পৃথিবী শুধু বিবাহিত পুরুষদের জন্য – জ্যাকি কলিন্স

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

অনুবাদ : সৌম্য রায়

পৃ-২৩ঃ

………..মনে ভাবলাে ও, ওর বয়েস এখন তেত্রিশ। কিন্তু দেহেমনে এখনো ও পরিপূর্ণ যুবতী। ভাল করে স্নান সেরে এসে আয়নাটার সামনে এসে দাড়ালাে লিণ্ডা। ওর সৌন্দৰ্য্যময়ী দেহটা একেবারে নগ্ন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখে ও। সুডৌল পা দুটো। উরুর কাছটা অবশ্য সামান্য ভারী ভারী হয়ে এসেছে। কিন্তু কোমর এখনও সরু। স্তনযুগলও যথেষ্ট আকর্ষণীয়। একটু ভারী হয়ে গেলেও আকর্ষণ কমেনি। এখনাে ঋজু। সারা অঙ্গ জুড়ে যৌবনের দীপ্তি। এককথায় যৌন আবেদনময়ী দেহটা ওর। কোনাে পুরুষই অবহেলা করতে পারেনা ওকে।……..

পৃ-৬৩ঃ

……কথাটা বলেই ক্লডিয়া একেবারে চিৎ হয়ে টান টান ভাবে শুলল। স্তনের আভাস প্রকট। গায়ে শুধু একটা সােয়েটার ছিল ক্লডিয়ার। ডেভিডের রক্তে তখন উন্মাদনা। ক্লডিয়ার উন্মত্ত যৌবনকে কাছে পাবার তীব্র আকাঙ্খা।…….

পৃ-৮৬-৮৭ঃ

………লিণ্ডার দেহে তখন গোলাপী রঙ্গের একটা সিল্কের পােশাক। ওর শরীরের প্রতিটি রেখাই প্রকাশিত ।……..

………. তখন ডেভিড ওর দিকে ফিরে বলে উঠলো, বাঃ তােমার নাইটড্রেসটা তাে বেশ চমৎকার হয়েছে, ওটা নতুন কিনেছো নাকি? | ডেভিডের প্রতিটি কথা লিণ্ডার অসহ্য লাগছিল। তবুও ধৈর্য্যের সঙ্গে বলে উঠলাে ও, তাতে কি হয়েছে ? আমি এই নাইটিটা পরেছি।’

ডেভিডের একটা হাত এগিয়ে এলো ওর পিঠে। তারপর ধীরে ধীরে একটা স্তনে। কঠিনতা থেকে ধীরে ধীরে নরম হয়ে এলো লিণ্ডা। মনে মনে বলে উঠল, “ঈশ্বর, আজ যেন ও আমাকে আদর না করে। 

পুরােনো দিনগুলো ভেসে উঠল লিণ্ডার চোখের সামনে। ডেভিড আর ও পাশাপাশি শুয়ে আছে। ডেভিডের সােহগে আপ্লুত লিণ্ডা। সেই দিনগুলি ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে। অস্বস্তি বােধ করছিল ও, ডেভিড বলে উঠল, “কি ব্যাপার ?

লিণ্ডা এবার ডেভিডের মুখােমুখি ফিরল। বলল, “কিছু নয়। | আরও ঘনিষ্ঠ হল দুজনে। বলা যায় ডেভিড দ্রুতই শেষ করল ওর সম্ভোগক্রিয়া। মিলনের আগের রতিক্রিয়া ও অনেক দিন আগেই ছেড়ে দিয়েছে। লিণ্ডা ব্যাপারটাতে বিন্দুমাত্র আনন্দ পেলােনা। মনের ভেতরে একধরনের শূন্য বােধ। আশ্চৰ্য্য হয়ে ভাবলাে, বিয়ের পর সব পুরুষই হয়ত এরকম হয়ে যায়। বিয়ের আগে সব প্রেমিক প্রেমিকার দৈহিক মিলনে একটা আলাদা রােমাঞ্চ থাকে, থাকে আনন্দ আর উদ্দামতা। কিন্তু বিয়ের পরে এটা ক্রমশঃ একঘেয়েমিতে দাড়িয়ে যায়। শুধু শােয়া আর সম্ভোগ। কোন উত্তেজনা নেই। আনন্দ নেই তাতে। ডেভিড মৃদু হেসে একবার বলে উঠল, ‘চমৎকার লিণ্ডা। | লিণ্ডাও একইভাবে বলে উঠলো ঐ একই কথা। নিছক বলার জন্যেই বলা। ডেভিড বললো, ‘গুডনাইট লিণ্ডা।………..

পৃ-১০২, ১০৫ঃ

………কেউ কোথাও নেই। ঠিক সেই মুহূর্তেই ওর কানে ভেসে এলো একটা চুম্বনের শব্দ। বিস্ময়ে আবার তাকালো বারান্দার দিকে। তখনই চোখে পড়লাে অদ্ভুত দৃশ্যটা। বারন্দার একেবারে কোণে একজোড়া নারী-পুরুষ পরস্পরকে জড়িয়ে আছে। তৎক্ষণাৎ ও নিজেকে আড়াল করে ফেললাে। বারান্দার ধার ঘেষে সতর্কভাবে এগিয়ে গেল ওর দিকে।

যুবতীর পােষাক অনাবৃত। একটা স্তন উন্মুক্ত। পুরুষটার মাথা ঠিক সেই জায়গাতেই স্থির। দুজনেরই অন্তরঙ্গতায় কোনাে ফাঁক নেই। পুরুষটি তখন মৃদুভাবে নারীটিকে বলছিল, “তুমি সত্যিই উন্মাদ ক্লডিয়া।

বলার পরেই ওর সম্পূর্ণ পােশাকটা টেনে একেবারে নগ্ন করে দিলাে ওকে। যুবতীর নিম্নাঙ্গে কোনাে রকমে ঝুলতে লাগলাে ওটা। পুরুষটি আবার বলে উঠলো, “তুমি ছাড়া একটা রাতও আমার কাছে নরকের মতাে।……..

………হঠাৎ ক্লডিয়া দু’হাতে ডেভিডের গলাটা জড়িয়ে ধরলো তারপর ওকে চুমু খেলাে একটা। তারপর ফিসফিসিয়ে বলে উঠলাে, তােমাকে হারিয়ে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছিল।

‘তুমি সত্যিই নিষ্ঠুর! আমাকে ছেড়ে গিয়ে তুমি বসেছিলে রেস্তোরাতে। তারপর ফোন করেছে মাঝরাতে। তুমি তাে উন্মাদ হয়ে যাচ্ছে।

ডেভিড থামার সঙ্গে সঙ্গে ক্লডিয়ার ঠোটটা ডেভিডের কান স্পর্শ করলাে। ওদের উভয়ের শরীর তখন আরে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ডেভিড ধীরে ধীরে ক্লডিয়ার স্বল্প আবরণ উন্মােচন করে দিলাে। নিম্নাঙ্গে তখন ওর আবরণ ঝুলছিল। তারপরেই ডেভিডের মুখটা নেমে এলাে ক্লডিয়ার স্তনের উপরে। দুজনেই তখন পরস্পরকে পাবার নেশায় আকুল। কিন্তু জায়গাটা যে একটা হােটেলের বারান্দা সেটা ওদের মনে ছিল না। এমন কি লিণ্ডাও যে আশে পাশে কোথাও থাকতে পারে সে চিন্তাও ডেভিডের নেই। জায়গাটা অবশ্য ভালােই অন্ধকার। ডেভিড মরিয়া হয়ে ক্লডিয়াকে মেঝেতেই শুইয়ে দিলাে। ওদের চরম আনন্দে পোঁছাতে সময় লাগলাে মাত্র কয়েক মিনিট।……….

পৃ-১১১-১১২ঃ

….মদের ঘােরে সমস্ত নারী-পুরুষই অকারণ হাসছিল বারবার। ইতিমধ্যে ক্লডিয়া টেবিলের ওপরে উঠে নাচছিল। সবাই কিভাবে যেন বুঝতে পেরেছে যে, ক্লডিয়ার নিম্নাঙ্গে কোনাে পোশাক নেই। সেই কারণে প্যান্টিবিহীন ক্লডিয়ার স্কার্টটাকে তুলে কেউ কেউ কামুক চোখে উকি মারতে লাগলো। মদের ঘােরে চীৎকার করতে করতে ক্লডিয়া বাকী পােশাকগুলােও খুলে ফেলতে আরম্ভ করলো। জে গ্রসম্যান একভাবে দেখে যাচ্ছিল সবকিছু। ভীষণ খারাপ লাগছিল ওর। মানুষগুলােকে ওর মনে হচ্ছিল একপাল বানরের মতো। বেশ বিরক্ত বােধ করছিল ওখানে থাকতে। টেবিলটার চারপাশে জমায়েত ভীড়। সবাই ক্লডিয়ার নাচ দেখতে উদগ্রীব। সেই রাষ্ট্রদূত ভদ্রলােক লরির সঙ্গেই এসে হাজির হলেন। দ্বীপটীজ’ নাচের আসর ততক্ষনে বেশ জমে উঠেছে। দ্রুতলয়ে চলছে নাচ। ক্লডিয়া দেহের পােশাক খুলে এদিক ওদিক ছুড়ে দিচ্ছিল। চকচকে শরীরটা ওর কেমন অদ্ভুত মােহময়। কামাত পুরুষগুলাে সবাই চেষ্টা করছিল ওর কাছে আসার। কিন্তু মাঝপথেই তাদের স্ত্রী কিংবা প্রেমিকারা ঈর্ষাবশতঃই তাদের সরিয়ে নিয়ে যেতে লাগলাে ক্লডিয়ার সান্নিধ্য থেকে।

হঠাৎ একজন লােক টেবিলের দিকে এগিয়ে এলাে। পরনে ভােরাকাটা প্যান্ট আর কালচে রঙের একটা জ্যাকেট। দেখতে অদ্ভুত। লােকটা হােটেল কতৃপক্ষের এক প্রতিনিধি।।

লােকটা সােজা এগিয়ে গেল কনরাড লীর দিকে। কনরাড ওকে দেখামাত্রই ইশারায় চলে যেতে বললেন, কিন্তু লােকটা বেশ ভয় পেয়েছে। উত্তেজিত রীতিমতাে। | চীৎকার করে বলে উঠলো লােকটা, যদি ঐ মহিলা এই মুহুতে পােশাক না পরে তাহলে আমি পুলিশ ডাকতে বাধ্য হবো।’

কথাটা শােনামাত্রই ক্লডিয়া ওকে জিভ দেখালাে অদ্ভুতভাবে। ওর শরীরের আর একটা অঙ্গই মাত্র আবৃত। সেটা খুলতেই বাকী। ঠিক সেই সময়ে পুলিশ এসে হাজির হলাে ওখানে। এসেই প্রথমে জোর করে ক্লডিয়ার দেহে একটা ব্ল্যাঙ্কেট জড়িয়ে দিলো। তারপর টেনে নিয়ে চললো থানাতে।……….

পৃ-১২৩ঃ

……..

খুশী মেজাজে ফোনটা রেখে গিলেসকে বললো ক্লডিয়া, ‘চলো কাজটা এবারে সেরে নেওয়া যাক।

গিলেস বিভিন্ন রকম ভংগীমায় ক্লডিয়ার বেশ কয়েকটা ছবি নিলাে। সব ছবিগুলােই ওর নগ্ন দেহের। বেশীর ভাগ ছবিতেই ক্লডিয়ার সুডৌল দুই স্তন প্রকটভাবে উন্মুক্ত। নানা ভংগীমায় ছবি তােলার কাজ শেষ হবার পরে গিলেস আরাম করে বসলাে। খানিক বাদে ক্লডিয়ার আরাে কিছু ছবি নিলো গিলেস। তবে এখানে নয় স্নানের ঘরে। স্নানরত অবস্থায় ওর বিভিন্ন ছবি। সেখান থেকে শােবারঘরে এসে শুয়ে থাকা অবস্থায় ওর বিভিন্ন ভঙ্গীমার কয়েকটা ছবি নেওয়া হলাে। | ছবি তােলার শেষে গিলেস ক্লডিয়াকে সােহাগ করে কয়েকটা চুমু খেল। আদর করলে অনেকক্ষণ ধরে। তারপর শুধু ক্লডিয়ার দেহের প্রশংসা আর প্রশংসা। গিলেস যেন আর থামতে চাইছিল না।……..

পৃ-১৩০ঃ

………..ডেভিডকে দেখা মাত্র ক্লডিয়া ছুটে এলো। কোনরকম বললো, ‘ডার্লিং বিদায়•••। ক্লডিয়ার পােশাকের ওপরের দিকটা খােলা, স্তনযুগল প্রায় উন্মুক্ত। নীচের পােশাক, এলােমেলাে অবস্থায়। ডেভিড রেগে বলে উঠলো। তােমাকে এখন চমৎকার একটা মাতাল বেশ্যার মতো লাগছে। | ক্লডিয়া সক্রোধে জবাব দিলো, তুমি আর কোনদিন এখানে এসােনা। থেমে-আবার বললো, ‘একঘেয়ে যত্ত সব।

ততক্ষণে গিলেস এসে ক্লডিয়ার বুকে হাত দিয়ে আদর করতে আরম্ভ করেছে। ক্লডিয়ার ভংগীটা অশ্লীল লাগলো ডেভিডের। ডেভিড আর দাড়ালােনা।………

পৃ-১৩৮-১৪০

……….ডেভিড চোখ রাখলো সেদিকে, হঠাৎ পর্দায় ক্লডিয়া ভেসে উঠলাে। স্নান করছে খুশীমনে। ওকে এভাবে দেখামাত্রই ডেভিডের কামনার আগুন আবার যেন উত্তপ্ত হয়ে উঠতে লাগলো। মিস ফিণ্ড একটু উচ্ছাসিত হয়েই এগিয়ে এলাে ডেভিডের পাশে। বললাে, স্যার বিজ্ঞাপনটা আমাদেরই। ডেভিড একবার দেখলাে ফিকে। তারপরেই ওর একটা হাত নেমে এলো ফিণ্ডের ঠিক উরুর ওপরে। ফিণ্ডের নরম দেহটা কেঁপে উঠলো একবার। ততক্ষণে ওকে আবেগে জড়িয়ে ধরেছে ডেভিড। ফিণ্ডের মুখটাকে টেনে নিজের ঠোঁটের কাছে নিয়ে এলাে ও। এরপরে চুম্বন। ততক্ষণে টিভির পর্দার থেকে ক্লডিয়া অদৃশ্য হয়ে গেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার ডেভিডের উত্তেজনাও যেন শেষ হয়ে গেল তখন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে, ফিণ্ড রীতিমতাে উত্তেজনায় কঁপছিল। ঘরের আলােটা নিভিয়ে দিয়ে শরীরের পােশাকটা খুলে ফেললাে ফিণ্ড। একেবারে নগ্ন অবস্থায় এসে বসলো ডেভিডের পাশে। কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলো, “ডার্লিং এই মূহুর্তটার জন্যে আমি অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে আছি।

সারা দেহটা তখন কেঁপে কেঁপে উঠছে ফিণ্ডের। আর যেন দেরী সই ছিলনা। কিন্তু ডেভিড এখন কি করবে? একজন দক্ষ সেক্রেটারীকে ও মােটেই হারাতে চায়না। ওর নরম অনুভূতিতে আঘাত করার। কিছুমাত্র ইচ্ছে ওর নেই। ফিণ্ড এবারে রীতিমতাে অধৈৰ্য হয়ে উঠেছে, মৃদু ঘরে বললো একবার, ‘ডার্লিং, আমাকে তুমি নাও। আমার একেবারেই ভয় করছে না।

ডেভিড কিছুক্ষণ চুপ করে রইলাে। দীর্ঘশ্বাস ফেললাে একবার। তারপরেই ওর একটা হাত চলে গেলো ফিণ্ডের নরম বুকে ? কিন্তু ফিণ্ডের স্তন মােটেই আনন্দকারক নয়। ডেভিড কেমন নিরাশ হলাে এবার। ব্যাপারটা বুঝতে পারলো ফিণ্ড, আকুতি ঝরানাে স্বরে বললাে, আমি জানি, আমার অসম্পূর্ণতার কথা, কিন্তু বিশ্বাস করো তুমি, আমার শরীরে এখন আগুন জ্বলছে।

ডেভিড মনে মনে ভাবলাে, হে ঈশ্বর, একি অবস্থায় ফেললে তুমি আমাকে। ফিণ্ডের অধৈৰ্য ক্রমশঃ সীমারেখা ছাড়াচ্ছিল। নিজে থেকেই ও ডেভিডের মাথাটা নিজের মুখের মধ্যে নামিয়ে আনলাে।

ডেভিড মনে মনে ভাবলো, এরাতটা সত্যিই খুব বিশ্রী। ফিণ্ডের জিভটা ততক্ষণে ডেভিডের মুখে। ভেভিড ক্রমশঃ আবার উত্তপ্ত হতে আরম্ভ করলো। কিছুক্ষণ পরে ডেভিডের শরীরে আর কোনাে পােশাক ছিলনা মুখটা ওর নামতে নামতে ফিরে শরীরের নীচের দিকে এগােচ্ছিল। ক্রমশঃ সময় নিজের নিয়মে বয়ে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পরে ডেভিড নিজেকে একেবারে নিঃশেষে করে নিশ্চূপ হয়ে গেল। ফিণ্ডের কামনার রেশ তখনও শেষ হয়নি। ডেভিডকে তখনও আঁকড়ে ধরেছিল ও। তারপর হঠাৎই সমস্ত শরীর জুড়ে তীব্র একটা কাপুনি আসার পরই একেবারে শান্ত হয়ে গেল ফিণ্ড। ……….

………ঠিক তখনই ওর চোখের সামনে ভেসে উঠলাে একটা মুখ। সে মুখ লিণ্ডার। ডেভিড মনে মনে আবার যেন উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। লিণ্ডার সুডৌল নরম দুটি স্তন আর উষ্ণ ঠোট-এর কথা মনে হতেই অস্থির হয়ে উঠলাে ও। বাড়ীর দিকে পা রাখলো ডেভিড।…….

পৃ-১৪৩-১৪৪ঃ

……ক্লডিয়া তাকালো ওর দিকে। এগিয়ে গেলেন তিনি ক্লডিয়ার দিকে। পাতলা পােশাক ভেদ করে ওর উদ্ধত যৌবন কনরাডের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছিল। ক্লডিয়াকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। তার একটা হাত ওর পাতলা পােশাকের ভেতরে নরম শরীরের উপর ঘুরে ফিরে বেড়াতে লাগলাে। ক্লডিয়া ফিসফিস করে বললো, আমরা ওপরে যাবাে না।” কনরাড উত্তেজিত কণ্ঠে বলে উঠলেন, ‘ক্লডিয়া, তােমার দেহের আবরণ আমার পছন্দ হচ্ছে না।

ক্লডিয়া সামান্য ইতস্তত করলো। কিন্তু না, ওকে কাজ পেতেই হবে। ধীরে ধীরে নিজের দেহ থেকে পােশাক খুলে ফেললো ক্লডিয়া। ওর নগ্ন শরীরের সৌন্দর্য্যে কনরাড লী-এর চোখদুটো বিস্ফারিত। তীব্রভাবে ক্লডিয়াকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। ওর দেহের বিভিন্ন স্থানে কামড়াতে লাগলেন। যন্ত্রনায় ক্লডিয়া চীৎকার করে উঠলো। একসময় ঠেলে ও কনরাড লীকে সরিয়ে দিলাে। মেঝেতে পড়ে কনরাড একবার ঘর কঁপিয়ে হেসে উঠলেন। ক্লডিয়া তখন নিজের পেটের কাছটা হাত দিয়ে ঘসছিল । ভীষণ জ্বালা করছিল জায়গাটা। তা সত্ত্বেও ক্লডিয়ার মুখে মৃদু হাসির আভাস। মনে মনে ভাবলল, কনরাডের সঙ্গে এরকম খেলাই খেলা যাক। ইতিমধ্যে কনরাড লী অসংযত পায়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেছেন। ক্লডিয়াও নগ্ন অবস্থায় অনুসরণ করলে ওকে। খানিকটা গিয়ে ওরা সিড়ি দিয়ে উঠতে আরম্ভ করলাে। অবশেষে পৌছালো শশাবার ঘরে। ঘরটা রীতিমতাে অন্ধকার। ক্লডিয়ার কোনাে কিছুই নজরে আসছিল না। কনরাড লী একবার বলে উঠলেন, ‘বিছানায় চলো ক্লডিয়া।।

অন্ধকারেই কোনােরকম বিছানার ওপরে উঠে এলাে ক্লডিয়া। কনরাড লী ততক্ষণে বিছানার পাশের সুইচে হাত দিয়ে আলােটা জ্বালিয়ে দিলেন। অন্ধকারকে মুছে দিয়ে সমস্ত ঘরটা আলােয় ভরে গেল। বিছানার মাথার দিকে একটা বড় গােছের আয়না। কনরাড লী ক্লডিয়াকে দেখলেন একবার। তারপর ওর পাশে গিয়ে শুলেন। তারপর পােশাক খুলতে আরম্ভ করলেন।

ক্লডিয়ার শরীরের সঙ্গে মিশে গেল কনরাডের শরীর। ক্লডিয়ার বারবার মনে হচ্ছিল লােকটা ভীষণ নিষ্ঠুর। ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল ওর। সব কিছুই ক্লডিয়া মেনে নিচ্ছিল একটাই কথা ভেবে তা হচ্ছে, ও ভবিষ্যতে বিখ্যাত তারকা হবে। কনরাড লী-এর নতুন আবিষ্কার হিসেবে চিহ্নিত হবে।

একসময় নিজের কামনার আগুন মিটিয়ে শান্ত হলেন কনরাড লী। নিস্তব্ধ হয়ে শুয়ে রইলেন দীর্ঘসময় ধরে। ক্লডিয়াও নিঃশেষ। একভাবে শুয়েছিল। খানিকক্ষণ পরে উঠে বসলেন কনরাড লী। বললেন ক্লডিয়াকে, তুমি কিন্তু উঠো না। যেভাবে শুয়ে আছে, ওভাবেই থাকো।

কথাটা বলেই সুইচটা টিপে আলােটা জালালেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সামনের আয়নাটা যেন দুভাগে ভাগ হয়ে গেল। ঠিক মাঝখানে একটা সিলিং। তার মাঝখানটায় কয়েকটা মুখ। আতঙ্কে ধড়মড়িয়ে উঠে বসলাে ক্লডিয়া।

কনরাড লী মৃদু হেসে বললেন, ‘ভয় নেই ক্লডিয়া, ওরা আমার বন্ধু। তারপর ওদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন, এবার কে আসবে চলে এসাে।

পরিষ্কার দেখা গেল একটা মহিলার বীভৎস মুখ। অনেকটা যেন অশরীরীর মতাে। বললাে চীৎকার করে, আমার ব্যাপারটা। এর সঙ্গে এবার আমার পালা। এসব জানে ও ? 

হঠাৎ এক পুরুষের কণ্ঠস্বর ভেসে এলাে, ‘না না, এরপরে আমি। আমাকে সবকিছু করতে দাও।

—“হায় ঈশ্বর ! ক্লডিয়া আতঙ্কে লাফ দিয়ে উঠে পড়লাে বিছানা থেকে।

কনরাড লী ভুরু কুচকে জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার, তুমি ছবিতে কাজ করতে চাও না ? নির্বাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাে ক্লডিয়া। ওর মনে হচ্ছিল এখন এখান থেকে চলে যাওয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু এখন থেকে এখন যদি ও চলে যায়, ভাহলে সােনালী পর্দায় ওর মুখ আর কোনদিন দেখা যাবে না। কনরাডকে বললো, “ঠিক আছে, যা করবার আপনি করুন••• | মৃদু হাসলেন কনরাড লী। তারপর তাকালেন সামনের দিকে।……….

পৃ-১৫৩ঃ

……….এদিকে লরি দেহ থেকে মিল্ক কোটটা খুলে ফেলেছে। শরীর জুড়ে তখন কালাে লেস দেওয়া একটা সংক্ষিপ্ত পােশাক। স্তনদ্বয় উন্মুখ প্রায়। কোনাে ব্রাসিয়ার ছিল না। ডেভিড লক্ষ্য করলো লরির স্তনযুগল ছােট্ট কিন্তু একেবারে নিখুত গড়নের, লরি বলে উঠলো, জে-কে আমি সরিয়ে দিয়েছি আমার জীবন থেকে। জঘণ্য চরিত্রের।……….. 

…..টেবিলের তলা দিয়ে ডেভিডের হাতটা ক্রমশঃ লরির উরু বেয়ে ওপর দিকে উঠছিল ক্রমশঃ আরো ।……

পৃ-১৬০-১৬৩ঃ

…….ক্লডিয়া হাতে গ্লাস নিয়ে সারাটা ঘর জুড়ে নাচছিল। ম্লান আলাে ঘরের মধ্যে। একটা একটা করে পােশাক খুলতে লাগলাে ক্লডিয়া। জেরেমি আড়ষ্ট। চুপচাপ বসে আছে। ওকে ভ্রুক্ষেপই করলােনা ক্লডিয়া। নাচতে নাচতে একেবারে নগ্ন হয়ে গেল ও। নিজেই নিজের স্তনদুটো চেপে ধরলাে। তারপরেই হঠাৎ এগিয়ে এলাে জেরেমির দিকে। জেরেমিকে উঠিয়ে ওর পােশাকগুলােও খুলতে আরম্ভ করলে ক্লডিয়া। মৃদু আপত্তি জানালাে। ক্লডিয়া চীৎকার করে উঠলাে, “তুমি কি এতােই বােকা জেরেমি ?

জেরেমি উঠে দাড়ালো ঠিকভাবে। এগিয়ে গেল দরজার দিকে। তারপর দ্রুত সিড়ি বেয়ে নীচে নামতে শুরু করলাে। ওকে মনে হচ্ছিল একটা ভয় পাওয়া ইদুরের মতাে। ক্লডিয়াও ওর পেছন পেছন খানিকটা নেমে এলো। কিন্তু ধরতে পারলােনা। এই প্রথম একজন পুরুষ ক্লডিয়াকে প্রত্যাখান করলো। | ঘরের মধ্যে ফিরে এলো ক্লডিয়া। তারপর নগ্ন অবস্থাতেই খিল খিল করে হাসতে লাগলো একভাবে। চোখদুটো জলে ভরে উঠলো ওর। মনে মনে ভাবলো, এই জীবন নিয়ে ও কি করবে? কোথায় যাবে ?

ওতত বেশী কিছু হতে চায়নি। ওর আশা ছিল একজন সফল চিত্রতারকা হবার। এটাতো খুব বেশী একটা চাওয়ার পর্যায়ে পড়েনা। গাল বেয়ে অশ্রুর ধারা নেমে এলাে ওর। দৌড়ে গিয়ে রেকর্ড প্লেয়ারের আওয়াজটা আরো বাড়িয়ে দিলো ও। সজোরে বেজে চলতে লাগলাে বাজনা। উত্তেজিত হয়ে উঠলো ক্লডিয়া। দু’হাত দিয়ে নিজেই নিজের দেহটাকে দলে পিষে ফেলতে লাগলো। বেশ খানিকক্ষণ এরকম অশান্ত আচরণ করার পরে ক্লান্তি নেমে এলাে ওর সারা শরীরে। মেঝেতেই শুয়ে পড়লে ক্লডিয়া। তারপর দু’চোখ জুড়ে নেমে এলাে ঘুম।………

……..এটাইতাে জীবন, উপভােগ করা ছাড়া এই জীবনে আর কিই বা করার আছে। বিলাস বহুল ঘর। হাতে মদের গ্লাস; পাশে সুন্দরী নারী। একটা পুরুষের এর চেয়ে আর বেশী কি প্রয়ােজন? 

লরি সামনে এগিয়ে এলো। খোলামেলা পােশাক। ডেভিড লরির হাতে একটা গ্লাস তুলে দিলো। সেটা নিয়ে একটা সােফায় গিয়ে বসে লরি চুমুক দিলে তাতে। দেহটা এলিয়ে দিলাে সােফাতে। স্কার্টটা সামান্য উঠে গেছে। দুধের মতো সাদা উরুদ্বয় প্রকট। ডেভিডের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলো লরি। কটাক্ষ করলাে একবার। তারপর হাত দুটো বাড়িয়ে দিয়ে বলে উঠলো, এসো ডার্লিং।

ডেভিড এগিয়ে গেল ওর দিকে। লরি একবার বলে উঠলো, ‘তুমিও আমার মতাে একটা ঢিলেঢালা পােশাক পরে নাওনা।

ডেভিড ঝুকে পড়ে লরিকে একটা চুমু খেলো। ওর ঠোঁটের লিপষ্টিক লেগে গেল ডেভিডের ঠোটে। কেমন একটা অদ্ভুত স্বাদ। তারপরই বাথরুমে গিয়ে সিল্কের একটা খােলামেলা পােশাক পরে এলাে ও, পােশাকটা লরির স্বামী মার্ভিনের।

পােশাকটা পরা অবস্থায় সামনের আয়নাটার কাছে গিয়ে দাড়ালাে ডেভিড। চল্লিশ হলেও চেহারা এখনও অটুট। লরি ওর জন্যে অপেক্ষা করছিল। | ডেভিড এগিয়ে গেল। দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো ওকে। পােশাকের ভিতর দিয়ে একটা হাত রাখলাে লরির স্তনে। লরির স্তন দুটো খুবই ছােট, কিছুটা শক্তও বুঝিবা। চেহারাটা সত্যিই উত্তেজক। লিণ্ডার মতাে নরম আর উষ্ণ নয়। ক্লডিয়ার মতাে অস্থির নয়। অনেকটা সাদা সাপের মত মসৃণ।

লরির পােশাকটা প্রায় খুলে দিলাে ও। পা দুটো ওর অস্বাভাবিক লম্বা গােছের। উরুসন্ধিস্থলে যৌবনের আভাস।

ডেভিড তেমন একটা উত্তেজনা বােধ করছিল না। ওর হাত লরির পা বেয়ে ক্রমশঃ বিপজ্জনক সীমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো তীব্র উত্তেজনা লরির সারা দেহটা জুড়ে। লরির হাতটা তখন ডেভিডের নিম্নাঙ্গে। তখনও তেমন একটা উত্তেজিত হয়নি ডেভিড। বুঝতে পেরে লরি নিজেই আদর করতে আরম্ভ করতে আরম্ভ করলো ডেভিডকে। তারপর, বলে উঠলো একসময়, ‘ডার্লিং এবার আমাকে নাও তুমি। 

কিন্তু ডেভিডের প্রতিক্রিয়া একেবারেই হচ্ছিল না। যেন একটা দুঃস্বপ্নের মতাে। এরকম ব্যাপার ওর এর আগে কখনো ঘটেনি। মনে মনে ভয় পেয়ে গেল ডেভিড। ও উত্তেজনা বােধ করছে না কেন? লরির আহ্বানে সাড়া দিতে অক্ষম হচ্ছে কেন? নানাধরনের অশ্লীল ছবির কথা মনে করতে লাগলো ডেভিড। যৌনমিলনের ছবিটা মনে করার চেষ্টা করলো। ফিণ্ডের সঙ্গে যৌনমিলনের দৃশ্যটা মনে পড়ে গেল ডেভিডের।

বেশ খানিকক্ষণ পরে ডেভিড শরীরে উত্তেজনা বােধ করতে লাগলাে। পুরুষাঙ্গের উত্তেজিত ভাব চরম সীমায় এসে পৌঁছেছে। লরির সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় অবশেষে রত হলো ডেভিড। লরি তখন রীতিমতাে উত্তেজনার শিখরে। মুখ দিয়ে অস্ফুট শব্দ বেরােতে লাগলো ওর। কিন্তু মাঝপথেই ডেভিড আবার হাল ছেড়ে দিলো। রেগে গেল লরি। জ্বলন্ত চোখে বলে উঠলাে লরি, কি ব্যাপার থামলে কেন তুমি ? আমার তৃপ্তি হয়নি এখনো। এরকম হলে আমার স্বামীই বা কি দোষ করেছে।

ডেভিড ততক্ষণে ওকে ছেড়ে উঠে পড়েছে। বিষন্ন স্বরে বললো, “আমি দুঃখিত লরি। লরি বলে উঠলাে চিৎকার করে, তােমার লজ্জা করছে না।

লরির উন্মুক্ত স্তন যেন ডেভিডকে অভিশাপ দেবে এখনই। চিবিয়ে চিবিয়ে ব্যঙ্গের স্বরে ও বলে উঠলো ডেভিডকে, তুমি এখনই বেরিয়ে যাও এখান থেকে। আমি একজন সত্যিকারের পুরুষকে খুঁজে নেবো।

অপমানিত ডেভিড মুখ নীচু করে বাথরুমে চলে গেল। পােশাক পড়ে নিলো। ঘরে আসতেই দেখলাে লরি কাকে যেন ফোন করছে। ডেভিড চুপচাপ ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। হােটেল ছেড়ে একেবারে রাস্তার ওপরে।……..

…..হঠাৎ ও সারা শরীরে একটা উত্তেজনা বােধ করলো আবার। এই রাতেই আবার ও চেষ্টা করবে। তবে লরির সঙ্গে নয়। মিস ফিণ্ডের কথা মনে পড়লো। ঠিক আছে ওকে দিয়েই পরীক্ষাটা করবে ও। ফিণ্ডের ফ্ল্যাটটা অস্পষ্টভাবে মনে পড়লাে ওর। বাড়ীতে ও এখন নিশ্চয়ই আছে। সামান্য মদ খেয়ে ও মিস ফিণ্ডের বাড়ীর দিকে রওনা দিলাে।

বাড়ীটা মােটামুটি মনেই ছিল। দরজায় গিয়ে টোকা দিলাে। স্বয়ং ফিণ্ডই দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিল। অসময়ে ডেভিডকে দেখে খানিকটা অবাক হলো ও।

ডেভিড একরকম হন্তদন্ত হয়েই বাড়ীর মধ্যে ঢুকে পড়লো। ঘরের মধ্যে ওর সঙ্গে ফিণ্ড ঢুকলাে। ডেভিডকে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলো ও। মৃদু হাসলো ডেভিড। ধীরে ধীরে নিজের পােশাকগুলো খুলে একেবারে নগ্ন হয়ে গেল ও। ফিকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খেলাে। তারপরে বললাে ওকে, ‘ফিণ্ড, তােমার শরীরের পােশাকগুলাে খুলে ফেল। আমি আর থাকতে পারছি না। ফিণ্ড মৃদু হাসলাে। তারপর পােশাকগুলাে খুলে ফেলে মেঝের ওপরেই শুয়ে পড়লাে। ডেভিড ঝাপিয়ে পড়লল ওর ওপরে। আশ্চর্যের ব্যাপার এবার আর কোনােরকম গােলমাল হােল না। কোনাে দোষ ছিল না ওর।………..

পৃ-১৭০-১৭৩ঃ

………তখন পকেট থেকে একটা ম্যাগাজিন ও ক্লডিয়ার হাতে তুলে দিলাে। একটা ইংরাজী দামী ম্যাগাজিন সেটা। প্রথম পাতাটা খুলতেই পাতা জোড়া একটা রঙীন ছবি ওর চোখে পড়লাে। ছবিটা ক্লডিয়ারই। সাদা দুধের মতাে পরিষ্কার বিছানায় ক্লডিয়া শুয়ে আছে। কালাে রঙের ঢিলেঢালা পােশাক ওর দেহে। স্তনদ্বয়ের সামনের দিক অনেকটা উন্মুক্ত। দু’চোখে একটা মদিরতার আবেশ, ঠোঁটদুটো কিছুটা ফাঁক। এরপরের পাতাতেও ওর ছবি। তার পরের পাতাতেও। প্রত্যেকটাই বিভিন্ন ভংগীমার ছবি। সবশেষে ওর সম্পর্কে লেখা হয়েছে, সৌন্দর্ষময়ী মডেল এবং অভিনেত্রী ক্লডিয়া পার্কার তার বিভিন্ন অপরূপ ভংগীমায় তােলা ছবি আমাদের উপহার দিয়েছেন।……..

……..এমনিতে ডেভিডের সামনে মিস ফিণ্ড সব সময়েই কেমন যেন কুকঁড়ে থাকে। একটা জড়ােসড়ো ভাব। ডেভিড খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পরেই ফিণ্ডকে পােশাক খুলে ফেলতে বলে। অনেকটা নির্দেশের সুরে। ডেভিড ভাল করে বােঝেনা যে, এতে ও বিরক্ত হচ্ছে কিনা, সম্ভবতঃ বিরক্ত হয় ফিণ্ড। তবুও ও ডেভিডের কথামতো পােশাক খােলে, নগ্ন শীর্ণ দেহটার দিকে ডেভিড তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। দুই স্তনের গঠন একেবারেই বিশ্র। ডেভিডের স্পর্শেও সে স্তনের যেন কোনরকম সাড়া মেলেনা। উন্মুখ হয়ে ওঠেনা আরাে গভীরতর হেঁয়ার আশায়। সবটাই যেন কেমন।

ডেভিড এরপর ওর সঙ্গে সম্ভোগের খেলায় মত্ত হয়ে ওঠে। মিস ফিণ্ডের শীর্ণ হাতদুটো তখন ডেভিডের শরীরে তীব্র ভাবে চেপে বসে। একেবারে শেষপর্যন্ত ও আকঁড়ে ধরে থাকে ওকে যতক্ষণ না চরমশীর্ষে গিয়ে পৌঁছােয়। তীব্রতম সুখের শেষে ডেভিডের দেহ থেকে ওর আকঁড়ানাে হাত দুটো খসে যায় অবশেষে । তারপর ডেভিড আর মিস ফিণ্ড দুজনেই এক আপন আপন স্বপ্নের জগতে বিচরণ করতে থাকে।

পরের দিন ডেভিড আবার অফিসে আসে। অফিসে কিন্তু এসব ব্যাপার নিয়ে দুজনের কেউই কথা বলেন। ডেভিড কাজে ব্যস্ত থাকে। মিস ফিণ্ডও তার কাজ করে যায়। ক্রমশঃ এটা একটা অভ্যেসে দাড়িয়ে যাচ্ছিল ডেভিডের । ব্যাপারটা এবারে ভাঙতে চাইলাে ডেভিড। | ‘গিনি’ নামের একটা মেয়ে বিজ্ঞাপনে কাজ করছিল। মেয়েটার, শরীরের গঠন বেশ উগ্র, পােশাকও তাই। ……..গিনি তখন ডেভিডের রসিকতায় বার বার প্রচণ্ড শব্দ করে হেসে উঠছিল। সেই হাসির ধমকে ওর সমস্ত শরীরটাও যেন কামনায় কেঁপে উঠছিল বারবার। ওর সুডৌল দুই স্তনের ওপরের দিকটায় অনেকবারই চোখদুটো আটকে যাচ্ছিল ডেভিডের। হঠাৎ ডেভিডের চোখে পড়লাে গিনির স্তনের বাদামী বৃন্ত, পাগল হয়ে উঠলাে ডেভিড। এবারে ওকে হােটেলে নিয়ে যেতে হবে, আর দেরী করলোনা ডেভিড।

গিনিকে নিয়ে সােজা একটা হােটেলে এসে উঠলাে ডেড। ঘরে ঢুকেই ও গিনিকে ধীরে একটা চুমু খেলো। তীব্র কামনায় ডেভিডের দেহটা তখন থরথর করে কাঁপছিল। ডেভিড পােশাক খুলতে বললাে গিনিকে। গিনি প্রথমটায় মৃদু আপত্তি জানালো একবার। কিন্তু ডেভিডের জেদে সে আপত্তি ভেসে গেল ওর। ধীরে ধীরে পােশাক খুলতে আরম্ভ করলো গিনি। পরনে তখন শুধু গােলাপী রংয়ের প্যান্টি । গিণির স্তনদুটো অস্বাভাবিক রকমের বড়ো। ডেভিডের একবার মনে হলাে গিনির ওদুটো সত্যিই স্তন কিনা। একতাল মাংসপিণ্ড ছাড়া কিছুই মনে হলােনা ওর। ঠিক এই মুহূর্তে গিনিকে ওর খুব বিশ্রী লাগছিল।

শেষপর্যন্ত অনেক আশা নিয়েও ডেভিডের পক্ষে ওকে উপভোেগ করা কোনােমতেই সম্ভব হয়ে উঠলেো না। কামনার অপূর্ণতায় ছটফট করতে লাগলাে ডেভিড।

এর কদিন পরেই ডেভিড আবার মিস ফিণ্ডের ফ্ল্যাটে গেল। মিস ফিণ্ড প্রথমে খানিকটা অবাক হলেও তারপরেই আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল। ডেভিডের আর দেরী সইছিলনা। এইভাবে মিস ফিণ্ডকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে আরম্ভ করলাে। তারপর ওর পােশাক নিজেই খুলে দিল। ফিণ্ড কোনরকম আপত্তি করলাে না।

সম্ভোগের শেষে নির্লিপ্ত শরীরে ডেভিড বিছানায় শুয়েছিল। ততক্ষণে মিস ফিণ্ড আবার পােশক পড়ে নিয়েছে। জিজ্ঞেস করলাে ডেভিডকে ও, ‘কি খাবেন ? চা না কফি মিঃ কুপার ?………

পৃ-১৭৬ঃ

……..জে আর লিণ্ডা এবার প্রবেশ করলে শোবার ঘরে। এই প্রথম জে নিজের হাতে লিণ্ডার পােশাক খুললল। নিজের কাছে টেনে এনে আদর করতে লাগলাে ওকে। চুমু খেতে লাগলো পাগলের মতো। কিন্তু তাতে একেবারেই তাড়াহুড়ো ছিল না। ধীরে ধীরে লিণ্ডা পৌছালাে উত্তেজনার চরম শীর্ষে। এ অভিজ্ঞতা আগে ওর হয়নি। জে’কে পরিপূর্ণ করে অাঁকড়ে ধরলাে ও।

খানিকক্ষণ বাদে ওরা দুজনে পাশাপাশি শুয়েছিল। দুজনের মধ্যেই একটা শান্ত নির্লিপ্তি! জে বললো, এই প্রথম, আমি বিয়ের পরে কোনো নারীকে সম্পূর্ণ করে পেলাম। লরিকে তাে আমি সাক্ষাৎ হবার পরের দিনেই ভােগ করেছিলাম।

লিণ্ডা ওর কাছে এগিয়ে এসে একটা চুমু খেলল ওকে। তারপর বললাে, আমার ব্যাপারেও একবার চেষ্টা করে দেখলে পরতে ?

-“হয়ত তুমি তা প্রত্যাখ্যান করতে। জে জবাব দিলাে। লিণ্ড সঙ্গে সঙ্গে মৃদু হেসে বললো, প্রত্যাখ্যান নাও করতে পারতাম।

জে তৎক্ষণাৎ বলে উঠলাে, ‘আমিও একমত। তুমি করতে না। কিন্তু এও জানি তুমি বিরক্ত হতে। তখন তােমার চোখে আমি ছােট হয়ে যেতাম। কারণ অন্য মহিলাদের চেয়ে তুমি কিছুটা আলাদা। লিণ্ড এখন পরম পরিতৃপ্ত। ফিসফিসিয়ে একবার বলে উঠলাে ও, আমি তােমাকে খুব ভালবাসি।……..

পৃ-১৮১ঃ

……. সামনের পাতায় ক্লডিয়ার বিরাট একটা ছবি। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ডেভিড সিগারেট ধরালো একটা। ক্লডিনার শরীরে রীতিমতো একটা যৌন আবেদন আছে। লাস্যময়ীভংগী। পােশাকের ভেতর দিয়ে স্তনদ্বয় প্রকট। সমুদ্রের ঢেউ এর মতাে চুল। মুখে হাসি। ছবির তলায় লেখা আছে, সুন্দরী অভিনেত্রী এবং মডেল ক্লডিয়া পার্কার আজ নিউইয়র্ক অভিমুখে যাত্রা করেছেন।…..

Please follow and like us:

Leave a Reply