অবিস্মরণীয় নারী – খুশবন্ত সিং

›› অনুবাদ  ›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

………..

ভারতীয় সমাজে যৌনজীবন

…..ট্রেন আলোকিত প্লাটফর্ম অতিক্রম করার সাথে সাথে নববধূ তার মুখের ঘােমটা সরালাে। তার বয়স চব্বিশ পঁচিশ বছর, ফর্সা ত্বক, গােলগাল মুখ । চোখে মােটা চশমা । আমি তার দেহের গঠন দেখতে না পারলেও অনুমান করলাম যে, মেদের বিরুদ্ধে মেয়েটি ব্যর্থ সংগ্রামে লিপ্ত। তার স্বামী তার চাইতে দেখতে কয়েক বছরের বড়।……..

……..দম্পতিটি মধ্যবর্তী বার্থটি ছেড়ে নিজেদেরকে চার ফুট প্রশস্ত একটি বার্থে গা এলিয়ে আরাম বােধ করার সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করলাে না। ছােট কম্পার্টমেন্টের অন্যান্য যাত্রীদের উপস্থিতি তারা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে একে অপরকে জানতে পুরােপুরি মগ্ন হয়ে গেল। তারা এতােটাই অধৈর্য হয়ে পড়েছিল যে, আরো সুবিধাজনক বা স্বচ্ছন্দ বােধ করার মতাে কাপড় বদলে নেয়ার সময় ব্যয় করতেও রাজী ছিল না। নিজেদেরকে লেপ দিয়ে ঢেকে ফেলে তারা তাদের পৃথিবীতে হারিয়ে গেল।

শাড়ি মেয়েদের এমন একটি পােশাক যা একদিকে অলংকারিক, অন্যদিকে অত্যন্ত কার্যোপযােগী । উপযুক্তভাবে শরীরে পেঁচিয়ে নিলে এটি নারীর বিশেষ সুডােল অংশগুলাে থেকে নিতম্বকে প্রকট করে তুলতে পারে। সুন্দরভাবে তৈরি একটি ব্লাউজ শাড়ির সাথে পরলে স্তনকে উপরের দিকে স্ফীত করে এবং নাভির নিচ পর্যন্ত পেটকে বিকশিত করে। এমন আর কোন পােশাক নেই, যা একই সাথে মেয়েদের শরীরের দুর্বল অংশ পরিবৃত রাখার পাশাপাশি সেই অংশগুলােকেও স্পষ্ট করে তােলে যা প্রকাশ করার দাবি রাখে। একজন মােটা মহিলাকে অন্য পােশাকের চাইতে শাড়িতে কম মােটা দেখায় এবং একজন ক্ষীণ মহিলাকে শাড়িতে পরিপূর্ণ মনে হয়। একই সাথে শাড়ি অত্যন্ত কার্যোপযােগী। একজন মহিলার প্রস্রাব বা পায়খানা করতে হলে শুধু কোমর পর্যন্ত শাড়ি উচিয়ে নিয়েই হলাে। ঝটপট যৌনমিলন করতে চাইলে তার যা করা প্রয়ােজন তা হচ্ছে, শাড়ি সামান্য তুলে তার উরু প্রসারিত করা। দৃশ্যতঃ মিসেস সাকসেনা তাই করেছেন। আমার কানে তার চাপা কষ্ঠ হায় রাম’ শব্দ ভেসে এলো এবং উপলব্ধি করলাম যে, তাদের বিয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করলাে।

সাকসেনা দম্পতি নিজেদের ধৌত করার জন্যে বাথরুমে গেল না, বরং পুনরায় তারা সক্রিয় হলাে। এবার তারা কম অধৈর্য এবং মনে হচ্ছিল তাদের এবারের প্রচেষ্টা আরাে প্রবল। একাধিকবার তাদের উপর থেকে লেপ নিচে পড়ে গেল এবং প্রফেসরের উত্থানপতনরত নিতম্ব এবং কাপড়ের নিচ থেকে তার বধুর বের করে আনা স্তন আমার চোখে ধরা পড়লাে। দ্রুত ধাবমান ট্রেনের একটানা শব্দ ছাড়িয়ে মেয়েটির পরিতৃপ্তি লাভের চাপা ধ্বনি এবং প্রফেসরের আনন্দের ঘোত ঘোতত শব্দ শুচ্ছি। আমাদের কম্পার্টমেন্টে শান্তি নেমে আসার আগে তার তৃতীয় দফা মিলিত হলো। তখন মধ্যরাত পেরিয়ে পেছে। …….

………আমি সুইচ অন করলাম এবং কম্পার্টমেন্ট আলাের বন্যায় উদ্ভাসিত হলাে। স্মরণীয় একটি দৃশ্য ! প্রফেসর সাকসেনা গভীর ঘুমে নিমগ্ন, আর নিতম্ব সম্পূর্ণ উন্মুক্ত; মিসেস সাকসেনাও গভীর ঘুমে, মুখটা পুরােপুরি খোলা, স্তনের উপর কোন বস্তু নেই; তিনি শুয়ে আছেন অসাড়ে যেন একটি বাের্ডে প্রজাপতিকে পিন দিয়ে গেঁথে রাখা হয়েছে। তার চুল বালিশের উপর ছড়ানাে। ……… আমরা তাদের বিছানা, সুটকেস বের করে দিলাম। প্রফেসর তার কাপড় ঠিক করতে করতে ঠান্ডা প্ল্যাটফর্মে নেমে গেলেন। শাড়ির আঁচল দিয়ে খােলা স্তন ঢাকতে ঢাকতে তার স্ত্রী তাকে অনুসরণ করলাে।………

…….সাকসেনা দম্পতি অধিকাংশ ভারতীয় দম্পতির চাইতে ভাগ্যবান। কারণ তারা তাদের পরিবার থেকে দূরে থাকেন এবং নিজেরা নিজেদের মােটামুটি গােপনীয়তার ব্যাপারে আশ্বস্তু। নববিবাহিত অধিকাংশ ভারতীয় দম্পতির কাছে গােপনীয়তার ধারণা সঙ্গোপনে মিলিত হবার মতােই দুর্লভ। তারা খুব কম ক্ষেত্রেই নিজেদের জন্য পৃথক একটা কক্ষ পায়। নববধু স্বামীর পরিবারের মহিলাদের সাথে ঘুমায়। স্বামী তার পিতা বা ভাইদের পাশাপাশি স্থাপন করা খাটিয়ায় শােয়। কখনাে কখনাে শাশুড়ি, যিনি একটি নাতি লাভের জন্য আগ্রহী, তিনি পুত্র ও তার স্ত্রীর মধ্যে গোপন পরামর্শ করেন। সবচেয়ে সাধারণ কৌশল হচ্ছে নববধুকে দিয়ে পুত্রের কাছে এক গ্লাস দুধ প্রেরন বিশেষ করে বাড়ির অন্য পুরুষ সদসারা যখন বাইরে থাকে। পুত্র সুযােগটা পুরোপুরিই গ্রহন করে এবং দ্রুততার সাথে মিলিত হয়। দম্পতির পক্ষে খুব কম সময়ই তাদের মিলন দীর্ঘতর করা বা পরিতৃপ্ত সঙ্গমের সুযোগ ঘটে। অধিকাংশ ভারতীয় পুরুষ এবিষয়ে অজ্ঞ যে, মিলনে মেয়েদেৱ চরম অবস্থা আসে এবং অধিকাংশ ভারতীয় নারী এ অজ্ঞতাকে আমলে নেয় না। ……যৌনমিলন যে উপভােগ হতে পারে তার কোন ধারনাই থাকে না তাদের। যে দেশটিতে যৌনতার শিল্প সম্পর্কিত বহুল পঠিত গ্রন্থ কামসূত্রের সৃষ্টি সে দেশের মানুষের এহেন যৌনজীবন খুব দুঃখজনক। তদুপরি যৌনকর্মকে ভারতে আধাত্মিক মহর্ত্তের পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে মন্দির গাত্রে যৌনমিলনরত যুগলের ভাস্কর্যকে প্রাধান্য দিয়ে।……..

ফুলন দেবী

……….ঠাকুরদের ছেলেরা মাল্লা মেয়েদের উত্যক্ত করে এবং তাদের পুরুষদের মারধর করে। আমি শুনেছে যে, মাল্লা মেয়েদের সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে নাচতে বাধ্য করার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। মাল্লারা ফুল দেবীর কাছে নালিশ করেছে ঠাকুরদের উপযুক্ত শিক্ষা দেয়ার জন্যে। ……..

……“এই মেয়েটি যাদেরকে হত্যা করেছে তাদের প্রত্যেকের জন্যে সে অন্ততঃ দু’টি লােকের সাথে শয্যায় গেছে, অপারেশন ফুলন দেবী’র দায়িত্বে নিয়ােজিত সাবইন্সপেক্টর বললেন।……..সবগুলাে হত্যাকান্ড অথবা সঙ্গম পুরােপুরি তার ইচ্ছায় হয়নি। অনেকু ক্ষেত্রে সে গুলি করতে পারলেই সন্তুষ্ট এমন ডাকাতদের সাথে কাটিয়েছে এবং একশ বা আরাে কিছু বেশিসংখ্যক সদস্যের একটি দলে ফুলন একমাত্র মহিলা ছিল বলে সে তাদের সকলের অভিন্ন সম্পত্তি বলে বিবেচিত হয়েছে। তার দেহ ভােগ করার বিষয়কে সে ক্রীড়ার রিতি হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং পালাক্রমে দলের সদস্যদেরকে সে দেহদান করতো। এটাকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনার চাইতে বরং তার অতৃপ্ত যৌনাকাংখার পরিণতি বলা যেতে পারে। ……..তার জবানবন্দির শুরুতে পুলিশ অফিসার ভূমিকায় উল্লেখ করেছে ফুলন দেবী সম্পর্কে বয়স প্রায় বিশ বছর, গায়ের রং খানিকটা ফর্সা, গােলগাল মুখ, খাটো এবং গাট্টাগােট্টা গঠন।” ………পয়তাল্লিশ বছর বয়স্ক এক বিপত্মীক লােকের সাখে আমাকে বিয়ে দেয়া হয়। এরপর সে কানপুরের কৈলাশের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলেছে। ফুলনের জীবনের অবশিষ্ট কাহিনী বর্ণনা করেছে তার মা মুলি। “বিয়ের ধকল সহ্য করার মতাে বয়স ফুলন দেবীর হয়নি। ফলে বিয়ের কয়েকদিন পরই সে আমাদের কাছে ফিরে আসে। এক বছর পর, দু’বছর পরও হতে পারে; অমিরা আবার তাকে স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেই। এবার স্বামীর সাথে কয়েক মাস কাটালেও সে অসুখী ছিল। স্বামীর অনুমতি ছাড়াই সে চলে আসে এবং স্বামীর কাছে পুনরায় ফিরে না যাওয়ার ব্যাপারে সংকল্প ব্যক্ত করে। সে যে দৈহিকভাবে মিলিত হয়েছে এবং তার সতীচ্ছদ ছিন্ন হয়েছে তা স্পষ্ট বুঝতে পারে তার মা। তার মা বর্ণনা করে যে, সে পরিপূর্ণ হয়েছে- কোন মেয়ে যৌন সম্ভোগের শিকার হলে তার স্তন এবং নিতম্ব দেখেই বুঝা যায় বলে এ ব্যাপারে ভারতীয় গ্রামীণ মহিলাদের বিশ্বাস। তার ব্যাপারে আরাে বক্তব্য যে, ফুলনের মধ্যে এতাে যৌনক্ষুধার সৃষ্টি হয়, যে ক্ষুধা মেটানাে তার স্বামীর পক্ষে সম্ভব ছিল না। ……ফুলন দেবী পরিবারের মহিষগুলো মাঠে চড়াতে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে বাবা ‘কাছ খেকে যতােটা সম্ভব দূরে দূরে থাকতে চেষ্টা করতো । গ্রামের সর্দারের পুত্রের সাথে তার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল এভাবেই। (ভারতের প্রামে অবিবাহিত যুবক যুবতি ডাল ক্ষেত বা ইক্ষুখেতে যৌনমিলনে লিপ্ত হয়)।গ্রাম সর্দারের পুত্র একদিন বন্ধুদেরকেও আমন্ত্রণ জানায় ফুলনকে ভােগ করতে। তাদের ইচ্ছায় সাড়া না দিয়ে ফুলন দেবীর আর কোন উপায় ছিল না। গ্রামে গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেরী হয়নি যে, ফুলন যে কারাে সাথে এতে রাজী। ………

ফুলনের পক্ষে তিনগাতে আয়েকজন প্রেমিক খুঁজে পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি । সে তার দূরসম্পর্কের ভাই কৈলাশ। ……..একদিন যমুনার তীরে আমি কাপড় কাচছিলাম। মেয়েটি তার বােনের মহিষ চরাতে চরাতে নদীর লুতে নেমে আসে। আমরা কথা বলতে শুরু করি। সে আমার কাছে সাবান চেয়ে নেয় স্নান করার জন্যে। আমার সামনেই সে কাপড় ছেড়ে নগ্ন হয় । যখন সে শরীরে পানি ছিটাচ্ছিল এবং স্তন ও নিতম্বে সাবান মাখছিল তখনাে সে আমার সাথে কথা বলে চলছিল। এ অবস্থায় তাকে দেখে আমি উত্তেজিত হয়ে পড়ি। স্নান সেরে কাপড় পরার পর আমি তাকে অনুসরণ করে ডলি ক্ষেত্রে যাই। তাকে সেখানে মাটিতে ফেলে তার উপর উপগত হই। আমি খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম বলে অল্পক্ষণের মধ্যেই নিঃশেষ হয়ে যাই। আমি তাকে অনুনয় করি আবার আমার সাথে সাক্ষাত করার জন্যে। পরদিন সে একই সময়ে একই স্থানে আসবে বলে সম্মত হয়।

“আমরা অনেকবার মিলিত হয়েছি। কিন্তু কখনােই তা যথেষ্ট ছিল না । ……….

…….বিক্রম সিং এর প্রেমিকা হওয়া সত্ত্বেও ফুলন দেবীর বিশেষ কোন সুবিধা ছিল না। সে পছন্দ করুক আর নাই করুক, দলের অবশিষ্টদেরকেও তার দেহের স্বাদ গ্রহণ করতে দিতে হতো । ভুখন দল নেতা ছিল আবু গুজ্জার এবং সে নিষ্ঠুর প্রকৃতির যৌনলিপ্সু দলের সবার উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের নিজস্ব পদ্ধতি ছিল তার। প্রকাশ্য দিবালােকে এবং সকলের সামনেই সে যৌন সম্ভোগ পছন্দ করতাে। অতএব প্রকাশ্যে আবু গুজ্জারের দ্বারা ধর্ষিত ও নিগৃহীত হওয়ার জন্যে নিজেকে নিবেদন করা ছাড়া ফুলনের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মূল্যই ছিল না। ফুলনকে সঙ্গম করতে যখন বিক্রম সিং এর পালা আসলাে তখন ফুলন এই অমর্যাদাকর অবস্থা সম্পর্কে বিক্রমের কাছে অভিযােগ করতাে। ততােদিনে ফুলনের উপর অধিকার সম্পর্কে বিক্রমের মধ্যে প্রবল বােধ জাগ্রত হয়। কিন্তু তা স্বীকার করার মতো সাহস তার ছিল না। কিন্তু এক রাতে আবু গুজ্জার যখন ঘুমিয়ে ছিল বিক্রম সিং তখন তার মাথায় গুলি করে। সে দলের নেতা হিসেবে নিজেকে ঘােষণা করে এবং ফুলন দেবীর পীড়াপীড়িতে বিক্ৰম দলের অন্য সদস্যদের নিষেধ করে যাতে তারা ফুলনকে আর স্পর্শ না করে। এ নিয়ে দলে খুব একটা অসন্তোষ দেখা দেয়নি। কারণ দলটি শিগগির কুসুম নয়ন নামে আরেকজন মেয়েকে সগ্রহ করেছিল। কুসুম দেখতে ফুলনের চাইতে সুন্দরী এবং ঠাকুর জাতের। ……..

……….পুরুষদের সাথে বহু অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও ফুলন দেৰী-পুরুষ নাচানাের অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। সে জানতাে যে, তার সুপুষ্ট স্তন এবং গালাকৃতির নিতম্ব পুরুষের মনে কামনার আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তবু সে তার দলের লোকদের উপস্থিতিতেই স্নান করতো। পুলিশ হেফাজতে থাকা তার দলের এক পুরুষের… মতে, অন্য মেয়ে দুটিও ফুলনের মতােই কঠোয়। কিন্তু তারা পুরুষের সাথে দৈহিক মিলনের ক্ষেত্রে অথবা স্নানের সময় গাছ বা ঝোপের আড়ালে যেত। কিন্তু ফুলন আমাদের সামনে তার জামা-কাপড় এমনভাবে খুলতো যেন আমরা অস্তিত্বহীন। …………

কামনা প্রসাদ

…….পরদিন কুমকুম আমার অফিসে কামনাকে নিয়ে এল এবং ছাৰুে রােধে গেল, যাতে আমরা পরস্পর পরিচিত হতে পারি। ক্ল্যাসিক্যাল ইন্ডিয়ান গড়নের চাইতেও বেশি সুন্দরী সে। ঠিক অজন্তার প্রাচীরে খােদিত চিত্রের মতাে।

আমার চাইতে কয়েক ইঞ্চি উচু সে । দীর্ঘ, কামনাময় ঘনকালো চুল তার নিতম্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। সে খুব ফর্সা নয়, আবার কালোও নয়। হালকা কফি রং এর গায়ের রং তার। সুন্দর গলা, মাঝারি আকৃতির স্তন, সরু কোমর এবং পেট চেপ্টা ও নাভি সহজে চোখে পড়ার মতাে করে কাপড় পরে। নিতম্ব অস্বাভাবিক রকমের প্রশস্ত যেন বহুসংখ্যক সন্তানের স্থান দিতে পারবে।………

বােম্বের ভিখারিনী মেয়েটি

……..সারারাত ধরে বৃষ্টিপাত হলাে। ঘুম ভাঙ্গার পর আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম, রাঙ্গাভাই ক্লক টাওয়ার সংলগ্ন ময়দান পর্যন্ত চোখে পড়লাে। তখনো বৃষ্টি থামেনি। ময়দান পানিতে প্লাবিত। আমি ছায়ার মতাে একটি নারীর অবয়ব দেখলাম টিনের একটি টুকরা হাতে নিয়ে ময়দান অতিক্রম করছে। সে তার ধুতি উচু করে তুলে ধরেছে এবং নিতম্বের মাঝে পানির ঝাপটা দিচ্ছে। আমার ছােট বাইনোকুলার দিয়ে তার উপর দৃষ্টি স্থির করলাম। সে আশেপাশে তাকালাে, কেউ আছে কিনা দেখতে । সে যখন নিশ্চিত হলাে যে, কেউ তাকে লক্ষ্য করছে না, তখন সে তার ধুতি খুলে ফেললাে এবং বৃষ্টির মধ্যে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দাঁড়ালাে। এটি সেই ভিখারিণী মেয়ে। ময়লা পানি দু’হাতে তুলে শরীরে ঝাপটা দিচ্ছে, ন, কোমর, হাত ও পা ডলছে। মান সম্পন্ন হলাে। ভিজা ধুতি অাবার শরীরে পেঁচালাে এবং চার্চগেটের দিকে ফিরে চললাে।……..

মার্থা স্ট্যাক

……… ওর নাম ইয়াসমিন রাখলাে না? এ ধরণের একটি সুন্দর নামই ওর ক্ষেত্রে মার্থার চাইতে উপযুক্ত হতাে। ক্লাস চলাকালে ব্যানার্জির চোখ তার পড়শিনীর উপর ঘুরাফিরা করতাে – তার মােটা, শক্তিশালী কজিতে পরা ব্রেসলেটে সােনালী মুদ্রাগুলাের শব্দ উঠতাে তার লিখার সময়ে। তার ঘন বাদামী হাত, তার স্তনের উপর চোখ পড়তাে। স্তনযুগল তার অস্থিময় কাঠামাের তুলনার সুবিশাল এবং কাঁচা আমের মতো টানটান। সে বাইরে গেলে ব্যানার্জি তার আকর্ষণীয় ফিগার এবং নিতম্বের দোলনের দিকে তাকিয়ে থাকতেন।……….

……….ব্যানার্জি তার কপালের উপর মার্থার নিঃশ্বাস অনুভব করলাে এবং তার বন্ধুদের কাছে যেমন শুনেছিল, সে ধরনের নিগ্রো নিগ্রো গন্ধ নাকে লাগলো। ভালােই বােধ হলাে তার — উষ্ণ এবং যৌনতাপূর্ণ। শ্বেতাঙ্গ রমণীদের টক-দুধ গন্ধের চাইতে উত্তম।………..

…….মার্থা সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলাে। সাঁতারের পােশাকে তার দেহাবয়ব সুন্দরভাবে দৃশ্যমান। চাবুক দিয়ে যেন তৈরী তার দেহ। তার দেহে যেন গ্রীক দেবীদের আকর্ষণ এবং ক্ষমতা।……… মার্থা দু’টি গ্লাসে পানীয় ঢেলে একটি ব্যানার্জির হাতে দিল। গুলু, আমরা এখানে একা, সে তার গ্লাস তুলে ধরলাে এবং ব্যানৰ্জির ঠোটে চুমু দিল। ‘এখানে আমরা আমাদের মার্থা; ব্যানার্জি উত্তর দিলেন এবং মার্থাকে আবার চুম্বন দেবীর জন্যে নিজেকে সপে দিলেন।….. তার চোখ মার্থার স্তনের উপর নিবন্ধ হলো। ….. ব্যানার্জির চোখ মার্থার শরীরের উপর ঘুরাফিরা করছিল।

…….’আগে কখনো তুমি মেয়ে মানুষ দেখােনি।’

বানার্জি তার গলা পরিস্কার করলেন। এরকম তাে অবশ্যই দেখিনি।’

দুজনই নিরব। মার্থা তার গ্লাসের অবশিষ্ট পানীয় শেষ করলাে। তুমি যদি প্রতিশ্রুতি দাও যে, আমাকে স্পর্শ করবে না, তাহলে আমি তােমাকে দেখতে দেব । আমার ফিগার যথার্থই সুন্দর।

আমি শপথ করছি।’

মার্থা উঠে সুইচ অফ করে বাতি নিভিয়ে দিল। ব্যানার্জি তার কাপড় খােলার এবং ইলাষ্টিক টানার শব্দ শুনতে পেল। এখন তুমি সুইচ অন করতে পারো।

ব্যানার্জি চেয়ার থেকে উঠলেন। রাস্তার বাতির আলাে থেকে তার নগ্ন দেহ ছায়ার মতাে দেখা যাচ্ছে এবং তাতে ব্যানার্জির চোখ আঠার মতো লেগে রইলো। তার কম্পিত হাত দেয়ালে সুইচ খুঁজছে। সুইচ পেয়ে তিনি তা টিপলেন। কম আলাের বন্যায় উদ্ভাসিত হলাে। মার্থার সুবিশাল স্তন এবং ঘোর কালাে ও বড় আকৃতির বােটা দেখে তার সম্মাহিতের অবস্থা। বেশ কষ্ট করে তিনি তার দৃষ্টি নিচের দিকে নামালেন। আর কোকড়ানাে যৌনকেশ এবং চওড়া পেশিবহুল উরু থেকে তিনি দৃষ্টিকে রক্ষা করতে পারলেন না। | আমার কি তােমার পছন্দ হয়েছে? সে তার দুহাত মাথার উপর দিয়ে ব্যানার্জিকে আবদ্ধ করে ধীরে ধীরে ব্যালে নর্তকির মতাে পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর করে দাড়ালাে। এখন কেমন লাগছে?

ব্যানার্জির মুখে যে লালা জমেছিল তা গিলে ফেললেন। চমৎকার; বিড়বিড় করে তিনি বললেন। দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাড়ালেন তিনি। এসাে, আমাকে চুমু দাও । মার্থা তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। ব্যানার্জি অনিশ্চিতভাবে তার দিকে এগিয়ে মার্থাকে বাহু বন্ধনে আবদ্ধ করলো। সে তাকে শপথ করিয়েছিল যে, তিনি তাকে স্পর্শ করবেন না, আর এখন…। তিনি আবেগের সাথে তার স্কুল, প্রশস্ত উদর ও নাভিতে চুম্বন করতে লাগলেন। মার্থা তার চুল আঁকড়ে মুখটা তার দিকে ফিরালাে। ধৈর্য ধরাে’, সে নির্দেশ দিল। মার্থা তার পা দিয়ে ব্যানার্জির পা পেঁচিয়ে ক্ষুধার্থের মত তার মুখ নিজের মুখে নিয়ে নিল। ব্যানার্জির উত্তেজনা উথলে উঠলাে এৱং নিঃশেষ হওয়া থেকে নিজেকে ঠেকিয়ে রাখতে পারলেন না তিনি। মার্থার আলিঙ্গনের মাঝে তিনি নিশব্দ হয়ে পড়লেন। তার নিঃশ্বাস ও দেহের গন্ধ ব্যানার্জির কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে লাগলাে।……..

……বহু বছর পর্যন্ত রুমের মাঝে নগ্নভাবে মার্থার  দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য বানার্জির জন্যে যৌন উত্তেজক দাওয়াই হিসেবে কাজ করেছে। যদিও তিনি তাকে পরিতৃপ্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং প্রায়ই সে স্মৃতি তাকে বিবশ করে দেয়, তবুও স্ত্রীর চাহিদা মিটাতে মার্থার স্মৃতির সহযােগিতা কাজে লাগে এবং ব্যানার্জির অনিবার্য যৌন উত্তেজনার পুরস্কার সচরাচর মার্ধা স্ট্যাক, তার স্ত্রী মনােরমা ব্যানার্জি নয়। ……. কিন্তু এতােগুলাে বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর কালাে, বড়ােসড়াে স্ফীত স্তনের বােটা ও কোকড়ানাে যৌনকেশ শোভিত চকোলেট বর্ণের নগ্ন দেহের কল্পনাও এখন আর তাকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে না। তিনি স্মরণ করতে চেষ্টা করেন সর্বশেষ করে তিনি স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছেন- বছর না হলেও বেশ ক’মাস তো হবেই। যা ধকল গেছে কাজটা সম্পন্ন করতে।…….

বিন্দু

……….ঘুমে তার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। বান্তা সিং এর ছাদে মহিলারা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা বন্ধ করলাে। বিন্দু তার চারপায়ার পাশে দাঁড়ালাে এবং মাথা পিছনের দিকে কাত করে শীতল, নির্মল বাতাস টেনে তার ফুসফুস পূর্ণ করলো । দালিপ তার পায়চারি, মাথা নাড়ানাে লক্ষ্য করছিল । সে দেখতে পাচ্ছে, গ্রামের লােকজন ছাদের উপর এবং উঠানে ঘুমাচ্ছে। কেউ নড়াচড়া করছে না। বিন্দু আবার নিজের চারপায়ার পাশে দাড়ালাে। সে তার কামিজ তুলে দু’হাতে মুখের সামনে মেলে ধরলাে। তাতে তার কোমর থেকে গলা পর্যন্ত অনাবৃত হয়ে গেল। শীতল বাতাস তার চাপ্টা উদর এবং তারুণ্যে ভরপুর স্তনের উপর দিয়ে ছুঁয়ে গেল। চারপায়ার উপর শরীর এলিয়ে বালিশের মাঝে মুখ গুঁজে হারিয়ে গেল বিন্দু।……..

…….খালের পানিতে কারাে হাতের শব্দ দালিপ সিং এর চিন্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করলাে । ফিরে তাকিয়ে দেখতে পেল ঘালের অপর পাড়ে এক মহিলা পাছায় ভর করে বসে নিজেকে ধৌত করছে। এক হাতে পানির ঝাপটা দিচ্ছে দুই উরুর সংযােগ স্থলে । ক্ষেত থেকে এক খাবলা মাটি তুলে দু’হাতে মেখে সে হাত ধুয়ে নিল পানিতে। সে উঠে দাড়ালে ঢােলা সালােয়ার পড়ে গেল পায়ের গােড়ালিতে। কামিজের সামনের অংশ নিয়ে একটু ঝুঁকে মুখ মুছলো মহিলা।

মহিলাটি আর কেউ নয়, বিন্দু। দালিপ সিং এর মধ্যে পাগলের মতাে আকাংখার সৃষ্টি হলাে। লাফিয়ে খাল পার হয়ে বিন্দুকে লক্ষ্য করে ছুটলাে। কামিজের সামনের অংশ দিয়ে সে মুখ মুছছে। পিছন দিকে ঘুরে দেখার আগেই দালিপ সিং তার হাত বিন্দুর বগলের দিয়ে স্তনের উপর স্থাপন করে আবদ্ধ করে ফেলছে। সে মুখ ঘুরাতেই দালিপ উন্মুক্ত আবেগে মুখের উপর চুম্বন করতে লাগলাে এবং তার আর্ত চিৎকার বন্ধ করে নিজের মুখ তার মুখে আঠার মতাে লাগিয়ে রাখলো। তাকে নরম ঘাসের উপর ফেলে দিল সে। বুনাে বিড়ালের মতাে লড়তে লাগলাে বিন্দু। দুহাত দিয়ে দালিপের দাড়ি আঁকড়ে তার গালে জোরে নখের আঁচড় বসালাে। রক্ত বের না হওয়া পর্যন্ত নাক কামড়ে রাখলাে । কিন্তু খুব শিগগির ক্লান্ত হয়ে পড়লো সে। হাল ছেড়ে দিয়ে স্থির হলাে। তার বন্ধ চোখের দু’পাশ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে.…….

ধান্নো

………ফিনাইলে ভেজানাে ন্যাড়া দিয়ে যখন সে ফ্লোর মুছছিল হঠাৎ মােহনের দৃষ্টি পড়লো জমাদারনীয় সুডােল নিতম্বের উপর। সে দৃষ্টি নিতম্বের মাঝ বরাবর সরু বিভাজনও পরখ করলাে। তার সুপুষ্ট পশ্চাদদেশ থেকে মােহন চোখ ফেরাতে পারছিলেন না। এর আগে কখনাে তার দিকে তাকাবার ফুরসত হয়নি এবং তার নামও তিনি জানেন। সে সামান্য জমাদানী – সুইপারের স্ত্রী। …….জমাদারনী উঠে দাড়ালো। মােহনের দিকে তাকিয়ে কপালের উপর নেমে আসা চুলের গুচ্ছ হাত দিয়ে সরালে। মোহন লক্ষ্য করলেন, তার স্তনযুগল পরিপূর্ণভাবে স্ফীত এবং কোমর সরু। কালাে হলেও দেখতে সে কুশ্রী নয়। সে আবার পাছায় ভর দিয়ে বসলাে ফ্লোরের আরেক অংশ মুছতে। মােহন সংবাদপত্রের উপর চোখ ফিরালেন। তিনি ভারতে তার কলেজ জীবনের কথা স্মরণ করলেন। তার এক সহপাঠী বসেছিল, মেথরানীরা বিশ্বের সর্বোত্তম প্রেমিকা। শয্যায় তারা আদিম, উদ্দাম ও উত্তপ্ত । দৃশ্যতঃ একজন মেথরানীর সাথে যৌনকর্মের কথা ভাবা ছাড়া দৃষ্টিকে কাতর করে লাভ নেই। …….

….মনিব-ভৃত্যের এ ধরনের সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। স্বল্প আয়ের গৃহভৃত্যেরা বাড়তি আয়ের সুযােগ পেলে বর্তে যাবে এবং বিশ্বাস ভঙ্গ বা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে যদি কিছু অর্থাগম হয় তাহলে তাদের স্বামীদের খুব আপত্তি করার কথা নয়। পুরুষ সঙ্গীর কাছে এর অখন্ড, মনােযােগ বা মূল্যবান উপহার দাবি করবে না, কি পার্টিতে নিয়ে যাওয়ার বায়না করবে না। অতএব সবদিক থেকে ঝামেলা কম। বরং এদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সুবিধা আছে। অন্যান্য উদ্যোগ যদি ব্যর্থও হয়, তাহলে মােহন তার জমাদারনীকেই মনে মনে তার সম্ভাব্য যৌনসঙ্গী হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখলেন। সে সঙ্গ দিতে পারবে না সত্য; কিন্তু তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমসরি সমাধান তাে করতে পারবে অবলীলায়।…..ধান্নোকে যৌনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণের সাধনায় তার মন আচ্ছন্ন হয়ে উঠলাে। অফিসে, বাড়িতে ধান্নোর চেহাৱা, স্ফীত স্তন, গুরুনিতম্ব পুরো অবয়ব মােহন তার মনের পটে দেখছিলেন। …….

……সাহেবের মনের কথা ধান্নো ভালােভাবেই উপলব্ধি করলাে। সাহেবই দিনক্ষণ এবং তাদের সম্ভাব্য যৌনমিলনের স্থান ঠিক করুক। তাকে খুব দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হলাে না।…….

…….এই দুই ভৃত্য থাকতেই ধান্নো তার রুটিন মতাে কাজ সেরে চলে গেছে। নিজের বাড়িতে এসে সে দ্বিতীয় বার স্নান করলাে । ভালােভাবে সাবান লাগালে গায়ে । খুব করে ডললো। ভূতদের যার যার নির্দেশিত কাজে চলে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে সে সতর্কতার সাথে সাহেবের বাড়িতে ফিরে এলাে।

মােহন তার প্রতীক্ষায় ছিলেন। যখন সে দোতলায় এলো, তখন তিনি চেয়ার থেকে উঠে তার কাঁধে হাত দিয়ে অত্যন্ত মার্জিতভাবে তাকে বেডরুমে নিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তিনি পাগলের মতাে তার ঠোটে চুম্বন এবং স্তন মর্দন শুরু করলেন। ধান্নোও উৎসাহের সাথে তার সাহেবের তৎপরতায় সাড়া দিল । তার স্তন দুটোর উত্তম ব্যবহাৱেৱ জন্যে তিনি ধান্নোর কামিজের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ধান্নোর স্তন মােহনের স্ত্রীর স্তনের চাইতেও সুগঠিত । স্তনের বােটা দৃঢ়তর। সে কামিজ খুলে ফেললাে এক চোখ নামিয়ে পায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। মােহন ধান্নোর সালােয়ারের ফিতা খুলে ফেলায় সে পুরােপুরি নগ্ন হয়ে পড়ল। ধান্নো বিড়বিড় করে বললো, “এভাবে হবে না সাহেব। আপনাকে আমার মতো হতে হবে। সে মােহনের বেল্ট অলিগা করে তার ট্রাউজ্জার নিচে নামিয়ে দিয়ে বিস্মিত হয়ে বললাে, আমি কখনাে এতো বড় কিছু দেখিনি।

‘তুমি কতােগুলাে দেখেছাে একটু রসিকতার সুরে বলে মােহন ধান্নোর হাত নিয়ে তার উথিত লিঙ্গ ধরিয়ে দিল। একটু বিবরত ভাব এনে ধান্নো নিজের কথা শুধরানাের চেষ্টা করলাে, আমি শুধু আমার স্বাৰ্মীরটাই দেখেছি। ওরটা আপনারটার অর্ধেকেরও ছােট । ভগবানের নামে বলছি, আমি আর কোন পুরুষেরটা দেখিনি।’ মােহন জানে, সে মিথ্যা বলছে । ধান্নোও জানে যে, সাহেব তার কথা বিশ্বাস করছেনা । কিন্তু এখন এই ফালতু বিতর্কে সময় নষ্ট করে কি লাভ?

মােহন আর শার্ট খুলে ফেলে ধান্নোকে বিছানায় ফেলে তার উপর উপগত হওয়ার প্রস্তুতি নিলেন। যখন তিনি তার লিঙ্গে কনডম পরানাের চেষ্টা করছেন তখন ধান্নো স্বাধা দিল, এর কোন প্রয়ােজন নেই সাহেব। আমার তিন নম্বর বাচ্চার জন্মের পর আমি লাইগেশন করিয়েছি। কনডম ছাড়া আরো বেশি মজা পাবেন। | যখনই মােহন কোন নতুন নারীর দেহ নিয়ে খেলেছেন, তার মনে হয়েছে নতুন ল্যান্ডস্কেপ আবিস্কার করছেন। নারীদেহের গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়গুলাে সকল ক্ষেত্রে প্রায় অভিন্ন। কিন্তু বিস্তারিত প্রয়ােগে নিঃসন্দেহে ভিন্ন। ধান্নোর দেহে মাদকতাময় এক ধরনের সুবাস। তার স্ত্রীর শরীর থেকে সবসময় ফ্রেঞ্চ কলােনের গন্ধ ভেসে আসতাে। মােহন বেশিক্ষণ নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। পরাজিতের মতো নিজেকে প্রত্যাহার করলেন। ধান্নোর ধৈর্যের শেষ নেই। সে অত্যন্ত আবেগের সাথে দক্ষ হাতে মােহনের মাথা থেকে পা পর্যন্ত মর্দন করলো। কামকলায় সে পটু । মােহন দ্বিতীয় দফা উত্তেজিত না হওয়া পর্যন্ত সে তার কৌশলগুলাে প্রয়ােগ করলাে। এবার ধান্নো মােহনের চাইতে আগে নিঃশেষ হলাে। চরম তৃপ্তির উন্মাদনায় সে মােহনের মাথা আঁকড়ে নখ বসতে চেষ্টা করলো; তার ঠোট কামড়ালাে এবং এক সময় জবাই করা গরুর গােশ্লানির মতাে দীর্ঘ শব্দ ছেড়ে এলিয়ে পড়লো। মোহন নিজেকে বিজয়ী মনে করলেন এবং নিজের পৌরুষে তার গর্ব হলাে। | বাড়ি থেকে ধান্নার বের হয়ে যাওয়া কেউ দেখলাে না। …….

ধান্নোর সাথে সকালের যৌনমিলন পাক্ষিক বিষয়ে পরিণত হলাে। এই নতুন সম্পর্ক নিয়ে সে সমভাবে আগ্রহী এবং নিজের প্রয়ােজনগুলােও প্রকাশ করে। মোহন তার দেহের প্রতিটি অংশের সাথে এখন সুপরিচিত। এমনকি ধান্নোর ডান উরুর একটি বড় রােদে পােড়া দাগও তার প্রিয় হয়ে উঠেছে। মােহন আঙ্গুল দিয়ে দাগটা অনুভব করেন এবং তার ঠোট ও চোখে চুমু দেয়ার আগে সেই দাগের উপর ঠোট স্পর্শ করেন। যৌনমিলন যদিও মধুর, কিন্তু ক্রমে তা গরিমা হারাতে শুরুকলাে। ধান্নো তাদের মিলনের আসন পরিবর্তনের উদ্যোগে বাধা দিল। মােহনু যখন ধান্নোকে তার দেহের উপর উঠিয়ে সঙ্গমকে আরাে বৈচিত্রময় করা যায় কিনা দেখতে চাইলেন, ধান্নো প্রবল আপত্তি করলাে, ‘না, সাহেব। তা কিছুতেই হবে না আমার নিচে আপনাকে কখনাে থাকতে দেব না। আপনি আমার মালিক। মােহন জবরদস্তি করলেন না। ধান্নোর সাথে যে সমঝােতা হয়েছে তাতে সে তার দিক ভালোভাবে পূরণ করেছে । ………

সরােজিনী

………মােহন তার কাঁধ জড়িয়ে ধরে বিছানার দিকে নিতে নিতে বললেন, ‘বেডরুমে তােমাকে দেখার সুযােগ দাও।’ সরােজিনী তার মাথা মােহনের প্রশস্ত বুকে স্থাপন করে বিড়বিড় করলেন, ‘আমার প্রতি একটু সদয় হতে হবে। এগার বছর কোন পুরুষের কাছে যাইনি। আমি ভয় পাচ্ছি।

মােহন তাকে আশ্বস্ত করতে আন্তরিকভাবে জড়িয়ে ধরলেন। ভয়ের কিছু নেই। আমি কামুক শ্রেণীর লােক নই । তুমি না চাইলে আমরা বিরত থাকবো। কিছু সময়ের জন্য শুধু তােমার সঙ্গে শুয়ে থাকার অনুমতি দাও। এরপর আমি আমার রুমে চলে যাব।’

সরােজিনীর ভীতির ভাব কাটলাে এবং তিনি তাকে জড়িয়ে ধরে রইলেন। মােহন তাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজেকেও তার পাশে ছড়িয়ে দিলেন। তিনি মােহনের বুকে মুখ ঘষলেন এবং কোমর জড়িয়ে ধরে স্থির শুয়ে থাকলেন। মােহন আস্তে আস্তে তার গাউনের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে তার কাধে, ঘাড়ে মৃদু চাপ দিতে থাকলেন। এরপর তার হাত নেমে এলাে সরােজিনীর শিরদাঁড়ায় এবং ছােট্ট নিতম্বের। তার সাহে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বললেন, “টেবিল ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিন। বাতি নিভানাের পর মােহন বললেন, তােমার শরীরট আমাকে দেখতে দিতে চাও না 

 ‘দেখার মতাে তেমন কিছুই নেই। তার সংক্ষিপ্ত উত্তর। আমার বয়সী যে কোন মহিলার মতােই দেখতে। তবে সহজ সরল। আমার দেহ তেমন সুগঠিত নয়। তার গাউনের বেল্ট খুলতে খুলতে মােহন ৰুললেন, ‘দেখা যাক। 

তিনি সরােজিনীর একটি স্তন হাতে নিলেন। সরােজিনীর স্তন তার স্ত্রী, ধান্নো অথবা অন্য যেসব মহিলাকে তিনি শয্যায় নিয়েছেন তাদের স্তনের মতাে সুগঠিত নয়। এই পার্থক্য তাকে আরাে কাংখিত করে তুললাে। মােহন তার স্তনের বোটায় চুমু দিলেন এবং ক্ৰমে স্তনটি মুখে পুরলেন। শিহরণ ও তৃপ্তিতে সরােজিনীর মুখ দিয়ে অদ্ভুত শব্দ বের হতে লাগল। বিড়বিড় করে তিনি উচ্চারণ করলেন, দয়া করে আরেকটিকে অবহেলা করবেন না।’ মোহন অন্য স্তনেরও কাংখিত ব্যবহার করলেন। এর মধ্যে তিনি ট্রাউজ্জাৱেৱ জিপার খুলে ফেলেছেন এবং সরােজিনী তার পেটে মােহনের উথিত লিঙ্গের চাপ অনুভব করছে।’

বিস্মিত আতংক সরােজিনী বললেন, ‘ওহ ভগবান, আপনার যন্ত্র এতাে বিশাল এটা তাে অামাকে খন্ডবিখন্ড করে ফেলবে।’ তিনি উরু চেপে রেখে তাকে বিদ্ধ করা থেকে বিরত করার প্রাণপণ চেষ্টা করতে করতে বললেন, “দিব্যি করে বলুন, আমাকে ব্যথা দেবেন না। অন্ততঃ এটুকু মাথায় রাখবেন যে, আমি অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকৃতির এবং বহু বহুদিন কেউ আমাকে সঙ্গম করেনি।

মােহন নিজেকে পর্বিত, সক্ষম এবং বিপুলভাবে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করলেন। তবু অন্যান্য মহিলার সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করেছেন, তার চাইতে সরােজিনীর ক্ষেত্রে ধৈর্যশীল হলেন। মােহন অনুভব করলেন, সরােজ তাকে গ্রহন করার জন্যে প্রস্তুত। তিনি তার উরু প্রসারিত করলেন মােহন আস্তে আস্তে তার মাঝে প্রবেশ করলেন। সে দু’হাতে তার গলা পেঁচিয়ে ধরে জড়ানাে কন্ঠে বললেন, “ওহ ভগবান! আপনি তো আমাকে দুটুকরো করে ফেলবেন। তিনি পুরােপুরি উত্তেজিত। খসখসে আওয়াজে বললেন, ‘আমাকে মেরে ফেলুন। মােহন সজোরে তাকে বারবার বিদ্ধ করতে থাকলেন।

সরােজিনী চিৎকার করলেন। আতংকে বা ব্যথায় নয় । একাধিকবার চরম তৃপ্তির আনন্দে। এ ধরনের পরিতৃপ্তি লাভের পূর্ব অভিজ্ঞতা তার নেই অথবা বিশ্বাসও ছিল না যে, এমন সুখলাভ সম্ভব। আর দেহ শিহরণে কেঁপে কেপে উঠে একসময় অবসাদগ্রস্ত হলাে। এরপর এক ধরণের কম্পন। মূৰ্ছা যাওয়ার মতাে। ……..

ইয়াসমিন

…….অনেক কাশ্মীরী মেয়ের মতোই ইয়াসমিনের গায়ের রং ককেশীয় মেয়েদের মতাে অতি ফর্সা, মসৃণ | বাদামের রং এর মতো তার চুল, হরিণীর মতো টানা বড় চোখ । ……তাকে পাঞ্জাবী ভাষায় বলা চলে, “পােরি চিত্তে পালে মােটলে- ফর্সা সুন্দর গােলগাল মােটাসােটা। ……..

…….সেই সন্ধ্যায় আমি এমনটি আশা করিনি। এছাড়া ইয়াসমিনকে কখনাে আমার যৌনসঙ্গী করার কথা ভাবিনি বা আমার দৃষ্টিতে সে কাংখিত বলে বিবেচিত হয়নি। কিন্তু প্রতিবাদের কোন সুযােগই দিল না সে। আমাকে টেনে নিয়ে গেল বেডরুমে। সে তার অলংকার ছাড়া সবকিছু খুলে ফেললাে। তার ত্বক মসৃণ এবং তুলতুলে, তার বিরাট স্তন ঝুলে পড়েছে। সে গােপন স্থানের কেশ মুন্ডন করেছে। যেসব মেয়ের সাথে আমি শয্যায় গেছি, তাদের কেউই অবাঞ্চিত কেশ মুন্ডন করতাে না। আমি দেখে খুবই বিস্মিত হলাম যে, বিশালদেহী এই মহিলা, যে দু’টি সন্তানের জন্ম দিয়েছে; তার যােনী এতো ক্ষুদ্র। খুব নিরীহ দর্শন মনে হচ্ছিল। আমি যখন তার শরীরের বিভিন্ন অংশ দেখছিলাম সেই মুহূর্তে সে আমার শার্ট খুলে ফেলেছে এবং ট্রাউজার নামিয়ে দিয়েছে। সে আমার সঙ্গীকে দেখে রিতিমত বিশ্বিত; মাশাল্লাহ! তােমার ওখানে ওটা কি? সব হিন্দুর অঙ্গ কি এই আকৃতির? তারা যে লিঙ্গ পূজা করে, এটা নিশ্চয়ই তার পুরস্কার। সে তার মােটা হাতে আমার অঙ্গ নিয়ে খেললাে। তার ঠোট অামার ঠোটে আঠার মতো লাগিয়ে রেখেছে।

বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে সে আমাকে তার উপরে নিল এবং উরু যতটা সম্ভব প্রসারিত করলাে আমাকে স্বাগত জানানাের জন্যে। আমি তার মধ্যেপ্রবেশ করলাম। তৃপ্তিতে সে গােঙাতে শুরু করেছে এবং দুপা দিয়ে আমার কোমর বেষ্টন করে রেখেছে। আমার মুখে সে কামড় এবং চুম্বন দিচ্ছিল। একসাথে আমরা চরমে উঠলাম। সে ক্লান্ত অবসন্ন ও নিস্তেজ হয়ে পড়লাে। ……. আমরা খেতে বসলাম। লক্ষ্য করলাম, সে সালােয়ার পারেনি। হাঁটুর কাছে তার কামিজ ঝুলে আছে। যখন সে উঠছিল বা বসছিল তার প্রশস্ত উরু পুরােপুরিই প্রকাশ পাচ্ছিল। আমি বুঝতে পারলাম তার শারীরিক চাহিদা পূরণ হয়নি এবং ডিনার শেষে আরেক দফা আকাংখা করছে। আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে, এরই মধ্যে আমি তার সাথে পেরে উঠবাে কিনা। ভাবনাহীন সৌজন্যের মতাে আমি তার আহবানে সাড়া দেয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখলাম। যে যখন বাসনকোসন পরিষ্কার করছিল, আমি শুকনাে কাপড়ের টুকরা দিয়ে সেগুলাে মুছে রাখছিলাম। আমি ডান হাত তার কামিজের নিচে গলিয়ে তার বিশাল নিতম্বে চাপ দিলাম। যেন দুটি তানপুরার লাউ একত্রে যুক্ত করা হয়েছে বিশাল, গােলাকৃতির এবং সুমসৃণ। সে ইঙ্গিতপূর্ণ হাসলো এবং আমার ঠোটে চুমু দিল। তুমি দ্বিতীয় দফা এটা করতে চাও ? আমিও চাই। এবার ভিন্নভাবে কাজটা করবাে।’ ভিন্নভাবেই হলাে।……….

সে দাড়িয়ে উপর দিকে হাত উঠিয়ে হাই তুললাে । আমার হাত ধরে টানতে টানতে বললাে, এখন শােস্ত্রার সময়। বিছানায় ঠেলে দিয়ে বললাে, এবার তুমি শুয়ে আরাম কৱী 1 পুৱো কাজটা আমিই করবাে।’

আমার ট্রাউজার টান দিয়ে খুলে ফেলে কাজের জন্যে প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত সে আমার সঙ্গীকে নিয়ে খেললাে। আমার দেহের মধ্যবর্তী স্থানে উঠে বসলাে। তার বিশাল দেহ আমার উপর ছড়িয়ে দিয়ে আমার উথিত অঙ্গ তার মাঝে গ্রহণ করলাে । সে সিক্ত এবং আগ্রহী ছিল; অতএব খুব সহজে সেটি তার দেহে বিলীন হলাে। তার বিশাল স্তন যুগল আমার মুখ আচ্ছাদন করে ফেলেছে। সে একটা একটা করে বােটা আমার মুখে পুরে দিয়ে চোষার জন্যে মিনতি করছিল। ক্ষুধার্তের মতো চুম্বন করছিল ওর মুখে নাকে ও গলায়। তার লালায় আমার সারা মুখ, গলা ভিজে গেছে। সে যখন চরমে উঠছে, তখন তার গুরু নিতম্বের ভার আমার উপর আছড়ে পড়ছে। তার উথ্থান পতনে যখন চরম উন্মাদনা তখন সে বললাে, “ছ’মাস ধরে আমি ক্ষুধার্ত, বলতে পারাে ক্ষুধায় মৃত প্রায়। তােমার যা আছে তার সবটা দিয়ে আমাকে পূর্ণ করাে ঘৃণ্য কাফির। অতপর দর্শনীয় একটি ঝাঁকুনি দিয়ে আর্ত চিৎকার করে মৃতদেহের মতো আমার উপর আপতিত হলাে। বাস্তবিকপক্ষে পুরাে কাজটি সেই করলাে। আমি শুধু তার দ্বারা ব্যবহৃত হলাম।…….এরপর ইয়াসমিন ওয়ানচোর সাথে আমার আর সাক্ষাৎ হয়নি।………….

মলি গােমেজ

………‘তুমি কি শুধু মহিলাদের মালিশ করাে, নাকি পুরুষদেরকে ও?’

অধিকাংশই মহিলা। কখনো কখনাে বৃদ্ধ লোকদের। তরুণদের মালিশ করার প্রস্তাব এড়িয়ে চলি। কারণ তাদের মাথায় নানা চিন্তা আসে এবং আমার সাথে স্বাধীন আচরণ করতে চেষ্টা করে। আমি তাদের বাধা দিয়ে বলি, ‘মিস্টার, এটা ব্যাংকক বা টোকিও নয়; যেখানে তুমি মেয়েদের দিয়ে মালিশ করিয়ে নেবে, আবার সঙ্গমও করবে।” বৃদ্ধদের মালিশ করতে কিছু মনে করি না। কখনাে অবশ্য এমন হয় যে, কোন বুড়াে আমার হাতটা ধরে তার করুণ দর্শন প্রাচীন অঙ্গটা ধরিয়ে দেয়। আমি বলি তুমি কি চাও, আমি এটাও মালিশ করি। এর মধ্যে তাে আর জীবন নেই। অতপর আমি নুয়ে পড়া অঙ্গটায় ঝাকি দিয়ে তাকে দেখিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করি যে আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি। সে হেসে যোগ করে, অনেকে আমাকে অনুনয় করে আর একটু ঢলে দাও, তাহলেই এটা জীবন্ত হয়ে উঠবে। আমি তাদের বলি “আমি একটি রাজ্যের অভ্যুদয় পর্যন্ত এটিকে ঝাকাতে পারি। কিন্তু তাতেও এর কিছু হবে না। তারা এমন করুণভাবে আমার দিকে তাকায় যেন আমি তাদের দাঁতে লাত্থি মেরেছি। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, একই বৃদ্ধ বারবার তাদের মালিশ করার অনুরােধ করে। একই ধরনের আচরণ করে এবং মােটা অংকের বখশিশ দেয়।’…….

……..আমাদের কথা ফুরিয়ে আসছিল। মলি চেয়ার থেকে উঠে অামার পাশে এলো। কোন কথা না বলে মাথার উপর দিয়ে টিশার্ট খুলে ফেললাে এবং ব্রা’র হুকও খুললাে। দুটি সুন্দর গােলাকৃতির স্তন দৃশ্যমান। তার দুহাত আমার কাঁধে এবং মুখটা কাছে আনলাে। আমার ঠোট তার মুখে আঠার মতাে লাগিয়ে আমার উষ্ণ দু’হাতে স্তন মর্দন শুরু করলাম। সে তার স্কার্ট খুলে ফেলায় সেটি ফ্লোরে পতিত হলাে। এরপর আমার বেল্ট খুলে ট্রাউজার টেনে নামালাে। এখন সে আমার অঙ্গ অনুভব করছে এবং অন্যান্য মহিলার মতাে সেও বিস্ময় ও আতংক প্রকাশ করলাে, আমি আগে এরচাইতে বড় আকৃতির কিছু দেখিনি। বিশ্বাস করুন, আমি দেখেছিও খুৰ কম।

এই মহিলা আমার মধ্যে প্রচুর আস্থার জন্য দিল। আমার কোন তাড়া নেই। আমরা কার্পেটে শুয়ে পরস্পর জড়াজড়ি ও মর্দন করলাম। নিশ্চিত ই সে দক্ষ মালিশকারিনী। আমার কানের কাছ দিয়ে বিলি কেটে সে আমার ঘাড়ে বৃদ্ধাঙ্গালির চাপ দিল। পেটের উপর দিয়ে আঙ্গুল চালনা করলাে। একইভাবে মালিশ করলাে আমার মধ্যাঙ্গ, উরু হাঁটুর নিচের অংশ এবং পায়ের পাতা পর্যন্ত। পায়ের গােড়ালিও মর্দন করলাে সে। আমার দেহের কোন অংশই তার স্পর্শহীন থাকলাে না। তার স্পর্শ অবসাদ এনে দেয়ার মতাে এবং যথার্থই উপভােগ্য। 

আর্মি বিড়বিড় করলাম, তুমি এমন মালিশ অব্যাহত রাখলে আমার ঘুম এসে যাবে।’ সে আমার উপরে এলাে এবং আবেগ ভরে চুম্বন দিয়ে বললাে, “প্রিয়তম, তুমি ঘুমিয়ে পড়াে। আমি তােমাকে পুরােপুরি ভালােবাসবাে।’

বাস্তবিক দীর্ঘক্ষণের চেষ্টা ছাড়াই সে আমার অঙ্গ তার মাঝে নিয়ে নিল। আমার উপর মলি গােমেজের উত্থান পতন এবং শেষ পর্যন্ত আমাকে শুষে নেয়ার প্রক্রিয়ায় শুধু টের পেলাম যে, আমরা জেগে আছি। অনুভূতিটা চমৎকার। প্রক্রিয়াটা দীর্ঘস্থায়ী । সংযুক্ত অবস্থায় আমরা একে অন্যের উপর উঠেছি। আমার আগে সে এক ঘন্টা টিকে ছিল। নিচে আসার পর শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কি প্রস্তুত ?

মাথা নেড়ে সে উত্তর দিয়েছিল, “আমি অনেক আগে থেকে প্রস্তুত।”

আমি তার মধ্যে বীর্য নিক্ষেপ শুরু করি। দু’পা দিয়ে আমার কোমর পেঁচিয়ে ধরে সে একং আশার প্রতিবারের পতনের সময় সে নিজেকে উঠু করতে চেষ্টা করে। সে চেঁচিয়ে বলে, আরাে জোরে। ঈশ্বরের দোহাই, থেমাে না। আমার যা ছিল সব তার মাঝে ঢেলে দিলাম। সে দু’হাতে কার্পেট চাপড়ালো ‘ওহ্ ঈশ্বর।

আমাদের চরম অবস্থা একসাথে এসেছে। তার পা শিথিল হয়েছে। পুরােপুরি অবসাদে সে গা ছেড়ে দিয়েছে। পুরুষ ও নারীর তৃপ্তিদায়ক সঙ্গমের চাইতে জীবনে আর কোন কিছুতেই পরিপূর্ণতার এমন বােধ আসতে পারে না।

দীর্ঘক্ষণ আমরা পাশাপাশি শুয়ে থাকলাম । একসময় সে বললো, তুমি উঠো না। মুহূর্তে ফিরে আসছি আমি।

সে তার বেডরুমে গেল পুরাে নগ্ন অবস্থায়। ফিরে এলাে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ানাে টাওয়েল হাতে। অত্যন্ত যত্নের সাথে আমার মধ্যভাগ, উরু মুছে নিল। ………

আপনি কি অনেককে পেয়েছেন?’ ‘অল্প সংখ্যক। আর তুমি অনেক পুরুষ? ‘অনেক নয়, কিছু। আমি কঠোর ক্যাথলিক সমাজে বাস করি। ফাইভ স্টার হােটেলে কাজ করার সময় আমি কখনাে কখনাে কিছু বিদেশীর সঙ্গে যৌনকর্মে রাজি হয়েছি। কিন্তু খুব উপভােগ্য ছিল না সেগুলাে। তাদের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমার হাতে যখন ডলার গুঁজে দিতাে তখন, বিশেষ করে প্রথম দিকে নিজেকে খুব নােংরা মনে হতাে। কিন্তু কিছুদিন পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। নিজেকে আর বেশ্যার মতাে মনে করি না। তবে আপনার মতাে ভালােবেসে উপভোগ করার অভিজ্ঞতা নেই। আপনি কি কনডম ব্যবহার করেন ?” ‘তা করি। কিন্তু আজ রাতে ব্যবহার করতে ভুলে গেছি। আমি দুঃখিত।…..

সে আমার গালে আদর করলাে। আমি পিল খেয়েছি এবং যতদিন আপনার কাছে থাকবাে, পিল বাবাে। কনডমের প্রয়ােজন নেই।

আমি আগুনে লাকড়ি দিচ্ছিলাম। কার্পেটের উপরই সারারাত শুয়ে কাটালাম। তিনবার আমরা যৌন সুখ উপভােগ করলাম।……….

……….আমি তাকে জেসিকা ব্রাউনি সম্পর্কে বললাম।

মলি বাধা দিল, সে দেখতে কেমন ছিল ?

“গায়ের রং তােমার মতােই কফি ও ক্রিমের মিশ্রণ। ……..মলি আর বাধা দিল। সেই কি প্রথমে উদ্যোগ নিয়েছিল, না আপনি?

জেসিকাই উদ্যোগী হয়েছিল। …….একদিন সন্ধ্যায় সে আমাকে তার রুমে গিয়ে পান করতে বলে। আমি তার ফিগারের প্রশংসা করলে সে পান করতে করতে বলে, দেখতে চাও, আমি আসলে দেখতে কেমন?’ সে জানতে চায় এবং আমি কিছু বলার আগেই কাপড় বুলে নগ্ন হয়ে দাঁড়ায়। সে ধীরে ধীরে ঘুরে আমাকে তার পিছন দিকটাও দেখায়। এর অাগে আমি কখনাে নগ্ন নারী দেখিনি। তাকে হাত দিয়ে ধরতে চেষ্টা করি। কিন্তু সে আমাকে পিছনে ঠেলে দিয়ে বলে যে, আমার কাপড়ের আড়ালে কি লুকানাে আছে তা বলা না সে পর্যন্ত তাকে স্পর্শ করতে পারবাে না। আমার কাপড় খুলে ফেলার পর সে আমার অঙ্গের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমাৱ মেদহীন পেট, প্রশস্ত বুকের দিকে নয়, শুধু এটার দিকে আমি মুখ ভেঙ্গিয়ে আমার মধ্যাঙ্গে ধাপ্পড় দিলাম। মলি চাপা হেসে আমার মধ্যাঙ্গ স্পর্শ করলাে। সেটা সম্পূর্ণ উথিত এবং আমার ট্রাউজারের উপর চাপ সৃষ্টি কছে।

সে জানতে চায়, আপনারা কি মিলিত হয়েছিলেন? হ্যা। ‘কবার?

সারারাত আমার যদুর মনে পড়ে চার বার সংক্ষিপ্ত বিরতি দিয়ে। তখন আমার বয়স ছিল বিশ বছর। তার বয়স আমার চেয়ে এক বছর বেশি। যাক, যথেষ্ট বলেছি। এবার তুমি তােমার প্রথম বারের অভিজ্ঞতার কথা বলাে।

 ‘হ্যা, বলছি। তখন আমার বয়স চৌদ্দ বছর। স্কুলছাত্রী। ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে পার্ধক্য ভালােই বুঝি। অনেক দূর সম্পর্কের ভাই ছিল আমার। শৈশবে আমরা একে অন্যকে দেখাতাম যে, আমাদের দুই উরুর মাঝখানে কি আছে। ছেলেরা ভালাে করে দেখাতে পারতাে। আমাদের দেখাতাে যে, তাদের অঙ্গটা কতো বড় করতে পারে । একবার কোন এক মুহূর্তে তাদের অঙ্গের উথ্থিত অবস্থা এবং কিভাবে সেটি আমাদের উরুর সংযােগস্থলে প্রবিষ্ট করানাে যায় তা দেখাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তা ঘটার জন্যে আমরা অপেক্ষা করিনি। আমি ছােট্ট নােংরা অবুঝ মেয়ে ছিলাম। কিন্ত এই ছেলেদের কেউ শেষ পর্যন্ত ঘটনাটা ঘটায়নি। আমার আপন মামা, আমার মায়ের ছােট ভাই, আমার চেয়ে বিশ বছরের বড়, সে কান্ডটা ঘটায়। জানােয়ার। ছােট নিরীহ বালিকার দুর্বলতার সুযােগ নিয়েছিল। সে আগের মতোই হাসে। নিষ্প্রাণ হাসি। যাক, একদিন বিকেলে ঘটনাটা ঘটে, যখন লােকটি বাবা মার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল এবং তারা কেউ বাড়ি ছিলেন না। তখনাে আমার পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম -খাটো ফ্রক, আমার হাটুর উপর পর্যন্তু। ভালো করে আমার উরু ঢাকে না। সে বরাবরের মতো আমাকে চুমু দেয়। কিন্তু এবার আমার ঠোট । সােফার উপরে বসে সে আমাকে তার কোলে টেনে বসায় এবং গলার পিছনে, কানে চুমু দিতে শুরু করে। আমি টের পাচ্ছিলাম, তার অঙ্গ শক্ত হয়ে উঠছে। সে আমার স্তন মর্দন শুরু নির্দয়ভাবে। তার দম ফুরিয়ে যাচ্ছিল। আমি বুঝতে পাচ্ছিলাম, তার মতলব ভালাে নয় এবং আমার উচিত তাকে থামিয়ে দেয়অ। কিন্তু তার তৎপরতায় আমিও কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম এবং ‘তাকে বাধা দিলাম না। সে আমাকে সোফার উপর শুইয়ে দিয়ে ফ্রকটা উঠালাে, প্যান্টিটা টেনে খুলে ফেললো। এরপর সে দ্রুত নিজের ট্রাউজারর খুলে তার মােটা অঙ্গটা বের করে আমার মাঝে চালান করে দিল। একবারের চেষ্টায়। লােকটা অধৈর্য হয়ে পড়েছিল। ব্যথায় আমি চিৎকার করছিলাম। কয়েকবার প্রবল চাপ দিয়ে সে নিজেকে প্রত্যাহার কৱে নিল এবং তার নােংরা বর্জ আমার উরুর উপর ঢেলে দিল। আমাকে প্রতিজ্ঞা করালাে যে, আমি বাবা মাকে ঘটনাটা বলবাে না। তাহলে তারা আমাদের দুজনকেই মেরে ফেলবে। আমি তাদের বলিনি। আমি কিছু বুঝিনি। আমি চার্চের পাদ্রীকেও বলিনি। কাউকে না। আজ আপনাকেই বললাম।”

বললাম, এতে তাে তুমি মােটেই কোন আনন্দ পাওনি । তােমার উপভোগ করার মতো ঘটনা কখন ঘটেছে ?

সে উত্তর দিল, আজকের সন্ধ্যার জন্যে এটুকুই যথেষ্ট। আপনি যখন আপনার অন্যান্য মহিলার কথা বলবেন, তখন আমিও আমার জীবনে আসা পুরুষদের সম্পর্কে বলবাে।’

আগুন নিভে গেছে। আমি নিচে বাগানে গেলাম প্রস্রাব করছে। দরজাগুলাে লাগালাম এবং উপরে উঠে এলাম। মলি হাত উপরের দিকে উঠিয়ে শরীর টন টন করে হাই তুলছে। আমি তার বগলে হাত দিয়ে তাকে উপরে তুললাম। সে ভীত হওয়ার ভান করে স্কুল পা ছুড়তে লাগলাে। সেভাবেই তাকে তার রুমে নিয়ে বিছানায় ছেড়ে দিলাম। ঠোটে চুমু দিয়ে বললাম, গুড নাইট! …………

………মেয়েরা অন্তত; এটা জানে যে, তাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে তাদের আর সন্ধান হবে না। তাদের যৌনক্ষুধাও হ্রাস পেতে থাকে। কিন্তু পুরুষদের যৌনতাড়না বাড়ে। এমনকি যদি তাদের অঙ্গ উথ্থিত নাও হয়, তবু তারা মহিলাদের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে। আপনি কি পঞ্চাশাের্ধ পুরুষের কামনা প্রত্যক্ষ করেছেন। খুব করুণ দৃশ্য!…..

……মলি বললাে, সূর্য স্নানের উপযুক্ত পরিবেশ। আপনার ড্রেসিং গাউন খুলে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার নির্দেশ পালন করলাম। সে তার সুতিৰর নাইটি খুলে ফেলে একদিকে ছুঁড়ে দিল। পায়ের গােড়ালিতে সােনার হালকা চেন ছাড়া তার শরীরে এক খন্ড সূতাও নেই। সে আমার পিঠের উপর এমনভাবে বসলে, যেন ঘােড়ায় বসেছে। আমার শিরদাড়ায় তার যৌনকেশের স্পর্শ অনুভব করছি। তার দুহাত দিয়ে শিরদাঁড়া ডলতে শুরু করলাে। নিচ থেকে উপরের দিকে। বারবার । দুই কাঁধে বৃদ্ধাঙ্গুলির চাপ দিল জোরে এবং এরপর মর্দন করলাে। আমার সকল উদ্বেগ যেন সে নিয়ে নিচ্ছে। দু’হাতে,হারবাল অয়েল নিয়ে আমার পিঠে মাখলাে। বারবার তেল মালিশ করলাে, মান্ধা থেকে শিড়া পর্যন্ত। সে পিছন ঘুরে বসলাে, সেভাবে আমার নিতম্ব, উরুতে তেল ডলল। পায়ের গােড়ালি, আঙ্গুলের প্রতিটি ফাকে তেল দিল।…….

আমি চিৎ হলাম। তার মসৃন দুটি উরু এবং উরু দিয়ে ঢাকা অঙ্গ দেবার সুযােগ পেলাম। সে আমার পেটের উপর বসলাে। আমার স্তনের বোঁটায় অঙ্গুিল ঘুরালাে। আমি জানতাম না যে, পুরুষের বোটা মেয়েদের স্তনের বােটার মতোই স্পর্শকাতর হতে পারে। সে আমার বুকের উপর তেল ঢেলে তা ছড়িয়ে দিল এবং হাতের তালু দিয়ে যত্বের সাথে মালিশ করলাে। আবার সে তার অবস্থান পরিবর্তন করলাে। এবার তার নিতম্ব আমার চোখের সামনে। তার সামনের দিকে ঝুকে পড়া এবং পুনরায় সােজা হওয়ার মধ্যে তার যৌনকেশের ক্রিয়ায় সুড়সুড়ি অনুভব করছিলাম । মলি খানিকটা তেল আমার অন্ডকোষে মেখে দিল এবং উরুর ভিতরের অংশ মালিশ করলাে। তার দেহ সঞ্চালন এবং সবকিছু দৃশ্যমান থাকায় আমার মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি কয়েছে। আমার মধ্যাঙ্গ পূর্ণ প্রাণ ফিরে পেয়েছে এবং তার উরুতে লাগছে। সে ধাপ্পড় দিয়ে এটাকে নিম্নগামী করার চেষ্টা করলাে, ধৈর্য্য ধরাে।

এক ঘন্টা ধরে মালিশ চললাে। আমি এ ধরণের উপভােগ্য এবং অনুভূতি জাগানিয়া কোন কিছুর অভিজ্ঞতা জানি না। এমনকি যৌনকর্মের চাইতে তৃপ্তিদাযক মনে হলাে আমার কাছে। সে হাতে তেল তার দেহে মুছে ফেললাে এবং মুখটা নিচ দিকে দিয়ে ম্যাট্রেসের উপর শুয়ে পড়লাে। এবার আমি তার পিঠে বসলাম। আমার অন্ডকোষ তার পিঠের উপর। যদিও আমি কাউকে কখনাে মালিশ করিনি, আমি আমার উপর প্রয়োগ করা মলির কৌশলগুলােই প্রয়ােগ কলাম । তার গলা থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত পুরাে শরীর মালিশ করলাম। আমার ঠোট তার স্তনের বােটায় আঠার মতো লাগিয়ে ধীরে ধীরে তার মধ্যে প্রবিষ্ট হলাম। স্বর্গীয় সুখ অনুভূত হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ আমি তার মাঝে থাকলাম নড়াচড়াহীন অবস্থায়। এরপর নিজেকে প্রত্যাহার করে তাকে উপুড় হয়ে শুতে কললাম। সে তার পা প্রসারিত করে উপুড় হলাে। আমি তার নিতম্ব মর্দন করতে শুরু করলাম । নারীর যে কোন অঙ্গের চাইতে তার নিতম্ব পুরুষকে বেশি উত্তেজিত করে। মলির নিতম্ব চমৎকার গােলাকৃতির এবং সুদৃঢ়। আমি পুনরায় তার মধ্যে উপগত হলে সে আমাকে তার মাঝে যতােদূর সম্ভব গ্রহণ করলাে । আমাদের সুখকে দীর্ঘভর করতে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। যখনই মনে হয়েছে আমি চরমে উঠে যাচ্ছি, তখনই প্রত্যাহার করে নিয়েছি এবং সংকটটা না কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। এরপর আবার আমরা দৈহিক অস্তিত্বের অনিবার্য সত্যের সন্ধানে অবতীর্ণ হয়েছি। শেষ পর্যন্ত আমাদের চরম অবস্থাও এতাে দীর্ঘতর হলাে যে, আমাদের দুজনের সেই অভিজ্ঞতা আর হয়নি। আমরা কথা বলিনি। কথা কৃত্রিম ব্যাপার। ম্যাট্রেসে শুয়ে থেকে আমাদের শরীরে মাখা তেল সুর্যকে শুষে নিতে দিলাম। প্রায় তিন ঘন্টা আমরা এ অবস্থায় ছিলাম। ……..

…….. ফ্লাইটটি দিল্লি ছেড়ে যায় বেলা সাড়ে এগারটার পর। যখন তার হাতে টিকেট তুলে দিলাম সে আমাকে জড়িয়ে ধরলাে। আমরা মিলিত হলাম। যে একটি সপ্তাহ আমাদের হাতে ছিল প্রতিটি দিন আমরা পরস্পরের দেহ উপভােগ করলাম।……..

নুরান

…….. চিৎ হয়ে সে আকাশের জারা দেখছিল। হঠাৎ একটি হাত তার চোখ চেপে ধরলাে।

বলাে তো কে? জুগগত সিং তার দু’হাত মাথার উপরে তুলে পিছনের দিকে হাতড়াতে শুরু করলো। মেয়েটি হাত সরিয়ে নিল। জুগগত এবার তার চোখ চেপে ধরা হাত অনুসরণ করে মেয়েটির কাধ, এরপর মুখ স্পর্শ করলাে। সে তার গাল, চোখ, নাকে আদর করলাে। তার হাত এসবের সাথে ভালােভাবে পরিচিত । সে তার ঠোটে আঙ্গুল দিয়ে খেলার চেষ্টা করলো যাতে সে আঙ্গুলে চুমু দেয়। মেয়েটি মূখ খুললাে এবং জোরে আঙ্গুলে কামড় দিল । জুগগত ঝাকুনি দিয়ে হাত সরিয়ে নিল। এরপর সে দ্রুত দু’হাত দিয়ে মেয়েটির মাথা ধরে তার মুখ নিজের মুখের উপর টেনে আনলাে। দু’হাতে তার কোমর পেঁচিয়ে আলতো করে তাকে উপরে তুলে ধরলাে। মেয়েটি আটকা পড়া কাঁকড়ার মতাে হাত পা ছুঁড়ছিল। হাতে ব্যথা না হওয়া পর্যন্ত সে তাকে উপরেই ধরে ছিল। এরপর তাকে নিজের উপর স্থাপন করলাে। জুগগতের প্রতিটি অঙ্গের উপর মেয়েটির অঙ্গ। সে জুগগতের মুখের উপর দুহাত দিয়ে আঘাত করতে লাগলাে। একটা বেগানা মেয়েমানুষের গায়ে তুমি হাত দিয়েছে। বাড়িতে কি তােমার মা-বােন নেই? তােমার কি কোন লজ্জাশরম নেই?…….জুগগত সিং দু’হাতে মেয়েটিকে ঝাপটে ধরলে, যতক্ষণ তার কথা বলা বা দম নেয়া বন্ধ না হলাে। যখনই সে মুখ খুলতে চেষ্টা করেছে তখনই তাকে জোরে চেপে ধরেছে এবং তার কথা গলায় আটকে গেছে। অবশেষে সে হাল ছেড়ে দিল। তার ক্লান্ত মুখ জুগপতের মুখের উপর স্থাপন করলাে। জুগগত মেয়েটিকে তার পাশে শুয়ে দিল মাথাটা বাম কাঁধে রেখে। ডান হাতে সে তার চুল ও মুখ আঁকড়ে ধরলো।……..

…….জুগগতের অক্ষরের স্পর্শ কামনাময় হয়ে উঠলাে। তার হাত মুখ থেকে নিচের দিকে নেমে মেয়েটির স্তন ও কোমরে ঘুরাফেরা করছিল । সে হাতটা ধরে তার মুখের উপর ফিরিয়ে আনলাে। তার নিঃশ্বাস ধীর ও উত্তপ্ত । হাত আবার সক্ৰিয় হয় তার স্তনের উপর এমনভাবে এলাে, যেন ভুলবশত হয়ে গেছে। মেয়েটি হাতের উপর চপেটাঘাত করে সরিয়ে দিল। জুগগত সিং তার বাম হাত প্রসারিত করে মেয়েটির মাথার নিচে রাখলাে এবং তার সচল হাতটি ধরে ফেললাে। আরেক হাত আগে থেকেই জুগগতের শরীরের নিচে, মেয়েটির আর প্রতিরােধের উপায় নেই। ………

জুগগত তার হাত ঢুকিয়ে দিল মেয়েটির কামিজের মধ্যে এবং বাড়ন্ত স্তনের আকৃতি অনুভব করলাে। তার শক্ত হাত মেয়েটির স্তন থেকে নাভিমূল এবং নাভিমূল থেকে স্তন পর্যন্ত উঠানামা করছিল। তার পেটের উপরের ত্বক হাঁসের মাংসের মতো তুলতুলে।

মেয়েটির আপত্তি ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। না! না! না! তােমার দোহাই! আল্লাহর গজব পড়ুক তােমার উপর আমার হাত ছাড়াে বলছি। এরকম করলে আমি আর কখনো তােমার সাথে দেখা করতে আসবো না। জুগগত সিং এর সন্ধানী হাত মেয়েটির সালােয়ারের ফিতার এক প্রান্ত খুঁজে পেয়ে হেচকা টানে ফিভার গিট খুলে ফেললো।

ভালাে হবে না বলছি। মেয়েটি কর্কশ কন্ঠে বললাে।…….

‘আহম্মক চাষার মতো কথা বলাে না। কি করে জুগগত সিং তার মুখ দিয়ে মেয়েটির মুখ বন্ধ করে দিল। নিজের বিপুল দেহটা তুলে দিল তার উপর। মেয়েটি তার হাত ছাড়ানাের আগেই জুগগত আবার তার সালােয়ারের ফিতা খুলে ফেললাে।

“আমাকে যেতে দাও! আমাকে…। 

জুগগত সিং এর সাথে শক্তিতে সে পেরে উঠবে না। সে আন্তরিকঅরে জোর খাটাতেও চাইছিল না। তার বিশ্ব সংকীর্ণ হয়ে গেল নিঃশ্বাসের ছন্দময় শব্দের মধ্যে। জুগতের ধূলিময় ত্বকের উষ্ণতার গন্ধ জ্বরের তাপের মতাে তপ্ত হয়ে উঠলাে। তার ঠোট ঘুরে ফিরছিল মেয়েটির চোখ ও গালে। জিহবা দিয়ে সুড়সুড়ি দিচ্ছিল তার কানে। উত্তেজনার প্রাবল্যে সে জুগগতের হালকা দাড়িওয়ালা গালে নখ বসালাে এবং নাকে কামড় দিল। তাদের উপরে আকাশের তারাগুলাে উন্মাদের মতাে ঘুরতে ঘুরতে যেন মেরী গাে রাউন্ডের মতাে ধীরে ধীরে নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে স্থির হয়ে দাঁড়ালাে। জীবন ফিরে এলাে তার শীতল, নিম্নতম পর্যায়ে। মেয়েটি অনুভব করছিল তার উপর প্রাণহীন মানুষের ভারী ওজন; নদী তীরের স্বামি তার চুলে প্রবেশ করছিল। শীতল বায়ু বয়ে যাচ্ছিল তার নগ্ন দেহের উপর দিয়ে। আকাশের উজ্জ্বল তাঝাগুলােও যেন বাঁকা কামনাময় দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। সে জুগপত সিংকে ধাক্কা দিয়ে শরীরের উপর থেকে সরিয়ে দিল ! তার পাশে শুয়ে পড়লাে। এটাই তাে তুমি চেয়েছিলে। আর পেয়ে গেলে। তুমি আসলেই একটা চাষা। সারাক্ষণ তোমার বীজ বুনতে চাও।…….

বীনা

…….. মদন তার হতে চাপ দিতে শুরু করলাে। বীনা নড়লাে না। অতঃপর তার হাত বীনার স্তনের উপর স্থাপন করলাে। সে কেপে উঠে চেয়ারের এক প্রান্তে নিজেকে গুটিয়ে নিল। মদন শান্তভাবে আরেকটি সিগারেট ধরালাে এবং তার দিকে আর খেয়াল করলাে না।……..

….চম্পক বিছানা থেকে উঠে তার আলমারি খুললো। শাড়ির ভাজ থেকে শেভ করার সরঞ্জাম বের করে বাথরুমে প্রবেশ করলাে। সে বাথরুম অথবা আঙ্গিনার দিকে খোলা বাথরুমের দরজা বন্ধ করলাে না। মান্ডু তার চলাফেরার ক্ষেত্রে বাধা নয়। সে চাকর এবং এসব ব্যাপারে এখনাে ছােট্ট বালক। তার উপস্থিতি সম্পূর্ণ অগ্রাহ্ করলাে সে।

কয়েক মিনিট পর সে বেডরুমে ফিরে এলো, গায়ে কোন কাপড় না রেখেই। শেভিং সরঞ্জাম যথাস্থানে রেখে ড্রেসিং টেবিলের বড় আয়নার সামনে দাঁড়ালাে তার শেভের ফলাফল পরীক্ষা করে দেখার জন্যে এবং নিজের চকোলেট ব্রাউন দেহের গঠন দেখে নিজেই বিমুগ্ধ হলাে। চুল ছড়িয়ে দিয়ে সে ঘুরে দাঁড়ালাে পিছন থেকে দেখতে তাকে কেমন লাগে তা যাচাই করতে । নিতম্ব যেখান থেকে তরমুজের মতাে গােল হয়ে উপরে উঠছে তার চুল সে স্থান পর্যন্ত লম্বিত। কোমরের দু’পাশে পিছনের দিকে টোলের মতাে। আরেকবার সে পিছন ঘুরে দাড়ালাে, গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিল। হাতের তালু দিয়ে স্তন দু’টি উচু করে ধরলাে এবং আঙ্গুল দিয়ে স্তনের বােটা ঘষতে থাকলো, যতক্ষণ পর্যন্ত বােটা দু’টি জামের আকৃতি ধারণ না করলাে। এরপর মাথার উপর হাত দু’টি যুক্ত করে হাওয়াই দ্বীপের নর্তকিদের ভঙ্গিমায় নিতম্ব দোলাতে লাগলাে। সে তার পেট কুঞ্চিত করে হাত দিয়ে হাঁটু স্পর্শ করার চেষ্টা করছিল। আয়নায় মুখ দেখে নগ্ন মডেলের সকল ভঙ্গিমায় নিজেকে দেখার মহড়া দিল। আয়নায় সে নিজের পরিতৃপ্তির প্রতিফলন দেখতে পেল।.

…………পরিতৃপ্তির সাথে হেসে চম্পক বাথরুমে ফিরে গেল। যাওয়ার অাপে আঙ্গিনার দিকে দরজা ভেজিয়ে দিলেও খিল বন্ধ করেনি। বাথরুম থেকে সে পানির জন্যে চিৎকার করলো। বালতির উপর পানির ট্যাপ খুলে দিয়ে রেডিওতে ভেসে আসা গানটি শুনন করে গাইতে শুরু করেছিল সে।

মান্ডু গরম পানির পাত্রটির উপরে যুক্ত কাঠের হাতটি ধরে তুললাে। ভারী পাত্রটি নিয়ে প্রতিবারে কয়েক পা এগিয়ে থামতে হচ্ছিল তাকে। বাথরুমের দরজায় পৌঁছে সে পানির পাত্র নামিয়ে রাখলাে চৌকাঠের উপর দিয়ে ভিতরে রাখার আগে দম নেয়ার জন্যে। দু’হাত দিয়ে সে হাতলটি ধরে কপালের ধাক্কায় দরজা খুলে পাত্রটি ভিতরে নিয়ে গেল। বালতির পাশে গরম পানির পাত্র রেখে সে উপরে তাকালাে।

‘বাথরুমে ঢোকার আগে তুই আমাকে ডাকতে বা দরজায় টোকা দিতে পারলি না?”

দু’হাত উরুসন্ধিতে স্থাপন করে চম্পক তার নগ্নতা ঢাকলাে। তার কালাে চুল গলার দুপাশ দিয়ে ঝুলে পড়েছে। দুহাতের ফাক দিয়ে স্তন দেখা যাচ্ছে। মান্ডু তার কথার উত্তর না দিয়ে বােকার মতো তাকিয়ে থেকে দরজার দিকে ফিলাে।

‘আমি গরম পামি কোথায় মিশাবো? বালতি এবং পাত্র দুটিই তাে পানিতে ভরা।

মান্ডু ট্যাপ বন্ধ করে দিয়ে বালতি কাত করে কিছু পানি ঢেলে দিল এবং পিতলের একটি ছোট মগ দিয়ে গরম পানি বালতিতে ভরতে থাকলো। চম্পকের হাটু থেকে উপরে উঠছে না মান্ডুর চোখ । চম্পক যেভাবে ছিল সেভাবেই হাত দিয়ে নগ্নতা ঢেকে ছেলেটির বিব্রত দশা দেখছিল।

 ‘ভবিষতে ভিতরে আসার আগে দরজায় টোকা দিবি। মাঝে মাঝে আমার গায়ে কোন কাপড় থাকে না।……..

জর্জিন

……জর্জিন তন্বী তরুণী। মুখে ব্রণ । স্তন বিশাল। গাধার ওলানের চাইতে বড় । ARIZONA লিখিত টাইট ফিটিং সােয়েটার তার গায়ে এবং ততােধিক আঁটসাট জিনসের ট্রাউজার।……

……কোন টুরিস্টকে লালকিল্লা ঘুরিয়ে দেখাতে আমার দেড় ঘন্টার বেশি সময় লাগে। জর্জিনের লাগলাে বিশ মিনিট। আমি আপন মনে বিড়বিড় করি, কুত্তি! ওকে যা করা প্রয়ােজন তা হচ্ছে, ওর পা দুটো প্রসারিত করে জিনসের ট্রাউজার ফেড়ে ফেলে ওর তরমুজ আকৃতির বিশাল নিতম্বে প্রবলভাবে কয়েকটি চাপড় মারা এবং এরপর অস্বাভবিক যৌনকর্ম সম্পন্ন করা ।…….

…… সে জানতে চাইলাে, “আরে আপনার কি হয়েছে। যার অর্থ, আপনি আসলে আমাকে গ্রহণ করছেন না, বরং বিশাল নিতম্বের অধিকারিণী ষােড়শী শ্বেতাঙ্গিনীকে। তার ধারনাই সঠিক।……..

…..কিন্তু বাস্তবে তা সত্য নয়। কারণ তার বিশাল স্তন উরু নিতম্বের কারণে কোন পােশাকে তাকে মানানো বা শােভনীয় করার মতাে নয় সে আমার প্রশংসায় বিগলিত না হওয়ার ভান করে। …….

……….যে কোন অভিজ্ঞ খেলােয়াড় জানে যে, একজন টিন এজারের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করা অনুচিত। কারণ যখন আসল সময় আসে তখন তার জিহবা আড়ষ্ট হয়ে যায় অথবা শুধু বলে, ‘না।’ অতএব উত্তম হলাে, হাত দিয়ে দেহের সাথে কথা বলা। এর ফলে তার মাঝে বাকহীন গ্রহণযােগ্যতার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আমি তাই করি। তার কোমর পেঁচিয়ে ধরি এবং আমার দিকে আকর্ষণ করে তার ঠোট, চোখ, নাক, কান, গলায় চুমু দিতে থাকি। সে অসহায়ের মতাে গােঙাতে থাকে। তার কামিজের নিচে হাত দিয়ে স্তনের বােটা নিয়ে খেলতে শুরু করি। এরপর তার সালােয়ারের ফিতা খুলে সিক্ত উরুর মাঝে আঙ্গুল দেই। অত্যন্তু আলতােভাবে নাড়াচাড়া করার ফলে সে শিগগির চরম অবস্থায় উপনীত হয়ে গােঙাতে শুরু করে; ও গড, ও গড। সে মানুষের আকৃতির একটি রবারের পুতুলের মতাে নিঃসাড় পড়ে আছে। তার স্তনে হাত দেই। সে আমার হতে থাপ্পড় দিয়ে হাত সরিয়ে দেয় এবং উঠে পড়ে । নিজের কাপড়গুলো তুলে নিয়ে বেডরুমে প্রবেশ করে। জিন্স পরে সে বেরিয়ে আসে। ………

Please follow and like us:

Leave a Reply