স্বপ্নের বাইরে – সুকুমার সিংহরায়

›› সম্পুর্ণ গল্প  


ঝুমুর যখন খিলখিল করে হাসতে হাসতে ধনুকের মত বেঁকে পড়ে তখন মনে হয় ওর হাসি থেকে যেন তীর ছুটে যাচ্ছে। ও যখন তাকায় তখন ওর ভ্রমর কালো চোখ দুটো নামী কোন চিত্রাভিনেত্রীর চোখের চাউনি অনুকরণ করে। ও যখন রাস্তায় বেরোয় তখন ওর শাড়ির গিঁট থাকে নাভির নীচে। গোল সিকির আকারে থলথলে নাভি হুমড়ি খেয়ে বেরিয়ে থাকে শাড়ির বাইরে। অনায়াসে রাস্তার লোক তখন হাঁটতে হাঁটতে চোখ বুলিয়ে ওর নাভি চেটে নেয়। ঝুমুরের তখন খুব আনন্দ হয় । ও তখন নিজেঞ্চে খুব বেশি সুন্দরী ভেবে বসে ৷ আবার ও যখন হাতাকাটা ব্লাউজ পরে বাসে ওঠে এবং বসার সিট না পেয়ে দুহাত তুলে রড ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন বাসের যাত্রীরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে । তখনও ঝুমুর ভাবে ও খুব সুন্দরী ! নইলে যাত্রীরা তার দিকে তাকিয়ে থাকবে কেন ?
ঝুমুরের এই বেহায়া হাসি, চোখের চাউনি, নাভির নীচে শাড়ি পরা, হাত কাটা ব্লউজ পরে সুন্দরী ভাবা –এ সব আমার ভাল লাগে না । তবে ভাল না লাগলেও ঝুমুরকে কোন দিন আমি মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে পারিনি। এটাই ঝুমুরের কাছে আমার সবচেয়ে বড় অক্ষমতা তবু ঝুমুর যে আমার কাছে আসে এটা ভাবতেই আমার সবচয়ে ভাল লাগে। ঝুমুর ইচ্ছে মত যেমন সাজুক না কেন, ও না সাজলেও দেখতে খারাপ না। ওর সারা গায়ে কাঁচা হলুদ রঙের চটক আছে, সারা গা-টা যেন মোম দিয়ে মাজা। নড়লে চড়লে চক্চক্করে ওঠে। উপছে পড়া যৌবন। ডিমের মত মুখে ঈষৎ বাঁকানো টিয়াপাখি নাক । মাথার চুলের ডগাগুলোকে কাস্তের মত বেঁকিয়ে ছাঁটা। পেশীবহুল প্রসারিত দুটি হাত ৷ সুন্দর সিকির আকারে নাভি । ঠিক যেন চড়ুই পাখির ঘুলঘুলি। ভাবি পাছার উপর টাইট করে যে কোন শাড়ি পরলেই ওকে ভাল মানায় ৷
এক কথায় ঝুমুর বেশ সুন্দর। ঝুমুরের কাছে আমি কিছুই না। আমার রূপ নেই—এ কথা অনেক মেয়ের মুখ দিয়ে শুনেছি । শুধু ঝুমুর এ কথা বলেনি। আমার গুণও নেই—এ কথাও অনেক মেয়ের মুখ দিয়ে শুনেছি। শুধু ঝুমুর শুনে এ কথাটা মেনে নেয়নি। ওর চোখে নাকি আমি অনেক বড়। আরো বড় হব। আমি মানি না । মানতে সাহস হয় না । নিজের বড় হবার কথা কি আগে থেকে ভাবতে পার| যার ? আমি মনে করি, আমি সাধারণ পাঁচজনের মত । শুধু এইটুকু বলা যেতে পারে, আমি তুলি নিয়ে ছবি আঁকতে পারি । ব্যাস, এই পর্যন্ত ।বাড়িয়ে বললে বলা যেতে পারে এখানে সেখানে আমার বেশ কয়েকটা ছবির একক প্রদর্শনী হয়েছে। এবং আমার ছবি দেখে নাকি অনেকে প্রশংসা করেছে। নিজে কানে কোন দিন শুনিনি ৷ শোনার ভাগ্যও হয়নি। তবে ঝুমুর শুনেছে। শুনে এসে বলেছে, শিল্পী শান্ত রায়ের একক চিত্র প্রদর্শনীর প্রশংসা শুনে এলাম । বলতে বলতে ঝুমুরের গলা থেকে তখন আটকে থাকা এক মুখ খুশির উচ্ছ্বাস মাটিতে ফেটে পড়েছে।
ঝুমুরের এই উচ্ছ্বাসে যে স্বপ্ন ছিল তা আমার পক্ষে বুঝে নিতে একবিন্দুও কষ্ট হয়নি। শুধু ভেবেছি, স্বপ্ন দেখ৷ ভাল ৷ স্বপ্নতে সুখ থাকে। কিন্তু স্বপ্ন ভাঙা ? তাতে কোন সুখ থাকে না, থাকে বিষাদ । ঝুমুরের এই স্বপ্ন দেখা কিংবা আমার এই অপ্রত্যাশিত ভাবে স্বপ্ন খুজে পাওয়া কি অবধারিত ?
*******
ঝুমুর বাবার এক মেয়ে ৷ বাবা রেলের অফিসার। মা স্কুলের এ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার । ওদের আভিজাত্যের একটা বড়াই আছে। ঝুমুরকে দেখলে তা বোঝ যায়। ঘণ্টায় ঘণ্টায় শাড়ি ব্লাউজ বদলানো, মুখের উপর ইকড়ি-নিকড়ি সাজ। মুখ টিপে গুন গুন করে হিন্দী গানের সুর ভাঁজা এ সব ঝুমুরের স্বেচ্ছার আধিপত্য। ঝুমুর যখন তখন আমায় বলে, আমি হলাম বাপী আর মামনির খেলার পুতুল । ওরা আমায় অনেক দেয়। তুমিও আমার সঙ্গে এলে তোমাকেও ওরা দেবে।
আমি কারো কিছু প্রত্যাশী কিংবা খেলার পুতুল হতে চাই না। সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জনের কথা ভাবতে হয় । উপার্জনই আমায় ভবিষ্যতে দূরদৃষ্টির শক্তি এনে দেয় । সময় আমার বরাবর কম। ঝুমুর এ কথাটা বুঝতে চায় না। চায় না বলেই আমার কাছে আসে। আর এসে এসে বিরক্ত করে। বিরক্ত ছাড়া কি বলব ? ভাল না লাগলেই তো বিরক্ত ভাবে মানুষ। ঝুমুর বলে, ঘরে বসে বসে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। চল, কোথাও সিনেমা দেখে কিংবা বেড়িয়ে আসি ।
এখন আমি ঝুমুরের মুখের উপর এই কথা বলে ফেলি, না, ভাল লাগছে না। তুমি একা ঘুরে আসতে পারো।
ঝুমুরের মুখ কেমন হঠাং গম্ভীর হয়ে যায়। ওর গম্ভীর মুখের দিকে তাকিয়ে আমার তখন মনে পড়ে যায় ঝুমুরকে নিয়ে প্রথম যেদিন রাস্তায় বেরিয়েছিলাম সেই দৃশ্যটার কথা।
উড়ন্ত বকের মত শাড়ির আঁচল ছলিয়ে দুলিয়ে ঝুমুৰ হাঁটছিল। আমি হাঁটছিলান। আমার দিকে রাস্তার কোন লোকই তাকিয়ে দেখেনি। ঝুমুরের দিকে সবাই কেমন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখছিল ।
মনে হয়েছে তখন রাস্তার লেকেরা ঝুমুরের লালিত্যময় নরম দেহটাকে গিলতে চাইছে। ঝুমুৰ দেখে বোকার মত বলেছে, দেখছো তো, তোমার দ্রব্যসামগ্রীতে কেমন নজর পড়ছে ?
আমার রাগ হেয়েছে। সে রাগ ঝুমুরের জন্যে । তবু রাগ দেখিয়ে বলতে পারিনি, ওরা তোমায় কেউই নজর দিচ্ছে না ঝুমুর। ওরা দেখছে তোমার নগ্নতা । তোমায় সুন্দরী বলতে ওদের বয়ে গেছে। কেন বলতে পারিনি, আমার জানা নেই। এ কি মনের দুর্বলতা ? না অন্য কিছু ? ঝুমুর তো কতবার ঝড়ের মত দৌড়ে এসে আমার ঘরের নির্জনতায় বসে ওর আনন্দের গল্প করেছে। যে গল্প আমার ভাল লাগার মধ্যে পড়েনি। তবু প্রতিবাদ করতে পারিনি। ঝুমুক স্বাধীন ভাবে গল্প বলেছে, এ্যাই শুনবে ? আজ একটা মজার কাণ্ড হয়েছে।
আমি বলেছি, কি
পাশের বাড়ির বিশুকে তো চেন তুমি ?
বিশু ?
হ্যাঁ ৷ ও আমায় ফোন করেছিল। কি বলছিল জানো ?
না বললে কি করে জানব ?
বলছিল, তোমার চোখ দুটো কি সুন্দর, দেখলেই আনার বুকে চিন্চিনানি ধরিয়ে দেয়। তোমার হাসিটা না ভাবি সুইট, চিনির চেয়েও। লাল শাড়ী পরলে তোমায় একসেলেন্ট লাগে । ঠিক যেন সুচিত্রা সেন। এই যে তুমি কথা বলছ, এখন আমার কি মনে হচ্ছে জানো ? তোমার গলা থেকে যেন পিওর হানি ঝরছে। বলেই মুখ থেকে ‘চুঃ” করে চুমু খাবার শব্দ করেছিল। আমি তখন কি করলাম জানো ?
বললাম তো, না বললে আমি কি করে জানব। আমি কি অন্তর্যামী নাকি ?
ঝুমুর বলেছে, বাবাঃ ! কথা বলতে গেলে এই রকম একটু বলতে হয় । নাও শোন — ঝুমুর বলেছে, আমার গলার স্বরটা এখন শুনতে পাচ্ছো ? কি মনে হচ্ছে তোমার ?
ঝুমুর যে এই রকম ভাবে গলার স্বর বদলাতে পারে তা আমার আগে জানা ছিল না! আমি শুনে বলেছি, এ গলা তোমার নয় বুঝেছি। কিন্তু কার ?
এ গলার স্বর আমাদের বাড়ীর রাঁধুনি মাসী মোক্ষদার । এই গলা করে তোমাদের নবাব কার্তিককে বলেছি, দিদিমনিরে কথাগুলান কইয়া দেব ?
অপর প্রান্ত : কে ? কে ? কি বলছেন ?
ঝুমুর : আমি দিদিমনির রাঁধুনী মোক্ষদ৷ কইতেছি বাবু ।
অপর প্রান্ত : ননসেন্স ?
ব্যস, লাইন কেটে গেল । ঝুমুর কথা থামিয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে শাড়ির আঁচলটাকে মুখের মধ্যে পুরে দিয়ে খিলখিল করে হাসতে হাসতে ধনুকের মত বেঁকে পড়েছে।
ঝুমুরের এই গল্প শুনে না হাসলে নয়, তাই একটু হেসেছি। আমি বুঝেছিলাম, ঝুমুর নিজের খ্যাতি বাড়াবার জন্যেই এ গল্পের ফাঁদ পেতেছে। তবু ঝুমুরকে মুখের উপর কিছু বলিনি, হ্যাঁ, হুঁ শব্দ করে ওর গল্প শুনেছি। আর ঘাড় নেড়ে নেড়ে সায় দিয়েছি। কিন্তু ঝুমুর যদি আজ আসে ? ও তো আসবেই, কথা দিয়ে রেখেছে। এসে যদি বলে, চল কোথাও ঘুরে আসি। ও তো একথা বলবেই । প্রতিদিনই বলে। আজ কেন বাদ পড়বে ?
আমি কি আজ ঝুমুরকে বলে ফেলব ? আমার মনের একান্ত গোপন ইচ্ছার কথা ? কি করে বলব ? বলব না ঝুমুর, তোমার সঙ্গে আমি কোন দিন কোথাও যাব না। ঝুমুর যদি জিজ্ঞেস করে, কেন তুমি আমার সঙ্গে যেতে চাও না ? তখন কি করে বলব, থলথলে নাভির নীচে শাড়ী, হাত কাটা ব্লাউজ, খিলখিল বেহায়া হাসি, আমার মনকে কষ্ট দেয়। তুমি ঐ বেশে আমার সঙ্গে হাঁটলে রাস্তার লোক তোমায় নগ্ন ভাবে। এ ভাবে বলব ? না অন্য কোন ভাবে বলব ? সেটা কি ভাবে বলা যায় ?
**********
ঐ তো সেই শব্দ । বিশেষ শব্দ । ঝুমুর আসার শব্দ। ঝুমুর যখন আমার ঘরে ঢোকে তার আগেই ওর পায়ের তোড়া থেকে ঝমর ঝমর শব্দ এসে আমাকে জানিয়ে দেয়– ঝুমুর আসছে। আমি তখন নিজেকে তৈরী করে নিই। ঝুমুরকে আজ কি বলব ? আজ ঝুমুরকে যদি জীবনের একটা গল্প শোনাই ।
ঝুমুর এসে ঘরে ঢুকল । আমার সামনের লাল সোফাতে বসতে বসতে বলল, কি করবে এখন ?
ঠিক নেই ৷
চল, সিনেমা দেখে আসি ।
না, বৃষ্টি নামবে এক্ষুনি ।
জানালার ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে ঝুমুর চোখটাকে ছুঁড়ে দিল ৷ রাশি রাশি কালো মেঘের ইতস্তত আনাগোনা। ঠাণ্ডা বাতাস বাইরে থেকে যুদ্ধ করে ফিরছে। চোখ ফিরিয়ে ঝুমুর বলল, তাহলে বোবা হয়ে থাকবে ?
কেন, গল্প বল ?
কি গল্প বলব ? আমার কিছু মনে পড়ছে না। তোমার ইচ্ছে যদি বল ।
আমি বলব ? এই সুযোগে যদি ঝুমুরকে আমি আমার মনের গাথাটা শুনিয়ে দিই, তাহলে কেমন হয় ? ঝুমুর কি আমার মনের অভিসন্ধি আমার গল্প থেকে বুঝতে পারবে ? বলেই দেখি, ঝুমুর বোঝে কি না। বললাম, শুনবে গল্প ? তোমার জন্যে আমার একটা ভাল গল্প মনে এসেছে— ঝুমুর কথাটাতে জোর না দিয়ে হেলায় বলল, বল— বললাম, কোন এক গল্পটার নাম কোন এক যুবক যুবতীর গল্প।
মনে কর, যুবকটা এক অতি সাধারণ। তার কোন বিশেষ স্বপ্ন থাকলেও সহজে তা প্রকাশ করে না। মনের ক্ষুধা মেটাতেই ইজেলে সে তুলির আঁচড় টানে। বেঁচে থাকাটাই তার কাছে সম্পদ। কিন্তু তার জীবনে রুচি আছে ৷ সে শিল্পী, শিল্পী মন তার নগ্নতা পছন্দ করে। তবে প্রকাশ্যে নয়, গোপনে । তার সঙ্গে এক যুবতীর আলাপ, যুবতীটি আভিজাত্যের ঢেউ
খেয়ে মানুষ হয়েছে। সে শিল্পী মনের কথা বুঝতে চায় না । জানতেও চায়নি কোনদিন । এখানেই যুবকের সঙ্গে যুবতীটির পার্থক্য হয়ে গেছে।
যুবতী যখন যুবকের কাছে আসে, যুবকের ভাল লাগে না, যুবতীকে নয়, যুবতীর অশালীন সাজগোজ—নাভির নীচে শাড়ী পরা, হাত কাটা ব্লাউজ পরে বাসে ওঠা, সব সময় চাউনিতে চিত্রাভিনেত্রীর চোখের চাউনি অনুকরণ করা, কথায় কথায় খিলখিল করে বেহায়া হাসি হাসা —এ সব সময় যুবকের রুচির বিরুদ্ধ ঘোষণা করে ৷ শেষে যুবক তার মনের কথা বলে ফেলে, এসবের জন্য তার ভাল লাগে না ৷ যুবতীর আশ্চর্য হয়ে যাবার কথা। আশ্চর্য হয়ে যায় ৷ বিস্ময়- পূর্ণ গলায় জিজ্ঞেস করে ওঠে, ফ্যাশান ভালবাস না তুমি ?
যুবক বলে, ফ্যাশন ভালবাসি, কিন্তু ফ্যাশনের মধ্যে নগ্নতাকে মোটেই ভালবাসি না ।
যুবতী জিজ্ঞেস করে, কেন ?
যুবক তখন তার একান্ত মনের কথা এক এক করে বলে ফেলে, তুমি যখন রাস্তা দিয়ে ঐ বেশে হাঁটো তখন রাস্তার লোকেরা তোমায় চোখ দিয়ে গিলে গিলে খায় । তুমি তখন নিজেকে সুন্দরী ভাবো। আর আমি ভাবি কি জানো? ওরা আমার ব্যক্তিগত অধিকার, যে অধিকার আমি ছাড়া আর কেউ ভোগ করতে পারবে না, সে অধিকারকে লুটে নিতে চাইছে। আর তুমি স্বেচ্ছায় ওদেরকে হাসতে হাসতে বিলিয়ে চলেছো। তখন আমার মনটা বলি দেওয়া পাঁঠার মত
যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে ! সে তুমি বুঝবে না। কোন দিনই বুঝে না। যুবকটা তখন—
থাক্, বুঝেছি। আর বলতে হবে না। এ গল্প আগে বলনি কেন ? ঝুমুর আমার গল্প বলায় ব্যাঘাত ঘটাল। বললাম, সুযোগ পাইনি ।
ঝুমুর আর কথা বাড়াল না ৷ গালে হাত দিয়ে ভাবনার অতল সাগরে তলিয়ে গেল। তলিয়ে গিয়ে সাগরের নীচ থেকে কিছু মণি মুক্তো খুঁজতে চেষ্টা করল। পেল কিনা বুঝতে পারলাম না । আর বসল না সে। সোফা ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। দাড়িয়ে কাপড়টাকে টেনেটুনে ঠিক করে নিল। সামনের কপালে ঝুঁকে থাকা চুলগুলোকে হাত দিয়ে পিছনে সরিয়ে দিল । ভাবলাম ঝুমুর যাবার সময় অন্তত কিছু বলে যাবে । ও কিছু বলল না। নিঃশব্দে ঘরের বাইরে চলে গেল। বাইরে তখন মুসলধারে বৃষ্টি পড়ছে। ঝুমুর নিশ্চয়ই ভিজে যাবে।