সম্মােহন – সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

………ইলােনা কুহু মিত্রা বলে দিল যে, সে চার বছর বয়স থেকে হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত। যদিও কেউ বিশ্বাসই করল না তাকে! | এনি থিং অ্যান্ড এনি বডি ক্যান গিভ ইউ দ্যাট প্লেজার! আমাদের প্লেজারের ওরিয়েন্টেশনের জায়গাটা এইটুকু। একটা হােল কিংবা একটা পেনিস, যার চারপাশে কতগুলাে আনন্দ গ্রহণের ইন্দ্রিয় আছে। বাকিটা কল্পনা! তখন সত্যিই আমার চার বছর বয়স। একদিন চেয়ারে বসে দোল যাচ্ছি, চেয়ারের পায়াগুলাে উঠছে-নামছে, ঘট ঘট করে শব্দ উঠছে, মা চেঁচাচ্ছে কিচেন থেকে, কোরাে না কুহু, পড়ে যাবে, মাথায়। লাগবে! আমি শুনছি না, অবাধ্যতা করছি। হঠাৎ খেয়াল করলাম, আমার ওখানে কেমন একটা আরাম হচ্ছে। আমার ভীষণ ভাল লাগছে! আই ডিডন্ট নাে যে ওগুলাে স্প্যাজম, লং স্প্যাজম! আমার ভাল । লাগছিল, তাই করছিলাম। মনে ধরে গেল ব্যাপারটা। মনে পড়লেই আমি ওরকম করতাম। খেতে বসে করতাম, পড়তে বসে করতাম। স্কুলেও করতাম। একদিন স্কুলে এরকম করছি, দুলছি, আমাদের একজন। নিগ্রো টিচার ছিলেন, উনি এসে ঠাস করে আমাকে চড় মেরে দিলেন, ‘ডিডন্ট আই টেল ইউ নট টু মেক নয়েজ? মা-ও মারল একদিন। তখন দেখলাম যে, আমি সকলের সামনে চেয়ারে বসে দুলতে পারছি না! দেন। হােয়াট ডু আই ডু? আমার তাে নেশা হয়ে গিয়েছে! আই ওয়জ সাে ইনােসেন্ট, আমি দেখলাম, শুয়ে পায়ের উপর পা তুলে মুভ করলেও আমার ওরকম আনন্দই হচ্ছে!

তখন তাে আর নয়েজ করছি না। মায়ের সামনেই ওরকম করলাম একদিন। মা বলল, ‘এটা তুমি কি করছ?” আমি বললাম, এখানে আমার আরাম হয় ! মা তাে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল। তারপর বকা, ঝকা, মার। সাে আই স্টার্টেড হাইডিং অ্যান্ড বাই দ্য টাইম আই ওয়জ সেভন-এইট ইয়ারস। ওল্ড, আই ডেভেলপড আ কমপ্লিট ওয়ে। অফ মাস্টারবেশন, মাই ওন স্টাইল! আর ১২ বছর বয়স হতে-হতেই আই স্টার্টেড পুশিং থিংস!” লাবণ্য বলল, “প্রথম-প্রথম আমি যখন মাস্টারবেট করতে শুরু করলাম, তখন আমি কি ফ্যান্টাসাইজ করতাম বলত? মাকে বাবা করছে! উফঃ, তারপর গ্লানিতে মনটা ভরে যেত আমার! বােধ হয় এই কারণেই আমি বাবা-মার থেকে এত দূরে সরে গেলাম, তাই না ইলােনা?”……….

………ল্যাম্প জ্বলছে। সেই টেবিলে গাদাগাদা বইপত্রের মাঝখানে কেউ একজন শুইয়ে দিয়েছে তাকে। শুইয়ে দিয়েই তার স্কার্ট তুলে খুলে নিয়েছে প্যান্টি ! জুতাে। মােজা পরা পা দু ফাক করে শুয়ে আছে সে আর সেই উন্মুক্ত যােনির সামনে এক বিরাটকায় মানুষ দণ্ডায়মান! তার পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে আছে। লােকটা নগ্ন! একটু ঝুকে পড়ে সে ইলােনা কুহু মিত্রার হাত দুটো পিষে ধরছে টেবিলের সঙ্গে। লােকটা এবার তাকে বিদ্ধ করবে…আর ঠিক এখানেই থমকে যাচ্ছে সময়। ইলােনা কুহু মিত্রা দেখছে, লােকটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে। তার দিকে। ইলােনা কুহু মিত্রা দেখছে, সে নিজেও একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে লােকটার দিকে! …….

………পারিজাতের কাছে বাতিল হওয়া মেঘদূত ঘুমন্তু পারিজাতের পাশে শুয়ে হস্তমৈথুন করছে পারিজাত আর ওর প্রেমিকের মিলন দৃশ্য কল্পনা করে। মেঘদূত ফ্যান্টাসাইজ করছে সেই দৃশ্য, যা পুরুষ হিসেবে, প্রেমিক হিসেবে, স্বামী হিসেবে মানুষটাকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। যা মানুষটার কাছে চুড়ান্ত ভয়ের, লজ্জায়, গ্লানির, অপমানেরসেই যন্ত্রণার মধ্যে থেকে উৎক্ষিপ্ত হচ্ছে চুড়ান্ত সুখ।………

……..“শরীর কী বােকা ইলােনা! কী বােকা। আর কী জটিল মানুষের মন! আমাকে পারিজাত ঠেলে সরিয়ে দেয়। আমি ওর কঠিন আর ঠান্ডা শরীরের উপর থেকে গড়িয়ে পড়ে যাই। আর তারপর ওর কালাে ব্রা আর প্যান্টি খােলাই মৈনাককে দিয়ে। আমারই ইচ্ছায়, আমারই সাধ মেটাতে। আমারই আত্মসুখের তাড়নায় মৈনাক তাণ্ডব করে আমার নারীর উপর, আমার প্রেমিকার উপর।”……..

……..এখন বুঝতে পারি, আমি পারিজাতের শরীরের জন্য লড়ছিলাম। জাস্ট ফ্লেশ। ওর কালাে ব্রা-প্যান্টি পরা সাদা শরীর, পরিপুষ্ট উরু, পয়জনের গন্ধ! মাঝে-মাঝে এগুলাে ভেবে দেখার চেষ্টা করি। নগ্ন করি পারিজাতকে, জোর করে পা ফাক করে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করি…এখন আর আমার দাড়ায় না। পারিজাতের শরীর আর টানে না আমাকে। সেদিন একটা প্রিমিয়ারে দেখা হল। নাঃ, শরীরটা টানে না। এখন শুধু জুরার জন্য কষ্ট ছেয়ে থাকে বুকে। অথচ কী পাগল ছিলাম ওর শরীরটার জন্য……..

…….. “এই নগ্ন নারী শরীর, নিজে নগ্ন হওয়া, বিছানায় যাওয়া, ধামসানাে, স্তন, পেট, নাভি, উরু, জঙ্ঘা, ভিজে যােনি, বীর্যপাত। বিরক্ত লাগে! মাংস-মাংস লাগে। মনে হয়, যাই। মনে হয়, তীব্র কাম আসে, তােলপাড় | হতে থাকে। কিন্তু করলে বুঝতে পারি, নিজের বিরুদ্ধাচারণ করছি! হীন, . দুর্বল, অনুতপ্ত লাগে তখন।…….

……..ইলােনা কুহু মিত্রা বাড়ি চলে এল সেদিন। ফিরে এসে ঝাপিয়ে পড়ল বিছানায়। চেষ্টা করল। মাস্টারবেট করতে। কিন্তু ঘন্টার পর ঘণ্টা নিজেকে রগড়েও কোনও লাভ হল না।

বিন্দুমাত্র ভিজল না সে। ইলােনা কুহু মিত্রা সম্ভাব্য সব রকম কল্পনার আশ্রয় নিল। সমস্ত নিষিদ্ধ সম্পর্কের কথা ভাবল। তিনচারজন পুরুষের সঙ্গে এক বিছানায় ভাবল নিজেকে। এমনকী, আরও দুটো-তিনটে মেয়েকে টেনে আনল এর মধ্যে। সে মেঘদুতকেও ভাবতে চেষ্টা করল বারবার। কিন্তু মেঘদূতকে ভাবতে গিয়ে সে দেখল, অনীহা। পারফরম্যান্সে অনীহা। এই শরীর, এই মাংস, এই লাফ-ঝাপ, হাঁপাননা, এই স্বেদ, রক্ত, লালা, যােনিরস, বীর্য মাখামাখির মােহ থেকে মুক্তি চাওয়া একটা করুণ মুখ। বিরক্তির ভাঁজ কপালে। চোখে তীব্র অশ্রদ্ধা, ঘৃণা! ইলােনা কুহু মিত্রা দেখল, তার ভিতর একটা পারদ উঠতে চাইছে, কিন্তু ড্রপ করে যাচ্ছে। ড্রপ করে যাচ্ছে বারবার। সে ছেড়ে দিল নিজেকে।……..

………মেঘদুত তার মাথাটা তুলে নিল কোলে। ঠোটে নামিয়ে আনল ঠোঁট, চুম্বন করতে করতে তার পাঞ্জাবির ভিতর দিতে হাত ঢুকিয়ে বক্ষবন্ধনীহীন, শিথিল স্তনের উপর হাত রাখল। মেঘদূতের আঙুল ঘােরাফেরা করল স্তনবৃন্তের চারপাশে। সেই হাত ইলােনা কুহু মিত্রার বুক থেকে নেমে পিঠের দিকে গেল। পেটে এল, তারপর তলপেটে পেীছে থমকে গেল যেন! ……….

Leave a Reply