পৃ-৪ঃ
…….সেই সময় কমল গিয়ে দাঁড়িয়েছিল হাতে গ্লাসে ডাবের জল। বয়সের চেয়েও বাড়ন্ত গড়ন। শাড়িতে যৌবন ঢাকা দুস্কর। চেহারা দেখে কে বলবে, অর্ধভূক্ত, দারিদ্র-নির্ভর মেয়ে। সেই প্রথম কাম-কলুষিত দৃষ্টির স্বরূপ দেখল কমল। জামাই দৃষ্টি দিয়ে লেহন করতে লাগল। কোন রকমে শাড়ি দিয়ে দেহ ঢেকে ডাবের জলটা রেখেই কমল ভিতরে ঢুকল। হৃদস্পন্দন দ্রুততর মনে হল যেন নগ্ন দেহ কেউ দেখে ফেলেছে।………
পৃ-১৩ঃ
……….রান্নাঘরের চৌকাঠের বাইরে বসে মাতু তেল মাখছিল। গা মাথার কাপড় খুলে। নির্লজ্জ মেয়েছেলে। এখানে অবশ্য বাইরের কোন পুরুষ মানুষ আসবার কথা নয়। কিন্তু লজ্জা কি কেবল পুরুষ মানুষকেই।
এও হতে পারে, নিজের নিটোল যৌবন মাতু কমলকে দেখাতে চায়। এক ঘরে যখন বাস। আজ নয় কাল, নিজের স্বামীর সঙ্গে মাতুর অবৈধ সম্পর্কের কথা কমল জানতেই পারবে। এই আকর্ষণের হেতুটাও জানুক। কমলের বয়স কম। তার যৌবন এখনও ততটা পুরন্ত নয়, কিন্তু মাতুর শরীরের খাঁজে খাজে পুরুষদের বিবশ করার মন্ত্রগুপ্তি।……….
…….রাত্রে কমল পরিত্রাণ পেল না। বিশু তাকে নিষ্পেষিত করে শরীরের স্বাদ নিয়ে তবে ছাড়ল।………
পৃ-২২ঃ
……..একটু পরেই দরজায় টুকটুক শব্দ। যাক কমল যেন বাঁচল। দ্রুত পায়ে গিয়ে দরজা খুলে লজ্জায় পড়ল। চৌকাঠের ওপরে অপরিচিত এক ভদ্রলােক। | শেখর নেই? কমলের অবস্থা কাহিল। গায়ের ব্লাউজটাও সে খুলে রেখেছে। ভিজে শাড়ি গায়ের সঙ্গে লেপটে রয়েছে। কমল তাড়াতাড়ি পিছন ফিরে দাঁড়াল।…..