সত্যের আড়ালে – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

পৃ-১৪ঃ

…….উর্মি আমার ঘাড়ের কাছে ঠোঁট রেখে দুষ্টুমি ভরা গলায় বলেছিলাে, উহ!

আমি ওর গলা, বুক ও কোমর আচ্ছন্ন করে দিলাম চুমােতে । উর্মি প্রায় পাগলের মতন হয়ে উঠলাে। শারীরিক আদরে উর্মি যতখানি আনন্দ পায়, ততখানি বাইরেও প্রকাশ করে। রেখে ঢেকে রাখে না। তা ছাড়া আমার কাছে ওর লজ্জা দেখাবারও কোনাে কারণ নেই। শরীরের মধ্যে যে আনন্দ আছে, তার এক বিন্দুও নষ্ট করতে চায় না উর্মি। ও নিজেই ওর ব্লাউজের কয়েকটা বোতাম খুলে আমাকে বলেছিল, তুমি এইখানটায় মুখ রাখো, আমাকে খুব জোরে ধরাে, পাশেই বিছানা। উর্মির কোমরে আমার হাত, আর একটা হাত ওর শাড়ীর অাঁচলে। ইচ্ছে করলে এক্ষণি আমরা চরম আনন্দে মেতে উঠতে পারি।……..

পৃ-৪৩-৪৪ঃ

………ভারতের বিভিন্ন জাতের নারী-পুরুষ স্নান করতে এসেছে এখানে। অনেকেরই আবার ব্যবহার আলাদা। অনেক মেয়েরা এখানে যে পােশাকে স্নান করতে নেমেছে কিংবা স্নান করে উঠে যেভাবে পােশাক বদলাচ্ছে, সেটা ঠিক আমাদের বাংলাদেশের মতন নয়। এরা অনেকেই ব্লাউজ পরে না এবং সম্পূর্ণ বুকটা খুলে দাঁড়াতে কোনাে লজ্জা নেই। আমি পুরষ মানুষ, আমার চোখ তাে সেদিকে যাবেই। ……হাজারটা লােক ওখানে মেয়েদের পােশাক বদলানাে কিংবা নগ্ন বুক দেখছে, কিন্তু আমি লজ্জায় সেখান থেকে সরে আসতে বাধ্য হলাম।

এবার উর্মি আর রজত উঠে এলো। ভিজে শাড়ী ও ভিজে চুলে অপরুপ দেখাচেছ উর্মিকে। ওর সমস্ত শরীরের রেখাগলি ফুটে উঠেছে—আমি সেদিকে মুগ্ধভাবে তাকিয়ে থাকি অনায়াসেই, আমার লজ্জা করে না। কারণ উর্মি আমার।…..

Leave a Reply