অনুবাদঃ জীমত কান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়
উৎসঃ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প
সম্পাদনাঃ সুকান্ত সেনগুপ্ত
………ঘুম আর জাগরণের মাঝে লড়াই করছে আইরিশ হার্টফোর্ড। ধুসর নীলচে চাদরখানা নিরাভরণ দেহে জড়িয়ে পাশ ফিরল। ধীরে ধীরে ও জাগছে…আরও একটা সকাল হচ্ছে ওর জীবনে। ঘুম-জড়ানাে মস্তিষ্কে জাগরণের ছোঁয়া লাগছে…আর ঘুম নয়। শহরের নেদি ডাক দিয়েছে…এবার উঠতে হবে।……..
…..অনিচ্ছার সঙ্গে চাদরের ভিতর দিয়ে ওর হাত দুখানা বুকের উপর উঠে স্পর্শ করে স্তন বৃন্ত। হাসল আইরিশ। ধীরে ধীরে হাত নামাল উদর ছুয়ে ছুয়ে সঙ্কীণ পায়ের মাংস বেশী কঠিন হল…পা দুখােনা উচু করল। কি কঠিন উরুর মাংসপেশী সমূহ। যেন পাথরের তৈরী। এমনি ভাব থাকবে আরও দশটা বছর। প্রথম ধসে যাবে স্তন যুগল…অবশ্য শল্য চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে আজকাল। কিন্তু এখন ওসব ভাববার প্রয়ােজন নেই। আর দেহের তেমন অবস্থা হওয়ার আগেই আইরিশ দেহ ব্যবসা ছেড়ে দেবে। হয়ত জুলে ফার্জ বা আর কাউকে বিয়ে করে ঘর সংসার করবে।
এক লাফে বিছানা ছেড়ে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়াল আইরিশ। আয়নায় মুখােমুখি দাঁড়িয়ে দু’হাতের তালুর চাপ দিল পাঁজরার নীচে আর স্তনযুগলে মােচড় দিল।
মনে মনে বলে উঠল—আঃ এমন বিশাল স্তন যুগল ত নজরে পড়ে না। যেন পােষা কুকুরের ছােট ছােট নাসিকা…চুমকুড়ি দিল স্তন বন্তে।…..
…..স্নানের ঘরে কল। হাতে পিয়ারস, সােপ। ইংলিশ সােপ। স্বাভাবিক ভাবেই ইংরেজরা জানে ইংরেজ মেয়েদের বুকের জন্যে কেমন সাবান দরকার হয়। আইরিশের দেহে ইংরেজ রক্ত রয়েছে। ……অন্য যুবতীদের মতন নীল নীল শিরা ওঠা নয়। স্তন যুগল মসৃণ, নীল শিরার আভাষ নেই কোথাও। ………
……….আইরিশ মােজা পরছিল, কিন্তু সহসা মন বদলাল। পােশাকের আলমারি থেকে খসখসে সিকের একটা আটসাটা ট্রাউজার বার করে পরল। খুলে ফেলল ড্রেসিং গাউনটা। এটা ওর একটা ভঙ্গী বিশেষ। আর এই ভঙ্গী ওর মন পছন্দ। কোমরের উপর থেকে উদ্ধাঙ্গ উলঙ্গ। ছায়া ঢাকা দেহ থেকে চকখড়ির মতন শাদা স্তন যুগল যেন ঝলছে। ট্রাউজারে মােড়া নিতত্ব..আর গােটা নিন্মাঙ্গ। …….
আচ্ছা তার কি একটা বক্ষ আবরণী পরা উচিৎ। মনে মনে হেসে ঠিক করল না, পরবে না। একটা সম্ভার চমক সৃষ্টি করবে আইরিশ। চিকণ সিল্কের ব্লাউজ পরে বােতাম অটার সময় তার মনে পড়ল এখনও মুখের প্রসাধন হয় নি। ভুরু আকার পেন্সিলটা দালানে ব্যাগের মধ্যে রয়ে গেছে। ভাবল, ছােকরাকে ওটা নিয়ে আসতে বলবে। এবং নিজে সে এ ধারে দাঁড়িয়ে থাকবে…ব্লাউজ খােলা, উলঙ্গ স্তন যুগল। এমনি অবস্থায় ওটা তার হাত থেকে নেবে। তাহলে ঠিক ওর মনে চমক সৃষ্টি হবে। দুচোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসবে।
ডেসিং গাউনটা আবার গলিয়ে নিল আইরিশ…তবে বােতাম অাটল না। বুকের কাছে কেবল ওটা মুটো করে থাকল। ফলে শাদা চিকণ সিল্ক ঢাকা পাজোড়া এখন চোখের সামনে নগ্ন। শােবার ঘর থেকে এ ঘরে এল আইরিশ। .
এয়ার কন্ডিশনারের ঢাকনাটা খুলে ফেলেছে ভিটো। কালি ঝলি মাখা যন্ত্রপাতি রেখেছে খবরের কাগজের উপর। আইরিশকে সে দেখতে পায়নি তবে । তার পায়ের আওয়াজ শুনেছিল, আর গন্ধ পেয়েছিল দামী সেন্টের। ঠিক ওর পিছনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করল আইরিশ—কেমন কাজ হচ্ছে ?
—ভালই হচ্ছে। যন্ত্রপাতিগুলাে পরিষ্কার করা দরকার। তবে এখুনি বলতে পারছি না, আর কিছু খারাপ আছে কি-না। . দাঁড়াও, একটা সিগারেট ধরাই। বুকের কাছে পােশাকটা মুঠো করে ধরা অবস্থায় ব্যাগ থেকে লাইটার বার করার চেষ্টা করছিল আইরিশ। শেষে লাইটার বার করলেও জালাতে পারছিল না।
সােনা, ওর দিকে তাকিয়ে হেসে বলল—দেবে না কি জালিয়ে…!
নিশ্চয়। ভিটো লাফিয়ে উঠে পড়ল। কালি মাখা হাত পান্টে মুছে লাইটার জাললাে। …….
পড়শীদের মেয়ে এলিস মারতুলােকে তার পছন্দ। বুক জোড়া তার স্তনযুগল। ছাদের ওপর ওকে জড়িয়ে ধরলে কিছু বলে না। বরং ওর স্তনযুগলের স্পর্শে ওকে উজীবিত করে। মাঝে মানে মেয়েটার স্তনযুগলের উপত্যকায় মুখ রেখে চোখ বুঝতে ওর ভাল লাগে, ইচ্ছা হয়। …….
আইরিশ এসে আবার ওর পিছনে দাড়াল। তার অঙ্গের মিষ্টি সুবাস ওর নাকে লাগল। একটা যন্ত্ৰ খুলছিল মন দিয়ে। যখন তাকালে যেন খুব অনিচ্ছার সঙ্গে তাকাচ্ছে।
সেই সিঙ্কের ট্রাউজার তার পরণে, আর একটা নরম চিকণ ব্লাউজ গায়ে দিয়েছে। বােতাম খােলা। শুধু পেটের কাছে গিট দিয়ে রেখেছে।…….
এ সব চিন্তা যে তার মনে জাগছে তা’ কি মেয়েটি বুঝতে পারছে ? যদি সে সত্যি সত্যি কলগার্ল হয় তাহলে ভিটো কি এগিয়ে তাকে চুম্বন করবে ? একটা নিখুত চুম্বন ? আর তখনি কি ও তার শার্ট খুলে ফেলে তার স্তন যুগল দেখাবে? লজ্জায় লাল হল ভিটো। ঘামে ভেজা হাত থেকে ড্রাইভারটা পড়ে গেল। আচ্ছা, মেয়েটি কি তাকে তার প্যান্ট খুলতে বলবে ? হয়ত মেয়েটির তাকে মনে ধরেছে। এমন ত হয়, কোন কোন মহিলার কিশোরদের মনে ধরে। …….
…….টুলের গায়ে সে পা ঠুকছিল মৃদু মৃদুউত্তেজিত হয়ে উঠছে আইরিশ। অটোসাটো ট্রাউজারের ধারগুলাে দেহের কোমল অংশে ঘসছিল আর সুড়সুড়ি দিচ্ছিল। ভিটো কি তার উত্তেজনা বুঝতে পারছে। অবাক হল আইরিশ। বুঝতে পারছে, তার সারা দেহে উওেজনা ছড়িয়ে, কামনা জাগছে।..
….—আর একট নাও। বলেই উঠে পড়ল। দেহের মাংসের ভাঁজে ভাঁজে ট্রাউজারের কাপড় আটকে গেছে। পা ছুড়ে পােশাক ঠিক করে নিন আইরিশ।
ভিটো চোখ বড় বড় করে ওকে দেখছিল। নিতম্বের পুরুষ্ট অংশ যেন ওর চোখের সামনে আসছে। গলার কাছে কি যেন আটকে গেছে। মেয়েটা নিশ্চয় ট্রাউজারের নীচে আর কিছু পরে নি।………
……….ভিটো যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠল। অস্কোয়ান্তির যন্ত্রণা। তার গালে আগুনের আচ, চোখের পাতাগুলাে থেকে উত্তাপ ঝলসাচ্ছে। আইরিশকে জড়িয়ে ধরার জন্যে তার মনে উদগ্র কামনা, ওর স্তনযুগলের উপত্যকার মুখ রাখতে দারুণ ইচ্ছে হচ্ছে। ওর অঙ্গের সুবাস তাকে বিহল করে তুলছে, করছে উত্তেজিত। মাথা ঘােরাতে গেল ভিটো আর অমনি ব্লাউজের খােলা অংশ দিয়ে ওর স্তনযুগলের শাঁখ-শাদা মাংসের স্তুপ তার নজরে আটকে গেল। সুন্দর স্তনের স্ফিতি। তাড়াতাড়ি মাথা ঘুরিয়ে নিল ভিটো।………
…….দুর্ভাগা ছেলে, নির্জনতা ওর জীবনের অভিশাপ। ওর জন্যে একটা কিছু করার ইচ্ছে হচ্ছে আইরিশের। ইচ্ছে হচ্ছে ওকে জড়িয়ে ধরতে, ধরে রাখতে, শিশুর মতন কোলে বসিয়ে তাকে দোল খাওয়াতে, আদর করতে। ভাবছে আর হাসছে। কল্পনা করছে, ভিটো তার পাতলা ঘোরালো মুখ রেখেছে তার স্তনে, অনুভব করছে তার গালের উত্তাপ, ভিজে ভিজে ঠোটের স্পর্শ লাগছে তার ত্বকে। তার সারা মন এই উদগ্র কামনায় ভরপুর। ……..
………হাসল আইরিশ…কিন্তু হাসিমুখে রাগের ছোঁয়া। বন্ধ দরজার শীতল পাল্লায় মুখ রাখল। দু’হাতে স্তনযুগল চেপে ধরল। কেমন এক ধরণের যন্ত্রণা হচ্ছে। সারা ঘরখানা মনে হচ্ছে আলােহীন। …….
…….পিছনে এসে দাঁড়াল। এত কাছে যে, ওর নরম স্তনযুগলের স্পর্শ লাগছে ভিটোর দেহে। ইশ স্পর্শ সুখ এত সুন্দর এত তীব্র যে ওর বুকের ধুকপুকুনি যেন থেমে গেছে। আচ্ছা ও যখন তাকে স্পর্শ করেছিল তখন কি ওর মনে কোনও আবেগ দেখা দিয়েছিল ?…….
……একদম তরতাজা কিশাের। ভিতরটা আমার জলছে। এখনি ওকে আমার চাই। এই ঠিক এখানে, এই কম্বলে এই মেঝের উপর। কেন নয়? জবাব যেন তার জিভের ডগায়। কেন চাইবে না? হয়ত সে আজও কুমার। নিঘাত। তার মন বলছে, সে কুমার। সে তার মাথাটা তার কোলে তুলে নেবে। মনে মনে সে নিজের দেহে ভিটোর দেহের তাপ অনুভব করতে পারে। তার মাথাটা সে তার স্তনযুগলের উপত্যকায় চেপে ধরেছে। সে তার গালে হাত বুলােছে।……..
………..ভিটো লজ্জায় চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকালাে। দৃষ্টি এক সময় সরিয়ে নিল।
খুব নরম গলায় আইরিশ জানতে চাইল—কখনও চুমু খেয়েছ কোন মেয়েকে।
তারপর নিজেই নিজের প্রশ্নের জবাব দিল-জানি, খাও নি। তুমি একদম বাচ্চা।…
….আইরিশ আরও কাছে সরে এল। ভিটোর মাথার নীচে হাত দিয়ে তাকে বুকে টেনে নিল। ভিটো তার সুমিষ্ট সুবাসিত শেমিজের নীচে তার শীতল স্তন যুগলের অস্তিত্বের স্পর্শ অনুভব করল । তার বুকে মুখ রাখবার বড় ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু হাতের আঙুলগুলাে সহসা ঠাণ্ডায় অসাড় হয়ে উঠল। . ওর হাত থেকে মদের গ্লাসটা সরিয়ে রাখল আইরিশ। তারপর নিজের গাল রাখল ওর কপালে।
-আঃ! নরম গলা ধনিত হল ভিটোর।
-চোখ বুজো সোনা। ভিটো দুচোখ বুজল। আইরিশ ধীরে ধীরে তার গালে চাপড় মারতে লাগল। আঙুল বুলিয়ে আদর করল। মাথা সরিয়ে এনে তার কপালে, দু’চোখে চুমু দিল। ওর নরম গালে নিজের ভিজে ভিজে ঠোঁটের স্পর্শ দিল। আবার দু’চোখে চুমু দিল। অনুভব করল, ভিটো তার কোমর জড়িয়ে ধরেছে।
হ্যাঁ, অমনিভাবে আমায় জড়িয়ে ধরে সোনা! তারপর আদর করে তার মুখে চুমু দিল।
যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠল ভিটো।
ভিটো কাঁদছিল। উলঙ্গ দেহ। দহটি, জড়াে করে তার মধ্যে মুখ গুজে বসে কাঁদছে।
আইরিশ তাকে অনেকক্ষণ ধরে জড়িয়ে রইল। তারও দেহ নগ্ন•••শেমিজটা খুলে ফেলেছে। ধীরে ধীরে শান্ত হল ভিটো। -এখন ভাল লাগছে ?
হ্যা। —যাও, বাথরুমে একে খানিকটা ঠাণ্ডা জল মাথায় দিয়ে এস, কেমন ? -আচ্ছা। —আমার শােবার ঘরের বিছানায় গিয়ে বস। —আচ্ছা, কিন্তু আমার দিকে তাকিও না। হাসি চাপল আইরিশ। বলল- বেশ, তাই হবে। তাকাব না।…..
…..দরজায় দাঁড়িয়ে দেখল, বিছানায় শুয়ে পড়েছে ভিটো। বিছানার চাদরে সারা দেহ ঢেকে রেখেছে। কেবল নজরে পড়ছে, ওর শরমে লাল, হাসি হাসি মুখখানা। ভিটোর বিনয় নম্র আর তরুণ ভদ্র মনের কথা ভেবেই নিজের নিরাভরণ দেহ আবার শেমিজে আবরিত করেছে আইরিশ। অর্থাৎ এটা তার স্বভাব নয়। নিজেকে, নিজের সুঠাম নগ্ন দেহ সে তার প্রেমিককে দেখাতেই অভ্যস্ত। তাই ত মাঝে মাঝে পুরোপুরি বা আধাআধি নগ্ন দেহে প্রেমিকের সাথে ঘন্টার পর ঘণ্টা ধরে কথা বলে, গল্প করে যৌন বিকৃত মন এক ধরণের আনন্দ উপভােগ করে। শেমিজ পরেই আইরিশ বিছানায় চাদরের নীচে ঢুকে পড়ল।
বেশ মজা, তাই না? বলল আইরিশ। ওর দিকে লাজুক মুখে তাকিয়ে ভিটো বলল—মদ পান করে বেসামাল হয়ে পড়েছিলাম।
না, না। ওটা উত্তেজনার ফল। স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা খেয়ে নাও। আইরিশ এক গ্লাস কোক ওর মুখে তুলে ধরল।
-ঠিক আছে। আমায় দাও। আমি বাচ্চা নই।
বাঁকা চোখে তার দিকে তাকিয়ে বলল আইরিশ—তা জানি। তুমি আমার কাছে বাচ্চা, আমার সােনা। তােমার কথাই আলাদা। আচ্ছা, তােমার এটা প্রথম, তাই না! মানে, এই প্রথম প্রবেশ।
হ্যাঁ। -বেশ আনন্দ পেয়েছ ত? ……….
…….আইরিশ বিছানায় ফিরে এল। আবার সেই হাসি মুখে। একটানে শেমিজটা খুলে ভিটোকে জড়িয়ে ধরল। বলল—ভিটো, তুমি আমার সােনা। এমন ভাবে আর আমাকে বলাে না।………ভিটোকে বুকে জড়িয়ে ধরল আইরিশ। স্তনযুগলের উপর ভিটোর মাথা, তাকে আদর করতে করতে বলছিল আইরিশ-কি সুন্দর, তুমি সােনা। আমাকে তােমার ভাল লাগছে?
-হ্যা, নিশ্চয়। ভিটো চুমু দিল।
আইরিশ তাকে জড়িয়ে ধরল। ফিসফিস করে বলল—তােমায় ভালবাসি। তােমায় আমি চাই, একান্তভাবে চাই। তুমি কত সুন্দর, কত বলবান! তোমাকে আমি। ভিটোর দেহ মনে যন্ত্রণা মধুর আনন্দ। এক সময় আইরিশ তার দুই উরুর মাঝে ভিটোকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ল।………
……….ভিটো দরজার বােম টিপল।
আইরিশ বাথটবে বসেছিল। ডাকল-এখানে আছি। চলে এস।
বাথটব ছেড়ে উঠল না আইরিশ। দুহাতে এক গাদা সাবানের ফেনা নিজের নিরভরণ দেহে ছাড়িয়ে দিল। স্তনযুগলের উপর ফেনাগুলাে জমল। যেন পাতলা একখানা ওড়নার আবরণ।
ভিটো চমকে গেল। বিছানায় ছাড়া আইরিশকে এভাবে কখনও সে দেখে নি। সমগ্র নগ্ন দেহ নজরে পড়তেই তার মনে কামনার ঝড় বইতে শুরু করল। এমন ভাবে দেখতে সে এতটুকু অভ্যস্ত নয়। অধীর কামনায় ভরপুর মন•••মখে ঘুরিয়ে নিল ভিটো। কি দেখল ভিটো। আইরিশে শাখ-শাদা গলার কোল পর্যন্ত টলটল করছে, ঝকঝক করছে জল পাতলা সাবানের ফেনার নীচে গােলাপী একজোড়া স্তন বৃন্ত অল্প ঠোঁটের ঝিলিক, আর রক্তিম ভুযুগল।
দুহাত বাড়াল আইরিশ। হাঁট, মুড়ে ওর দুহাত ধরল ভিটো। ওই বাথটাবে ওর সঙ্গে স্নান করতে অধীর হয়ে উঠল সে।
-মমস, ভারি আনন্দ হচ্ছে তােমায় দেখে।
—আহা থােকা। তুমি কি আমায় হারিয়েছ ?
মনে হচ্ছে, কেবল কথা বলে সময় নষ্ট করছি। হাততালি দিয়ে বলে উঠল আইরিশ
-বেশত খােকা, পােশাক ছেড়ে চটপট আমার কাছে চলে এস।
ভিটো পােশাক খুলে সম্পর্ণ নগ্ন হ’ল। •• ঘুরে দাঁড়াও। হাসতে হাসতে বলল আইরিশ।
বেশ ত ! তােমার কাছে যেতে চাই না।
—আগে ঘুরে দাঁড়াও! ঘুরে দাঁড়াল ভিটো।…….
বাথটবে ঈষৎ উঠে বসল আইরিশ। স্তনযুগলের উপর থেকে সাবানের ফেনা মুছে ফেলল। শাকশাদা গোলাকার মাঃসপিণ্ড। গােলাপী চক্রের মাঝে বৃন্ত দুটি। আইরিশের মুক্ত যৌবন এখন আরও ভালভাবে নজরে পড়ছে।
-খােকা আমার যৌবন চলে গেছে, তাই না? বয়স ত তিরিশ হল।
-তাতে কি হয়েছে ? —আমি ত আর উনিশ বছরের ছকরু নই।……
…..বাথটবে ঈষৎ সরে বসল আইরিশ। ভিটোকে শুয়ে পড়বার জায়গা দিল। বলল—এখন চোখ বুজিয়ে চুপ করে শুয়ে থাক।
-আমি তােমায় ভালবাসি। -আহা, খােকা•••সােনা। ভিটো দেহ মুচড়ে ওর দিকে সরে যেতে চেষ্টা করছিল, কামনা মাখা দৃষ্টি আর ঘন ঘন শ্বাস টানছিল। বলল—আমি… আমি তােমায় ভালবাসতে চাই, খুকু••। •
হাসির ঝিলিক ছড়াল আইরিশ। চাপা কপট রাগে বলল—আচ্ছা, কি করই খােল ?
ওকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করতে করতে হাঁফাচ্ছিল ভিটো। বলল—কাছে এস। আমি তােমায় ভালবাসতে চাই•••
-আহা! লাগছে যে গাে••। দুঃখিত! এখন ওসব লাগুক। আমি তােমায় ভালবাসতে••• ! -আহা-হা! ভিটো, আমার চল ভিজিয়ে দিচ্ছ।
—ভিজবেই। এখন দারুণ সাহসী হয়ে উঠেছে ভিটো। আইরিশের রাগের আর সে তােয়াক্কা করে না। আর সে ভয় করে না। এমনটাই সে চায়। তার মুখের ভাব বদলে গেছে, এখন হাসছে আইরিশ।
বলে উঠল আইরিশ বড় ভাল লাগছে, ভিটো!
আরও কাছে টেনে নিল আইরিশকে, বলল ভিটো জানি ভাল লাগবে। এইত, কেমন ?
-বেশ, বেশ। কিন্তু একটু আস্তে, ঠিক ত ? ‘দুরন্ত মনের আবেগ আর সংযত দেহ-ভঙ্গিমায় উঠছে, নামছে ভিটোর সুউন্নত দেহ। দৃষ্টি তার আইরিশের মুখের উপর। ধীরে ধীরে বিস্ময়ের ঘাের ছড়াচ্ছে তার মুখে। ওর মুখে মৃদু হাসিতে তাই আভাষ।
—ভিটো, বড় ভাল লাগছে, বড় সুন্দর। ধীরে ধীরে দেহ উঠাচ্ছে, নামাচ্ছে ভিটো। সাড়া দিচ্ছে আইরিশের দেহ।
ভিটো তাকিয়ে আছে। আইরিশের বিস্ফারিত ওষ্ঠ যুগল, ছােট ছােট শাদা দাঁতগুলাে নজরে পড়ছে। ওকে দেখছে, মুখে হাসি, দৃষ্টিতে আবেদনের স্পর্শ। ওর মুখের ভাব ভিটোর কাছে অজানা। সে শুধু নিজের কামনা চরিতার্থ করার জন্য ধীরে ধীরে উঠছে, নামছে। তার মুখে এক ধরণের দৃঢ়তা। যেন নিজের মধ্যে লড়াই করতে হচ্ছে বলে তার মুখে এই নিষ্ঠূরতার ভাব। কারণটা তার কাছে একেবারেই অজানা•• তবে এটুকু বুঝেছে। এই লড়াই আনবে এক বিবর্ণ জয়ের স্বাদ। জানে না, এই আস্বাদের পরিণাম কি এবং কেনই বা এই স্বাদ গ্রহণের জন্যে তার মন এত উন্মুখ। শুধ, জানে, তার কর্ম চঞ্চলতা আইরিশের দুচোখে অমন উদগ্রভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। মনে মনে তাই গর্ব অনুভব করল ভিটো। শব্দ করে হাসল।
আর এই এক টুকরাে হাসির আজ আইরিশের মনে গভীর আনন্দবােধ জাগাল। আবেশে আর অকথিত আরামে সে এখন অফুরন্ত খুশি। তার মনের আগল টুটে গেছে। নগ্ন দেহ খুশির হিল্লোলে হিল্লোলিত।
ভিটোর দ্বার উচ্ছলতায় সাড়া দিল খুশিতে ডগমগ আইরিশ।
ওদের দেহ এখন স্থির।…….
…… কিন্তু তবু আকড়ে ধরে আছে ভিটোকে। হাসছে, চুম্বন করছে। চাপ দিচ্ছে দুজনের দেহের নিম্নাংশে। একটা যন্ত্রনা মধুর মিলন ঘটুক আবার ওদের ?
অবশেষে ওকে ছেড়ে দিল আইরিশ। ভিটোর বাহুতে মাথা রেখে সে বলল-এই মাত্র কি করলে তা জান ? অবাক হল ভিটো। বলল-না ত। —জান না? একেবারেই ধারণা করতে পারছে না ? সরল কণ্ঠস্বর ভিটোর-না, কিছুই বুঝতে পারছি না। -যদি এটা কিছু না হয়। যদি কোনও ক্ষতি না হয় -এ সব কথার অর্থ ? কি বলছ ? -দেখ হাদারাম, আমাদের মিলন ঘটেছে, আমরাই ঘটিয়েছি। ………
………আইরিশ এসে দাঁড়াল পর্দার ধারে। আলাে ছড়িয়ে পড়েছে। তার পরণে শুধু ব্রেসিয়ার আর বিকিনি। দর্শকদের খুব কাছেই এখন আইরিশ। বাজনা সুর হল। তালে তালে এবার নাচ শুরু করল আইরিশ। . উদ্দাম হয়ে উঠছে তার দেহ ভঙ্গি। একই সাথে তার কাঁধ আর নিতম্ব দুলছে, কাপছে। শিহরণ জেগেছে. স্তন যুগলে। দুরন্ত হয়ে উঠছে শিহরণ। মাঝে মাঝে হাত দিয়ে স্তনযুগল পিষ্ট করছে। যেন এখনি ওদের বন্দী দশা ঘুচে যাবে। আর প্রতিবারই দর্শকরা কাম-পীড়িত কণ্ঠে সােল্লাসে চিৎকার করছে। সহসা দাঁড়িয়ে পড়ল আইরিশ।। একটানে খসিয়ে দিল তার বুকের বাঁধন।
ভিটো বােবা হয়ে গেল। আইরিশ ! তার আইরিশ। বুকে ওর মাংসের সুডৌল পাহাড়। ক্ষীণ একটা পাতলা জালের আবরণ রয়েছে শুধু ওর আড়ালে সােনালি দুটো স্তন বৃন্ত। ওই মাংসপিন্ডে হাত রাখবার, স্পর্শ করার অধিকার ত একমাত্র তারই ছিল। কিন্তু এই মুহুর্তে ও সকলের। ও বারবধু।
আবার বাজনা বেজে উঠল। , আরও সামনে এগিয়ে এল আইরিশ। মুখে তার দর্শকদের দিকে। পা দুখানা ফাক করে দেহ বেকিয়ে বসার ভঙ্গি করেছে। দু’পায়ের উপর সমস্ত দেহের ভার। হাত দুখানা দু উরুর মাঝে তালে তালে আসা যাওয়া করছে। আর দারুণ উত্তেজনার মাথাটা এপাশ-ওপাশ করছে। যেন কোনও পুরুষের সাথে সে যৌন সঙ্গমে রত। নাচের ভঙ্গিতে, মাথা আর হাতের আস্ফালনে দারুণ যৌনতার স্ফুরণ।…….
……..জবাব তার জানা। তার ভিটো নেই। সে আর ভাবতে পারে না। ধীরে ধীরে সে চেয়ারের উপরে উঠে দাঁড়াল। আলাে ঝােলাবার আঙটায় রেশমের দড়ি বেঁধে একটা ফাঁস তৈরী করে নিয়েছে। এবার ফাঁসটা গলায় লাগাল। দেহের কোথাও আবরণ রাখে নি। উলঙ্গ অতি প্রিয় স্তন দুটোর উপর হাত রাখল।
এক ঝটকায় চেয়ারখানা পায়ের নীচ থেকে ফেলে দিল। ঝুলে পড়ল আইরিশ বিস্মরণের জগতে।………