আমার এ দেহখানি – পূরবী বসু

›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  ›› ১৮+  

…কিন্তু গোল বাধে মেয়েটির শরীরে যখন থেকে কন্যাসুলভ বিভিন্ন সমাহার বিকশিত হতে শুরু করে। অর্থাৎ যখন থেকেই তার স্তনের আবির্ভাব ঘটে, নিতম্ব ভারী হতে শুরু করে, তখনই তার হাতে-পায়ে বেড়ি বেঁধে দেয় পরিবার।…….

……কিন্তু বিবাহের অনেক আগে, সনতআন জন্মদিনের ক্ষমতা পুরোপুরি অর্জনের আগে থেকেই যে ঘরবন্দি করে রাখা হয় মেয়েদের তার বড় কারণ মেয়েদের যৌন অনুষঙ্গে উপস্থিতি। স্তন ও নিতম্ব যদি বহিরঙ্গে স্থান না পেত, কার্যত এমন দৃশ্যমান ও লোভনীয় না হয়ে উঠত, নারীকে ঘরের ভেতর আবদ্ধ করে রাখার ব্যাপারে আরো জোরালো যুক্তি খুঁজতে আরো হন্যে হয়ে বেড়াতে হতো পুরুষকে। শিশ্ন ও যোনির মতো স্তন ও নিতম্বও শরীরের এমন স্থানে অনায়াসে জায়গা পেতে পারত, যা সরাসরি দৃষ্টিগোচর নয়।
স্তন ও নিতম্বের পর শরীরে এসে যোগ দেয় আরো একটি অবদমনের হাতিয়ার। মাসিক।………

…..প্রকৃতি আরো যেভাবে নালী অবদমনের সুযোগ করে দেয় পুরিষকে তা হলো নারীর যৌন অঙ্গের গঠন ও কার্যপ্রণালি। নারীর প্রধান যৌনাঙ্গ যদি এমন না হতো, যে তার ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কিছুই যায় আসে না, তার প্রবল অনিচ্ছাসত্ত্বেও পুরুষ তার জৈবিক বাসনা ও যৌনলিপ্সা চাপিয়ে দিতে পারে নারীর ওপর, তাহলে ধর্ষণ নামক জগৎজুড়ে প্রচন্ড কুৎসিত অপরাধটি — নারীজীবনের এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতাটি ঘটার সুযোগ হতো না। প্রকৃতি এমনভাবেই নারীর যৌনাঙ্গ তৈরি করেছে, যাতে পুরুষের ইচ্ছার কাছে নারীকে সহজেই সমর্পিত হতে হয়, এতে করে মানুষ হিসেবে তার মৌলিক অধিকার বা আত্মসম্মান যতটাই লুণ্ঠিত হোক না কেন, প্রকৃতির নিয়মে– সৃষ্টির ধারাবাহিকতা, ঠিকই রক্ষা পায় – পরিতৃপ্তি পায় পুরুষের যৌনাকাঙ্ক্ষা ও যৌন অনাচার। অথচ উলটোটি অর্থাৎ নারীকে দিয়ে পুরুষের ওপর বলৎকারের ঘটনা প্রায় কোথাও শোনা যায় না, যার অন্যতম কারণ পুরুষের যৌনাঙ্গের প্রকৃতি ও কার্যাবলি। …..

….বিশেষ করে আমাদের দেশে, যেখানে স্ত্রীর চাইতে স্বামীর বয়স অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিছুটা বেশি হয়। জীবনের দ্বিতীয় দশকে মেয়েরা যখন কিশোরী বা কৈশোরোত্তীর্ণ, তাদের মনে পুরুষ সম্পর্কে আগ্রহ জাগে। মনের ভেতর নানা ধরনের রোমান্টিক চিন্তা ও প্রত্যাশা জন্মায়। প্রেম ও প্রেমিক সম্পর্কে রোমান্টিক সব স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। পুরুষের কাছাকাছি আসা, এক-আধটু আলতো ছোঁয়া, পাশাপাশি বসে কথা বলা ইত্যাদি ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ে মেয়েদের; কিন্তু তখন এই বয়সের পুরুষসঙ্গী প্রচন্ড যৌন তাড়নায় ভোগে। রোমান্টিক চিন্তা-টিন্তা নয়, সরাসরি যৌনকেলিতে অংশগ্রহণ করতে মরিয়া হয়ে উঠে পুরুষ। ফলে প্রেমে হাবুডুবু খেতে-থাকা প্রেমিকা বা সদ্য বিবাহিত স্ত্রী হতাশ হয় স্বামীর আগ্রাসী আচরণে — তার একরৈখিক জৈবিক চাহিদায়। কেননা, নারীর যৌন-আকাঙ্ক্ষার তীব্রতা তখনো ততটা প্রকট হয়নি, যেমন হয়েছে তার রোমান্সের ধারণার, আদর ও নরম সোহাগের আকাঙ্ক্ষার। এসব আকাঙ্ক্ষা ও আকর্ষণের পরিণতিতেই কেবল যৌনসংসর্গ উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকের মেয়েদের জীবনে। এছাড়া নয়। এর পরের দুই দশকে, অর্থাৎ ত্রিশ ও চল্লিশের কোঠায়, নারীর যৌনতা আস্তে আস্তে জেগে ওঠে। পুরুষ তার সঙ্গিনীর শরীর সম্পর্কে এতটাই অবগত ও পরিচিত হয়ে পড়েছে যে, তার দেহ-সম্পর্কে আগের সেই আগ্রহ আর থাকে না।

চতুর্দশী

…..রূপা নিজের দিকে তাকিয়ে যেন অবাক হয়। শরীরের পরিবর্তনগুলো এমন করে চোখে পড়েনি এর আগে। রূপার ছোট স্তনবৃন্ত ঠান্ডা পানির ছোঁয়ায় যেন জেগে উঠেছে। মেদহীন মসৃণ ধবধবে ত্বকের ওপর মৃদু উত্থিত সুদৃঢ সংযোজনদ্বয় নিজের কাছেই অপরিচিত ঠেকে।……..

অরন্ধন

……… রাধা আস্তে আস্তে বুকের কাপড় সরায়। খোলা আকাশের নিচে তাহার উন্মুক্ত বক্ষের সুদৃঢ় ও সুপুষ্ট স্তনযুগল সূর্যের আলোতে ঝলমল করে। রাধা তাহার বাম স্তনবৃন্ত সন্তানের মুখে তুলিয়া দেয়।………

Leave a Reply