আজিমগঞ্জের মেয়ে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

…..শব্দ করে দরজা খুলে গেল। খোলা দরজায় এসে দাঁড় লো একটি মেয়ে। মেয়েটির বয়েস আঠেরো-উনিশের মতন, এমনই তার চেহারা যে, বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। খুব সন্দরী সে নয়, কিন্তু তর চেহারায় এমন একটা তেজ ও দীপ্তি আছে. যে জন্য চোখ ফেরানো যায না। বেশ লম্বা মেয়েটি, চুলগালো সব খোলা, অ’লগা ধরনের একটা হলদে শাড়ী পরে আছে। দেখলে মনে হয় ঠিক বঙালী নয, অথচ রাজ- পাতানীও বলা যায় না। স্বাস্থ্য ঝলমল করছে সমস্ত শরীরে। স্তন দুটি উদ্ধত হয়ে আছে, ছোট ছোট জ্বলজ্বলে চেখে মেয়েটি আমাদের দিকে তাকালো।

চন্দ্রনাথ কত রকম খাবার-দাবারের আশা দিয়ে নিয়ে এসেছিল, তার তো আর কোনোই সম্ভাবনা নেই, সতরাং মেয়েটিকেই একটু চোখ ভরে দেখে নিতে লাগলাম । মেয়েটির শরীরের প্রত্যেকটা রেখা খুব স্পষ্ট, সরু, কোমর-ভারী নিতম্ব ও বুক—কিন্তু তার মুখের নির্লিপ্ত ভঙ্গির জন্য এর মধ্যেই তাকে বেশ বয়স্কা মনে হয় ।…..