ভাসান – রূপক সাহা

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…..যাই হোক, প্রথম দেখাতেই শান্তাকে আমার বেশ ভালো লেগে গেল। ফর্সা মুখটা খুব মিষ্টি। ঠোঁট দুটো ছোট্ট কমলালেবুর কোয়ার মতো। হাইট খুব বেশি না। তবে নীল রঙের উজ্জ্বল শিফনের শাড়িটা এমন আঁটোসাটো ভাবে পড়েছে, শরীরের খাঁজগুলো ফুটে বেরচ্ছে। বিশেষ করে স্তন দুটো।…..
……শুনে খুব একটা অবাক হলাম না। এমন একটা সেক্সি মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বাদলের থাকতেই পারে। কিন্তু সম্পর্কটা কি তার থেকেও বেশি কিছু? কলিগের বউকে বাদল গোপনে বিয়ে-টিয়ে করে বসেনি তো?
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম, বাদল বুকে চেপে ধরে শান্তাকে চুমু খাচ্ছে। দেখে আমার সারা শরীর কেমন যেন শিরশির করে উঠল।…..
……তা ছাড়া, শান্তা মেয়েটার মধ্যে কিছু একটা আকর্ষণ আছে। ওর জন্য এখানে থাকা যায়। বাদল ওকে চুমু খাচ্ছে এই দৃশ্যটা মনে পড়ামাত্র তলপেটে শিরশিরানি শুরু । যৌনতাড়না… এ ছাড়া আর কী বলা যায়? মাস কয়েক আগে অ্যানড্রয়েড ফোনটা কেনার পর থেকে মাঝে মাঝেই আমার এ রকম হচ্ছে। ইউটিউবে ব্লু ফিল্মসের ক্লিপিংস দেখা যায়। বাংলাদেশি উচ্চারণে মেয়েরা যৌন অভিজ্ঞতার কথা শোনায়। ‘অভাবের কারণে জামাইয়ের বন্ধুর সঙ্গে সঙ্গম করলাম।’ ‘তোমার ধোন ঢুকালে, আঃ কী শান্তি’। ‘নির্জন বাড়িতে ভাসুরকে করতে দিলাম।’ ‘বন্ধুরা শোনো, চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে এক কম্বলের তলায় আমি কী করেসিলাম।’ মেয়েগুলো খুব সেক্সি গলায় গল্পগুলো বলতে থাকে। শুনতে শুনতে শরীর উত্তেজিত হয়ে যায়। ইউ টিউবে অনেকে আবার পরামর্শও দেয়। মেয়েদের কোন জায়গায় স্পর্শ করলে হিট ওঠে। শোয়ার আগে কী কী জিনিস মনে রাখবেন।……
……বাদল অন্যভাবে ভালো রোজগার করে। মাঝে মধ্যে ও কোথাও উধাও হয়ে যায়। মাল খেতে খেতে ও একদিন স্বীকারও করেছে, পাড়ার ডিভোর্সি লতা বউদিকে ইচ্ছে করলে রক্ষিতা করে রাখতে পারে। আজ শান্তাকে দেখার পর বুঝতে পারলাম, কেন সেই ইচ্ছেটা বাদল পূরণ করেনি।……
…..বললাম, “তোর সঙ্গে শান্তার ফিজিক্যাল রিলেশন আছে, তাই না?”
“ঠিক ধরেছিস। আমার কলিগ শ্যামল মারা যাওয়ার অনেক আগে থেকেই শান্তার সঙ্গে আমার ফিজিক্যাল রিলেশন শুরু। শুনলে তুই অবাক হয়ে যাবি, শ্যামলই মনে প্রাণে চেয়েছিল, যাতে আমার সঙ্গে শান্তার ফিজিক্যাল রিলেশন হয়।”
“যাঃ, কী বলছিস তুই! কোনও হাসবেন্ড এটা চাইতে পারে না কি?
“ঠিকই বলছি। তোর সঙ্গে তো লুকোচুরির কিছু নেই। তাই খুলে বলছি। বছর পাঁচেক আগে প্রথম যেদিন শ্যামলের সঙ্গে এ বাড়িতে আসি, সেদিনও ছিল নবমী। তোর মতো আমিও ইছামতীতে ভাসান দেখতে এসেছিলাম। তখন এ বাড়িতে এতগুলো ঘর ছিল না। রাতে শোয়ার সময় দেখি, আমার জন্য আলাদা বিছানা নেই। শ্যামল বলল, খাটে তিন জনের হয়ে যাবে। একটু চেপে চুপে শুলেই হবে।’ ডিনারের পর শুতে গিয়ে দেখি, মাঝে শান্তা, আর দু’পাশে আমি আর শ্যামল। আমি একটু ইতস্তত করছি দেখে, শান্তা বলল, ‘তুমি যে এত পুরনোপন্থী আমি ভাবতেও পারিনি বাদলদা।’ অগত্যা সেই রাতে একই খাটে তিনজনে শুতে বাধ্য হয়েছিলাম।”
“শান্তার সঙ্গে সেদিনই….”
“মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যেতে দেখি, শান্তা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে। তার পর কি আর নিজেকে ঠিক রাখা যায় বল? কলিগের বউকে ভোগ করছি, সে ব্যাপারে আমার কোনও অনুতাপ বোধ নেই ভাই ৷ আমি জানি, শ্যামলের প্রশ্রয় না পেলে শান্তা নিজেকে আমার কাছে তুলে দিত না। আর, সত্যি বলতে কী, ওর কাছে এলে আমি অদ্ভুত ধরনের শান্তি পাই, বুঝলি আনন্দ। আমার সব অভাব ও পূরণ করে দেয়। আমাদের সম্পর্কটা তুই ঠিক বুঝতে পারবি না।”
শান্তা বাদলের বা হাতটা জড়িয়ে ধরেছে। স্টেশনে ও শাড়ি পরে গেছিল। এখন ওর পরনে একটা টপ আর ঢোলা পাজামা। ব্রা পরেনি। ফলে স্তন দুটো ঢলঢল করছে। শান্তার টপটা এমন জায়গায় শেষ হয়েছে যে, ওর নাভি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। পাজামাটা ও এমন জায়গায় পরেছে যে, ওর তলপেটের ঢল চোখ টানছে। চট করে আমার লতা বউদির কথা মনে পড়ল। নাভি দেখে কে কী কল্পনা করল, লতা বউদি অবশ্য তা কেয়ারই করে না। এমন ভাব দেখায়, ‘ইচ্ছে হলে প্রাণভরে দ্যাখ, আমার কিছু আসে যায় না’।…..

…..শুনে আমিও হাসতে লাগলাম। বিয়ারে দু’চার চুমুক দেওয়ার পর শান্তা ফিসফিস করে বলল, “আনন্দদা ব্লু ফিল্ম দেখবে না কি? আমি আর বাদল মাঝে মাঝে দেখি।”
বাদলের সঙ্গে বসে আমি নিজেও মাল খেতে খেতে মাঝে মধ্যে ব্লু ফিল্ম দেখি। কিন্তু কোনওদিন কোনও মেয়ের সঙ্গে বসে দেখিনি। না বললে, শান্তা আমাকে রথীনদার মতো ভাববে। তাই বললাম, “আমার আপত্তি নেই।”
শান্তা চট করে উঠে গিয়ে ড্রয়ার থেকে অনেকগুলো পেন ড্রাইভ বের করে বলল, “তোমাকে বাংলাদেশি ফিল্ম দেখাচ্ছি। আমার আর বাদলের খুব ভালো লাগে।”
ঘরে বাহান্ন ইঞ্চির বড় টিভি সেট। মিনিট তিনেকের মধ্যে পর্দায় ব্লু ফিল্ম চালু হয়ে গেল। শান্তা नू ফের সোফায় গিয়ে বসেছে। বাদলকে জড়িয়ে ধরে
ওর বুকে মাথা রেখেছে। পর্দার দিকে চোখ সরিয়ে নিলাম। শুরুটা এমন, বাংলাদেশি একটা মেয়ে পোশাক খুলে স্নান করছে। এমন সময় ডোর বেলের আওয়াজ। মেয়েটা তোয়ালে জড়িয়ে স্নানঘর থেকে বেরিয়ে এল। ডোর হোল দিয়ে তাকিয়ে দেখল, বাইরে এক মাঝ বয়সি ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটা দরজা খুলে দিয়ে বলল, ‘আহেন মাস্টারমশাই।’ ঘরে ঢুকে ভদ্রলোক সোফায় বসে বললেন, ‘তুমি গোসল করতাছ। অসময়ে আসার জন্য দুঃখিত।’ কিন্তু মেয়েটা বলল, ‘না, না। আপনে ঠিক সময়ে আইসেন। বাসায় কেউ নাই। আব্বু-আম্মুরা নারাণগঞ্জে আত্মীয়ের কাসে গেসে। আহেন আমার বেডরুমে আহেন। ওহানে বইসা পড়াইবেন।’
গ্লাসে চুমুক দেওয়ার ফাঁকে আমার মনে হল, ইউ টিউবে রোজ যা শুনি, তাই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। নির্জন বাড়িতে মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে সেক্স। পর্দায় তোয়ালে সরিয়ে মাস্টারমশাইকে গোপনাঙ্গ দেখাচ্ছে মেয়েটা। টোপ দিচ্ছে, কিন্তু মাস্টারমশাই গররাজি। শেষে তাঁর হাত ধরে টেনে তুলল মেয়েটা। তার পর তোয়ালে খুলে ফেলে মাস্টারমশাইয়ের একটা হাতে নিজের স্তন তুলে দিল। পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে দেখি, শান্তার টপ-এর ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে বাদল। ওর স্তনে হাত বোলাচ্ছে। শান্তা চোখ বুজে আছে।
পর্দায় ছাত্রী মাস্টারমশাইয়ের প্যান্ট খুলতে শুরু করেছে। টান মেরে জাঙ্গিয়াটাও নীচে নামিয়ে দিল। তার পর হাঁটু গেড়ে বসে, পুরুষাঙ্গ ধরে আদর করতে লাগল। পর্ণোগ্রাফিতে সাহেব-মেমদের সেক্স দেখা এক রকম, কিন্তু দেশি নর-নারীর সঙ্গম দৃশ্য আগে কখনও দেখিনি বলে, চোখ সরাতে পারছিলাম না। আমার উল্টোদিকেই বাদল আর শান্তা রতিক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। আড়চোখে দেখে মনে হল, বাদলের থেকে শান্তার আগ্রহ যেন বেশি।
আমার ধারণা নেই, পর্ণো দর্শকদের মধ্যে কতজন মহিলা। লেক গার্ডেন্সে আমাদের পাড়ায় একটা সাইবার ক্যাফে আছে, যারা এসব সিডির ব্যাবসা করে। দোকানের মালিক একবার বলেছিল, “আনন্দদা এ পাড়ায় কারা আমার কাস্টমার শুনলে অজ্ঞান হয়ে যাবেন। পয়তাল্লিশ বছরের বেশি ম্যারেড মহিলাদের মধ্যেই চাহিদা বেশি। তাছাড়া, যে সব অল্পবয়সি মা মোড়ের স্কুলগুলোতে বাচ্চাদের দিতে আসে, তাদের অনেকেই দিনে দুটো করে সিডি নিয়ে যায়। বাচ্চাদের স্কুলে ঢুকিয়ে দিয়েই এরা কারও বাড়িতে বসে সেসব দ্যাখে। তার পর স্কুল ছুটি হলে সেই সিডি ফেরত দিয়ে যায়’।……
…..সোফার দিকে চোখ যেতেই দেখি, বাদল মুখ নামিয়ে শান্তার স্তনে মুখ ডুবিয়ে দিয়েছে। আর শান্তা চোখ বুজে আদর খাচ্ছে। হঠাৎই বাইরে মোটর বাইক থামার শব্দ। শুনে শান্তা বাদলের মুখটা সরিয়ে দিতে চাইল। কিন্তু বাদল সরাবে না। শান্তা চাপা গলায় বলল, “সোনা, এখন না। সারা রাত্তির ধরে তোমাকে খেলতে দেব। প্লিজ এখন ছাড়ো। কেয়া এসে গেছে।” বাদল মুখ সরাতেই শান্তা দক্ষ হাতে স্তন দুটো টপ-এর ভেতর ঢুকিয়ে নিল। তার পর সদর দরজা খোলার জন্য উঠে দাঁড়াল।
বাদল আমাকে জিজ্ঞেস করল, “কী রে, শান্তাকে খারাপ মেয়ে ভাবছিস, তাই না।”
সত্যি কথাটাই বললাম, “মোটেই না। আমার তো ওকে মনে হচ্ছে, খুব ওপেন মাইন্ডের।”
“ঠিক তাই। ও মনে করে, সেক্স যত খুল্লমখুল্লা হবে, ততই সমাজে সেক্সচুয়াল অপরাধ কমে যাবে। এই যে এত ধর্ষণ… আর হবেই না। শান্তা আরও মনে করে, মেয়েদের প্রাইভেট পার্টস ঢেকে রাখা উচিত নয়। তাতে নাকি পুরুষদের কৌতূহল বাড়ে। ও ওপেনলি বলে, একজন পুরুষকে নিয়েই সারা জীবন কাটাতে হবে, এটা ঠিক নয়। ভগবান শরীর দিয়েছেন, শরীর থেকে চুইয়ে চুইয়ে সুখ নেওয়ার উপায় শিখিয়েছেন। সেই সুখ যে যতভাবে দিতে পারে, দিক না। বা নিতে পারে, নিক না।”

(2)
একটু পরেই শান্তার সঙ্গে দরজার সামনে যে দাঁড়াল, তাকে দেখে আমি চোখ ফেরাতে পারলাম না। সত্যিই পটাকা টাইপের। পরনে নীল জিন্স, হলুদ টপ। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে বলে বুঝতে পারলাম, গায়ের রং শান্তার মতো অত পরিষ্কার নয়। কিন্তু মুখশ্রীতে একটা সন্মোহনী ব্যাপার আছে। কোনও কোনও মেয়ে সম্পর্কে বলা হয়, উলাপচুয়াস। এই মেয়েটিও তাই। ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক। বোঝাই যাচ্ছে, মেক আপ করে এসেছে। এত গরনে মুখটা তেলতেলে হওয়ার কথা, অথচ মেক আপ টসকে যায়নি। চুলের আলতো খোঁপা ভেঙে গেছে। হয়তো হেলমেট খোলার সময়। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমেই মাথা নাড়িয়ে খোঁপাটা ও পুরো খুলে ফেলল। দেখলাম, চুলের গোছা এসে নামল কোমরের কাছে। কেয়ার ওই বিশাল চুল দেখেই আমার সেক্স চাগাড় দিয়ে উঠল। বাদল যদি এখুনি বলে, ‘কেয়াকে বিয়ে করবি আনন্দ?” আমি ট্যাকের কথা ভাববই না। এককথায় রাজি হয়ে যাব। হেলমেটটা সোফায় ছুঁড়ে ফেলে কেয়া প্রথমেই বাদলকে জিজ্ঞেস করল, “কখন আইসেন মিঞা?”
বাদল বলল, “ঘণ্টা দুয়েক হয়ে গেছে।” “তাইলে তো এক খেপ মারা হইয়া গ্যাছে, তাই না? অনেক দিন পরে আইলেন। আমার পাইটনারের যন্তরগুলা সব নাইড়া দ্যাখসেন তো? ঠিকঠাক আসে?” বাদল হাসিমুখে বলল, “এখুনি উপরের যন্তরগুলো চুষে দেখছিলাম। তলা অবধি এখনও নামিনি । যাক গে,
তোমার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই। এ হল আনন্দ। কলকাতায় এ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।”
শুনে কেয়া সোজা আমার কাছে এসে, পাশে বসে প্রশ্ন করল, “দ্যাখতে তো আপনে কার্তিক ঠাকুরের মতোন। যন্তরডা শিব ঠাকুরের মতোন কি?” কেয়া বাঙাল ভাষায় কথা বলছে। আমি খুব পছন্দ করি এই ভাষা। ছোটবেলায় জেঠিমা কাকিমাদের মুখে আকচার শুনতাম। এখন বলার মতো কেউ বাড়িতে
নেই। আমি নিজেও বাঙাল ভাষা একটু আধটু বলতে পারি। এখন ঝালিয়ে নিতে দোষ কী? প্রথমেই ঠিক করে নিলাম, মেয়েটাকে আপারহ্যান্ড নিতে দেওয়া চলবে না। তাহলে রথীনবাবুর মতো আমাকে হেনস্থা করে দেবে। ওর সঙ্গে সমান সমান টক্কর দিতে হবে। তাই মুখ ফসকে বলে ফেললাম, “আমার যন্তরডা নিজের চোখখে দেইখবা না হি? চলো, ওয়াশরুম থেইক্যা ঘুইরা আসি।”
“থাউক, থাউক মিঞা। অহন না। সারা রাইত পইড়্যা আসে। শুধু দ্যাখলে তো চইলব না। যন্তরডা কাম করে কি না, টেস্ট কইরতে অইব।”
মেয়েটার দিক থেকে চোখ সরাতে পারছি না।……
…..বাদলের দিকে গ্লাস এগিয়ে দিয়েছে কেয়া। তাতে ফের বিয়ার ঢালছে বাদল। তখনই টিভির দিকে চোখ গেল কেয়ার। পর্দায় মেয়েটাকে তার মাস্টারমশাই চুমু খাচ্ছে। লিপ লক করা চুমু। দৃশ্যটা দেখে কেয়া বলল,
“একদম জেমস বন্ড মার্কা কিস। হালায়, আমাগো দ্যাশের পোলারা হ্যায় আর্টটাই জানে না। বিছানায় হুইলে প্রথমেই ভুদায় হাত দ্যায়। হ্যার লইগ্যাই তো আমাগো দ্যাশের কোনও উন্নতি অইল না।” কেয়া ভুদা বলতে কী বোঝাল, আমার মাথায় ঢুকল না। অন্তত ঠাকুমা – জেঠিমাদের মুখে কখনও
শুনিনি। কী মনে হল, বলে ফেললাম, “তুমি ক্যান অগো বণ্ড কিস শিকাইতাছ না?” কেয়া বলল, “আরে মিঞা, আমারে দ্যাখলেই অগো মাল খইস্যা যায়। শিখাইমু কহন? চুম্মা শিখাইতে গিয়া মাইরা ফেলুম না হি? হার্ট আটাক হইয়া যাইব।” সুযোগটা ছাড়লাম না। বললাম, “তোমার চুম্মা নিলে আমার কিন্তু হার্ট অ্যাটাক অইব না।”…..
…..টিভির পর্দায় মেয়েটা শুয়ে ঠ্যাং ফাঁক করে দিয়েছে। মাস্টারমশাই সঙ্গমে ব্যস্ত। মেয়েটা শিৎকার করে উঠছে।
হঠাৎ লক্ষ করলাম, আমাদের চারজনের চোখই পর্দার দিকে। পুরুষাঙ্গটা ছাত্রীর সুড়ঙ্গে স্বচ্ছন্দে ঢুকছে- বেরচ্ছে। দেখে কেয়া বলল, “দ্যাখসেন বাদলদা! আমাগো দ্যাশের মাইয়াগো দ্যাখছেন? এস্টুডেন্টের ভুদা অহনই এত্ত বড়, বিয়া অইলে কী অইব কন তো? তহন তো পানি খসাইতে বলদের ধোন লাইগব।” ভুদা কথাটার মানে এতক্ষণে বুঝতে পারলাম। মেয়েদের গোপনাঙ্গ। বাদল বলল, “এতে তুমি নিন্দে করার কী পেলে কেয়া? বড় ভোদা তো ভালো।” “আপনে ঠিক কইলেন না বাদলদা। মরদরা বড় ভুদা পছন্দ করে না। টাইট ভুদা চায়। এর লইগ্যাই তো আমাগো দ্যাশে এত তালাক।” অবাক কাণ্ড, পর্দায় মাস্টারমশাইয়ের যতক্ষণ না বীর্যপাত হল, ততক্ষণ আমরা চারজনই কেউ কোনও কথা বললাম না। চুপচাপ বিয়ার খেয়ে গেলাম। টুপটাপ করে বীর্য পড়ছে। মেয়েটা জিভ বের করে আছে। মাস্টারমশাইয়ের বীর্য চেটে খাচ্ছে। শেষ বিন্দুটা পড়ার পর কেয়া বলল, “কেউ কি আমারে কইতে পারবা, ইন্টারকোর্সের ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কত মিনিট? গিনিস বুকে খুঁইজ্যা আমি পাই নাই। বাদলদা… শান্তারে আফনে একবার সাড়ে পাঁইচ মিনিট ধইরা করসিলেন।” শুনে আমি চমকে উঠলাম। তবে কি কেয়ার সামনেই শান্তাকে ইন্টারকোর্স করেছিল বাদল? তখন কি ঘড়ি ধরে বসেছিল কেয়া? ও যা জানতে চাইছে, তার উত্তরটা আমি জানি। আমেরিকান একটা উপন্যাসে পড়েছিলাম। কার লেখা মনে নেই। উত্তরটা হল, সেভেন মিনিটস। রতিক্রিয়া অনেক সময় ধরে চলতে পারে। কিন্তু সঙ্গম সাত মিনিটের বেশি করা সম্ভবই। নয়। সে যতই বলবান হোক না কেন? এই সাতটা মিনিটই হল পৃথিবীর যাবতীয় গন্ডগোলের মুলে। হিংসা, দ্বেষ, রক্তপাত, ক্ষমতার লড়াই ….. সব কিছুর উৎসে আছে যৌনতা। মানুষ কী না করে এর জন্য! কেয়াকে আমি বললাম, “তোমার কোয়েশ্চেনটারই তো মাথামুণ্ডু নাই কেয়ামণি। এমন রেকর্ডের সময় তুমি জানতে চাইছ, যার শেষ মাপা যায়, শুরুটা নয়। তা ছাড়া তুমিও জানতে পারবে না, কে ভায়েগ্রা খেয়ে রেকর্ড করতে নেমেছিল, বা তা নয়।”…..
……“রথীনদার কথা আমাদের মাথায় এসেছিল। কিন্তু কেয়ারই পছন্দ হয়নি। ও এমন কোনও পুরুষকে চায় যে দিলখোলা, কোনও কিছু বাধা দেবে না। স্বাধীন হয়ে বাঁচতে দেবে। বাদল ঠিক এই টাইপের। সেক্সচুয়াল লাইফে এই কারণেই আমরা ভীষণ হ্যাপি। আমরা যখন ইচ্ছে ইন্টারকোর্স করি। কোনও কোনও সময় সারাদিন শরীরে কোনও পোশাক রাখি না। আমরা ফিল করার চেষ্টা করি, প্রিমিটিভ যুগে লাইফটা কেমন ছিল।”
এমন সময় বাথরুমের দরজা খুলে কেয়া বেরিয়ে এল। ওকে দেখে আমি চমকে উঠলাম। হলুদ টপটা খুলে ফেলেছে। নীল জিনসের প্যান্টটাও। ওর পরনে শুধু টু পিস। ব্রা আর প্যান্টি। চুল কোমর পর্যন্ত নেমে এসেছে। প্রায় নগ্ন শরীর। তাতে ওকে হলিউডের কোনও নায়িকা বলে মনে হচ্ছে। ইস, যে উজবুক এই অমূল্য শরীরটাকে বিক্রি করে দিচ্ছিল, তার উপর আমার রাগ হতে লাগল । কেয়া সোজা এসে আমার পাশে বসে আবদারের সুরে বলল, “কই, আমারে চুম্মা দ্যান তো মিঞা। দেহি, আফনের হার্ট অ্যাটাক হয় কি না? আমার শরীলটা এক্কেরে ঠান্ডা কইরা দ্যান। পর্ণো দেইখ্যা দেইখ্যা আমি আর থাইকতে পারতাসি না।”
এমন আন্তরিক আহ্বানে কি আমি সাড়া না দিয়ে থাকতে পারি? দু’হাত দিয়ে ওর মুখটা ধরে কাছে টেনে আনলাম। তার পর সাড়া মুখে কয়েকবার হাত বুলিয়ে চুমু খেতে লাগলাম। কপালে, নাকে, গালে, ঘাড়ে, গলায়, কানের পাশে, উন্মুক্ত পিঠে। ঝড়ের গতিতে চুমু, ওকে দম ফেলার সময় না দিয়ে। কেয়ার শরীর থেকে খুব সুন্দর গন্ধ আসছে। মুখের ভিতর বিয়ারের সুবাস। বাঁ হাত দিয়ে ওকে আমার বুকের ভেতর টেনে এনে এবার ওর ঠোঁটে আমার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে কেয়া ঠোঁট আরও ফাঁক করে দিল। ওর ঠোঁট চুষতে চুষতে আমার মনে হল, এমন একটা গরম ঠোঁটের জন্য রোজ বসিরহাট যাতায়াত করা যায়। কেয়া চোখ বন্ধ করে সুখানুভূতির জানান দিচ্ছে। মুখ দিয়ে আঃ উঃ করছে। নিমীলিত চোখে বিড়বিড় করে ও একবার বললও, “দ্যান মিঞা, আরও ভালো কইর্যা চুইস্যা দ্যান। কী যে ভালো লাগতাসে।” শুনে ওকে আরও জোরে আঁকড়ে ধরে ওর মুখের ভেতর আমার জিভটা চালান করে দিলাম।
ইউ টিউবে একদিন একটা মেয়ের মুখে শুনেছিলাম, বন্ধুরা… জিভ চুষলে মেয়েরা যে যৌন আনন্দ পায়, তা শুধু ইন্টারকোর্সের শেষ পর্যায়ে পায়। কথাটা মনে পড়ায়, কেয়ার জিভটা আরও ভালোভাবে চুষতে লাগলাম।
জিভ হল মানুষের দেহের সবথেকে শক্তিশালী পেশি। কেয়া সাপের মতো একবার ওর জিভ বের করছে, পরক্ষণেই সেটা ভিতরে ঢুকিয়ে নিচ্ছে। এবার ও আমার জিভ চুষতে লাগল। আমার ঠোঁট কামড়াতে লাগল । চোষার ফাঁকে আমিও ওর ঠোঁট কামড়ে ধরলাম। বেশ কিছুক্ষণ এই খেলাটা খেলার পর কেয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠল, “ইসসসস, দ্যাখেন আনুন্দদা, আমার প্যান্টি ভিইজ্যা গেল।” বলে সোফার উপর গা এলিয়ে পা দুটো ফাঁক করে দিয়ে ও হাঁফাতে লাগল। দেখি, ওর প্যান্টিটা ভিজে চপচপ করছে। মেয়েদের না কি একবারে তৃপ্তি হয় না। বাদল একদিন গল্প করেছিল, অভিজ্ঞতায় দেখেছে, মেয়েরা তিন-চারবারও জল ঠসাতে পারে। তাতে ওদের ক্লান্তি আসে না।
প্যান্টির ইলাস্টিকে টান দিয়ে কেয়া বলল, “আফনে মিঞা, শিব ঠাকুরেরও এককাঠি উপরে। শুধু ঠোঁট চুইস্যা আমার ভুদা ভিজাইয়া দিলেন। বাকি কামগুলা কইরলে তো খাল বইয়া যাইব। নাঃ, আফনেরে চট কইর্যা ছাড়ুম না।”
বললাম, “প্যান্টিটা খুইল্যা ফ্যালো। বাকি কামগুলান শুরু করি।”
কেয়া বলল, “উহু, আমি খুলুম না। আফনে খোলেন। হাত দিয়া খুলবেন না। মুখ দিয়া খোলেন।” কথাটা বলেই ও কোমর তুলে ধরল।
বাঃ, বেশ মজার খেলা তো? ওর প্যান্টিটা আমি মুখ দিয়ে নামানোর চেষ্টা করলাম। দামি ইলাস্টিকের বিদেশি প্যান্টি। একদিকেরটা টেনে নামাই তো, অন্য দিকেরটা উপরের দিকে উঠে যায়। কেয়া হাসতে হাসতে উঠে দাঁড়াল। তার পর বলল, “ন্যান মিঞা, আফনের সুবিধা কইর‍্যা দিলাম। অহন টাইন্যা নামান দেহি।”
এবার প্যান্টি নামিয়ে আনতে আমার অসুবিধে হল না। কলসীর মতো ওর পাছা। দেখলে আমার বড় বউদি নির্ঘাত বলত, কলসীপোদি। বউদি সাউথ চব্বিশ পরগণার গোসাবার মেয়ে। দেখেছি, অদ্ভুত সব গাল দেয় কাজের লোকদের। শোভাকে কলসীপোদি বলত। এ ছাড়া বড় বউদির আর একটা গাল আমার মনে আছে, ‘আইটেমমাগি’। এই গালটা বউদি আড়ালে দিত মেজ বউদিকে। পোশাক-আশাক, সাজগোজে খুল্লমখুল্লা বলেই হয়তো। বলিউড ফিল্মের আইটেমগার্ল কথাটা, স্ল্যাং হয়ে কী করে সুন্দরবনের গোসাবায় পৌঁছল, আমার কোনও ধারণা নেই। পরিচিত মহলে, আমি আর কখনও কাউকে বলতে শুনিনি। আমি নিশ্চিত, কেয়াকে এই মুহূর্তে দেখলে বড় বউদি এই গালটাই ওকে দিত। কেয়ার উরু আর পাছায় চুমু খেতে লাগলাম। ও দু’হাত দিয়ে আমার মুখটা সরিয়ে দিয়ে বলল, “করেন কী মিঞা? আবার পানি ঠসাইবেন নাহি। আফনে তো দ্যাখতাসি, এক্কের নম্বরের এক্সপার্ট। চলেন, আমাগো খলখলিয়ায় চলেন। ওহানে আফনে অনেক ট্যাহা কামাইতে পারবেন।”
নিজের সেক্স লাইফ নিয়ে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। কোনও মেয়ে আমাকে এত বড় সার্টিফিকেট দেবে, আমি ভাবতেই পারিনি। তাও আবার কেয়ার মতো যৌবনবতী একটা মেয়ে। খলখলিয়া গেলে অনেক রোজগার করা যাবে। কথাটাই আমার কাছে পরিষ্কার হল না। জানতে চাওয়ায় কেয়া বলল, “কইতাসি। আমার শাড়ির দুকানে রোজ অনেক কাস্টমার আসে। কলেজ এস্টুডেন্ট থেইক্যা শুরু কইরা, বউ-ঝিরা। এট্টু আগে পর্দায় তো দ্যাখলেন, এস্টুডেন্টরা বুঢ়হা মাস্টাররেও ছাড়ে না। বউ-ঝিরা আরও এককাঠি উপরে। সোয়ামীরা বসরের বেশিরভাগ সময় বিদেশে থাহে। কাম-কাজের ধান্ধায় কেউ সিঙ্গাপুর, কেউ মালেশিয়া, আরব দ্যাশে চইল্যা গ্যাসে। এক দেড় বসর অন্তর বাড়ি ফেরে। এই সময়ডায় বউরা কারে দিয়া করাইব? আমার কাছে হ্যারা যহন শাড়ি কিনতে আসে, তহন দুঃখের কথা কয়। হ্যাগো জীবনে ট্যাহাপয়সার অভাব নাই। অভাব আফনের মতো সেক্স এক্সপার্টের। আফনে যদি আমার সঙ্গে খলখলিয়ায় যান, তাইলে মাইয়া কাস্টমার পাইতে আফনের অসুবিধা অইব না।” এতক্ষণ উল্টো দিকের সোফায় আমার নজর যায়নি। সেদিকে তাকাতেই দেখি, বাদল আর শাস্তা নেই। নিঃশব্দে দু’জন কখন পাশের ঘরে চলে গিয়েছে। নির্জনতা অনেক সময় মানুষকে বেপরোয়া করে দেয়। কেয়ার নগ্ন দেহের উত্তাপ টের পাচ্ছি। চট করে পাজামা-পাঞ্জাবি খুলে এ বার ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। মনের সমস্ত অস্বস্তি সরিয়ে দিলাম। উত্তেজনায় কেয়া আমার কোলের উপর উঠে বসেছে। কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে ফ্যাসফ্যাসে গলায় ও বলল, “দ্যান তো মিঞা, আমার ভুদা ছিঁইড়া কুইট্টা দ্যান। আফনের চুম্মা খাইয়া বুঝতে পারসি, পাইটনার ঠিকই কইসিল। তর জন্য কইলকাতা থেইক্যা এমুন এক জনরে বাদল আইনব, যে তরে আইধ ঘণ্টা ধইরা সুখ দিব।” আমাকে উদ্যোগী হতে হল না। কয়েক সেকেন্ড পর বুঝতে পারলাম, আমার পুরুষাঙ্গটা ধীরে ধীরে ঢুকে যাচ্ছে নরম, তুলতুলে পিচ্ছিল এক সুড়ঙ্গে। কোথাও গিয়ে ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেয়া চিৎকার করে উঠল, “জ্বইল্যা গেল, মিঞা জ্বইল্যা গেল।” কেয়া কি এ বার সময় মাপবে? মাথার মধ্যে কে যেন ঘণ্টা বাজাতে লাগল, “ইয়োর টাইম স্টার্টস নাউ।”
(3)
দমবন্ধ করে দেওয়া একটা চুমু দিয়ে আমার বুকের উপর থেকে নেমে গেল কেয়া। পাশ ফিরে শুয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল। এমন আগ্রহের সঙ্গে, যেন আমাদের সদ্য বিয়ে হয়েছে। শরীরের সব রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি। কেয়ার বুকটা তখনও হাফরের মতো ওঠানামা করছে। সঙ্গম শুরু করার আগে কেয়া বড় আলোটা নিভিয়ে দিয়েছিল। নীল হালকা আলোয় এখন ওকে পরীর মতো লাগছে। ওকে পাল্টা চুমু দিয়ে বললাম, “তুমার মতোন এত সুন্দর মাই, আগে দেখি নাই কেয়া।” “ছল্লিবল্লি কইরো না তো মিঞা? কইলকাত্তায় হুরীর অভাব আছে না হি?” “আরে, আমি ‘মাইয়া’ কথাটা বলিনি। তোমার মাই দুটোর কথা বলছিলাম।” কেয়া বলল, “তাই কও। দুধের কথা কইতাছ ।
কাউরে ছুইতে দেই নাই যে। আমার সোয়ামীরেও না। তাই অহনও পাকা ডালিমের মতোন হইয়া আছে।” আমার যখন তিন দিন বয়স, শুনেছি তখন আমার মা মারা যান। ফলে মায়ের স্তন্যপান করার সৌভাগ্য আমার হয়নি। একটু বড় হওয়ার পর থেকে লক্ষ করেছি, সবসময় আমার চোখ প্রথমে মেয়েদের বুকের দিকে চলে যায়। পরে সাইকোলজির বইটই পড়ে দেখেছি, এটাই না কী স্বাভাবিক। মায়ের স্তনে যে মুখ দেয়নি, স্তনের প্রতি তার আকর্ষণ থাকতেই হবে। বড়দার বিয়ে হওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের বাড়িটা ছিল স্তনবর্জিত। রান্না করে দেওয়ার জন্য আসত শোভার মা বলে একজন। এমন ভগ্নস্বাস্থ্যের মহিলা যে, তার স্তন বলে কিছু চোখেই পড়ত না। সত্যিকারের স্তন কী রকম হয়, তা প্রথম ছুঁয়ে দেখি, একদিন নির্জন বাড়িতে শোভার ফ্রক জোর করে খুলিয়ে। তার পর থেকে মেয়েটা আর কখনও আমাদের বাড়িতে একা আসেনি। এই শোভা এখন বড় বউদির ঘরে কাজ করে। বাড়িতে পার্টিশন হয়ে গেছে। আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে । কেয়ার শিথিল শরীরটার দিকে তাকিয়ে ইউ টিউবে আমার যৌনগুরুমাদের কথা মনে পড়ল, “শোনেন বন্ধুরা, বাংলাদেশি বধূ, বুকে তার মধু। এই আপ্ত বাক্যটি সঙ্গমের সময় ভুলবেন না। আমার গাড়ির ড্রাইভার একবার আমার দুধ দুটা নিয়ে এমন খেলা করসিল, তাতে আমার পানি খসে গেসিল। ড্রাইভার কইছিল, ‘মালকিন, আফনের দুধ মধুর মতো মিষ্টি। আমার দুধ দুটা নিয়ে সে কী করসিল, এবার তারই গল্প আফনাদের শোনাব।” অনেকবার শুনেছি, তাই ভালো মনে আছে। গুরুমাদের কথা মতো আমি কেয়ার মাই দুটো নিয়ে খেলা শুরু করলাম। ও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল, “উউউউউ, আআআআ, আনুন্দদা। আমার শরীলে আর শক্তি নাই। দয়া কইরা আফনে থামেন। ”
হঠাৎ আবিষ্কার করলাম, আমার হাতের তালু ভিজে গেছে। কেয়ার স্তন থেকে অন্যত বেরিয়ে আসছে। যতদূর জানি, বাচ্চা না হলে মেয়েদের স্তন থেকে দুধ বেরোয় না। তবে কি কেয়া সন্তানবতী হয়েছিল? প্রশ্নটা করার সময় অবশ্য এখন নয়। কামাবেগ প্রশমিত করার জন্য ও আমার বাঁ পা কে দুঠ্যাঙের মাঝে ফাঁ দিয়ে রেখেছে। হঠাৎ ওর সেই ফাঁস আলগা হয়ে গেল। চোখের পাতা বন্ধ। ধীর লয়ে শ্বাস নিচ্ছে। কেয়ার প্রশান্ত মুখটা দেখে মনে হল, পরতে পরতে সুখের অনুভূতি নিচ্ছে। কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “ভালো লাগসে?”
ফের আমার ঠোঁটে দীর্ঘ চুম্বন দিয়ে কেয়া বলল, “খুউব। কী সুখ যে দিলেন মিঞা। সারা জীবন মনে থাইকব।”
“কতক্ষণ হল, টাইম নিয়েছ না কি?”
উত্তরটা না দিয়ে কেয়া বলল, “বিছানাডার কী হাল করসেন, আগে দ্যাহেন।”
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি, সাদা চাদরে লাল লাল দাগ। আহা রে, আমারই জন্য। বললাম, “তুমি কিন্তু আমারে কথা দিসো, সুখ দিতে পারলে সারা জীবন আমার বাঁদি হইয়া থাকবা।”
“থাকুম মিঞা। কিন্তু আফনেরে কইলকাত্তায় যাইতে দিমু না। আফনে আমার কাসে থাইকবেন।” কথাগুলো বলেই বিছানায় হাত বুলিয়ে কেয়া বলল, “ইসস, তোশগটা ভিইজ্যা গেসে। আমি ওয়াশরুম থেইক্যা আসতাসি। পাইটনাররে কমু, তোশগটা য্যান বদলাইয়া দেয়।”
কথাগুলো বলে বিছানা ছেড়ে নেমে গেল কেয়া। মায়াবি নীল আলোয় আমার মনে হল, যেন নগ্ন জেনিফার লোপেজ বাথরুমে ঢুকে গেল। ইসস, বাদলের সঙ্গে আজ এখানে না এলে আমি ভুল করতাম। শহুরে মেকি সভ্যতার বাইরেও যে একটা জগৎ আছে, সেটা জানতেই পারতাম না। এই বাদল যে আমার সামনেই খোলাখুলি যৌনসুখ নেবে, তা কি কখনও ভাবতে পেরেছিলাম? পাড়ার দুটো ফ্যামিলি সম্পর্কে আমরা প্রায়ই নিন্দে করতাম। প্রতিবেশী জোড়া স্বামী-স্ত্রীকে সবসময় একসঙ্গে দেখা যেত। অনেকে বলত, ওরা নাকি বউ-বর বদলাবদলি করে রোজ রাতে। এখন মনে হচ্ছে, ওরা কোনও অন্যায় করে না। শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য পার্টনার নির্বাচন বা বদল, কী এমন গর্হিত অপরাধ? বহুগামিতা সমাজের চোখে নিন্দনীয়। যারাই এই অনুশাসনটা তৈরি করে থাকুক না কেন, নিজেরা কিন্তু মানেননি। আমাদের ঠাকুর – দেবতা, রাজা রাজড়ারাই তার উদাহরণ।
বাথরুম থেকে কলের জল পড়ার আওয়াজ ভেসে আসছে। হঠাৎ একটা দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠল। আট দশ বছর আগের একটা ঘটনা। পাড়ার মেয়ে । নগ্ন অবস্থায় আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। গলায় আতি, “মা একটু পরেই এসে পড়বে। স্যার, যা করবেন, তাড়াতাড়ি করুন।”
মিঠুকে আমি পড়াতে যেতাম। আমাদের মধ্যে যৌনসম্পর্কটা একটু একটু করে এগোচ্ছিল। ঠোঁট থেকে বুক পর্যন্ত নেমেছিল। একদিন ওদের বাড়ি ফাঁকা। মিঠু নিজেই সেদিন সব খুলে দিয়েছিল, “মা কিটি পার্টিতে গেছে। এমন সুযোগ আর পাওয়া যাবে না। স্যার আজ দেখব, আপনার ক্ষমতা কত? কনডোম নেবেন? না কি ডাইরেক্ট করবেন?”
মিঠুর যৌনাঙ্গের দিকে তাকিয়ে আমার বমি উঠে এসেছিল। এত অপরিচ্ছন্ন হতে পারে! তাড়াতাড়ি চোখ-মুখ সরিয়ে নিয়েছিলাম। বুঝতে অসুবিধা হয়নি, সঙ্গমের অভিজ্ঞতা মিঠুর আছে। মন একেবারে সায় দেয়নি সঙ্গমে লিপ্ত হতে। কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে মিঠু অবাক গলায় বলেছিল, “কী হল স্যার, আপনার ইচ্ছে করছে না? প্যান্ট খুলছেন না কেন?” কথাগুলো বলেই খপ করে আমার তলপেটের নীচে হাত দিয়ে বলেছিল, “এ কী! আপনারটা নেতিয়ে রয়েছে কেন? স্যার, আপনি ধ্বজভঙ্গ না কি?” কথাগুলো বলে ক্রুদ্ধ চোখে ও আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।…….

Please follow and like us: