……..দশ মিনিট আগেই মারিয়ার রুমে নক করলাম। তােয়ালে জড়িয়ে ভেজা শরীরে দরজা খুললে ও। চুল দিয়ে পানি ঝরছে টপ টপ করে। চোখে দুষ্টুমীর ভাব। ‘এত্তো তাড়াতাড়ি। বলেই পিছিয়ে গেলাে। ঢুকলাম ওর ঘরে। দরজাটা বন্ধ করে আমার দিকে তাকালাে। হাসছে মারিয়া। এক মুহূর্ত চেয়ে থেকে চট করে তােয়ালেটা নামিয়ে দিলাে। ‘সময় মতাে চলা একটা গুণ, কী বলে? ওর নগ্ন শরীরের ওপর চোখ রেখেই কথাটা বললাম। বিকিনি ছাড়া ওকে আরেকটু লম্বা দেখাচ্ছে। ঠিক যেন ব্রোঞ্জের দেবীমুর্তি। জানালার ফাঁক গলে বিকেলের আলাে ঢুকেছে ঘরে। বাতাস বইছে এলােমেলাে। চুলগুলাে দুলিয়ে সামনে এগুলাে মরিয়া। চোখেমুখে আমন্ত্রনের আভাস। ওর ভেজা নরম তুলতুলে শরীর ততক্ষনে আমার বুকে পিষ্ট হচ্ছে ! ভয়ানক গরম শরীর। ঠোট দুটো ইষৎ ফাক হলো। আমি জিভ ঢুকিয়ে দিলাম ওর মুখের ভিতর। মুখটাকে ঝটকা মেরে সরিয়ে নিলাে মারিয়া। দম নিচ্ছে। ‘আমি জানতাম এরকমই হবে। তােমাকে বীচে দেখার পরই আমার তা মনে হয়েছিলো। ‘আমি তাে মনে করেছিলাম তুমি ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল। ওর নিতম্বে হাত ঘষতে ঘষতে জবাব দিলাম। ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে। একটু পরে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো মারিয়া। ড্রয়ারের কাছে গিয়ে একটা প্যাকেট থেকে দুটো সিগারেট বের করে ধরলো। হেসে একটা আমার হাতে দিলাে। তারপর বিছানায় গিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লো। পা দুটো সামান্য ফাঁক করা। সিগারেট ফুকতে ফঁকতে কাপড় খুলছি আমি। চোখ দুটো আধবোজা করে শুয়ে আছে মারিয়া। থেকে থেকে পাছাটা নাড়ছে। কাঁধের হােলস্টার খুলে কোটের পকেটে রাখলাম। হুগাে আর পিয়েরীকে নিয়েই যত ঝামেলা। বিছানার ধারে বলে মারিয়াকে আদর করছি। স্তন দুটো চটকাচ্ছি আর সিগারেট ফুকছি। মারিয়াও সিগারেট ফুকছে। ওর মসৃন উরুতে হাত রাখতেই চোখ দুটো বন্ধ হলো ওর। একটু গােঙানীর সুর তুলে হাঁটু দুটো আরাে ফাঁক করলাে। সিগারেটে শেষ টান দিলাম। নিচু হয়ে চুমু খাচ্ছি মারিয়াকে। যদিও শরীরের সাথে শরীরের সংযােগ নেই। দ্রুত হুগােকে মেঝেতে ছুড়ে মারলাম। ……….
………নিচু চেয়ারে বসে আছে মারিয়া। সােনালী পা দুটো হাঁটু পর্যন্ত খােলা। আঁটোসাটো শাদা পােষাকের ভেতর থেকে স্তন দুটো বেরিয়ে আসতে চাইছে। ….
…… ঐ লােকটার পেছনেই দেখা গেলো একটা মেয়েকে। দেয়ালের পাথরের সাথে বাধা। বয়স চব্বিশের মতাে। পাতলা একহারা গড়ন, লালচুল। বেশ সুন্দরী। ভয় পেয়েছে মেয়েটা। সামনের উৎসব দেখছে আতঙ্কের দৃষ্টিতে। দেখেই বুঝতে পারলাম মেয়েটা শীলা টাসলার। নৃত্যরত লােকগুলাে চিৎকার করে কীসব বলছে। ওদের সবার ক্ষুধার্ত চোখ অর্ধনগ্ন মেয়েটির দিকে। মেয়েটার পরনে শাদা একটা ঢিলেঢালা হাফপ্যান্ট। কোমড়ে সোনালী দড়ি দিয়ে আটকানো শরীর কাঁপছে মেয়েটার। তার সুগঠিত স্তনদুটো পাতলা সূতীর কাপড় দিয়ে আটকানাে। শরীরে সাথে এমনভাবে কাপড়টা সেটে আছে যে মনে হচ্ছে ওটা দ্বিতীয় চামড়া। …….
………কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে সন্তর্পণে ঢুকে পড়লাম মারিয়ার রুমে। মারিয়া ওরা শাদা ঢোলা ব্লাউজ্জটা মাথার ওপর দিয়ে ধীরেসুস্থে খুলছে। নিচে আর কিছু নেই। ওর অদ্ভুত সুন্দর স্তন দুটো উন্মুক্ত হলাে ধীরে ধীরে। চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো সে কিছুক্ষণ। তারপর হাত তুললাে। শরীর টানটান করে কাত করলো মাথা। তারপর স্কার্টের বোতাম খুলে ফেললো। বৃত্তের মতো গােল হয়ে মাটিতে খসে পড়লাে ওটা। এখন পুরোপুরি নগ্ন সে। পায়ে পাতলা চামড়ার স্যাণ্ডেল ছাড়া আর কিছু নেই ওর শরীরে। সে ঘুরলো ধীরে ধীরে। দেখে ফেললাে আমাকে। আমাকে দেখে অবাক হলো সে। এগিয়ে গিয়ে ওর মুখে হাত চেপে ধরলাম। টেনে আনলাম আমার কাছে। শরীর বাকালো সে ‘সুন্দরী ! বলো তাে এবারে কি করা হচ্ছে এখানে ? আমি চাপা কণ্ঠে বললাম ! ………