে, “তুমি খুব বেশি পীড়াপীড়ি করােনি, তাহলে আমি আনন্দের সাথে সাড়া দিতাম।………..
………না। আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। শেষ পর্যন্ত কাহিনী জানা গেল, যা মেয়েটির অনিচ্ছা প্রকাশের কাছাকাছি কোন ঘটনা নয়। শাহ সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে মেয়েটি তাকে বেডরুমে নিয়ে নিজে মগ্ন হলাে এবং শাহকেও কাপড় খুলে তার মতাে নগ্ন হতে নির্দেশ দিল । কর্তব্যপরায়ণের পর শাহ কাপড় ছাড়লাে। পরস্পর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হলাে। সে তার খতনা বিহীন লিঙ্গ অত্যন্ত আবেগের সাথে নিজের হাতে নিয়ে মন্তব্য করলাে, “ও, আমি দেখতে পাচ্ছি, তুমি মুসলিম নও ‘ কুমাওন পর্বতের ধর্মনিষ্ঠ হিন্দু ব্রাহ্মণ যুবকের সকল উত্তেজনা মুহূর্তে হারিয়ে গেল। স্থবির হয়ে পড়েছিল সে।……….
লন্ডনে মেনন এবং কানাডায় মালিকের সাথে
……কমলা জসপাল। ক্লার্ক হিসেবে সে কাজ করছিল। মেয়েটি শিখ, গায়ের রং ফর্সা, কোঁকড়া কালাে চুল এবং তার একটি চোখ আকর্ষণীয় রকমের টেরা ছিল, যা দিয়ে সে সহজে তির্যক দৃষ্টি হানতে পারতাে। সে অফিসে এমন সাজগােজ করে আসততা, যেন ককটেল পার্টিতে যাচ্ছে। উজ্জ্বল রং এর শিফন শাড়ি পরতাে সে। গায়ে যে ব্লাউজ পরতাে তাতে তার মধ্যভাগ, এমনকি নাভিমূল পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকতাে।…….
……….এক ঘণ্টা বসে ছিলাম। এক মাস আগে কেনা থিয়েটারের টিকিট আমার পকেটে ছিল। আমার মাঝে দ্বিধার সৃষ্টি হলাে। যেখানে বাপু দিল্লিতে চিরদ্রিায় শায়িত সেখানে আমার কি উচিত হবে লন্ডনে বিশ্বের সেরা যৌন আবেদনময়ী নারীর প্রদর্শনী দেখা ? শেষ পর্যন্ত আমরা থিয়েটারে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিলাম । সুগঠিত সুদৃশ্য স্তনবিশিষ্ট মহিলার দেহবল্লরী দেখতে আমি লজ্জা বা অপরাধ বােধ করি । থিয়েটারের সেক্স সিম্বলের নাম মে ওয়েস্ট।………..
বােম্বে, দি ইলাসট্রেটেড উইকলি
……….অফ ইন্ডিয়া এবং অতঃপর এর পরবর্তী বিষয় ছিল ফিনফিনে বস্ত্র পুরা ক্যাবারে নর্তকীদের উপর ফিচার। একটি ছবি ছিল শরীরের সাথে লেপটে থাকা প্রায় স্বচ্ছ কাপড় পরা নৃত্যরত পুরুষ ও নারীর এতাে ঘনিষ্ঠ ছবি যে খুব সহজে মনে হবে যে, তারা যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত জেব্বারেল ম্যানেজার মানকেকার আমাকে তার রুমে তলব করে তার বিরক্তি প্রকাশ করলেন। আমি তাকে বললাম এ নিয়ে হৈচৈ না করতে। আমি যেভাবে ভালো বিবেচনা করেছি ঠিক সেভাবে সাপ্তাহিকী পরিচালনা অব্যাহত রাখলাম প্রতি সংখ্যায় কমপক্ষে একটি উন্মুক্ত স্তনের উপজাতীয় মেয়ে অথবা গােয়ার সমুদ্রসৈকতে নগ্ন শ্বেতাঙ্গ হিপ্পির ছবি থাকতাে। ক্যাপশনকে যতােটা তথ্যবহুল করা সম্ভব তা করতাম। উপজাতীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে কখনাে তাদের স্তন বা নিতম্বের আকৃতির উল্লেখ থাকতাে না, শুধু উপজাতির নাম, তাদের সংখ্যা, জীবন পদ্ধতি ইত্যাদির উল্লেখ করতাম।………….