…..বাস্তবিক, আরতির শরীরটার মধ্যে কিছু রয়েছে, ছোঁয়ামাত্র সর্বাঙ্গে একজাতের দহন শুরু হয় সুদামের। আহ, সেই দহনে যে কী সুখ! সেই দহনে শরীরে জ্বালা ধরে যেমন, জ্বালাটা থেমে গেলে তার কষ্টও কিছু কম নয়। সুদাম তাে ওই দহনটার লােভেই আরতির কাছে যাবার জন্য উসখুস করে সারাক্ষণ।
মাঝেমাঝে খুব চটুল মুহূর্তে আরতিকে আলগােছে শুধােয় সুদাম, তােমার শরীরটায় কী আছে বলাে তাে? ছুইলে-পরেই শক মারে!
সুদামের কথায় খিলখিল করে হেসে ওঠে আরতি, আমার শরীরে ফোরফুট্টি কারেট আছে। বলেই আরেক প্রস্থ হাসে সে বাস্তবিক, ভেতরে ভেতরে আরতি একটি রসের খনি।…..
…..আরতির শরীরে, মনে, অনেক খাঁজভাঁজ। কোনওটা গভীর, তলা অবধি দৃষ্টি পৌঁছয় না। কোনওটা খুবই অগভীর। তাও শরীরের খাঁজভাঁজগুলােকে দেখতে পায় সুদাম। দেখতে দেখতে শিহরিত হয়। রসকেলির সময় অবলীলায় বিচরণ করে ওগুলাের মধ্যে। খেলা করে ওসব থানে। কিন্তু ওর মনের মধ্যেকার খাঁজভাঁজগুলাে তত দৃশ্যমান নয়। মনের গভীর গুহায় ওগুলাের বসবাস। বাইরে থেকে চর্মচক্ষে তা ঠাহর করা মুশকিল। তাও কখনও সখনও হঠাৎ হঠাৎ ওগুলাের এক-আধটাকে দেখে ফেলতে পারে সুদাম। দেখামাত্র কখনও চমকে ওঠে, কখনও মজা পায়।….
…..সে-রাতে হরেক প্রকারে, অনেক ছলাকলা দিয়ে সুদামকে ভােলায় আরতি। এবং সুদাম উপলব্ধি করে, গুরুপদর ওষুধ যােলাআনার জায়গায় আঠারাে আনা কাজ করেছে।
অবশ্য ওই রাতে কেবল রাগই দেখায়নি সুদাম, বিনিময়ে রাতভর চতুর্গুণ সুখ দিয়েছে আরতিকে। সুখটা যে চতুর্গুণ পেয়েছে আরতি, সেটা বােঝা গিয়েছিল পরের দিন সকালে। মিটিমিটি হাসতে হাসতে আরতি বলেছিল, তােমাকে এবার থিক্যে মাঝেমাঝে রাগাই দিতে হব্যেক।
-কেন? ফিক করে হেসে আরতি বলেছিল, উয়াতে লাভ বেশি।……