ইলেভেন মিনিটস – পাওলাে কোয়েলহাে

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু

………পনেরাে বছর বয়সে মারিয়া শুধু শিখলই না যে মুখ খুলে চুমু খেতে হয়, প্রেম যে যন্ত্রণা দেয় তাও সে জানল। তবে এ বয়সে সে আরেকটি অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত হলো : স্মমেহন। হঠাৎ করেই ঘটল ঘটনাটা। সে বাড়িতে বসে মা’র জন্য অপেক্ষা করছিল। অলস হাত ঘোরাঘুরি করছিল নিজের যৌনাঙ্গে।

ছেলেবেলা থেকেই যৌনাঙ্গ ঘাটাঘাটি করে আসছে সে, মজা লাগে এতে। ……….পরে জেনেছে জনসমক্ষে একান্ত অঙ্গ নিয়ে ঘষাঘষি শােভনীয় নয়। যেহেতু রাস্তায় বসে কাজটা করা যাবে না এবং বাড়িতে নিজের কোনও ঘর ছিল না তাই মারিয়া যৌনাঙ্গ ঘর্ষণের আনন্দের কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল।

সেদিন বিকেলে, চুমু খাওয়ার মাস ছয় পরে, মার বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছিল, মারিয়ার করার মত কোনও কাজও ছিল না; বাবা তার এক বন্ধুর সঙ্গে বাইরে গেছেন, টিভিতে চিত্তাকর্ষক কিছু দেখাচ্ছিল না, সে নিজের শরীর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। অপ্রত্যাশিত লােম চোখে পড়লে তুলে ফেলবে। যোনি দেশ ফাক করে দেখছিল মারিয়া। অবাক হয়ে লক্ষ করল তার যৌনাঙ্গের ঠিক উপরে ছােট্ট একটি মাংসখণ্ড ফুলে আছে; মাংসখণ্ডে আঙুল ছোয়াল মারিয়া। অদ্ভুত আবেশে শিরশির করে উঠল তনু-মন। সে বারবার আঙ্গুল দিয়ে ঘষতে লাগল জায়গাটা। অসহ্য একটা সুখে আচ্ছন্ন হয়ে গেল ও। সারা শরীরে কী যে একটা সুখ। ভাষায় প্রকাশ করার নয়। দেখতে দেখতে যোনির উপরের মাংসখণ্ডটি শক্ত ও খাড়া হয়ে উঠল। ওখানটাতে যত ঘষছে মারিয়া, তত সর্গসুখে আকুল হয়ে উঠছে। হঠাৎ সখময় অনুভূতিটা প্রচণ্ড হয়ে উঠল, শক্ত মাংসখণ্ডে দ্রুততর হয়ে উঠল আঙ্গুল চালনা, মারিয়ার শরীর ঝাকি খেতে লাগল, মুখ দিয়ে আহ! আহ!’ গােঙানি বেরিয়ে আসছে, ও যেন কিছু দেখতে পাচ্ছে না, শুনতে পাচ্ছে না, পুরাে দুনিয়া আকস্মিক হলুদ রং ধারণ করল। তীব্র সুখের সাগরে ভাসতে ভাসতে, গােঙাতে গোঙাতে রেতঃপাত ঘটল পঞ্চদশী মারিয়ার।

রেতঃপাত।

এ যেন সর্গসুখে ভাসতে ভাসতে তারপর প্যারাসুটে চেপে ধীরগতিতে মর্ত্যলােকে প্রত্যাবর্তন। ঘামে জবজবে মারিয়ায় পা, কিন্তু পূর্ণ একটা শক্তিতে বলিয়ান। সে তৃপ্ত, সন্তুস্ট। তাহলে এর নাম সেক্স! কী দারুন একটা অনুভূতি। এ সুখের জন্য পুরুষ মানুষের দরকার হয় না যারা নারী শরীর চায় কিন্তু নারীর অনুভূতির মূল্যায়ন করে না। এ সুখের রাজ্যে একা একাই প্রবেশ করতে পারে মারিয়া, কারও হাত ধরার দরকার নেই।

আবার হস্তমৈথুন করল মারিয়া। এবারে কল্পনা করল এক সিনেমা তারকাকে। কল্পনায় দেখল তারকাটি ওকে আদর করছে, ওর সারা শরীরে হাত বোলাচ্ছে, হরণ করছে মারিয়ায় অনাঘ্রাতা যৌবন। মুভিস্টারের কথা কল্পনা করতে করতে আবার সুখে সর্গে চলে গেল মারিয়া, স্ফলনের পরে ভাসতে ভাসতে নেমে এল মাটির পৃথিবীতে। প্রথমবারের চেয়েও বেশি মজা পেল। মজাটা আবার নিতে ইচ্ছে করল মারিয়ার। সম্ভব হলাে না মা এসে পড়ায়।

মারিয়া তার নতুন আবিস্কার নিয়ে গল্প করল বান্ধবীদের সঙ্গে । তবে সদ্য এ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার কথা সে চেপে গেল। ওদের প্রায় সবাই – দু’জন বাদে- এ অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত, তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সাহস পায় নি কেউ। মারিয়ার মনে হলাে সে যেন একটা বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে। গােপন স্বীকারােক্তির একটা খেলা যেন এটা, মারিয়া তার নেত্রী। সবার কাছে একে একে জানতে চাইল কে কীভাবে স্বমেহন করে । শুনল হস্তমৈথুনে একেকজন একেকরকম কৌশল অবলম্বন করে। একজন জানাল প্রচন্ড গরমের সময় (গরমে নাকি সেক্স বাড়ে) সে হাসের পালক ঘসতে থাকে ওই জায়গাটায় (জায়গাটির নাম সে জানে না )। আরেকজন বলল তাকে তার ছেলেবন্ধু ওখানটা ঘষে দেয়,তার অতিদ্রুত রেতঃপাত ঘটে (মারিয়া ভাবে, এ আনন্দ পেতে হলে ছেলে বন্ধুর দরকার নেই) একজন বাথরুমে বসে শাওয়ারের মুখ ব্যবহার করে। শাওয়ার থেকে ঝিরঝির ধারার জল পড়ে, জলের স্পর্শে অতুলনীয় সুখ পাওয়া যায়। (মারিয়ায় বাসায় শাওয়ার নেই। তবে সে বড়লোেক কোনও বান্ধবীর বাসায় গিয়ে এ অভিজ্ঞতাটা সঞ্চয় করবে।)………

…..বয়ঃসন্ধিকাল পার হয়ে আসে মারিয়া। সে যত বড় হচ্ছে, ততই যেন তার রূপ ফেটে পড়ছে। তার সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে ভ্রমরেরা তার পাশে গুঞ্জন করে। কোনওদিন প্রেম না করার প্রতিজ্ঞা সত্ত্বেও সে একেকদিন একেক ছেলের সঙ্গে ডেট করে। এমনি একদিন ডেটিং-এ কুমারীত্ব বিসর্জন দিল মারিয়া। একটি গাড়ির পেছনের আসনে শুয়ে।
পরস্পরের শরীর স্পর্শ করছিল ওরা। ছেলেটি খুব উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। কারণ তার বন্ধুবান্ধবের মধ্যে একমাত্র তারই নারীসঙ্গের অভিজ্ঞতা নেই। সে মারিয়ার শরীরে প্রবেশ করল। স্বমেহন মারিয়াকে স্বর্গে নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু যৌন মিলন তাকে দিল ব্যথা এবং এ কাজটা করতে গিয়ে তার স্কার্টে রক্ত লেগে গেল (এ রক্তের দাগ তুলতে গিয়ে জান শেষ হয়ে গিয়েছিল মারিয়ার)। প্রথম চুম্বনের জাদুকরী অনুভূতি ছিল না এর মধ্যেসারস পাখির উড়ে যাওয়া, সূর্যাস্ত, সঙ্গীত… তবে ও নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিল না মারিয়া। ছেলেটির সঙ্গে আরও কয়েকবার মিলিত হলাে মারিয়া। যদিও ছেলেটি আর চাইছিল না বলে তাকে হুমকি দিতে হয়েছে। মারিয়া বলল সে যা বলছে | তা যদি ছেলেটি না করে তবে সে তার বাবাকে বলে দেবে ছেলেটি তাকে ধর্ষন করেছে………

………মেলসন এক জার্মান ট্যুরিস্টকে পটাতে ব্যস্ত। মহিলা মাত্র হােটেলে এসে পৌঁছেছে, ন্যাংটো হয়ে সূর্য-স্নান করছে সৈকতে। মহিলার মতে বিশ্বের সবচেয়ে উদার দেশ হলাে ব্রাজিল (মহিলা লক্ষ করেনি সৈকতে সে-ই একমাত্র নগ্ন বক্ষা যার খাড়াখাড়া বুকের দিকে অন্যরা আড়চোখে, অস্বস্তি নিয়ে তাকাচ্ছে)। মেলসনের মনোযােগ নিজের দিকে ফেরাতে রীতিমত বেগ পেতে হলাে মারিয়াকে।……..

……….সেক্স মারিয়ার জীবনে নতুন কিছু যােগ করেনি। তার কাছে সেক্স মানে দু’পা ফাক করে দেয়া, খদ্দেরকে কনডম ব্যবহার করতে বলা, ভালাে বকশিসের আশায় গােঙাতে থাকা ফিলিপিনাে নিয়াকে ধন্যবাদ, শীৎকারের কারণে মারিয়া অতিরিক্ত পঞ্চাশ ফ্রা আয় করে এবং কাজ শেষে গোসল সেরে নেয়া এ আশায় যে জলের ধারা তার আত্মা পরিষ্কার করে তুলবে।

মারিয়া চুমোচুমির মধ্যে যায় না। পতিতাদের কাছে চুম্বন পবিত্র বিষয়। নিয়া বলেছে প্রেমিকের জন্য চুমু সংরক্ষণ করে রাখতে, স্লীপিং বিউটির গল্পের মত; যে চুমু ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে মারিয়াকে, ওকে নিয়ে যাবে রূপকথার রাজ্যে ।

যৌন সঙ্গমে মারিয়ার কখনােই রেতঃপাত ঘটে না। সে কোনও মজাও পায় না, উত্তেজনাও বােধ করে না। সে সঙ্গমের কলা কৌশল শিখতে মাঝে মাঝে পর্ণোছবি দেখে। তবে এসব কৌশল খদ্দেরের জন্য প্রয়ােগ করে না । কারণ এতে প্রচুর সময় ব্যয় হয়। এত নষ্ট করার সময় কোথায় মারিয়ার? মিলান খুশি হয় যখন দেখে তার মেয়েদের কেউ কেউ এক রাতে তিনজন খদ্দের সামলাচ্ছে।……….

……….এর আগে কেউ এমন করে বলে নি মারিয়াকে। তারা বলেছে ‘আমি তােমার খাড়া খাড়া মাই দেখছি, তােমার সুডৌল উরু দেখছি, তােমার মধ্যে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের মাথা খারাপ করা রূপ দেখতে পাই, ইত্যাদি।…….

………..সে কাঁধ থেকে ড্রেসের স্ট্রাপ খসে পড়তে দিল। তার গােলাপি স্তনের খানিকটা উদ্ভাসিত হলাে। ‘তুমি যা দেখছ তা কামনা নয়, কামনা হলাে তুমি যা কল্পনা কর।’

রালফ হার্ট তাকিয়ে আছে ঘন কৃষ্ণ কেশী নারীটির দিকে, তার পরনে কালাে পােশাক, সে তার লিভিংরুমের মেঝেতে বসে আছে, প্রচণ্ড কামনায় ব্যাকুল, জ্বলছে ফায়ার প্লেসের আগুনের মতাে। হ্যা, রালফ কল্পনায় দেখতে চায় ওই পােশাকের নিচে কী লুকিয়ে আছে; সে অনুমান করতে পারে মারিয়ার বুকের মাপ, সে জানে মারিয়ার ব্রা পরার কোনই প্রয়ােজন নেই। কারণ ব্রা শাসন মানতে চাইছে না উদ্ধত বক্ষ জোড়ার। তবে কাজের প্রয়ােজনেই হয়তাে বক্ষ বন্ধনী পরতে হয় ওকে। মারিয়ার বুক খুব বড় নয়, আবার ছােটও নয়। ডাসা ডাসা।
রালফ ভাবছে এই নারী এখানে কী করছে? সে-ই বা কেন এই বিপজ্জনক সম্পর্কে জড়াতে গেল যখন নারী সঙ্গ পাওয়া তার জন্য কোনও সমস্যা নয়। সে ধনী, যুবক, বিখ্যাত, সুদর্শন। ……….রালফ তাকিয়ে আছে তার সামনে বসা অপূর্ব সুন্দরী নারীটির দিকে। কালাে পােশাকে দারুণ লাগছে তাকে। ……রালফ তাকে এতটা তীব্র ভাবে কামনা করছে যা নারীটির কল্পনাতেও নেই। কিন্তু তার বক্ষ কিংবা শরীরের জন্য সে লালায়িত নয়, সে ওর সঙ্গ কামনা করছে। ইচ্ছা করছে ওকে জড়িয়ে ধরে চুপচাপ বসে থাকে, তাকিয়ে থাকে অগ্নিকুণ্ডের দিকে, মাঝে মাঝে সিগারেটের ধোঁয়া গিলবে; ব্যস, ওটুকুই যথেষ্ট।…… সে খেলাটায় মনােনিবেশ করল যে খেলা ওরা শুরু করেছে একসঙ্গে।
মারিয়া শােল্ডার স্ট্রাপ লাগানাে একটি কালাে পােশাক পরেছে। এক কাঁধ থেকে খসে পড়েছে ফিতে, উন্মােচিত হয়ে আছে বক্ষ। ওর ত্বক দেখতে পাচ্ছে রালফ। গাঢ় রঙের চামড়া। ওকে পেতে ইচ্ছে করল রালফের সাংঘাতিকভাবে কামনা করছে।
রালফের চাউনির পরিবর্তন লক্ষ করল মারিয়া। বুঝতে পারছে ওকে সাংঘাতিকভাবে চাইছে ব্যালফ। সেই একই অটোমেটিক ফর্মুলা- আমি তােমার সঙ্গে প্রেম করতে চাই, আমি বিয়ে করতে চাই, আমি স্বলন চাই, আমি তােমার পেটে আমার সন্তান চাই, আমি প্রতিশ্রুতি চাই।…..

……মারিয়া অপর কাঁধ থেকেও পােশাকের বাকি ফিতেটি পিছলে পড়তে দিল। পুরাে পােশাকটি খসে গেল গা থেকে। ব্রা মুক্ত করল বক্ষ। তার শরীরের ঊর্ধ্বাংশ এখন পুরােপুরি উন্মুক্ত। ভাবছে রালফ এখন তার ওপর ঝাপিয়ে পড়বে কিনা, তাকে স্পর্শ করবে, প্রেমময় কথা বলবে। নাকি কামনার কথা ভেবেই সে যৌন আনন্দ পেতে পারে?

রালফ প্রথমে নড়ল না। তার চোখে লাজুক একটা ভাব ফুটে উঠতে দেখল মারিয়া। তবে অল্পক্ষণের জন্য। রালফ তাকিয়ে আছে মারিয়ার দিকে। কল্পনায় দেখল আদর করছে মারিয়াকে আদর করার মাধ্যম নিজের জিভ। ওরা প্রেম করছে, ঘামে ভিজে জবজবে পা, পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আছে শক্ত বন্ধনে, গোঙাচ্ছে, শীৎকার করছে।

তবে বাস্তব পৃথিবীতে এসব ঘটল না কিছুই। ওরা কিছু বলছে না। নড়ছেও না কেউ। এটা আরও বেশি উত্তেজিত করে তুলল মারিয়াকে। কারণ ও-ও যু! খুশি ভাবতে পারছে। ভাবছে রালফকে সে বলছে ওকে স্পর্শ করার জন্য ।
দু’পা মেলে ধরেছে মারিয়া, রালফের সামনে হস্তমৈথুন করছে, মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে দারুণ রােমান্টিক সব বুলি আর অশ্লীল যত কথা, যেন ওরা দু’জনে এক এবং একত্রিত; বেশ কয়েকবার রেতঃপাত হলাে মারিয়ার । তার শীক্কার আর গােঙানির চোটে ঘুম ভেঙে গেল প্রতিবেশীদের, জেগে গেল গােটা পৃথিবী। এই তাে তার পুরুষ যে তাকে সুখ এবং আনন্দ দিচ্ছে, এর সঙ্গে সে আগের মানুষটি হতে পারে, তাকে বলতে পারে তার সঙ্গে বাকি রাতটুকু কাটাতে পারলে সে কতটা খুশি হবে। কত খুশি হবে যদি সপ্তাহ’র বাকি ক’টা দিন এবং সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে।

কপাল দিয়ে ফোটায় ফোটায় ঘাম ঝরতে শুরু করল মারিয়ার। আগুনের উত্তাপে ঘাম হয়েছে শরীরে। একজন মনে মনে বলল অপরজনকে। পুরুষ এবং নারী উভয়েই তাদের চুড়ান্ত সীমায় পৌছে গেছে, কল্পনা করে তারা বিধ্বস্তু। এখন তাদের বিরতির প্রয়ােজন, যদি আরেকটু এগােতে যায়, বাস্তবতার কষাঘাতে এই জাদুটা অদৃশ্য হয়ে যাবে। | পুব ধীরে ধীরে, যেহেতু শুরুর চেয়ে শেষটা সবসময় হয় কঠিন, ব্রা পরল মারিয়া, ঢাকল বুক। পৃথিবী ফিরে এল তার স্বাভাবিক জায়গায়, কোমরের কাছে খসে থাকা পােশাক পায়ে চড়াল মারিয়া, হাসল। খুব আস্তে স্পর্শ করল রালফের মুখ। ……….

…………নিশ্চল বসে রইল মারিয়া। সুটকেস খুলল টেরেন্স। বের করল এক জোড়া ধাতব হ্যান্ডকায়।

‘পা ফাক করে বসাে।’

হুকুম তামিল করল মারিয়া। টেরেন্স ওর দুই পায়ের ফাঁকে তাকাল। দেখছে কালাে প্যান্টি, লম্বা মােজা, ছাল ছাড়ানাে কলা গাছের মত মসৃণ। উরু। কল্পনায় হয়তাে মারিয়ার যােনিদেশের লোমও দেখতে পাচ্ছে।…….

কাপড় খােলাে।

ঝট করে এল আদেশ। মাথা নিচু রেখে পােশকের বােতাম খুলতে লাগল মারিয়া। পোশাকটা ঝপ করে পড়ে গেল মাটিতে।

‘তুমি ঠিকমত আচরণ করছ না, নিশ্চয় জানো।’ শূন্যে আবার সাই করে বাতাস কাটল চাবুক।

মারিয়া হাঁটু গেড়ে বসতে যাচ্ছিল, চাবুকের বাড়ি খেয়ে ককিয়ে উঠল। ওর নগ্ন নিতম্বে বাড়ি মেরেছে চাবুক। জ্বলছে। তবে আশা করা যায় কোনও দাগ পড়েনি।

“তােমাকে আমি হাঁটু মুড়ে বসতে বলেছি?” না।’ চাবুক আবার আছড়ে পড়ল নিতম্বে। ……..

‘বাকি পােশাকগুলোও খুলে ফেলে। ঘরের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত হেঁটে যাও। আমি তােমাকে দেখব।’

…….মারিয়া তার আদেশ পালন করল। একে একে খুলে ফেলল প্যান্টি ও ব্রা। আবার সাই শব্দ উঠল বাতাসে। তবে এবারে চাবুক স্পর্শ করল না মারিরার গা।

…….তােমাকে আচ্ছা একটা ধোলাই দেয়া হবে। তাহলে শিখতে পারবে কীভাবে আচরণ করতে হয়। হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে মারিয়ার নিতম্বে চড় মারল টেরেন্স। মারিয়া ককিয়ে উঠল ব্যথায়।……সম্পূর্ণ নগ্ন মারিয়া, মুখে চামড়ার পলি, হাতে হাতকড়া, তার শিরায় রক্তের বলে যেন প্রবাহিত হচ্ছে ভদকা।  আবার থাপ্পর পড়ল পাছায়। হাঁটো।’

হাঁটা ধরল মারিয়া। সেই সঙ্গে মান্য করে গেল নির্দেশ : ‘… ডানে ঘােরাে, বসাে,’ পা ফাক করাে।’ বারবার একে চড় কষাতে লাগল টেরেন্স, থাপ্পর খাওয়ার মতাে অপরাধ মারিয়া করুক বা না-ই করুক। প্রতিটি থাপ্পরে জ্বালা ধৱল গায়ে, ……..তার লাজ-লজ্জা সব চলে গেছে, নিজের তৃপ্তি প্রদর্শনে দ্বিধা করছে না; সে এবার গােঙাতে শুরু করল, আকুতি জানাচ্ছে টেরেন্স যেন ওকে স্পর্শ করে, বদলে লােকটা একে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল বিছানায়।

জোর করে মারিয়ার দু’পা ফাক করল টেরেল- বেঁধে ফেলল খাটের সঙ্গে। হাতকড়া বাধা হাত জোড়া শরীরের পেছনে, পা ছড়ানাে, মুখে পট্টি গোঁজা, টেরেন্স কখন ওর শরীরে প্রবেশ করবে? ও কি দেখতে পাচ্ছে না প্রস্তুত হয়ে আছে মারিয়া, টেলেন্সের সেবা করতে চায় সে, মারিয়া তো টেরেসের ক্রীতদাসী, সে তাকে নিয়ে যা খুশি করতে পারে।

মারিয়ার যােনিতে চাবুকের হাতল রাখল টেৱেল। তারপর ওপরে-নিচে ঘষতে লাগল। ওর ভগ্নাংকুর স্পর্শ করা মাত্র নিজের ওপর সমস্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলল মারিয়া । ডজন ডজন পুরুষ এতদিন যা করতে পারেনি, আজ চাবুকের হাতলের ঘষায় তা ঘটল। রেতঃপাত হলাে মারিয়ার। যােনির ফাক হয়ে থাকা ঠোট দিয়ে ভলভল করে বেরিয়ে আসতে লাগল আঠালো, সাদা রস। আলাের একটা বিস্ফোরণ ঘটল মারিয়ার চোখের সামনে, মনে হলাে আত্মার কালাে গহ্বরে ঢুকে পড়েছে সে, যেখানে তীব্র যক্ষ্মণা এবং ভয় প্রচণ্ড যৌনতৃপ্তির সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে, তাকে চেনা সমস্ত সীমারেখা থেকে ঠেলে বের করে নিয়ে আসছে, শীৎক্কার দিল মারিয়া, চিক্কার করল, তবে মুখে চামড়ার পট্টি ঢােকানাে বলে বেরুল না শব্দ । সুখে আকুল হয়ে মােচড় খেতে লাগল বিছানায়, হাতকড়ায় টান খেয়ে ছিলে গেল হাতের চামড়া। ওর যােনিতে যেন রগরসের বান ডেকেছে। প্রচণ্ড সুখে মূৰ্ছা যাবার দশা হলাে মারিয়ার, বারবার ঝাকি আছে শরীর। টেরেন্সের হাত চালনা আরও দ্রুত হয়ে উঠল ঠাটিয়ে শক্ত হয়ে ওঠা লাল টকটকে ভগাঙ্কুরে। শুধু যােনি থেকে নয়, রেতঃপাত যেন হলাে মারিয়ার মুখ, প্রতিটি লােম কূপ, চোখ এবং ত্বক থেকে। একটা ঘােরের মধ্যে যেন প্রবেশ ঘটেছিল মারিয়ার। আস্তে আস্তে, খুব ধীরে ধীরে ফিরে এল সে নিজের মধ্যে। দুই পায়ের ফাঁকে কোনও চাবুক এখন নেই। তার যােনির লােম রসে ভেজা, মাথার চুল ঘামে ভেজা, টের পেল নরম হাতে ওর কজি থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে হ্যান্ডকাফ, চামড়ার রশি বাঁধা গোড়ালিও হলাে যুক্ত।…………

…………মেয়েটি পুরুষটিকে বলল কাপড় খুলতে। সে নিজেও নগ্ন হলাে। অন্ধকারে চোখ সইয়ে নিল নারী, সে কোথাও থেকে ভেসে আসা আলােয় পুরুষটির কাঠামাে দেখতে পাচ্ছে, শেষ বার যখন তারা এই উদ্দেশ্যে মিলিত হয়েছিল মেয়েটি তখন আংশিক নগ্ন হয়েছিল।…..

……. আমরা বিছানায় শােব না। মুখখামুখি বসে কথা বলব। তবে এবারে একটু কাছাকাছি হয়ে বসব যাতে আমার হাঁটু স্পর্শ করে তােমার হাঁটু।’……নারীটি সবসময় এ কাজটি করতে চেয়েছে, কিন্তু সবচে’ যে জিনিসটি দরকার তা-ই তার ছিল না; সময়। প্রথম বয়ফ্রেন্ড কিংবা প্রথম পুরুষ যে তার শরীরে প্রবেশ করেছিল, কারও জন্যই এই সময়টা ছিল না। এমনকী সময় ছিল না সেই আরবের জন্য যিনি তাকে এক হাজার ফ্রা দিয়েছিলেন। সময় ছিল না অসংখ্য সেই পুরুষদের জন্য যারা তারা শরীরটাকে ইচ্ছে মত ছানাছানি করেছে, তারা কখনও নিজেদের কথা ভেবেছে, কখনও মেয়েটির কথা চিন্তা করেছে, কখনও রােমান্টিক স্বপ্ন দেখেছে।…….

……..তার মাও কি বাবার সঙ্গে সঙ্গমকালে তৃপ্ত হবার ভান করেন? নাকি ব্রাজিলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেক্সে তৃপ্ত হওয়া এখনও নিষিদ্ধ? সে জীবন এবং প্রেম সম্পর্কে এত কম জানে! তবে চোখে রুমাল বাঁধা অবস্থায় সে যেন এই মুহূর্তে জগতের সবকিছুর উৎপত্তি আবিষ্কার করছে এবং সে যেভাবে শুরু করতে চেয়েছে সেভাবেই যেন শুরু হচ্ছে সবকিছু।……..

…….নারী তার হাত বাড়িয়ে দিল। পুরুষকেও বলল একই কাজ করতে। ফিসফিস করে কিছু বলল, সে। বলল আজ রাতে, এই নাে-ম্যানস-ল্যান্ডে সে চায় পুরুষ তার ত্বক আবিষ্কার করুক, আবিষ্কার করুক তার মাঝের সীমানা এবং পৃথিবী। সে তাকে স্পর্শ করতে বলে, হাত দিয়ে তাকে অনুভব করতে বলে, কারণ আত্মা যখন ব্যর্থ হয় তখনও শরীর পরস্পরকে বুঝতে পারে। সে তাকে স্পর্শ করতে শুরু করল। পুরুষটিও স্পর্শ করছে তাকে। তবে যেন আগেই চুক্তি হয়েছে এভাবে তারা পরস্পরের শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলাে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকবে। পুরুষটির হাত স্পর্শ করল নারীর মুখ।……….

……..নারীটি ক্রমাগত আদর করে যেতে লাগল। সারারাত সে কাটিয়ে দিতে পারে এভাবেই, কারণ এটা এমন আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা যার জন্য সেক্স করার প্রয়ােজন হয় না, আর যেহেতু সেক্স করতে কোনও বিধিনিষেধ নেই, নারী তার দু’পায়ের মাঝে উত্তাপ অনুভব করতে শুরু করে। এবং সে জানে তার যােনির ভেতরটা রসে সিক্ত হয়ে উঠেছে। পুরুষ যখন ওখানটাতে স্পর্শ করবে, সে এটা আবিষ্কার করবে এবং নারী জানে না এটা খারাপ হবে না ভালাে, তার শরীর তাে এভাবেই সাড়া দিচ্ছে, তার ইচ্ছে নেই পুরুষকে বলে এখানে বা ওখানে আস্তে বা দ্রুত হাত দিতে।

পুরুষটির হাত এখন নারীটির বগল স্পর্শ করছে। নারীর হাতের রােমগুলাে দাঁড়িয়ে গেল সরসর করে, তার ইচ্ছে করল পুরুষটির হাত সরিয়ে দেয়। কিন্তু স্পর্শটা ভালাে লাগছে তার। যদিও সে এক ধরনের যন্ত্রণা অনুভব করছে । নারী একই জিনিস করল পুরুষটির ক্ষেত্রে। তার বগলে হাত চালিয়ে দিল ।

পুরুষের আঙুল ঘুরে বেড়াচ্ছে নারীর বক্ষযুগলে। নারী চাইছে দ্রুততর হােক আঙুল চালনা, স্পর্শ করুক তার স্তনবৃন্ত, কারণ তার চিন্তা চেতনা পুরুষের হাতের চেয়েও দ্রুতগতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। সম্ভবত এটা জানে পুরুষ তাই ওখানে হাত নিয়ে যেতে সময় নিচ্ছে।

নারীর স্তনের বোঁটা এখন পাথরের মতাে শক্ত। পুরুষ স্তন নিয়ে কিছুক্ষণ খেলা করল, সুড়সুড়ি লাগল নারীর, আরও বেশি উত্তেজনা বােধ করল সে, আরও বেশি ভিজে গেল যােনি। পুরুষের হাত এখন তার মসৃণ পেটে, তারপর নেমে এল পায়ে, পায়ের পাতায়, ঘােরাঘুরি করতে লাগল উরু এবং হাঁটুর নিচে। নারীর শরীরের উত্তাপ টের পাচ্ছে পুরুষ, বুঝতে পারছে কতটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছে নারী। পুরুষটির হাতের ছোঁয়া নরম, হালকা। 

একই কাজ করছে নারীও। তার হাত যেন ভেসে বেড়াচ্ছে পুরুষটির অঙ্গে, তার পায়ের লােম স্পর্শ করছে, যৌনাঙ্গের এলাকায় পৌছে সে টের পেল কতটা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরুষটি। তারপর হঠাৎ, যেন হঠাৎ করেই নারীটি ফিরে পেয়েছে তার কুমারীত্ব, যেন এই প্রথম স্পর্শ করছে কোনও পুরুষ শরীর, সে ছুঁয়ে ফেলল তার পুরুষাঙ্গ। সে যা কল্পনা করেছিল এখনও অতটা শক্ত হয়ে ওঠে নি লিঙ্গ, হতে পারে পুরুষের উদ্রিত হতে আরও সময়ের প্রয়ােজন।

পুরুষাঙ্গ ধরে আদর শুরু করল নারী। যেন কুমারী কোনও মেয়ে এই প্রথম ওটা আবিষ্কার করছে। সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া জানাল পুরুষ। নারীর নরম হাতের মধ্যে ওটা ফুসতে লাগল, আকারে ক্রমে বড় হচ্ছে, ওটাকে জোরে চাপ দিল নারী, এখন জানে কোথায় কোথায় স্পর্শ করতে হবে। ওপরের থেকে নিচে বেশি। হস্তমৈথুনের ভঙ্গিতে সে হাত ওপর নিচ করছে। এখন পুরুষ উত্তেজিত, ভয়ানক উত্তেজিত। সে নারীর যােনি ঠোট স্পর্শ করল, খুব আস্তে। নারীর ইচ্ছে করল বলে পুরুষ যেন আরও জোরে ঘষতে থাকে, তার যোনির ভেতরে ঢুকিয়ে দেয় আঙুল। কিন্তু পুরুষ তা করল না। সে ঘষতে থাকল ভগাঙ্কুর। যােনির রাগ রসে ভিজে সপসপ করছে ওটা। তাকে এমনভাবে স্পর্শ করছে যেভাবে নারী স্বমেহনের সময় তার যােনি নিয়ে করে।

পুরুষের একটি হাত ফিরে এল নারীর বুকে দারুণ লাগছে। চাই পুরুষ এখন তাকে জড়িয়ে ধরুক। কিন্তু না, তারা এখন শরীর আবিষ্কার করছে, তাদের হাতে সময়, তাদের প্রচুর সময়ের দরকার। তারা ইচ্ছে করলে এখন প্রেম করতে পারে; বরং এটাই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাভাবিক কাজ, কিন্তু নারী নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইল। সে সব কিছু নষ্ট করে দিতে চায় না। প্রথম রাতে কীভাবে তারা মদ পান করেছিল, স্মরণ করল নারী, কেমন ধীরে ধীরে মদের গ্লাসে চুমুক দিচ্ছিল।

সে পুরুষটিকে মদের মতাে আস্তে আস্তে পান করতে চায়। তারপর সে সস্তা মদের কথা ভুলে যাবে যে যদ আপনাকে মাতাল করে এবং আপনাকে। ছেড়ে চলে যায় মাথাব্যথী এবং হৃদয়ে পূন্যতা রেখে। 

থেমে গেল নারী। গােঙাচ্ছে পুরুষ, তারও গােঙানি আসছিল। কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করল সে। তার শরীর ফুটে তাপ বেরুচ্ছে। একই জিনিস নিশ্চয় পুরুষের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। নারী রাগমােচন হতে দিল না। কিন্তু এভাবেই সে চেয়েছে, মাঝপথে থেমে যেতে।

সে আস্তে আস্তে নিজের চোখ থেকে খুলে ফেলল রুমাল, পুরুষের চিত্ত খুলল। জ্বেলে দিল বেডসাইড ল্যাম্প । এরা দুজনেই নগ্ন তারা হাসছে না, স্রেফ তাকিয়ে আছে পরস্পরের দিকে। আমি ভালােবাসা, আমি সঙ্গীত, ভাবল নারী । চলো নাচি।..……..

…………তােমাকে দেখে খুব খুশি হয়েছি, এ ধরনের কোনও বাক্য না বলে সে আমার কোমর জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে লাগল, আমার শরীর স্পর্শ কছিল সে। আমার বুক, কুঁচকি ছুঁয়ে যাচ্ছিল তার হাত যেন এ মুহূর্তটির জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিল সে এবং ভয় পাচ্ছিল ভেবে মুহূর্তটি কোনওদিন আসবে না। সে আমার জ্যাকেট খুলে ফেলল, খুলল আমার ড্রেস, সম্পূর্ণ নগ্ন করে ফেলল আমাকে, এবং এই হলঘরে, কোনও রকম প্রতি ছাড়াই নিয়ম কানুনের ধার না ধেরে, কাজটা ভালাে কী মন্দ বিবেচনা না করে, সদর দরজায় তখন হু হু করে বইছে শীতল সমীরণ, আমরা প্রথমবারের মত প্রেম করতে শুরু করলাম। ভেবেছিলাম ওকে থামতে বলি, আরামদায়ক কোনও জায়গা খুঁজে নিই প্রেম করার জন্য যাতে আমাদের সংবেদনশীলতার প্রখর রাজ্য আবিষ্কারের সময় পেয়ে যাই, একই সঙ্গে আমি চাইছিলাম ও আমার ভেতরে প্রবেশ করুক, কারণ ও-ই আমার জীবনে একমাত্র পুরুষ যার ওপর কখনও আমি আধিকার ফলাতে যাইনি, যাবও না কোনওদিন। এ কারণেই আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে তাকে আমি ভালােবাসতে পারি এবং পেতে পারি অন্য একটি রাতের জন্য যে রাতটি কোনদিন আমার জীবনে আসেনি, কোনওদিন আসবে না হতাে। ও আমাকে শুইয়ে দিল মেঝেতে, আমি প্রস্তুত হবার আগে, উত্তেজিত হবার আগেই আমার শরীরের ভেতরে প্রবেশ করল। ব্যথা পেলেও তা আমলে নিলাম না। বরং উপভােগ করলাম ব্যাথাটা। কারণ সে পরিষ্কার বুঝতে পারছিল আমি  তার এবং এজন্য আমার অনুমতির প্রয়ােজন হয়নি তার। আমি ওখানে গিয়েছিলাম তাকে কিছু শেখাতে নয় কিংবা এটাও প্রমাণ করছে নয় যে আমি অন্য যে কোনও নারীর চেয়ে সংবেদনশীল এবং যৌনকাতর। আমি ওখানে গিয়েছিলাম ‘হা” বলতে। হ্যা, তুমি আমার সঙ্গে প্রেম করতে পার। প্রাচীনতম আসনে আমরা উপগত হই- আমি তার নিচে, আমার দুপা ছড়ানাে, সে আমার ওপরে কোমর নাড়ছে, পুরুষাঙ্গ ঢােকাচ্ছে এবং বের করছে, আমি তার দিকে তাকাই। গােঙানি বা শীৎকারের ভান করি না আমি। চোখ মেলে তাকিয়ে থাকি প্রতিটি সেকেন্ড স্মরণে রাখার জন্য, দেখি তার চেহারার পরিবর্তন, আমার চুল মুঠো করে ধরেছে সে, আমাকে কামড় দিচ্ছে, চুমু খাচ্ছে। কোনও আদর নেই, কোনও প্রস্তুতি নেই, নেই সফিস্টিকেশন, সে স্রেফ আমার শরীরের মধ্যে এবং আমি তার আত্মার মাঝে। সে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। দ্রুত এবং ধীরে, কখনও বা থেমে গিয়ে লক্ষ করছিল আমাকে, তবে আমি ব্যাপারটা উপভােগ করছি কিনা জানতে চায়নি। কারণ ও জানত একমাত্র এভাবেই এই মুহূর্তে আমাদের দু’জনের আত্ত্বার যােগাযােগ ঘটেছে। তার কোমরের গতি দ্রুততর হয়ে উঠল আমি বুঝতে পারছিলাম এগারাে মিনিটের সমাধি ঘটতে চলেছে। কিন্তু আমি চাইলাম এ যেন অবসান না ঘটে, অনন্তকাল ধরে চলে। কারণ দারুণ লাগছিল আমার। ওহ, ঈশ্বর- সত্যি, দারুণ লাগছিল আমার পুরােটা সময় বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে ছিলাম দু’জনে। একটা সময় লক্ষ করলাম চোখে কেমন ঝাপসা দেখছি, আমরা যেন একটা ডাইমেনশনের মধ্যে প্রবেশ করছি যেখানে আমি মা, বিশ্ব মাতা, যেখানে দেখছি ব্রহ্মাণ্ড, প্রিয়জনদের, প্রাচীন সময়ের পতিতাদের, যাদের কথা বলেছিল সে আমাকে ভােলা অগ্নিকুণ্ডের সামনে কসে। আমি দেখলাম তার হয়ে আসছে। আমার হাত চেপে ধরল জোরে, ভয়ানক বেগে কোমর তুলছে সে, আর তখন সে চিৎকার করে উঠল- না, সে গুঙিয়ে ওঠেনি, দাঁতে দাঁত ঘষেনি, সে স্রেফ চিৎকার করে উঠল। গর্জে উঠল পশুর মত। আমার মনে হলাে তার চিৎকার শুনে এতিবেশী না জানি আবার পুলিশে খবর দেয়। তবে তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ অসীম সুখের জোয়ারে ভাসছিলাম আমি, কারণ সময়ের যখন শুরু হয়েছিল তখন এমনটাই ঘটেছিল, যখন প্রথম পুরুষ প্রথম নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং প্রথমবারের মত মিলিত হবার সময় তারাও এরকম চিৎকার দিয়ে উঠেছিল। তারপর তার শরীর এলিয়ে পড়ল আমার গায়ে, মনে নেই। কতক্ষণ সে এভাবে শুয়ে ছিল, পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলাম আমরা; আমি তার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম, এরকমটি করেছিলাম এর আগে মাত্র একবার, সেই রাতে, হােটেল রুমের অন্ধকারে। টের পাচ্ছিলাম তার হৃৎপিণ্ডের উন্মাদের মত ধুকপুকানি ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। সে আমার গায়ে হাত বােলাতে লাগল, আমার শরীরের সবগুলাে লােম দাড়িয়ে গেল। শরীরের সমস্ত ওজন চাপিয়ে দিয়েছিল সে আমার গায়ে । এবার গড়িয়ে সরে গেল। আমরা পাশাপাশি শুয়ে থাকলাম। দৃষ্টি নিবদ্ধ ছাদের দিকে, দেখছি ঝাড়বাতি এবং তার জ্বলন্ত তিনটে ভাল্ব। ‘শুভ সন্ধ্যা,’ বললাম আমি। সে আমার দিকে সরে এল যাতে তার বুকে মাথা রাখতে পারি। দীর্ঘসময় আদর করল সে আমাকে, তারপর বলল, “শুভ সন্ধ্যা। প্রতিবেশীরা নিশ্চয় সব টের পেয়েছে,’ বললাম আমি । এরপর কী বলব ভেবে পেলাম না। কারণ আমি তােমাকে ভালােবাসি’ জাতীয় কথা বলার কোনও মানে হয় না। সে জানে আমি তাকে ভালােবাসি, আমিও জানি। দরজা দিয়ে প্রবল ঠাণ্ডা বাতাস আসছে,’ বলল সে। ভালােই লাগছে। ‘চলো, কিচেনে যাই। সিধে হলাম আমরা। লক্ষ করলাম সে এমনকী ট্রাউজারও খােলেনি, গায়ে যেমন পােশাক ছিল তেমন আছে, শুধু প্যান্টের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আছে পুরুষাঙ্গ। আমি জ্যাকেট পরলাম। গেলাম কিচেনে। সে কিছু কফি বানাল; ধ্বংস করল একজোড়া সিগারেট। আমি একটা খেলাম। টেবিলে বসে সে বলল, “ধন্যবাদ,’ মুখে নয়, চোখ দিয়ে। আমিও বললাম, ধন্যবাদ।’ তবে আমার মুখও বন্ধ মইল। অবশেষে সাহস করে সুটকেসের কথা জিজ্ঞেস করল সে। আমি কাল দুপুরে ফিরে যাচ্ছি ব্রাজিলে। ‘যেয়াে না, বলল সে।…………

……………আমি উবু হয়ে বসলাম। রালফের পােশাক খুললাম একে একে।  ওর পুরুষাঙ্গ ঘুমিয়ে আছে। শান্ত, অনুত্তেজিত । আমি ওর পায়ে চুমু খেতে লাগলাম। আস্তে আসে সাড়া দিতে লাগল গালফের পুরুষাঙ্গ। হাত দিয়ে স্পর্শ করলাম ওটা। তারপর মুখে পুরে নিলাম। লক্ষ করলাম উত্তেজিত হয়ে উঠছে । আমার  স্তনবৃন্তে হাত বােলাতে লাগল। বোটার চারপাশে আঙ্গুল দিয়ে বৃত্ত  আকছে যেভাবে মােটেল রুমের  অন্ধকারে বসে  করেছিল।  আবার  দু’পায়ের ফাকে ওকে যেন গ্রহন করি তাই চাইছে। 

আমার গা থেকে  জ্যাকেট খুলল না রালফ, টেবিলের ওপর উপুর করে শােয়াল  তবে পা এখনও মেজেতে। পেছন থেকে ও এবার প্রবেশ করল । এবার আর  আস্তে আস্তে , কোনও  তারা নেই। কারণ আমাকে হারাবার ভয় নেই ওর। রালফও বুঝতে পারছে এটা একটা স্বপ্ন,  সব সময় তা  স্বপ্নহয়েই থাকবে, কখন মােড় নেবে না  বাস্তবে। আমি ওর পৌরুষের স্পর্শ পেলাম শরীরের ভেতর। ওর হাত খেলা করছে আমার বুকে, আমার নিতম্বে, এমনভাবে
স্পর্শ করছে আমাকে যেভাবে নারীই কেবল  জানে স্পর্শ  করতে। আমি তখন বুঝতে পারলাম আমাদের আসলে জন্ম হয়ে পরস্পরের  জন্য।  রালফ যখন আমার শরীরের ভেতরে প্রবেশ করছে এবং আমাকে স্পর্শ করছে  তখন আমি অনুভব করলাম এটা  আমাকে নিয়েই করছে না ও, সারা ব্রহ্মান্ড় নিয়ে  করছে। হঠাৎ বিরতি দিল রালফ।  ওর হাত অবশ্য দ্রুত নড়াচড়া করে চলছে আমার গায়ে। ইতিমধ্যে একবার দুবার নয়, পরপর তিনবার রাগ মোচন হয়ে গেছে আমার, ইচ্ছে করল ওকে ধাক্কা মেয়ে সরিয়ে দিই কারণ তৃপ্তির বেদনা এমন প্রচন্ড যে রীতিমত লাগছিল আমার। কিন্তু নিজেকে সংযত করলাম : ব্যাপারটা এরকমই ভেবে গ্রহণ করলাম আমি, এভাবে আবার রতিতৃপ্তি পাব আমি একা দু বার, তিনবার… ..

……যতক্ষণ ইচ্ছে তাকে আমার শরীরে প্রবেশ করতে দিলাম, তার নখ বসে গেল আমার নিতম্বে, আমার মুখ নিচু হয়ে আছে কিচেন টেবিলের ওপরে, ভাবছিলাম প্রেম করার জন্য পৃথিবীতে এরচে’ ভালাে জায়গা হয় না। ক্যাচকোচ শব্দ করে উঠল টেবিল, তার নিশ্বাস হয়ে উঠল দ্রুততর, তার নখের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছি আমি, যােনি দিয়ে প্রবলভাবে ধাক্কা দিচিহ্ন তার পুরুষাঙ্গে, মাংসের সঙ্গে ঘষ খাচেছ মাংস, হাড়ের সঙ্গে হাড়, আবার রেতঃপাত হতে চলেছে আমার, এর ও। কাম অন!” সে জানে সে কী বলছে, আমি জানি চরম মুহূর্ত উপস্থিত আমার গােটা শরীর হঠাৎ ঢিলে হয়ে আসে- আমি আর কিছু শুনছিলাম না বা দেখছিলাম না। আমি শুধু অনুভব করছিলাম। কাম অন। একই সঙ্গে দু’জনের হয়ে গেল। এ এগারাে মিনিট নয়, এ হলাে অনন্তকাল, আমরা যেন স্বর্গের বাগানে ভেসে বেড়াচ্ছিলাম। আমি নারী এবং পুরুষ, সে নারী এবং পুরুষ। কতক্ষণ এরকম চলছিল জানি না, তবে সবকিছু যেন নীরব হয়ে গিয়েছিল, যেন ব্রহ্মাণ্ড এবং জীবন পবিত্র, নামহীন, সময়হীন কিছুতে রূপান্তর ঘটেছে। কিন্তু প্রত্যাবর্তন ঘটল সময়ের । তার চিৎকার শুনতে পেলাম আমি। আমি তার সঙ্গে চিৎকার করে উঠলাম। টেবিলটা মেঝেতে ঠকঠক শব্দ তুলবে। কে কী ভাবল তা মােটেই গ্রাহ্য করছি না আমরা। হঠাৎ আমার শরীর থেকে বিযুক্ত হলাে সে, হেসে উঠল। আমি ফিরলাম তার দিকে। আমিও হেসে উঠলাম। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলাম যেন জীবনে এই প্রথম দু’জনে প্রেম করেছি । ………..

Leave a Reply