মেমােয়ারস – জিয়াকোমাে ক্যাসানােভা

›› অনুবাদ  ›› সম্পুর্ণ গল্প  ›› ১৮+  

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প

অনুবাদঃ তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
উৎসঃ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আদি-রসের গল্প
সম্পাদনাঃ সুকান্ত সেনগুপ্ত

পাদুয়াতে ডাঃ গাৎসির তৎত্বাবধানে আমি বিদ্যাভাস করছিলাম। ডাঃ গাৎসির ছােট মেয়ে পঞ্চদশী বােটিনা আমায় সাজিয়ে দিত, চুল আচড়ে দিত, আদর করত। আর কি মিষ্টি চুমুই না দিত সে। আমার বয়স তখন বারাে। নিতান্ত সেই কাঁচা বয়সেই ভালােবেসেছিলাম তাকে। আমার কিশাের মনে জেগেছিল সৌন্দর্যের তৃষ্ণা, প্রেমের নেশা। বােটিনা যেন আপন মানুষের দুতি-অচেনা মহল থেকে এসেছিল সে হৃদয়ের দখলের সীমানা বড় করে দিতে। এই সময় আরেকটি ছাত্র এসে যােগ দিল আমাদের সঙ্গে। নাম তার কার্ডিয়ানী। সে ছিল বােটিনার সমবয়সী। বােটিনা তাকেই ভালােবাসল। দারুণ আখাত পেলাম।

মনে পড়ছে বিনিদ্র সেই রাতের কথা, প্রতীক্ষার নিশ্চল বেদনার সেই ইতিবৃত্ত । ডাঃ গাৎসি কয়েক দিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। দরজা ভেজিয়ে রেখে শুয়েছিলাম। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বােটিনার আসার কথা। স্বপ্ন দেখেছিলাম, মনে মনে কত ছবি একেছিলাম-সে আসবে, আমরা মিলব। বােটিনার অনাবৃত শরীর দেখব, স্পর্শ করব তাকে, তাকে চুমু দেব-খেলব তাকে নিয়ে। অদ্ভুত একটা আবেশ ঘিরে রেখেছিল আমাকে।

ক্রমে ক্রমে কেটে এলো রাত। বােটিনা এল না। রাগে-উত্তেজনায় কাঁপছিলাম আমি। অবশেষে এসে দাঁড়াই বােটিনার দ্বারে। দরজা ঠেলে বাইরে আসে কার্ডিয়ানী। চোখে মুখে তার ঝরে পড়েছে অনেক পাওয়ার সেই আনন্দ, মিলন-মধুর সােনালি ক্লান্তি। আচমকা আমায় প্রচণ্ড একটা ঘুষি মারল কার্ডিয়ানী। আঘাত-বিষাদ আর পরাজিতের গ্লানি বয়ে নিজের ঘরে ফিরে এলাম। দোষ নেই বােটিনার, আমি যে তার চেয়ে বয়সে ছােট। আমায় নিয়ে সে কি তৃপ্তি পায়! কেমন করে মেটাব তার বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধা। কিন্তু এ কথা মিথ্যে নয়, তাকে আমি ভালােবেসেছিলাম।

। ২।

করফুতে পরিচিত হয়েছিলাম ধনী, হৃদয় বিদগ্ধ এক দার্শনিকের সঙ্গে। তিনি হলেন জশুফ আলি। তাঁর রুপবতী আর গুণবতী মেয়ে জেলমার সঙ্গে তিনি আমার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। জশুফ আলীর অনুপস্থিতিতে একদিন তাঁর বাড়ি গিয়েছিলাম। অবগুণ্ঠিতা অপরুপা এক নারীকে দেখলাম সেখানে। রেশমী বহির্বাস ভেদ করে ফুটে উঠেছে তার উগ্র যৌবনের উত্তেজক বৃত্ত আর রেখা। কামনামদির তার অঙ্গসৌরভ আমার ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে আচ্ছন্ন করেছিল। ‘ঘোমটা সরিয়ে তােমার সুন্দর মুখ আমি দেখবই’-দৃঢ় সংকল্প করে বসলাম।

মােহিনী সে যুবতীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আমায় যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। কিছুতেই সংযত করতে পারিনি নিজেকে। বুকে চেপে ধরেছিলাম সে ফুল্ল তনু। অত্যন্ত কুপিত হয়ে বলেছিল সে, ছাড়ুন আমাকে। আমি আলির স্ত্রী। কামনার তাড়নায় আপনি কাজ যা করলেন তা ক্ষমার অযােগ্য। নতজানু হয়ে আমি তার পা জড়িয়ে ধরে মার্জনা ভিক্ষা করেছিলাম।

জশফ-আলি বাড়ি ফিরলে তার তরুণী ভার্যা আমার দিকে চেয়ে মৃদু হেসেছিল। আমার অসভ্যতার জন্য কোন অভিযোগই করেনি সে আলির কাছে।

।৩।

নেপলসে অবস্থানকালে আমার জীবনে এলাে হেনরিয়েটা। তাকে বলা যায় ক্ষণিকা-সহসা এসেছিল সে, এক নিমেষেই যেন হারিয়ে গেল। ‘ ধুষর জীবনের গােধুলিতে ক্লান্ত আলােয় ম্লান স্মটিক রয়ে গেল শুধু। অনির্বচনীয় তার রুপের জলুস, সুন্দর হাসিতে উজ্জল তার মুখশ্রী, নয়ন লােভন তার পয়ােভার, মনােরম তার পেলব জঘন, মনােহর তার গৌরবরণ জঙ্ঘা। তার পেছনে জলের মতাে টাকা খরচ করেছিলাম। প্রমােদে ঢেলে দিয়েছিলাম মন। মিলনের আনন্দে হু হু করে কেটে গিয়েছিল দিন, অতিবাহিত হয়েছিল রাত। কাঁচের ওপর হীরে ঘষে লিখেছিল সে, এমন একদিন আসবে, হেনরিয়েটাকে যেদিন আর মনে পড়বে না।’

॥ ৪॥

প্যারী প্রিয়বয়স্যকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছিলাম সেন্ট লারেণ্টোর মেলায়। সাদা-মাটা এক ভােজসভায় অভিনেত্রী মরফির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার দুর্লভ সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম আর সে রাতে আশ্রয় নিয়েছিলাম তার বাড়িতে। অন্য কোন কারণে নয়-বিদেশ-বিভুই জায়গা, হন্যে হয়ে কোথায় পাব বাসস্থান।

মরফির তের বছরের ছোট বােন হেলেনের সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ হলাম। টাকার বিনিময়ে কিশােরী মেয়েটি তার শয্যা আমায় ছেড়ে দিতে চাইল। তার বিছানা দেখে অবাক হলাম আমি। রং চটা, ছেড়া, একটা মাদুর মেঝেতে পেতে শুয়ে থাকে সে। বললাম, এই তােমার বিছানা? শীতের হাত থেকে বাচ কি ভাবে ? নিশ্চই পােষাক পরে শুতে হয় ?

-না।

-তবে? আমায় দেখাবে কি করে তুমি শুয়ে থাক ? এর জন্য টাকা দেব আর ভয় নেই, আমি যে দেখব।

‘যদি আমার কোন ক্ষতি কর।

– কোন ক্ষতিই করব না। বললাম তাে, তােমায় দেখব । নিরাবণ দেহটিকে একফালি পাতলা কাপড় ঢেকে শুয়ে পড়ে সে। কাপড়ের ফাক দিয়ে উকি দিচ্ছিল তার বয়সন্ধির চিত্তহারী ঐশ্বর্য। বললাম, ‘আরও টাকা দেব যদি তুমি তােমার নগ্ন দেহটি দেখাও। রাজী হলাে সে। মেয়েটি সুন্দরী। সদ্য ফোটা ফুলের মতাে রঙ্গীন তার সৌন্দর্য। তার নবীন মুখে ইন্দ্রধনুর বৈচিত্র্য। উদার একটা বিস্তৃতি ছিল তার চোখে। সদ্য প্রস্ফুটিত স্তনদুটিতে ঝরে পড়ছে স্বর্গিও সুষমা। অবিস্মরণীয় তার অঙ্গের শােভা। অঙ্গ থেকে উত্থিত হচ্ছিল কৈশােরের মধুর উত্তাপ। কিন্তু নিসীম দারিদ্র্যে দেহের যত্ন নিতে পারেনি সে। অপরিচ্ছন্নতার অভিজ্ঞান ছড়িয়ে রয়েছে তার শরীরের যত্ৰতত্র। নিজের হাতে তার ময়লা ধুয়ে সুন্দর করে তাকে সাজিয়ে দিলাম। নিমেষ হারা চোখে তাকে দেখতে লাগলাম। তৃষ্ণা যেন আর মেটে না। প্রখ্যাত এক শিল্পীকে দিয়ে নিরাভরণ সেই কিশােরীর নগ্ন রুপের অনবদ্য একটি ছবি আঁকিয়েছিলাম।

॥৫॥

অতঃপর ভিয়েনায় উপনীত হলাম। অতিক্রান্ত হয়েছে সাতাশটি বসন্ত। পুনরায় এলো অকৃত্রিম সারল্যের প্রতিকৃতি এক কিশােরী মাদমােয়াজেল সিসি -বয়স তার চোদ্দ। সে যেন সুগন্ধী একটি ফুলের কুড়ি। সিসি-র দাদা দারুণ ধান্ধাবাজ-বােনকে দিয়ে রােজগার করাতে চায় সে।

সিসিকে সত্যই আমি ভালােবেসেছিলাম। কতবার তার কবােষ্ণ বুকের স্পন্দন অনুভব করেছি নিজের বুকে। চুমুতে ভিজিয়ে দিয়েছি তার গােলাপী ঠোঁট! গন্ডােলায় চড়ে ঘুরেছি এখানে-সেখানে। কুঞ্জবনে মিলিত হয়েছি আমরা। সিসি যেন প্রাণচঞ্চল একটা প্রজাপতি-চিৱিত পাখা মেলে আকর্ষণ করত আমাকে। খাটো ফ্রকে চমৎকার লাগত তাকে। গলিত সােনার মতাে উজ্জল তার পা দুটি।

একদিন আংটিটা লুকিয়ে রেখে সিসি আমায় খুঁজে বের করতে বলল। আসলে আমার স্পর্শ পেতে চেয়েছিল সে। আমিও তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আংটির খোঁজ করলাম। অবশেষে প্রেয়সীর তপ্ত কাঁচুলী থেকে আংটি বের করলাম। কত উষ্ঞ কত রম্য তার কৈশােরের স্তন দুটি। লজ্জায় মুখ নীচু করেছিল সে। আসঙ্গলিপ্সায় আমার তখন দ্রুত রক্ত সঞ্চালন হচ্ছিল; তার উরুর স্পর্শে রােমাঞ্চ জেগেছিল।

জীবন সঙ্গিনি রুপে পেতে চেয়েছিলাম তাকে। ভেবেছিলাম আমার ভবঘুয়ে ছন্নছাড়া জীবনে বুঝি ছেদ পড়বে। কিন্তু সিসির বাবা ৰাধ সাধলেন। বললেন তিনি, মেয়ের বিয়ের কথা ভাবা আরও বছর চারেক পরে।

একদিন তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখি তাদের গ্রামের বাড়ি ছেড়ে তারা চলে গেছে। জানিনা কোথায়।

॥৬

পুনশ্চ প্যারী। মাদাম লাম্বার্তিনীর সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেয় তিরােত্তার। এ সময় আর এক নারী শুভমিতা মাদময়াসেল মিউরের রুপের বনে হারিয়ে গিয়েছিল আমার মন। জীবন জুড়ে আবার পরশ লাগে, ভুবন ব্যেপে জাগল হরষ । দুরন্ত যৌবনের অশান্ত বন্যায় ভাসতে লাগলাম আমরা।

॥৭॥

আবার এলাম জেনিভাতে। আমার আর হেনরিয়েটার স্মৃতি বিজড়িত সেই হােটেল-দ্য-বাঁলাসে এসে হাহাকার করে ওঠে মন। সে আলােছায়া আলপনা একে যায় আমার চিন্তারাজ্যে। সহসা চোখে পড়ে কাঁচের ওপর অক্ষয় হয়ে রয়েছে হেনরিয়েটাকে স্টে লেখা-এমন একদিন আসবে হেনরিয়েটাকে যেদিন আর মনে পড়বে না।

॥ ৮॥

ফোরেন্স অপেরায় অভিনেত্রী টেরিসাকে দেখলাম সতের বছর পরে। আশ্চর্য। কিভাবে জয় করল সে বয়সের জীর্নতাকে? আরও সজীব, আরও লােভনীয় হয়েছে সে। আর আমি কী বােকা ! নির্বোধের মত তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করে বসলাম টেরিসার বাড়ির ঠিকানা। মাত্র দশ মাস আগে টেরিসার বিয়ে হয়েছে পালেসির সঙ্গে। 

টেরিসার ফ্লাটে গেলাম। পালেসির সামনেই আমরা আলিঙ্গনাবদ্ধ হলাম। বহুদিনের অদেখার পর তাকে দেখে নিজেকে সংযত করতে পারিনি। আমাদের দুজনের চোখই জলে ভরে উঠেছে। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসে রইল বেচারা পালেসি। টেরিসা তার স্বামীকে বলে, জান, মসিয়ে কাসানোভা আমার পিতৃতুল্য। চলার পথে তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি অকুণ্ড স্নেহ আযর ভালােবাসা।

পালেসি আমার জন্যে এক কাপ চকোলেট আনতে গেল। ইত্যবসরে টেরিসা আমায় জড়িয়ে ধরল। বলে, একদিন আমার যৌবনকে জাগিয়ে তুলেছিলে তুমি। সাংসারিক সুখের সেইসব সিক্ত মুহুর্ত আজও অক্ষয় হয়ে বিরাজ করছে আমার মনে। আমার প্রতিটি লােমকূপে আজও লেগে আছে কামনামদির তােমার স্পর্শ।

কতদিন পরে দেখা, গল্প কি আর শেষ হতে চায় ! সহসা সজীব সতেজ এক কিশাের ঘরে ঢোকে। আমার সঙ্গে কি অদ্ভুত মিল। আমি, টেরিসা আর পালেসি ছাড়া আরও কয়েকজন ছিল ঘরে। সকলেই একবার আমার দিকে, একবার ছেলেটির দিকে তাকাচ্ছিল। টেরিসা বলে, সিজারিনাে, আমার ভাই। গান নিয়েই মেতে থাকে।

সকলে চলে গেলে টেরিসা আমার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলে, ‘মশাই, সিজারিনো তােমার ছেলে-বুঝলে? সিজারিনােকে চাইলাম অনেক করে। টেরিসা কিছুতেই রাজী হলাে না। বললে, ‘সােনার খাঁচায় আমাদের সেইসব দিন, তােমার-আমার অবাধ মিলনের কথা মনে হয় সিজারিনােকে দেখে। ওকে ছাড়তে পারবনা কিছুতেই।

আবার আমার যাত্রা হলো শুরু। রোমে দুটো দিন কাটিয়ে ট্যুরিন যাত্রা করলাম।

॥৯॥

লন্ডন, জেনােয়া, ত্ৰিয়েস্ত, কনস্তান্তিনােপেল, মাদ্রিদ, পিটার্সবার্গ, বার্লিন, ভিয়েনা, ওয়ারশ—যেখানেই যখন গিয়েছি বিচিত্র রুপিনী নারীদের মধুর সান্নিধ্য লাভ করেছি। ভালবেসেছি তাদের, পেয়েছি তাদের ভালােবাসা। কখনও বা তাদের নগ্ন শরীর নিয়ে খেলা করেছি। আমার স্মৃতিকথা এক অবিবাহিত মানুষের অর্জিত অভিজ্ঞতার আলেখ্য যার জীবনের মূল লক্ষ্য হলাে ইন্দ্রিয়াসক্তি এবং সুখ সম্ভােগ।

ভেবেছিলাম এড়িয়ে যাব কিন্তু পারলাম না। কাউন্টের স্পেনীয় স্ত্রীকে দেখার ইচ্ছে জাগল। কিন্তু কী গভীর, কী নীরস সেই মহিলা! তিরিক্ষি তার মেজাজ। আর একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল এ সময়! কমনীয় জেনােরিয়া-চড়া, হাসি-খুশি। তার নরম হাতে চুমু দিতে গেলে সে আমার নিবৃত্ত করে। বলে, ‘মসিয়ে, একজনের আমি বাগদত্তা।

॥১০

অতপর লণ্ডন। রুপীয়সী মাকোলিনাকে পেয়ে জীবনের মূল্য গেল বেড়ে। তাকে পৌছে দিতে হবে ভেনিসে। ভারি সুন্দর ছিল তার অবিন্যস্ত কেশরাশি আর অনুপম তার দেহসৌষ্ঠব। পর্তুগালের মেয়ে মিস পালিনের নরম হাত চুমুতে ভরিয়ে দিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে পেয়েছিলাম অমৃতােপম চুম্বন। বলেছিল সে, যতদিন আমরা একসঙ্গে থাকব নবদম্পতির মতাে প্রতি রাতে আমরা মিলিত হব।

রাশিয়ার তরুণী নর্তকী নিনা স্বতপ্রণােদিত হয়ে আমার সঙ্গে আলাপ করতে এসেছিল। প্রতি সন্ধ্যায় যেতাম তার ঘরে। কাউন্ট রিকলারের রক্ষিতা ছিল সে। তার কলংকিত জীবনের কাহিনী অকপটে বিবৃত করেছিল সে। তার মন ছাড়া দেহ উপভােগ করেছিল অনেকে।

বার্সিলােনার আমেলিনা ছিল বড় সরল। তাকে বলেছিলাম, আমায় একটা চুমু দেবে। লজ্জায় মুখ নীচু করেছিল সে। পরে অযাচিতভাবে অনেক চুমু পেয়েছিলাম তার কাছ থেকে। স্কোলাস্তিকাকেও ভালাে লেগেছিল।

স্পার্সাতে হঠাৎ আলাের ঝলকানির মতাে আমার জীবনে এসেছিল আরেকটি রমনী। প্রতি রাতে আমায় দেহ দান করেছিল সে।

One thought on “মেমােয়ারস – জিয়াকোমাে ক্যাসানােভা

Leave a Reply