দ্য স্টাড – জ্যাকি কলিন্স

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

অনুবাদ : শুভদেব চক্রবর্তী

……….বিভিন্ন বয়সের স্বর্ণকেশী সেই সুন্দরীদের কারাে পরণে থাকে কাউবয় সুট, কারাে বা মাথা থেকে পা পর্যন্ত ভারতীয় পােশাক, কেউবা আবার বগলকাটা পেটকাটা থেকে শুরু করে ব্যাকলেস, টপলেস, স্মার্টলেসের সর আবরণে এমনভাবে নিজেদের আবৃত করে রাখেন যে এক এক সময় মনে হয় সত্যিই তাদের গায়ে কোন পােশাক নেই, সাদা কথায় বলা যায় উদোম। ন্যাংটো। যে যত বেশী নিজের বুক, পিঠ, পেট আর গােপন অঙ্গগুলাে দেখাতে পারবে, তার জাক তত বেশী। যার যত বেশী জংলী সাজ, সবার চোখে সে তত বেশী সুন্দরী।……….

……আমার বয়স যখন মাত্র তেরাে, সেই সময় একটি মেয়ের সঙ্গে আমার যৌন সংসর্গ ঘটে। আমি তার সঙ্গে সঙ্গম করেছিলাম। মেয়েটি আমার চাইতে কয়েক বছরের বড় ছিল, এবং বাপারটাতে আমরা দু’জনেই খুব মজা পেয়েছিলাম, কিন্তু মুশকিল বাধল এক জায়গায়। তার গােপন অঙ্গে যে কিছু নােংরা উকুনজাতীয় পােকা বাসা বেঁধেছিল, তা আমার জানা ছিল না, এবং সঙ্গম করার ফলে ঐ পােকাগুলাে এসে আমার শরীরে আশ্রয় নেয়। পােকাগুলাের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে আমি পরের দু’মাস বহু মেয়ের সঙ্গে সঙ্গম করলাম এবং তাদের প্রতেকের শরীরে সেগুলাে চালান করতে লাগলাম। কিন্তু এত করেও ঐ পােকার উপদ্রবের হাত থেকে আমার মুক্তি মিলল না। এইভাবেই চালিয়ে যাচ্ছিলাম, এমন সময় একদিন আর একটা মেয়ে আমার খপ্পরে পড়ল, তাকে কাৎ করে ফেলতেও আমার বেশী সময় লাগল না। মেয়েটির সঙ্গে সঙ্গম করার পর তার বাড়ির লােকের হঠাৎ ব্যাপারটা জেনে ফেলল এবং আমার মা বাবার কানেও খবরটা তাড়াতাড়ি পাচার হয়ে গেল। সব শুনে মার তাে ফিট হবার যােগাড়। কিন্তু বাবা নির্বিকার। তিনি হেসে আমার পিঠ চাপড়ে বাহবা দিলেন, তারপর একটা মলম কিনে এনে আমায় লাগাতে বললেন।………..

………ঐ সিনেমা হলে একটা মেয়েও টিকেট চেকারের কাজ করত, আমারই সম বয়সী ছিল সে। একদিন সময় সুযােগ বুঝে মেয়েটাকে বাগালাম। তারপর হলের আলাে নেভার পর একদম শেষ সারির শেষ সীটে বসে সেখানেই তার সঙ্গে অপকম্ম শুরু করে দিলাম। এদিকে হলের ম্যানেজারেরও ছিল আমার মতই বদ অভ্যাস, মেয়ে দেখলেই সে ব্যাটা আর চুপ করে থাকতে পারত না। শাে আরম্ভ হবার পর চেকার মেয়েটাকে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে সেও নাম করত। সেদিন সিনেমা শুরু হবার পর মেয়েটিকে খুঁজে না পেয়ে তার মেজাজ ভীষণ পড়ে গেছে, শেষকালে খুঁজতে খুঁজতে একতলায় এসে টর্চ ফেলে দেখতে পেল তার আলেম্বরীর ওপর আমি এক বেমক্কা পজিশনে চড়ে বসেছি। ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে আমার চাকরী খতম, অবশ্য আমি তাকে সেজন্য খুব দোষ দিই না, নিজের শিকার আর একজন বসে বসে যাচ্ছে এটা দেখলে কার পক্ষেই বা মাথা ঠিক রাখা সম্ভব।…….

……..গোল বাঁধল—মেয়েমানুষ। মামুর একটিই মেয়ে, নাম মুরিয়েল। বেশ শক্তসমর্থ জবরদস্ত চেহারার মেয়ে ছিল সে, দেখতে শুনতে ভালই বলতে হয়। একবার দেখলে যেকোন পুরুষ মানুষের মন চনমন করে ওঠে, এমনি তার চেহারা। নাক-চোখমুখ, হাঁটাচলা সেক্সি তাে বটেই, সেইসঙ্গে তার স্তন দুটিও ছিল বেশ বড়সড়, নাকখানাও টিয়াপাখির ঠোটের মত পাতলা বাকানো।……..

……..বসবার ঘর থেকে বেরিয়ে ফন্টেনের পেছন পেছন লিফটে গিয়ে উঠলাম। বােতাম টিপতেই লিফট ওপরে উঠতে শুরু করল। ফন্টেন আমার গায়ে নিজের গা সেঁটে মুখােমুখি দাড়ল, তারপর আমি কিছু বলার বা বােঝার আগেই একটানে আমার প্যান্টের জিপ খুলে ভেতরে হাত ঢুকিয়ে লম্বা লম্বা আঙ্গুল দিয়ে ওটা কচলাতে শুরু করল। বাপরে! সেকি নিদারুণ অভিজ্ঞতা। আমার সারা গা চনমন করে উঠল, রক্তের স্রোত টগবগ করে লাফাতে লাফাতে একবার মাথা, একবার পা আসায়াওয়া শুরু করল, দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে মনে হল আমি আর নিজেকে চেপে রাখতে পারব না, এক্ষুণি কিছু হয়ে যাবে।

হঠাৎ লিফটটা থেমে গেল। আমি তার পাতলা ছিপছিপে দেহের দিকে তাকালাম। তার স্তনদুটি ছোট, ফ্যাকাশে রংয়ের বোঁটাদুটি আকারে কিছুটা বড়। “আমরা এসে গেছি?” আমি বোকার যত প্রশ্ন করে বসলাম।

“আসি নাই, কিন্তু এইবার আসিব,” বলে এক হ্যাঁচকা টান মেরে ফন্টেন আমার পরনের ট্রাউজার খুলে ফেলল। ……….

….আজ পেছনের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে, সত্যিই ফন্টেন হাতে ধরে আমায় অনেককিছু শিখিয়েছিল। বেইরুট, ট্যাঞ্জিয়ার, দক্ষিণ আমেরিকা, এসব জায়গায় স্ত্রী-পুরুষের দেহমিলনের সময় নিজেদের চাগিয়ে তুলতে যেসব ছােটখাটো কায়দাকানুন চালু আছে, ফন্টেন তার কোনটিই আমায় শেখাতে বাকি রাখেনি। এই পড়া পড়ানাের কাজে ফন্টেনের মত ভাল দিনমণি আর হয় না। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব শেখাত, তারপর কতটুকু শিখেছি হাতে কলমে তার পরীক্ষা নিত। ফন্টেনের ইস্কুলে আমি যা শিখতাম, তার হােমওয়ার্ক চালাতাম লানা নামে একটা মেয়ের ওপর, অবশ্য ফন্টেন দিদিমণিকে তার কথা একবারও বলিনি। ফন্টেনের কাছে শেখা বিদ্যে লানার ওপর চালিয়ে আমার ভালই হল, কারণ সে ছিল ফন্টেনের চাইতেও এক কাঠি ওপরে। তার ওপরে হােমওয়ার্ক প্র্যাকটিস করতাম, আর সেই ফাঁকে লানা নিজের কিছু বাড়তি কায়দা আমায় শেখাত। দুটো ট্রেনিং একসঙ্গে মিলিয়ে যেটা দাঁড়াত, সেটা এরপর আবার চালাতাম ফন্টেনের ওপর। এই ভাবে কিছুদিন চালানাের পর দেখলাম ফন্টেন তার ছাত্রের উন্নতি আর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বেশ আশান্বিত হয়ে উঠেছে। আসলে ফন্টেন সবদিক থেকে সেরা হলে কি হবে, তার বুক আর নিতম্বের ডিপার্টমেন্ট দুটো ছিল কিছুটা দুর্বল, সেদিক থেকে বাড়িতে যার কাছে পড়তাম, যার ওপর হােমটাস্ক করতাম, সে একেবারে টসটসে।…………

……….হঠাৎ আমায় চমকে দিয়ে কার্লা তার সঙ্গীদের একজনের সঙ্গে নাচ শুরু করে দিল। সে কি নাচ, কি অদ্ভুত শেক। কার্লার সারা শরীর দুলছে অথচ তার বড় বড় স্তন দুটি নিশ্চল হয়ে আছে একটুও নড়ছে না, তারপর হঠাৎ কার্লা যেন ক্ষেপে উঠল। এইবার তার স্তন দুলছে।…….

……..আমি পা চালিয়ে ভেতরে ড্যান্সিং ফ্লোরের দিকে এগিয়ে গেলাম। অ্যালেকজান্দ্রা দেখলাম কোমর দুলিয়ে নাচছে। …..পােশাকের ভাজের ফাকে ওর শরীরটা ভাল করে দেখবার চেষ্টা করলাম। সুন্দর তার স্তনদুটির গড়ন, সরু কোমর, ছােট নিতম্ব, লম্বা পা। একি স্বপ্ন না বাস্তব, তাই নিয়ে মাথা ঘামাতে ঘামাতে আমি ফিরে এলাম।……….

……..অ্যালেকজান্ড্রা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আড়মােড়া ভেঙ্গে হাই তুলল। আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম তার উদ্ধত স্তনদুটো অটো সােয়েটারের শাসনের বেড়াজাল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে চাইছে। হঠাৎ ওকে দুহাতে জড়িয়ে ধরবার ভীষণ ইচ্ছা পাগলের মত আমায় পেয়ে বসল, ইচ্ছে হল ওর পরনের কাপড় খুলে একদম ন্যাংটো করে দিই, তারপর দেখিয়ে দি শরীরের কসরত কাকে বলে। ………..

ওকি এখনাে অক্ষতযোনি কুমারী আছে? এখনাে কোনও পুরুষমানুষ ওকে ছোয়নি একথা কেউ বলতে পারে? উহু, এ একদম অসম্ভব ব্যাপার। লণ্ডনে চোদ্দবছরের ওপর বয়স, এমন কোন কুমারী মেয়েই নেই। যারা আছে তাদের বয়স চোদ্দর বেশী কোনমতেই নয়। এমনকি স্যামি পর্যন্ত এখনাে তেমন কোন বাচ্চা মেয়ে খুঁজে পায়নি যে মেয়েটা সত্যিই কুমারী, পুরুষের দেহের স্বাদ যে এখনাে পায়নি।……….

…….কাছাকাছি টেনে আনলাম। অ্যালেকজান্ড্রা একটু ছটফটিয়ে উঠল বটে, কিন্তু আমি আমার শক্তমুঠো একদম ঢিলে করলামনা। ওর মাথায় ঘন কালাে চুল থেকে দামী সাবানের গন্ধ আমার নাকে আসছে দাত থেকে টুথপেস্টের মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছি। ওর সুগঠিত স্তনযুগল আমার বুকের ওপর সেঁটে আছে, আমি বা হাতে ওর সরু কোমর জড়িয়ে ধরে রেকর্ডের বাজনার তালে তালে কোমর দোলাচ্ছি। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হল আমার এই এগিয়ে যাবার ব্যাপারটা ও পুরােপুরি উপভােগ করছে।…..

…….আমার নিজের যৌন অভিজ্ঞতা খুব বেশী নয়। এপর্যন্ত মাত্র তিন পুরুষ আমায় চুমু খেয়েছে তাদের মধ্যে একজন, বলা বাহুল্য পিটার লিঙ্কন স্মিথ। ম্যাডির দৌড়ও প্রায় আমারই মত, তবুও এরই মধ্যে সে, আগেই যা বলেছি, আমাদের বাের্ডিংয়ের সেই বাগানের মালীর সঙ্গে একটু বেশীরকম বাড়াবাড়ি শুরু করেছিল। মালীটা যখন ওর ব্রা আর সােয়েটার খুলে নিয়েছিল, তখন ত ম্যাডি প্রায় অর্ধ উলঙ্গই হয়ে গিয়েছিল। ম্যাডির কাছ থেকে এগল্প বহুবার শুনেছি। মালী ছেলেটা নাকি ওর শরীরের গােপনাঙ্গে চুমু খেয়েছিল, তারপর ওর বুকের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে যা শুরু করেছিল, তা একেবারে বাচ্চা ছেলের মত। ম্যাডি ওকে আর এগােতে দেয়নি বলে ছেলেটা নাকি ভয়ানক রেগে গিয়েছিল। ম্যাডির স্তনদুটি খুব ছােট, কিন্তু আমার বুকের গড়ন খারাপ নয়। মাডির চাইতে আমার স্তনের আকৃতি বড়। মাঝেসাজে মাইকেল আমার বুকের দিকে যখন হাঁ করে তাকিয়ে থাকে তখন ভীষণ লজ্জা হয়।………

Please follow and like us:

Leave a Reply