রাণী মৌমাছি – সৌরভ ঘটক

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

….চতুদিকে যাবতীদের সংখ্যাই বেশী এবং তাদের সিন্থেটিক শাড়ীর নিচে ঝোলা পেট ও অনাতে নাভিচক দেখে মনে হতে পারে এখানে কোথাও একটা সন্দরী প্রতিযোগিতা চলছে। ওফেলিয়ার মতো দেখতে সেই সব নারীরা পরষদের কে ঈর্ষার আগুনে জেলে দিতে দিতে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে।…..

…..প্রিয়াঙ্কার এই পাঞ্জাবীটা যে বেশ প্রভোকেটিভ–তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পিছন থেকেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল ব্রেসিয়ারের প্রলংন্ধকারী শঙ্খিনী বাতাবরণ এবং কিছুটা বাতিষ্ণ, স্তনাগ্র । যার আকর্ষণে মেলার মধ্যে অনেকেই তার দিকে ফিরে ফিরে তাকাতে বাধ্য হচ্ছিল।….

…..চোখের সামনে ঝোড়ো হাওয়ায় একটা বন্ধ দরজা যেন হঠাৎ দাম করে খালে গেল আর সেই খোলা দরজার ফাঁক দিয়ে প্রতিভাত হলো পরিচিত এক কিশোরীর নন বঙ্কিম দেহ। স্বাতী বিবস্ত্র অবস্থায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আয়নার প্রতিবিম্বের দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে আছে। ঠোঁটের কোণে জলকন্যাদের চাপা হাসির মতো লাজকে কিছু বিষণ্ণ একটা হাসি লেগে রয়েছে । হাল্কা নীলাভ ফিনফিনে স্বচ্ছ নাইটির তলা দিয়ে ধনুকের ছিলার মতো টান-টান জেগে ছিল তার তেরো বছরের সঠাম শরীর (স্বাতী নাইটির তলায় কিছুই পরেনি। ফলে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল তার কচি বুক দুটো। যা কিনা বড় লাবণ্যময় এক অদ্ভুত। নিঃশ্বাসের তলে তালে বুক দুটো ঘন-ঘন উল আর নামছিল । মোমের তা উজ্জ্বল ফর্সা পা- দুটো নাচের মুদ্রায় স্থির। স্বাতী এই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আমাকে হঠাৎ অবাক করে দিয়ে নাইটিটা গা থেকে খুলে ফেলল ( আমার মনে হলো খোলোস ছেড়ে যেন সত্যি সত্যি এবার আবির্ভতে হলো কোনো নন দেবদাসী, নর্তকী অথবা কিন্নরী)।….

….গরম হচ্ছিল। প্রিয়াঙ্কা এক টানে খালে ফেলল জামাটা। আত্মরক্ষা করার এখন কোন মানেই হয় না। এখন একটাই মাত্র রাস্তা খোলা আছে সামনে সমর্পণের, নিবে- দনের, আত্ম-নিরঞ্জনের।

এই আলোটা নিভিয়ে দাও মৌ। বড্ড চোখে লাগছে। শমী চোখের ওপর হাত রেখে চাপা গলায় বলল । প্রিয়াঙ্কা তাকাল শমীর দিকে। তারপর হাসি হাসি মুখে করে বলল, কেন ? আলোটা থাক না। লজ্জা করছে ?

লজ্জা ! লজ্জা কেন করবে ? আলোতে তোমাকে অনে ক বা র দেখেছি। এবার অন্ধকারে দেখব।

আলো নিভে গেল। অন্ধকারে দুটো ছায়া-মতি মখোমাখি এগিয়ে এল । শমী দু’হাতে জাপ্টে ধরে প্রিয়াঙ্কার কপালে চলে মাখে নাকে চোখে পাগলের মত চামা খেতে লাগলো । প্রিয়াঙ্কার মুখের ওপর গরম নিঃ- শ্বাস পড়তে লাগলো ঘন ঘন। প্রিয়াঙ্কার দম বন্ধ হয়ে আসছিল । সে চাপা গলায় বলল, এখানে নয়, এই খানে । কোথায় ! এইখানে ।

তাহলে এই কাঁচুলিটা খুলতে হবে যে

ইচ্ছে হলে খুলে দিতে পারো।

হুকটা কোথায়, হক-

আছে কোথাও…খুজে নাও

দূর এটা খুলছে না– ওয়েট। জাষ্ট এ মিনিট। টানাটানি করলে ছি’ড়ে যাবে যে— আমি জলছি। তাড়াতাড়ি করো।

কেন যে এসব করো ?

একটু ধৈয্য ধরতেও পারো না !

হাসির শব্দ, সেই সঙ্গে চাড়ির টুংটাং সিঞ্জিরনী শোনা গেল। অন্ধকার ডিসটেম্পার করা ঘরে শব্দগুলো প্রতিধ্বনি তুলতে তুলতে ভেসে বেড়াতে লাগলো। বেশ বোঝা যাচ্ছে অন্ধকারে পিঠের পিছনে হাত দিয়ে ব্রেসিয়ারের ফাঁসকল খলেছে। দেয়ালে তাই একটা নগ্ন ছায়া পড়েছে তারই প্রতিকৃতি নিয়ে । যতো ঝামেলা। যৌবনের জ্বগ- ভামি আমেরিকায় কিন্তু এসব খুচরো ঝামেলা নেই। কলকাতার প্রাগক্তে দেশ থেকে আগত দেশ থেকে আগত যৌবনে যোগিনী হিপি মেয়েদের দিকে তাকালে বেশ বোঝা যাবে ব্রেসিয়ার পরার প্রথা-টাকেই ওরা কেমন আস্তে আস্তে তুলে দিচ্ছে, আদির পাঞ্জাবীর নিচে লগবগ লগবগ করে দলেছে ওদের যৌবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কিছুদিন আগে সানফট্রান্সসিসকোর একটা নাম করা কলেজের একজন ছাত্রীকে ৱা এবং প্যান্টি না পরে কলেজে আসার দরপূণ খুব দুর্ভোগ পোয়াতে হয়েছিল।…………