……বরং তপুর বন্ধুদের মতো সেও ওই পুতুলটাকে কুইন বলেই ডাকে। সস্তা শাড়ির আড়াল থেকে পুতুলটির উদ্ভিন্ন যৌবনের কথা জানান দেয়……
…..তার স্তনদুটি। ঠোঁটে-মুখে লেগে থাকে লাস্যের রেশ। তবে রাতের বেলা তপুর কুইন জীবন্ত হয়ে দোকানে ঘুরে বেড়ায় কি না, সেকথা অবশ্য কেউই জানে না।……
……তোমার গায়েই তো সোনালি রং মাণ্ডবী। তুমি তো সোনার মেয়ে।
আমার গায়ের সব রং ওরা উপড়ে নিচ্ছে তপুদা, আমার চোখ কান নাক উপড়ে নিচ্ছে … ছিঁড়ে নিচ্ছে আমার হাত পা স্তন নাভি যোনি। আমার ঘড়িটা দাও। আমার সোনালি ব্যান্ডের ঘড়ি….
দু’চোখ জ্বালা করে উঠল তপুর। তার খুব ইচ্ছে করছে ম্যানিকিনটাকে ছোঁয়ার। কিন্তু শীতল স্রোত অবশ করে দিচ্ছে তপুর শরীর। ওর শাড়িটা সরিয়ে দিলেই তো বেরিয়ে পড়বে দগদগে ক্ষত। তপু স্পষ্ট দেখতে পেল রক্তের ধারা চুঁইয়ে নামছে তার কুইনের দুই উরু বেয়ে।…….
……জোড়াবাগানের যে দিকটায় শুক্লাদের বাড়ি, সেইদিকের অন্ধকারে শুক্লাদের পাঁচিলের কোল ঘেঁষে ছোট বারান্দা। ঠিক সেইখানটায় দাঁড়িয়ে তার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছে একটা শাড়ি পরা মেয়ে। তার চোখের আলো এতদূর থেকেও পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে তপু। তার কোঁকড়ানো চুল, চাপা নাক, মোটা ঠোঁট। সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপুর। মেয়েটা একেবারে স্থির। এতটুকু নড়ছে না। হাতদু’টি লীলায়িত ভঙ্গিতে দেহের দু’পাশে ছড়ানো। শাড়ির আড়াল থেকে উদ্ভিন্ন যৌবনের কথা জানান দিচ্ছে তার সমুদ্যত স্তন দুটি। ঠোঁটে-মুখে লেগে যাচ্ছে। লাস্যের রেশ।….