উজানস্রোতে – নির্মাল্য সেনগুপ্ত

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

…..স্নিগ্ধা বোধহয় ঘুমিয়ে পড়েছে। ওর গাঁয়ের কম্বলটা কুঁকড়ে বরফে ঢাকা পাহাড়ের মতো দেখাচ্ছে। হঠাৎ আমার পর্বতারোহী হওয়ার শখ জাগল। আলতো করে মাথার উপর দিয়ে চাদরটা সরালাম। স্নিগ্ধার চোখের পাতাগুলো খুব বড় বড়। খুব মায়াবি দেখতে লাগে। ওর কপালে একটা চুমু খেলাম। কাঁচা ঘুম ভাঙলে মুখ করবে না তো আবার? আমার সারা শরীরে হঠাৎ উজান এল। আত্মসংবরণ করতে পারলাম না আমি। স্নিগ্ধার ঠোঁটে গাঢ় লাল রঙের আধমোছা লিপস্টিক। সেই খুনখারাপি লালে আমার ঠোঁট মিশিয়ে দিলাম। হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গায় স্নিগ্ধা চমকে উঠে আমায় ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইল। এই প্রত্যাখ্যান আমার বহুপরিচিত। আমায় স্মৃতি কুয়াশা ঘিরে ধরেছিল। সেগুলোকে মুহূর্তের মধ্যে সাফ করে ভীষণ পুরুষালি ভঙ্গিতে স্নিগ্ধাকে কাছে টেনে নিলাম। ওর পরনে সালোয়ার কামিজের উপর সোয়েটার। শুধু কম্বলে এই শীত মানে না তাই। কিন্তু কাম উত্তেজনায় ওর শরীর এখন উত্তপ্ত। বুঝতে পারলাম স্নিগ্ধাও সাড়া দিয়েছে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের ফোটা জমছে। তার উপর নিয়ন আলো পড়ে অবিকল পাহাড়ের গায়ের আলোকবিন্দুগুলোর মতন লাগছে। স্নিগ্ধার উপর আমি আবার প্রাণের উৎস খুঁজে পেলাম। একটানে ওর কম্বলটাকে পাশে সরিয়ে দিলাম। ব্যাটা ‘কাবাব মে হাড্ডি’র মতন মাঝখানে ঝুলছিল। পাগলের মতো সোয়েটারের বোতাম হাতড়াচ্ছি আমি। ও আমার মাফলার খিমছে ধরেছে। বুক থেকে আস্তে আস্তে স্নিগ্ধার নাভিকুণ্ডে পৌঁছেছে আমার জিহ্বা। ঘামছে, আমার অর্ধাঙ্গিনী তথাকথিত জিরো সেন্টিগ্রেডের কম উষ্ণতায় ঘামছে। আহ, এ এক পুরুষের কাছে বিরাট পাওনা। আমরা ধীরে ধীরে পরষ্পরের সঙ্গে মিশে সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত হচ্ছি। এস এস কামদেব, মত্ত কর নরনারীকে, শরীরে শরীরে ঘষায় দাবানল সৃষ্টি হোক। সম্পন্ন হোক মধুচন্দ্রিমা উৎসব।
নগ্নতাও কত সুন্দর। সফেদ চাদরের বিছানায় আমরা পরস্পরের আলিঙ্গনপৃষ্ঠ হয়ে শুয়ে আছি। স্নিগ্ধার মাথা আমার বুকে। মাঝেমাঝে হৃৎপিণ্ড ঘেঁষে চুমু খাচ্ছে আমায়। আমি আরও চেপে ধরছি।
চোখটা লেগে এসেছিল। স্নিগ্ধা অস্ফুটে বলে উঠল, “কম্বলটা টেনে নাও। শীত করছে তো এবার।” আমি হেসে বাঁ পাশ থেকে আমার কম্বলটা টেনে নিলাম। ওর দোসরটি খাটের এক কোনায় অনাদরে পড়ে রইল।…..

….উজান চলে যাচ্ছিল। আমি হ্যাংলার মতন ওর সুগঠিত নিতম্বের দিকে তাকিয়েছিলাম। হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেছিল, “তিস্তা নদী নিয়ে একটা কবিতা লিখে দেখাও দেখি…”….

…..দুপুরবেলায় কলেজের পিছনের ধু ধু করা মাঠের মাঝখানে গাছের নিচে শুয়ে থাকার মজাই আলাদা। তার সাথে যদি উপাধান হয় উজানের কোল। এই অ্যাঙ্গেল থেকে উজানকে আরও সুন্দর লাগত দেখতে। ওর সুউন্নত বক্ষের আড়াল থেকে ওর চোখগুলো লুকোচুরি খেলত আমার সাথে।…..

….ধরেছিলাম তিনতলার একটা ফাঁকা ক্লাসরুমে। চারিদিকে ভাঙা টেবিল-চেয়ার, ব্ল্যাকবোর্ড, আবর্জনা। উজান হাঁপাচ্ছিল। আমি হাঁপাতে হাঁপাতে ওর পাশে দাঁড়ালাম। ও কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিল, “কি সেক্স করতে ইচ্ছে করছে?”
আমি ওর কানটা মুলে বলেছিলাম, “খুব পাকা মেয়ে তুই জানিস? ধরে মারতে হয় তোকে।”
এরপর আর সময় নষ্ট করিনি। একটা তিন ঠ্যাঙের কোনওমতে দাঁড়িয়ে থাকা টেবিলে ওকে শুইয়ে দিয়েছিলাম। কাঁপা হাতে ওর জিন্সের বোতাম খুলতে খুলতে বোকার মতন জিজ্ঞেস করেছিলাম, “ভয় করছে না?” উজান লাজুক হেসে বলেছিল, “হ্যা, অত দাড়ি। প্লিজ ডোন্ট গো বিলো দ্য বেল্ট…” আর নিজেকে আটকাতে পারিনি। পাগল হয়ে গিয়েছিলাম, এমনকি ওর কথাও রাখিনি।…..