অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী – আহমদ ছফা

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

পৃ-৩৭ঃ

………দুরদানা সরে এসে আমার আরাে কাছ ঘেঁষে বসলাে। আমি তার কাঁধে হাত রাখলাম। মাথার ভিজে চুলের গন্ধ নিলাম। এক সময়ে তার বুকে হাত রাখলাম। ভীত-সঙ্কুচিত পায়রার ছানার মতাে দুটো স্তন স্পর্শে কেঁপে কেঁপে উঠছে। আমি স্তন দুটো নিয়ে খেলা করতে আরম্ভ করলাম। আমার সমস্ত চেতনা তার স্তন যুগলের ওঠা-নামাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছিলাে। এই তুরীয় অবস্থার মধ্যেও একটা জিনিস আমার কাছে ধরা পড়লাে । দুরদানার বাম স্তন ডানটির তুলনায় অনেক পরিমাণে ছােটো। আমার মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক থেকে থাকলাে, এ কেমন করে হলাে! বাম স্তনটা ছােটো কেনো। তারপর আরেকটা প্রশ্ন জন্ম নিলাে। দুরদানার বাম স্তনটা দৃষ্টির আড়াল করার জন্যেই কি সে এমন আঁটোসাঁটো শার্ট পরে বুকটা চেপে রাখে।…….

পৃ-৭৯ঃ

………আমরা যে রিকশায় উঠেছি, তার খােলের পরিসর নিতান্তই সঙ্কীর্ণ। যদি আমি শরীরটা মেলে দিই, শামারোখের শরীরে আমার শরীর ঠেকে যাবে। তার স্তনের সঙ্গে আমার কনুইয়ের সংঘর্ষ লেগে যাবে। রিকশা যখন চলতে আরম্ভ করলাে আমি শামারােষের শরীরের ঘ্রাণ পেতে আরম্ভ করলাম। হাল্কা হাওয়ার টানে এক ধরনের মৃদু সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিলাে। ফুরফুরে নরম এক ধরনের ইন্দ্রিয়-অবশ-করা সুগন্ধি মেখেছে শামারােখ। আমার খুবই ইচ্ছে করছিলাে, হাত দিয়ে তার অনাবৃত কাঁধ দুটো স্পর্শ করি, তার আন্দোলিত স্তন দুটো ছুঁয়ে দেখি।……..

পৃ-১০২ঃ

……….ক্রন্দনরত অবস্থায় শামারােখের শরীর থেকে এক বিশেষ ধরনের সৌন্দর্য ফুটে বেরিয়ে আসছিলাে। তার শরীরে বয়সের ছাপ পড়েছে। তার স্তন জোড়া ঈষৎ হেলে পড়েছে। চুলের মধ্যে অনেকগুলাে রুপােলি রেখা দেখতে পাচ্ছি। তারপরও শামায়ােখ এখনাে কী অপরূপ সুন্দরী। দুধে-আলতায় মেশালে যে রকম হয়, তার গায়ের রঙ অবিকল সেরকম। উরু দুটো সুডৌল। পা দুটো একেবারে ছােটো। গােড়ালির ফর্সা অংশটাতে জানলার ফুটো দিয়ে একটা তেরছা আলাের রেখা এসে পড়েছে। বার বার তাকিয়েও আমি চোখ ফেরাতে পারছি নে। ……..

Leave a Reply