তুমি যে গাে শুকতারা – অমৃত সাহা

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…….. বিবাহিত মহিলা অন্য জনকে ভালবাসলে পাপ হয়, সে জানে। তা বলে পাপ ধুয়ে তাে জল খাওয়া যায় না। ফটাই মদ খায়। আর সে নিমাইয়ের প্রেমের রস খায়। ফটাই যখন থাকত না, তখন প্ল্যাটফর্মের বিছানায় কম্বলের নীচে ফটাইয়ের জায়গায় থাকত নিমাই। তার কানে মুখ নিয়ে সে সুড়সুড়ির মতাে বলত, ওই হাড়গিলাটা তােরে দিতে পারে নাই। তাে, আমি দিব। দেখবি, ও তাের বুকে মুখ দিয়ে এমনি করে দুধ খাবে। নিমাই ইচ্ছে করে শান্তির বুকে আদরের কামড় বসাত।……..

……..মৌলমীর মনে পড়ল ইদানীং বাথরুমে গিয়ে সে আয়নার সামনে সমস্ত পােশাক খুলে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজেকে দেখে। তার মধ্যে বেশির ভাগ সময় সে শুধু নিজের বুকের দিকে তাকিয়ে থাকে। আকাশ যেদিন বলেছিল তােমার বুক এত সুন্দর! সেদিন থেকে তার এরকম হচ্ছে। প্রতিটি রােম সে নিখুত করে দেখে। এখন তার সামনে মেয়েদের দশটা বুকের ছবি এনে ফেলে দিলে সহজেই চিনে ফেলতে পারবে নিজের বুকটা। কোথাও কোনও খুঁত নেই। যেন কোনও রসিক শিল্পী পাথর কেটে বসিয়ে দিয়েছে তার শরীরে। শিল্পীরা কোনও খুঁত পছন্দ করে না। তাই তার বুকের ডৌলে, পেলবতায়, রক্ত-মাংস-মজ্জায়, শিহরিত সুগােল বৃন্তে কোনও খুঁত নেই। সে ঈষৎ শ্যামবর্ণ, ঈষৎ স্কুল, ঈষৎ পানের আকার তার মুখমণ্ডল। নাকের পাটাতনে শিশিরবিন্দুর মতাে বাদামি তিল, চোখে চঞ্চলিত বৃহৎ চাহনি, গালে শানিত কী একটার প্রলেপ। ………..

Please follow and like us:

Leave a Reply