ভাষান্তর : অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়
…..আধঘন্টা পর, যে সময়টায় আমি বেশ ক’বার তার চোখাচোখি হলাম এবং ধরে ফেললাম, এ মেয়ে অপেক্ষা করছে যেকোনও কারুর জন্যেই, যে সঙ্গত আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবটা করবে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত মাথা বা হাত নেড়ে ইশারাটুকুই করতে হয় যাতে মেয়েটি তার টেবিল ছেড়ে উঠে আসবে এবং তোমার সাথে যোগ দেবে — যদি সে ঠিক সেই ধরনের মেয়ে হয়। কিন্তু তখনও আমি একেবারে নিশ্চিত হতে পারিনি। আমার চোখে তো সে দেখতে খুবই সুন্দর, সুপুষ্ট, উথলে ওঠা যাকে বলে — মানে বলতে চাইছি যত্নে লালিত আরকি। …..
…..ওর হাসিটা ওকে ফিরিয়ে উত্তর দিলাম। এবং বলতে বলতেই ওর পায়ের ওপর হাত রেখে আরামসে চটকাতে শুরু করলাম। সঙ্গে সঙ্গেই ওর হাত আমার হাতের ওপর এল, সরিয়ে নরম, তুলতুলে জায়গায় নিয়ে রাখল। তারপর, ‘‘আমরা এখানে তো একলা বসে নেই,’’ বলে কতকটা জলদিই আমার হাতটা সরিয়ে দিল।…..
…..বলা যায় যেন এ জন্যেই তাকে তৈরি করা হয়েছে, অথচ একজন পুরোদস্তুর বেশ্যা হিসেবে সে কিন্তু আমাকে মুগ্ধ করেনি। এটা ঠিক যে ও আমার সঙ্গে যাবে এবং তার জন্য টাকাও নেবে, আমি জানি — কিন্তু সেটাই একজন মহিলাকে বেশ্যা করে না।
প্রশিক্ষিত এক সীল মাছের মতো ও আমার ওপর একটা হাত রাখল, আর আমার লিঙ্গ ওর নরম আদরে একটা কাঠঠোকরা পাখির মতো জেগে উঠল উল্লাসে।
‘‘সংযত হও,’’ চাপা স্বরে বলল, ‘‘এত তাড়াতাড়ি উত্তেজিত হওয়া ভালো নয়।’’….
…..নিজে কথা যত কম বলা যায় ততোই ভালো, আমার জিনিসগুলো গোছাতে গোছাতে ভাবলাম এবং রাস্তায় এলাম তার সমভিব্যাহারে। রিভলভিং দরজার ভেতর দিয়ে তার পাল তোলা জাহাজ দেখতে দেখতে, একটা চমৎকার পাছা, আমার চোখে প্রতিফলিত হল। এরইমধ্যে আমি দেখেছি আমার লিঙ্গদণ্ডের সামনে তার দুলে দুলে চলা, একটা তাজা, জবরদস্ত বিরাট মাংসখণ্ড আরও ঝরঝরে ফিটফাট হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছে।…..
…..আমরা পাশাপাশি হাঁটছি, এটাসেটা গল্প করতে করতে, যতক্ষণ না একটা হোটেলের সামনে এসে পৌঁছলাম যেটা ওর চেনা মনে হল। ‘‘এটা বেশ পরিষ্কার আর আরামের,’’ ও বলল। ‘‘আর একটু ঠান্ডাও। আমরা বিছানায় দুজন দুজনকে গরম করব।’’
বলে আমার বাহু চেপে ধরল অনুরাগে।
ঘরটা একটা পাখির বাসার মতোই উষ্ণ। আমি সাবান আর তোয়ালের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম, কাজের লোকটিকে বকশিশ দিলাম এবং দরজা বন্ধ করে দিলাম। টুপি আর ফারের জামাটা খুলে ও জানলার সামনে দাঁড়িয়ে রইল আমাকে জড়িয়ে ধরার জন্য। কী গরম আর সুরোপিত এই শরীর, মাংস! আমি ভেবেছিলাম আমার স্পর্শের নীচে ও অঙ্কুরিত বীজ হয়ে ছড়িয়ে পড়বে প্রবল প্রকাশে। অল্প কিছুক্ষণ বাদেই আমরা জামাকাপড় খুলতে শুরু করলাম।
জুতোর ফিতে খোলার জন্য আমি বিছানার কোণটায় বসলাম। ও দাঁড়িয়েছিল আমার পাশে। নিজেরগুলো খুলছিল। যখন আমি তাকালাম, দেখি পায়ের মোজা ছাড়া আর কিছু নেই সারা গায়ে। ও দাঁড়িয়েই রইল ওখানে, আমার অপেক্ষায়, যাতে আরও মন দিয়ে ওকে দেখি।
আমি উঠে দাঁড়ালাম আর আবার দু’ বাহুতে জড়ালাম ওকে। ওর তরঙ্গক্ষুব্ধ মাংসল ভাঁজে আমার হাত ঘুরতে থাকল। তখনই আলিঙ্গন সরিয়ে, আমাকে এক-হাত দূরত্বে রেখে লজ্জাবনত মুখে জানতে চাইল, আমি কোনওভাবে ঠকে গেলাম কিনা।
‘‘ঠকে গেলাম,’’ ফিরতি প্রশ্নে বললাম ওকে। ‘‘মানে কী এর?’’
‘‘আমি খুব মোটা, না?’’ বলে, চোখ নামিয়ে নিজের নাভির ওপর রাখল।
‘‘মোটা? কেন, তুমি তো চমৎকার দেখতে। রেনোয়ার১৩ ছবির মতো।’’
লাল হয়ে গেল শুনে। ‘‘রেনোয়া?’’ আবার জিগ্যেস করল, যেন এই নামটা আগে কখনও শোনেইনি। ‘‘নাহ্, তুমি মজা করছ।’’
‘‘আরে, ছাড়ো তো। এসো, তোমার নীচে একটু হাত বোলাই।’’
‘‘দাঁড়াও, আমি টয়লেট করব আগে।’’ জলশৌচের বেসিনের দিকে যেতে যেতে বলে গেল : ‘‘তুমি বিছানায় চলে যাও। ভালো করে গরম করে রাখো, কেমন?’’
আমি ঝটপট জামাকাপড় খুলে বাঁড়াটা ধুয়ে নিলাম এবং ঝাঁপিয়ে ঢুকে গেলাম বিছানায় চাদরের ভেতর। বেসিনটা ছিল বিছানার পাশেই। ধোয়াধোয়ি শেষ করে একটা পাতলা, ন্যাতানো তোয়ালে দিয়ে ও মুছতে শুরু করল। আমি সামনে ঝুঁকে ওর যোনিকেশগুলো খামচে ধরতে গেলাম, যেগুলো তখনও অল্প শিশিরসিক্ত। ও ঠেলে আমায় বিছানায় ফেলে দিল, ঝুঁকে এল আমার ওপরে, তারপর গরম আর লাল মুখগহ্বর নিয়ে দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ল। ওর নিঃসৃত সব রসগুলো পেতে সুড়ুৎ করে একটা আঙুল ঢুকিয়ে দিলাম ভেতরে। তারপর, ওকে আমার ওপর টেনে তুলে আনলাম, আর আমূল পর্যন্ত সম্পূর্ণ ডুবিয়ে দিলাম ওটা। এ ছিল সেইসব যোনির মধ্যে অন্যতম যেখানে একটা দস্তানা মাপমতো বসে যায়। ওর পেশির দক্ষ সংকোচন আমায় জলদি হাঁপ ধরিয়ে দিচ্ছিল। পুরো সময়টা ও আমার ঘাড়, বগল, কানের লতি চেটে গেল। আমি দু হাতে ওকে ওপর-নীচ করাচ্ছিলাম, আর ওর পেলভিস ধরে ঘোরাচ্ছিলাম গোল গোল। শেষে, একটা গোঙানি ছেড়ে আমার ওপর পূর্ণ ভর রেখে ঢুকে গেল। আমি ওকে ঘুরিয়ে উঠে গেলাম ওর ওপরে, পা দুটো টেনে নিলাম আমার কাঁধে, আর জোরে চালিয়ে গেলাম।
আমি ভেবেছিলাম আমার এই নির্গমন যেন শেষই হবে না, বাগানের হোসপাইপের মতো যা বেরিয়ে এল একাগ্র ধারায়।
যখন বের করে আনলাম আমার মনে হল, যখন ঢুকিয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি খাড়া হয়ে আছে।
‘‘এটা তো দারুণ,’’ বলে, ওটার ওপর হাত রাখল, আঙুল দিয়ে মাপতে থাকল।
‘‘কীভাবে করতে হয় জানো তো, জানো না?’’
আমরা উঠে পড়লাম, ধুয়ে নিলাম এবং হামাগুড়ি দিয়ে বিছানায় ফিরে এলাম আবার। কনুইতে ভর রেখে হেলান দিয়ে শুয়ে আমার একটা হাত ওর শরীরে ওপর-নীচে ঘোরাচ্ছিলাম। ফিরে এসে শোওয়ার পর ওর চোখ জুড়ে ছিল সুখানুভব, এক সর্বাঙ্গীণ আরাম, পা দুটো ছিল ফাঁক করা, অল্প শিরশির করছিল ওর গা। বেশ ক’মিনিট আমরা কোনও কথা বলিনি। আমি ওর জন্য একটা সিগারেট ধরিয়ে ওর মুখে দিলাম, বিছানায় শুয়ে পরিতৃপ্ত চোখে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলাম সিলিংয়ের দিকে।
‘‘আমরা কি আরও করতে পারি?’’ কিছুক্ষণ বাদে আমি জিগ্যেস করলাম।
সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে ও বলল, ‘‘সেটা তোমার ওপর।’’ তারপর, সিগারেটটা ফেলার জন্য পাশ ফিরল, কাছে এসে, স্থিরদৃষ্টে আমার দিকে চেয়ে, অল্প হাসল, কিন্তু গম্ভীর চিন্তাশীল মুখে, ওর নীচু গলায় শিস দেওয়া স্বরে বলল : ‘‘শোনো, খুব জরুরি একটা জিনিস তোমাকে আমার বলা দরকার।…..
…..ওর গা ঘেঁষে আমি ওপরে উঠে এলাম আর ওর বুকে মাথা ডুবিয়ে দিলাম। নীচে নামতে নামতে চাটতে থাকলাম ওর নাভি। তারপর আরও নীচে, চুমু খেতে লাগলাম ওর একঝোপ ঘন লোমে। ও ধীরে আমার মাথা টেনে ধরল আর আমাকে টেনে নিল ওর ওপরে, জিভ ঢুকিয়ে দিল আমার মুখে। আমার বাঁড়া শক্ত হয়ে গেল মুহূর্তে; মসৃণভাবে ওর ভেতরে ঢুকে গেল ততটাই স্বাভাবিকতায় যেভাবে একটা ইঞ্জিন তার গতি নেয়। এটা সেই লম্বা, দীর্ঘস্থায়ী শক্ত জিনিসটা যা একজন মহিলাকে পাগল করে দিতে পারে। ইচ্ছে করেই ওকে টেনে আনলাম একপাশে, তারপর ওপরে, ওর নীচে, পাশাপাশি, তারপর ওটাকে টেনে আনলাম ধীরে, ওকে আরও অপেক্ষায় রেখে আমার উদ্ধত দাঁড়িয়ে থাকা বাঁড়ার মুখ দিয়ে বোলাতে লাগলাম ওর যোনিদ্বারের ঠোঁট। তারপর সর্বতোভাবেই ওটাকে সরিয়ে এনে দ্রুত ঘোরাতে লাগলাম ওর স্তনে। ও অবাক হয়ে তাকাল ওটার দিকে। বলল, ‘‘তোমার কি বেরিয়ে গেছে?’’ ‘‘না,’’ আমি বললাম। ‘‘আমরা একটু অন্যরকম কিছু করতে যাচ্ছি।’’ ঠিকঠাক এবং সার্বিক পায়ুমৈথুনের জন্য আমি ওকে টেনে বিছানার প্রান্তে জায়গা মতো নিয়ে এলাম। ঊরুসন্ধিতে ভর রেখে ও এল এবং আমার জন্য ঠিক জায়গায় রেখে, যেন আমন্ত্রণসূচক ভাবে দু পাশে দোলাতে লাগল ওর পাছা। সবলে ওর কোমরের দু পাশে ধরে আমি একেবারে সোজা ভেতরে ঢুকিয়ে দিলাম।
ও ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে ‘‘ওহ্, ওহ্’’ করছিল, আর উন্মত্ত বন্যতায় পাছা ঘোরাচ্ছিল। একটু হাওয়া লাগাতে আমি আবার বের করে আনলাম ওটা, আর বেশ রগুড়ে মেজাজে ওর পেছনে ঘষতে লাগলাম। ‘‘না, না’’ করে ও অনুনয় করতে থাকল, ‘‘দেরি কোরো না, ঢোকাও ওটা, সোজা ঢুকিয়ে দাও… আর পারছি না।’’ আবার ও জায়গা মতো এল আর আমার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে এবারে আরও ঝুঁকে গেল। ওপরের দিকে এমন ঠেলতে লাগল যেন ঝাড়বাতি ধরার একটা ফাঁদ। মেরুদাঁড়ার মাঝখান থেকে আমি টের পাচ্ছিলাম আবার বেরুবে আমার; হাঁটু দুটো অল্প নীচু করলাম আমি আর আরেকটা খাঁজকাটা গর্তে ঠেলে ঢুকিয়ে দিলাম। তারপর বুম! একটা উড়ন্ত তুবড়ির মতো প্রবল প্রকাশ হল।…..
……এ নিয়ে আমার সন্দেহের কোনও অবকাশই ছিল না যে ওর একজন প্রেমিক আছে। কীভাবে তার খাবার জোটাবে, কীভাবে তাকে কাপড়জামা বা যা সে চায় সেসব কিনে দেবে, নিঃসন্দেহে এটাই নিসের বিরাট সমস্যার জায়গা, তার উভয়-সঙ্কট। সে যাক্গে, লাগানোটা খাসা হয়েছে, যদিও আমি নিজেই চুদে গেছি পকেট ফাঁকা করে।…..
…..‘‘বড় একটা সমস্যায় পড়েছি। আমি একটা মেয়েকে নিয়ে এসেছি সাথে করে — ঘরবাড়ি নেই মেয়েটার। বছর চোদ্দর বেশি হবে না। আমি জাস্ট একবার শুয়েছি ওর সাথে। তুমি কি শুনছ আমার কথা? মনে তো হয় প্রেগন্যান্ট হবে না। মেয়েটা ভার্জিন।’’
‘‘মানে, ভার্জিন ছিল,’’ আমি গুঁজে দিলাম।…..
…..বিরক্ত হয়ে নাক দিয়ে একটা ফোঁৎ শব্দ করে কার্ল বলল, ‘‘এখানে কেউ বেলজিয়ান নয়।’’ তারপর আমাকে বলল : ‘‘বুদ্ধিসুদ্ধি কিছু নেই। কিন্তু মাই দুটো দ্যাখো! চোদ্দ বছরের হিসেবে একদম ঠিক আছে, কী? আমাকে আবার কসম খেয়ে বলেছে ওর নাকি সতেরো, আমি বিশ্বাস করি না।’’…..
…..একটা শিশুসুলভ হাসি ছড়িয়ে পড়ল ওর মুখে। ও ঝুঁকে এসে আমার দু গালে চুমু দিল। তখনই ওর স্তন দুটো বেরিয়ে পড়ল আর আমার মুখের ওপর বুলিয়ে গেল আলতো করে।
কোনওমতে জড়ানো ওর আলুথালু কাপড়টা খসে নীচ অবধি সব মেলে ধরল, উন্মুক্ত করে দিল অপূর্ব এক পূর্ণ যুবতি শরীর।
‘‘যিশাস!’’ আমি বললাম, ‘‘আরে নিয়ে যাও ওকে, বন্ধ করে রাখো তোমার ঘরে। তুমি যখন থাকবে না তখন এরকম পোশাকে ও যদি ঘোরাঘুরি করে, কিছু ঘটলে আমি কিন্তু দায়ী থাকব না তার জন্য।’’
কার্ল ওকে ঝটপট তুলে নিজের ঘরে নিয়ে গেল, ফিরে এসে আবার বসল বিছানার কোণের দিকে। ‘‘আমরা হাতে একটা বড় সমস্যা নিয়ে ফেলেছি, জো,’’ কার্ল শুরু করল, ‘‘আর তোমার উচিত এতে আমাকে সাহায্য করা। আমার পেছনে তুমি ওর সাথে কী করছ তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তুমি জানো, আমি ঈর্ষাপরায়ণ নই। কিন্তু তুমি কখনওই ওকে পুলিশের হাতে ধরা পড়তে দেবে না। পুলিশ ধরলে ওকে আর এখানে রাখবে না, পাঠিয়ে দেবে — এমনকী হয়তো আমাদেরকেও। এখন ব্যাপার হল, বাড়িঅলাকে কী বলা যায়?…….
…..বেশ ভালোই একটা বছর ফুরোলো, এই সময়টায়, পুরো এই সময়টা জুড়েই আমি ব্ল্যাক স্প্রিং উপন্যাসটা লিখছিলাম, দেদার বাইক চালিয়েছি স্যেন নদীর ওপর নীচ বরাবর, বেড়াতে গেছি মিডি১৭, শ্যাটো১৮, আর শেষে, কার্লের সাথে লুক্সেমবুর্গে এক উন্মত্ত পিকনিক।
…..এ ছিল সেই সময়, যখন বাতাসে ভেসে বেড়াত যোনি। ইংরেজ মেয়েগুলো থাকত ক্যাসিনো দে প্যারিসে; ব্লাঁশের১৯ কাছে একটা একদর রেস্তোয়াঁয় ওরা খেত। পুরো দলটারই বন্ধু হয়ে গেলাম আমরা, শেষমেশ জমকালো এক স্কটিশ সুন্দরী আর ওরই একজন ইউরেশীয় সিংহলি বান্ধবীর সাথে জুটি বাঁধলাম। শেষে, এই স্কটিশ মেয়েটিই কার্লকে চমৎকার এক গনোরিয়া উপহার দিয়েছিল, যেটা আবার সে পেয়েছিল মেলোডি বারে তার নিগ্রো প্রেমিকের থেকে। যাই হোক, সে গল্প আমার কাহিনিকে ছাড়িয়ে যাবে। র্যু ফঁতের একটা নাচঘরের মেয়েও ছিল এখানে, কার্লের নাইট শিফট না থাকলে আমরা মাঝেসাঝে এই জায়গাটায় যেতাম। এই মেয়েটি ছিল কামাতুর, বড়োই ঝলমলে, নিজের দাবি দাওয়ার ব্যাপারে খুবই নম্র। একদল মেয়ের সঙ্গে ও আমাদের আলাপ করিয়ে দিয়েছিল যারা ওখানে ঘুরঘুর করত; আমাদের চেয়ে মন্দের ভালো আর কিছু না পেলে সন্ধের শেষে ওরা আমাদেরকে গানে ভিড়িয়ে নিত। ওদের মধ্যে একজন আমাদের দুজনকেই ওর বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্য সবসময় পীড়াপীড়ি করত — এটা নাকি ওকে উত্তেজনা দেয়। আর আরেকটা মুদীখানার মেয়ে ছিল, যাকে তার আমেরিকান বর ছেড়ে গেছে; ও চাইত প্রথমে সিনেমায় নিয়ে যেতে তারপর সেখান থেকে সোজা বিছানায়, যেখানে সে সারারাত শুয়ে শুয়ে ভাঙা ইংরিজিতে কথা বলে যাবে। আমাদের দুজনের মধ্যে কার সাথে ও শোবে এ নিয়ে ওর কোনও মাথাব্যথা ছিল না, কেননা আমরা দুজনেই ইংরিজি বলিয়ে। আর, সবশেষে ছিল জেনি। আমার বন্ধু ফিলমোরের কাছে যে লেঙ্গি খেয়েছে। দিনে, রাতে উদ্ভট সময়ে বোতল ভর্তি হোয়াইট ওয়াইন নিয়ে যখন তখন জেনি চলে আসত, নিজেকে সান্ত্বনা দিতে ও একেবারে মাছের মতো মদ খেত। আমাদের সঙ্গে শোবার জন্য ও সব করতে পারে। জেনি ছিল হিস্টিরিয়াগ্রস্ত, চূড়ান্ত হুল্লোড় থেকে একেবারে মনমরা অবস্থা, এই দুয়ের মধ্যেই ও ঘুরত। যত মদ পেটে পড়ত ততোই ও কামুক আর প্রচণ্ড হুল্লোড়বাজ হয়ে যেত। তুমি ওর জামাকাপড় খুলতে পারো, ফুটোতে হাত বোলাতে পারো, মাই টিপতে পারো, এমনকী যদি চাও তো চুষেও দিতে পারো, কিন্তু যে মুহূর্তে তুমি তোমার চাবিটা ওর ফুটোর কাছে নিয়ে যাবে সঙ্গে সঙ্গে ও মেজাজ হারিয়ে ফেলবে। প্রথমে তো একমিনিট তোমাকে বেশ আবেগের সাথে আদরে আঁচড়ে কামড়াবে, আর ওর শক্ত চাষাড়ে হাতে তোমার বাঁড়া ধরে চুষবে, তারপরেই শুরু করবে চিল্লিয়ে কান্না, লাথি মেরে তোমাকে সরাবে নয়তো অন্ধের মতো এলোপাথাড়ি ঘুষি চালাবে। যখন ও চলে যাবে, স্বাভাবিকভাবেই জায়গাটা ততক্ষণে একটা বিধ্বস্ত চেহারা নিয়েছে। কখনও, দুম করে প্রচণ্ড রেগেমেগে আধ ন্যাংটো অবস্থায় ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যাবে, আর ফিরেও আসবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই, এসে, বেড়ালছানার মতো ব্রীড়াবনত হয়ে প্রচুর ক্ষমাটমা চাইবে। এই সময়ে, যদি কেউ চায় তো ওকে ভালো করে লাগাতেই পারে; তবে আমরা কখনও করিনি। ‘‘তুমি নিয়ে যাও ওকে,’’ আমি শুনতে পাই কার্ল বলছে, ‘‘এ মাগীকে আমার ঢের জানা আছে, পাগল একটা।’’ আমার নিজেরও তা-ই মনে হয়।
কোনও বন্ধুতা ছাড়াই এবং নিতান্তই আমার ডান্ডার অনিচ্ছায় একপ্রকার শুখা সঙ্গম ওর সাথে একবার আমি করেছি, তারপর ভালো করে কনিয়্যাক খাইয়ে ভাগিয়ে দিয়েছি। এই সামান্য মনোযোগ ও বিবেচনাটুকুর জন্য তখন ওকে দেখে মনে হচ্ছিল সবিশেষ কৃতজ্ঞ। ঠিক একটা শিশুর মতো।
এ ছাড়াও আরও একজন ছিল, যার সাথে আমাদের মোলাকাত হয়েছিল জেনির মাধ্যমে। সরল সাদাসিধে নিরীহ দেখতে, কিন্তু বিষধর সাপের মতো ভয়ঙ্কর। কিম্ভূত ফ্যাশানের সব পোশাক পরত, হাস্যকর। এ ছিল প্যারিসেরই মেয়ে এবং বিখ্যাত এক সুররিয়াল কবির গৃহিণী, এই খবরটা সেই সময়ে আমাদের অজানা ছিল।
ওর সাথে প্রথম আলাপের অল্প ক’দিন বাদেই এক রাতে ফোর্টের দিকে ওকে হেঁটে যেতে দেখলাম আমরা। রাতের এরকম সময়ে এমন একটা ব্যাপার, বিচিত্রই বটে এবং যথেষ্ট সন্দেহের। কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে আমাদের অভিবাদনের প্রত্যুত্তর করল। দেখে মনে হচ্ছে আমাদের মুখ মনে করতে পেরেছে কিন্তু স্পষ্টতই ভুলে গেছে কোথায় অথবা কবে আমাদের দেখা হয়েছিল। স্মৃতি ঝালাই করতে তার কোনও আগ্রহ আছে বলেও মনে হল না। আমাদের সঙ্গ সে গ্রহণ করল যেন এ পথে যেকোনও কারুর সঙ্গই সে গ্রহণ করত। বাক্যালাপ চালাতে সে কোনও চেষ্টাই করল না; ওর কথাবার্তা ছিল অনেকটা জনান্তিক ভাষণের মতো, যার মাঝেমাঝেই আমরা বাগড়া দিচ্ছিলাম। কার্ল, এসব ব্যাপারে খুবই দক্ষ, নিজের স্বভাবসুলভ স্কিজোফ্রেনিক পদ্ধতিতে সমানে প্রম্পট করে গেল ওকে। ধীরে ধীরে ওকে আমাদের বাড়ির দিকে এবং শেষে আমাদের ঘরে নিয়ে এলাম — যেন ও ঘুমের মধ্যে হাঁটছিল। আমরা কোথায় যাচ্ছি, কী করি এরকম কোনও প্রশ্নই তার কাছ থেকে এল না। দিব্য হেঁটে গিয়ে ডিভানের ওপর বসল যেন নিজেরই ঘরে রয়েছে। তারপর চা আর স্যান্ডউইচ দিতে বলল, ঠিক সেই গলায় যেভাবে ও হয়তো কাফেতে ওয়েটারকে খাবার দিতে বলে। এবং ওই একই স্বরেই জানতে চাইল আমাদের সঙ্গে শোবার জন্য আমরা ওকে কত দেব। এও বলল, ভাড়া মেটাবার জন্য দুশো ফ্রাঙ্ক ওর দরকার, পরের দিন যেটা ওকে দিতে হবে। দুশো ফ্রাঙ্ক মনে হয় রফা হিসেবে ভালোই, ও বলল, কিন্তু এটুকুই ওর লাগবে। এমনভাবে ও কথা বলছিল যেন কেউ ভাঁড়ার ঘরের মিটসেফের দিকে তাকিয়ে বলছে : ‘‘উম্ম্ম্… দাঁড়াও দেখি, তোমার লাগবে হল ডিম, মাখন, একটু পাউরুটি আর অল্প জ্যাম হলে ভালো হয়।’’ একদম এইভাবে। ‘‘যদি আমাকে চুষে দিতে বলো, কিংবা পেছন থেকে করতে চাও, যেটা তোমাদের ইচ্ছে, আমার কাছে একই ব্যাপার,’’ চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলল, যেন ডিউকের স্ত্রী চ্যারিটি বাজারে বসে চা খাচ্ছেন। ‘‘আমার বুক কিন্তু এখনও টাইট এবং যথেষ্ট লোভনীয়,’’ ব্লাউজ খুলে এক হাতে যতটা ধরা যায় ততোটুকু টেনে বলল। ‘‘এমন লোক আমি জানি যারা আমার সাথে শোবার জন্য হাজার ফ্রাঙ্কও দিতে চাইবে, কিন্তু এখন তাদের খোঁজার ঝামেলা আমি নিতে পারব না। দুশো ফ্রাঙ্ক আমার ভীষণ দরকার। বেশি নয়, কম নয়।’’
টেবিলের ওপর ওর কনুইয়ের কাছে রাখা বইটাতে এক পলক চোখ বুলিয়ে নিতে একটু থামল, তারপর আগের মতোই ভাবলেশহীন স্বরে বলতে লাগল : ‘‘আমারও কয়েকটা কবিতা আছে, পরে দেখাব তোমাদের,’’ একটু আগে ওর এক পলক চোখ বুলিয়ে নেওয়া বইটাকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘‘সেটা হয়তো এইগুলোর থেকে ভালো হবে।’’
এদিকে যখন এরকম অবস্থা, তখন কার্ল, দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ইশারায় আমাকে বোঝাতে লাগল এ পুরো পাগল, বোবা-কালা হয়ে থাকো।
মেয়েটি তখন নিজের ব্যাগ আঁতিপাতি করে কবিতা খুঁজছে, হঠাৎ মুখ তুলে তাকাতেই কার্লের মুখের অপ্রস্তুত ভাব দেখে, স্থির ও শান্তভাবে বলল, ও মনে হয় অন্যমনস্ক হয়ে আছে। তারপর, ‘‘বাথরুমে কি বেসিন আছে,’’ একই নিঃশ্বাসে জানতে চাইল। ‘‘আমার একটা কবিতা আছে, পড়ে শোনাব তোমাদের; কবিতাটা একটা রাতের স্বপ্ন নিয়ে।’’ বলে, উঠে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে ব্লাউজ আর স্কার্ট খুলে ফেলল। ‘‘তোমার বন্ধুকে বলো রেডি হয়ে নিতে,’’ চুল খুলতে খুলতে বলল, ‘‘আমি ওর সাথেই আগে শোব।’’
এই সময়, কার্ল আসরে নামল। মেয়েটাকে নিয়ে ও ক্রমশই আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছিল এবং একইসাথে চেপে রাখা হাসির চোটে দমকে দমকে কাঁপছিল।
‘‘এক মিনিট দাঁড়াও,’’ কার্ল বলল, ‘‘বাথরুমে যাবার আগে একটু ওয়াইন হয়ে যাক। ভাল্লাগবে তোমার।’’ চট করে বোতল এনে ওকে একটা গ্লাস বানিয়ে দিল কার্ল। একগ্লাস জলে তেষ্টার জ্বালা নেবানোর মতো পুরো ওয়াইনটা ও বড় এক চুমুকে শেষ করে ফেলল। ‘‘জুতো-মোজাটা খুলে দাও,’’ বলে, পেছনের দেয়ালে হেলান দিয়ে গ্লাসটা হাতে ধরে রইল আরেক গ্লাস ওয়াইনের জন্য। ‘‘ওয়াইনটা একেবারেই বাজে,’’ ওর সেই একঘেয়ে স্বরে বলতে থাকল, ‘‘তবে আমার অভ্যেস আছে। তোমাদের কাছে দুশো ফ্রাঙ্ক আছে আশা করি? আমার একদম ওটাই দরকার। একশ পঁচাত্তর নয় কিংবা একশ আশিও নয়। তোমার হাতটা দাও…’’ কার্লের হাতটা ধরে, যে হাতটা তখন ওর মোজার ফিতে খুলতে নাজেহাল হচ্ছিল, নিয়ে রাখল ওর ভগাঙ্কুরে। ‘‘এমন অনেক বোকা আছে যারা এটা ধরার জন্য পাঁচ হাজার দিতে চায়।
ব্যাটাছেলেগুলো সব গাধা। আমি তোমাকে এটা এমনিই ধরতে দিলাম।
এখানে, আমাকে আরেক গ্লাস দাও। বেশি করে খেলে এর স্বাদটা কম খারাপ লাগে। কটা বাজল এখন?’’
ও বাথরুমে ঢুকে যেতেই কার্ল একেবারে ফেটে পড়ল। উন্মাদের মতো হাসছিল কার্ল।
আসলে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে ও। ‘‘আমি বাবা ওকে লাগাতে যাচ্ছি না,’’ কার্ল বলল। ‘‘কোথায় না কোথায় কামড়ে দেবে কে জানে। যত তাড়াতাড়ি হয় ওকে বিদেয় করো এখান থেকে। আমি না হয় ওকে পঞ্চাশ ফ্রাঙ্ক দিয়ে ট্যাক্সি ধরিয়ে দেব।’’……
……পুরো ছকটা চমৎকারভাবে কাজ করল, এ বাদে ওকে ভাগাবার আগে আমরা দুজনেই ওকে চুদলামও। আসলে গোটা ব্যাপারটাই খুব অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে গেল। কার্লকে অবাক করে আমি ওকে দুশো ফ্রাঙ্ক দিয়ে দিলাম, ওদিকে কার্লকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ওর পকেট থেকে ট্যাক্সি ভাড়া বাবদ পঞ্চাশ ফ্রাঙ্কও খসালাম। একটা বই থেকে ছিঁড়ে নেয়া কাগজের ওপর মেয়েটা তখন পেন্সিল হাতে আরেকটা কবিতা লিখতে ব্যস্ত। আমি বসেছিলাম ডিভানে, আর ও আমার সামনে ন্যাংটো দাঁড়িয়ে, আমার মুখের সামনে তাকিয়ে আছে ওর পাছা। আমার মনে হল, লিখতে থাকা অবস্থায় ওর ফুটোর খাঁজে আঙুল দিয়ে দেখব। খুব আস্তে আস্তে আমি আঙুল ঘোরাচ্ছিলাম, যেন একটা গোলাপের নরম পাপড়ি ছাড়াচ্ছি। ও যেমন হড়বড় করে হিজিবিজি কেটে যাচ্ছিল, তা-ই করতে থাকল, এমনকী সম্মতি বা অসম্মতি সূচক একটা উ আ পর্যন্ত করল না, স্রেফ আমার সুবিধের জন্য পা দুটো একটু ফাঁক করল।
ইত্যবসরে প্রবল লিঙ্গোত্থান হল আমার।
আমি উঠে দাঁড়ালাম এবং জোরে এক ধাক্কায় ঢুকিয়ে দিলাম।
সামনে ডেস্কের ওপর ও এলিয়ে পড়ে গেল, পেন্সিলটা তখনও ওর হাতে। ‘‘এখানে… এখানে নিয়ে এসো,’’ কার্ল বলছে, কার্ল তখন বিছানায়, ঈল মাছের মতো কিলবিল করে লাফাচ্ছে। আমি ওকে ঘুরিয়ে সামনের দিকে ফেরালাম, আর পা দুটো ধরে তুলে নিয়ে সোজা বিছানায় টেনে আনলাম। মদ্দা শুয়োরের মতো ঘোঁৎ ঘোঁৎ করতে করতে কার্ল সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ল ওর ওপর। ওকে ভালোভাবে করতে দিয়ে তারপর আমি আবার পেছন থেকে লাগালাম। এসব শেষ হলে ও একটু ওয়াইন চাইতে যখন আমি গ্লাসে ঢালছি, ও হাসতে শুরু করল। ……
……কার্ল নিজেও বড় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল ওর যৌনতাহীন জীবনে। আর একটু বিরক্তও, কেননা কোলেৎ ওর পুরো ফাঁকা সময়টা নিয়ে নিচ্ছিল। লেখালিখির সব ভাবনা মাথা থেকে চলে গেছিল ওর, প্রথমত টাইপমেশিনটা বন্ধকে রাখা ছিল, দ্বিতীয়ত, নিজের জন্য সময় বলতে ওর আর কিছুই ছিল না। বেচারা কোলেৎ, নিজেকে নিয়ে যে সে কী করবে তার কোনও ধারণাই ওর ছিল না। মাথা নষ্ট করে সারা দুপুর ও শুয়ে কাটাত, আর কার্ল ফিরে এলে বাকিটুকুও নষ্ট করার জন্য তৈরি হত। কার্ল সাধারণত বাড়ি ফিরত রাত তিনটের দিকে। আর বেশিরভাগ দিনই সন্ধে সাতটার আগে বিছানা ছাড়ত না, উঠত ঠিক খেয়েদেয়ে কাজে দৌড়বার সময়। এইভাবে চিড়েচ্যাপ্টা হতে হতে একসময় কার্ল হাতজোড় করে বলত, কোলেৎকে যেন আমিও একটু করি। ‘‘পুরো চুদে যাচ্ছি আমি,’’ কার্ল বলত, ‘‘গবেট মেয়েটা শালা, মাথার সব ঘিলু ফুটোতে গুজে বসে আছে।’’…..
…..কখনও আমার মনে হত যদি আমি একটা মেয়ে হই, ওরই মতো, শুধু একটা আকর্ষণীয় যোনির মালকিন। কী দারুণ হত যদি কাজের জন্য কারুর যোনিটা লাগিয়ে নেয়া যেত আর ব্যবহার করা যেত কারুর মাথাটাকে, আনন্দের জন্য! সুখের প্রেমে পড়তে! যতটা সম্ভব আরও বেকার হয়ে উঠতে!…..
…..কিন্তু, কোলেৎ হল একমাত্র গবেট গর্দভ।
তুমি যখন ওকে ছোঁবে মনে হবে ঠান্ডা, নিঃসাড় একটা মাংস, জেলির মতো। ও যখন তোমার জন্য কফি ঢালবে তুমি ওর পাছা টিপে আদর করতেই পারো, কিন্তু তোমার মনে হবে একটা দরজার হাতলকে আদর করছ তুমি। ওর এই নিঃসাড় সতীত্বপনা একটা মানুষের থেকেও অনেক বেশি একটা জন্তুর মতো। দু পায়ের খাঁজ ও এমনভাবে হাত দিয়ে ঢেকে রাখবে যেন কোনও বিপজ্জনক কিছু নয়, বরং নোংরা কিছু একটা ও আড়াল করছে। ফুটোটা ঢেকে বুক দুটো খোলা রেখে দেবে।
বাথরুমে এসে ও যদি আমাকে পেচ্ছাব করতে দ্যাখে, তাহলে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বাস্তবিক কেজো কথা বলতে থাকে আমার সাথে। একটা পুরুষ মানুষকে পেচ্ছাব করতে দেখে ওর কোনও উত্তেজনাই হয় না; একমাত্র ওর ওপরে চেপে ভেতরে পেচ্ছাব করে দিলেই ও উত্তেজিত হবে।….
……আদ্রিয়েন, সেই নাচঘরের মেয়েটা, ড্রিঙ্কের জন্য বারে চলে এল। দু পা ছড়িয়ে একটা উঁচু টুলে ও বসেছিল। একহাতে ওর এক বন্ধুকে ধরে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম ওর পাশে। একটুবাদেই আমার হাত চলে গেল ওর জামার ওপর। এইভাবে ওর সাথে যখন খেলছি ও নেমে এল দাঁড় থেকে, আর আমার কাঁধে হাত রেখে চুপিসাড়ে আমার প্যান্টের চেন খুলে হাত নিয়ে এল বিচির ওপরে। মিউজিশিয়ানরা তখন ঢিমে তালে ওয়ালজ বাজাচ্ছে, চারপাশে নিভু নিভু আবছা আলো। আদ্রিয়েন আমাকে নিয়ে গেল ফ্লোরের দিকে, আমার প্যান্টের চেন হাট খোলা, শক্ত করে ধরে ও আমাকে একেবারে ফ্লোরের মাঝখানে নিয়ে এল যেখানে মুহূর্তের মধ্যে আমরা পুরো সার্ডিন মাছের মতো বাক্সবন্দী হয়ে গেলাম। ওখানটায় এত ভিড় যে স্পট থেকে আমরা সরতেই পারলাম না। আদ্রিয়েন আবার আমার খোলা চেনের কাছে এল, আমার ডান্ডাটা বের করে লাগিয়ে দিল ওর ফুটোর মুখে। এটা নিদারুণ যন্ত্রণা ছিল।
তার মাত্রা আরও বাড়াতে, ওর আরেক বন্ধু আমাদের পাশেই দাঁড়িয়েছিল, খপ করে ধরে ফেলল আমার বাঁড়াটা। সেই মুহূর্তে আমার পক্ষে আর ধরে রাখা সম্ভব ছিল না — ফিনকি দিয়ে ওর হাতেই সব বেরিয়ে গেল।
স্রোতবাহিত আমরা যখন বারে ফিরে এলাম, কার্ল একটা মেয়ের কাছে গুটিসুটি মেরে এককোণে দাঁড়িয়ে, আর মেয়েটাকে মনে হচ্ছে মাটিতে নুয়ে পড়েছে একেবারে। বারের লোকটা দৃশ্যত বিরক্ত। ‘‘এটা মদ খাওয়ার জায়গা, কারুর বেডরুম না,’’ লোকটা বলছে। কার্ল ঢুলুঢুলু চোখে তাকাল, ওর মুখে তখন রুজ মাখা, টাই সরে গেছে, জামার বোতাম খোলা, চোখের ওপর চুল নেমে এসেছে। ‘‘এরা কেউ বেশ্যা নয়,’’ বিড়বিড় করে বলল, ‘‘এরা নিম্ফোম্যানিয়্যাক।’’
কার্ল ওর শার্টের পেছনটা টেনে টুলে বসতেই বেরিয়ে পড়ল সামনের খোলা চেন। মেয়েটা তখন কার্লের চেন লাগাতে বসল। তারপর হঠাৎই মত পালটে আবার টেনে খুলল, কার্লের ডান্ডাটা বের করে সামনে ঝুঁকে তাতে চুমু খেল। স্পষ্টতই, এটা সহ্যের সব সীমা পেরিয়ে গেছিল। গুটিগুটি পায়ে ম্যানেজার এসে বলে গেল হয় আমাদের ঠিকমতো আচরণ করতে হবে নইলে মারধোর পড়বে। মেয়েদের ওপর উনি যদিও রাগ দেখালেন না; শুধু একটু ধ্মক দিলেন ওদের, যেন এই এরা সব দুষ্টু বাচ্চাকাচ্চা।…..
…..