মধ্যরাতে অভিসার – সুমন চৌধুরী

›› পেপারব্যাক  ›› ১৮+  

………হেলেনের যখন সতেরো বছর, তার শৈশবের সৌন্দর্য যৌবনে বিকশিত হয়েছে। কঠিন ও তুঙ্গ স্তন, চিকন কোমর, সুটোল নিতম্ব এবং ছন্দিল পা ও গােড়ালি। গলার স্বর নরম। তার ব্যক্তিত্বে তীব্র যৌন আবেদতের ছাপ।………

……..একদিন দোকান বন্ধ হবার ঠিক আগে এক খদ্দের আসায় লাশ হেলেনকে কয়েকটা ড্রেস পরে দেখাতে বলে। কাজ শেষ হবার পর পেছনে অফিসে হিসেব মেলাতে ব্যস্ত মাদাম লাশ। দোকানে মসিয় লাশ ও হেলেন ছাড়া আর কেউ নেই।

ড্রেসিং রুমে ঢুকে পোশাক বদলাচ্ছিলো হেলেন। এখন তার পরণে স্রেফ ব্রা আর প্যান্টি। ঠিক এই সময় ভেতরে ঢোকে মসিয় লাশ। তার দৃষ্টি অস্বাভাবিক ও ঠোট দুটো কাপছে। তাড়াতাড়ি পােশাকের দিকে হাত বাড়ায় হেলেন। কিন্তু তার আগেই হেলেনের দুপায়ের ফাক নিজের হাত গলিয়ে শক্ত করে টেনে ধরে লাশ বলে, তুমি সুন্দরী। আমি তােমাকে খুশি করবো। সেই মুহর্তে লাশ তার বউয়ের ডাক শুনে অনিচ্ছা সত্বেও তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।………

……..মেয়েকে গাড়িতে চাপিয়ে ভিয়েনে উইক-এঞ্জে ফুর্তি করতে যাচ্ছে মসিয় লাশ।

হোটেলের ঘরে চলে বেড, সস্তা ফারনিচার, ওয়াশষ্ট্যও, বেসিন। টিপস পেয়ে বেলবয় বিদেয় হতেই হেলেনের পােশাক খুলতে শুরু করে মসিয়ে লাশ। ওর নিটোল স্তনদুটো সে তপ্ত ও ভিজে হাতে টেপে। স্কার্ট ও প্যান্টি খুলে নিয়ে ওকে বিছানায় ফেলে দেয় লাশ। হেলেন নড়াচড়া করেনা, প্রতিবাদ করে না। তার কানে আসে বাবার কণ্ঠস্বর, ‘মসিয়” লাশের মত দয়ালু ভদ্রলোক তোমার ভার নিতে চাইছেন, এজন্যে তোমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ।

লাশ পােশাক খুলে মেঝেয় ছুড়ে দেয়। বলে, ‘ইউ ফাভ নেভার বী ফাকড ? তোমার বাবা বলেছিলো, তুমি নাকি কুমারী ? পুরুষ কাকে বলে এবার তােমায় দেখাবাে।’ লাশ ভুড়িটা এখন হেলেনের পেটের ওপর, যোনির ভেতরে শক্ত হয়ে খেচা দিচ্ছে তার পূরষাঙ্গ। এই কুৎসিত শরীর, এই জান্তব মুখ, এই সেই প্রিন্স যার জন্যে তার বাবা তাকে অযোগ্য কারো কাছে কৌমার্য নষ্ট করতে দিতে মানা করেছে ? এই সেই রাজকুমার ? বাবার নতুন পাইপ, নতুন অ্যাট, ছিক, রােষ্ট ওরই পয়সায় কেনা ? এবং তখনই রাজকন্যার মৃত্যু হয় এবং বেশ্যার জন্ম হয়। ……মসিয় লাশের শরীরের নীচে শুয়ে যােনির ভেতর পুরুষাঙ্গের চাপ এবং মেয়েলী শরীরের প্রতিক্রিয়া অনুভব করে ও। মাঝবয়সী স্ত্রীর শরীর এবং মাসেইর বেশ্যদের ক্লান্ত শরীরে অভ্যস্ত লাশ এক কুমারী যুবতীকে শরীরের নীচে পেয়ে ভাবছে যেন কোন অঘটন ঘটে গেছে।

যৌনমিলন শেষ হলে হেলেন বলে, ‘চুপচাপ শুয়ে থাকো তারপর সে শয্যাসঙ্গীর শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় জিভ ও ঠোট বুলিয়ে পুরুষকে কিভাবে পাগল করে দেওয়া যায় তাই নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে। ব্যাপারটা এতাে সহজ, হেলেন ভাবে, প্রেমের শয্যা তার স্কুল, তার শিক্ষার ক্ষেত্র। এবং এইভাবে পুরুষরা তার ক্ষমতার অধীনে আসবে।

তিনদিন হোটেলে কাটলো ওরা। একবারও ওরা ‘ল পিরামিড নামের সেই বিখ্যাত রেস্তোরাঁয় যায়নি।

এর আগে দোকানের মেয়েদের সঙ্গে ফুর্তি করেছে লাশ। বেশ্যাদের সঙ্গে দরদাম করেছে। রক্ষিতাদের উপহার দিতে কার্পণ্য করেছে। কিন্তু মাসেইতে ফেরার সময় তার মনে হয়, সে ফ্রান্সের সবচেয়ে সুখী।……..

………সমেত ছােট্ট ড্রেসিং টেবিল, বিচ্ছিরি এক ইজিচেয়ার এবং ভাঙাচোরা একটা রেডিও। এখানে ছেলেরা মেয়েদের নিয়ে আসে শুধুমাত্র যৌনসংগমের উদ্দেশ্যে। রন এখন দরজা বন্ধ করছে, খিল লাগাচ্ছে। অর্থাৎ আজ রাতে পুলিশের ভাইস স্কোয়াড এখানে হানা দিলে এই ঘরে পুলিশকে দরজা ভেঙে ঢুকতে হবে। উলঙ্গ ক্যাথরিনকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে দু’জন পুলিশ, ফটো তুলছে শিকাগাে ডেইলি নিউজের ফটোগ্রাফার, মনে মনে কল্পনা করে ক্যাথি।।

‘ক্যাথি, তােমার কী নার্ভাস লাগছে ? জিজ্ঞেস করে রন ।

‘নার্ভাস ? বােকার মত কথা বােলোনা। ঝুঁপিয়ে কথা বলার চেষ্টা করে ক্যাধি। ‘ক্যাথি, তুমি আগে কখনাে পুরুষের সঙ্গে শুয়েছেতো ?”

কতবার শুয়েছি, লিখে রাখিনি। কতজনের সঙ্গে শুয়েছি, তারও স্কোরকার্ড নেই।’ …..

ওকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে গিয়ে ওর মুখে ডিমের গন্ধ পায় ক্যাথরিন, ওর স্তনে হাত বোলাচ্ছে রন, ওর মুখের ভেতরে তার জিভ। ক্যাথরিনের গােপন ত্রিকোণের আড়ালে কামনার মধু ঝরে যায়। ‘তুমি পােষাক খেলো। আমি দেখবো’, রন বলে।

আস্তে আস্তে চেন খুলে পোষাক খেলে ক্যাথরিন। ভেতরে ব্রা, প্যান্টি। বিছানায় বসে জুতাে মােজা খুলছে ক্যাথি।

পেছন থেকে তার ব্রার হুক খুলে দেয় রন, তারপর ক্যাথরিনকে দাড় করিয়ে তার প্যান্টি টেনে নিচে নামায়। প্যান্টিটা মেঝেঙে খসে পড়লে চোখ খােলে ক্যাথি। 

রন একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে। শেষ পর্যন্ত বলে উঠলাে, ‘মাই গড, ক্যাথি, তুমি সত্যিই সুন্দরী!

রন নিচু হয়ে চুমু খেলে ক্যাথির স্তনে। নিজের শাট, টাই, বেল্ট, প্যান্ট, শর্টস, জুতো, মােজা খুলছে।

ক্যাথি ভাবছে, আয়নায় সবকিছু ফরাসী ব্যঙ্গরসাত্মক নাটকের পরিবেশের মতন। কিন্তু আমার গোপন ত্রিকোণ কামনায় গুপ্ত ধারা বলে দিচ্ছে, এথেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই।

আবেগভরা গলায় রন বলছে, ‘সত্যি বলছি, ক্যাথরিন, তোমার মত সুন্দরী মেয়ে আমি কখনাে দেখিনি। ক্যাথরিনের আতংক এই কথায় যেন আরাে বাড়ে। রন দাড়িয়ে আছে। উলঙ্গ, অধীর, মুখে প্রত্যাশার হাসি। তার শর্টস মেঝেয় খসে যায়। রনের পুরুষাঙ্গটা শক্ত হয়ে দাড়িয়েছে। পুরুষের ওই জিনিষটা জীবনে কখনো দেখেনি ক্যাচ্ছি। নিজের দিকে একবার তাকিয়ে মুচকি হেসে রন বলে, ‘পছন্দ তো ??

ক্যাথরিন না ভেবেই বলে, ‘কুচি কুচি করে, রাই, সর্ষে আর লেটুস দিয়ে..’ এবং ক্যাথরিন দাড়িয়েই থাকে। রনের উত্থিত লিঙ্গ ওর চোখের সামনে নিচে নেমে যায় !! কৌমার্য হারানোর অভিজ্ঞতা লাভ কপালে নেই ক্যাথির। ……….

Leave a Reply