…..আশ্চর্য আকর্ষণ রয়েছে। সবিতার নিরাবরণ শরীরে। অন্যদিকে এখন তার রয়েছে অবাধ স্বাধীনতা। সেই নিষিদ্ধ রূপকথায় ডুব দিল বিজন।
সবিতার সুগঠিত শরীর যেন টেনে রেখেছিল বিজনকে। বিজন ভেবে দেখেছে অনেক। সে কি সত্যিই ভালোবাসে সবিতাকে। বারবারই উত্তর এসেছে, না। বিজন বোঝে, কেবল সবিতার শরীরের আগুনে পতঙ্গের মতো পুড়বে বলেই সে ছুটে যায়। সবিতা সুলভ। কিন্তু আজ পর্যন্ত সবিতাকে সে সম্পূর্ণভাবে পেল কই? পায়নি বলেই, প্রত্যেকদিন আকর্ষণটা আরও তীব্র হচ্ছে। শনিবার সবিতাকে নিজের বাড়িতেই নেমন্তন্ন জানিয়ে বসল বিজন। সবিতা চোখ টিপে হেসে বলল, ‘ভালোই হল। আমার মা-ও আসছে। কাজেই বাড়িতে ওসব হবে না।’
অফিস ছুটির খানিক আগেই বেরিয়ে পড়ল ওরা। নীল মারুতি সেদিন প্রথা ভেঙে অন্য রাস্তা ধরে বিজনের বাড়ির সামনে এসে থামল। কিছু শোনার মুডে ছিল না বিজন।…..
…..দরজাটা বন্ধ করেই সে পাঁজাকোলা করে তুলে নিল সবিতাকে। নিয়ে এল ওদের শোয়ার ঘরে। সবিতার আপাদমস্তক সে চুম্বনে ঢেকে দিল। তারপর এক এক করে সরাতে থাকল সবিতার পোশাকের জঞ্জাল। প্রথমে অল্প বাধা দিয়েছিল সবিতা, তারপর নিজেই সেগুলি খুলতে বিজনকে সাহায্য করতে থাকল। দুজনের শ্বাস গাঢ় ও দ্রুততর হল।
সবিতার নগ্ন শরীরটিকে আড়াল করে দাঁড়াল। এই ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই তৃষ্ণার সঙ্গে কেটে গেছে কত মধুরজনী। সেই কথা মনে পড়তে লাগল। এই ঘরের দেয়াল, জানলার পর্দা, পাপোশ, বালিশ, বিছানার চাদর— সব, সবকিছুর মধ্যে তৃষ্ণার কোনও না কোনও স্মৃতি রয়ে গেছে। চেষ্টা করেও বিজন সেই স্মৃতির বাইরে আসতে পারছে না।
অথচ, চার দেয়ালে সীমায়িত এই ঘরে নির্জন নরম নীল আলোয় শরীরী আশ্লেষের সমস্ত উপাদান মজুত ছিল। কী বিজন, কী সবিতা, কারও শরীরে এতটুকু সুতো পর্যন্ত নেই। সবিতার সাদা হাতটা হঠাৎ নড়ে উঠল। ইঙ্গিতে সে বিজনকে গভীর আলিঙ্গনে বাঁধতে চাইল। তার প্রভঙ্গিতে সে পাঠাল অমোঘ কটাক্ষ। বিজন ধরা দিল সেই ডাকে। সবিতার নগ্ন শরীরে সে বৃষ্টির ফোঁটার মতো চুম্বন রাখল। সেই শরীর থেকে অদ্ভুত এক ভাপ উঠে আসছে, সেই সঙ্গে অচেনা এক সৌরভ। কিন্তু, হঠাৎই সরে এল বিজন। সহসা তার সমস্ত উৎসাহ যেন নিভে গিয়েছে। প্রাণপণে জেগে উঠতে গিয়েও সে পারেনি। তৃষ্ণার স্মৃতি, তার ছবি, ছবির হাসি, তৃষ্ণার দুঃখী মুখ, তার অপরাধবোধ— সব যেন একাকার হয়ে ঘুলিয়ে উঠল মনের মধ্যে। কোনওদিন এমন হয়নি বিজনের, এই প্রথম।…..