মধুপর্ণী বাছাই গল্প

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

দিগিন লাহিড়ীর গল্প (কিংবা বিমলের উত্তরাধিকার) – অজিতেশ ভট্রাচার্য

…..দীর্ঘাঙ্গী শ্যামলী তরুণীটি রীতিমতো লোভনীয়। পুরন্ত শরীরে সাদা খোলের সবুজ পাড় শাড়িটি মানিয়েছে চমৎকার।….একটা অজানা ফুলের গন্ধ পাচ্ছে সে। বেশ সতেজ টাটকা।……আহা, স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্য কাকে বলে।…..দিগিন চারদিকে চোখ বুলিয়ে যথাস্থানে আবার চোখ রাখে। মিসমিসে কালো রেশমের মত চুল। যেকোনো পুরুষকে ঢেকে দেয়ার মত সুললিত বাহু, পীনস্তনী।….
…..দিগিন তাকায়। বাঃ বেশ। ক্ষীণ মধ্যা, পীবরস্তনী। চক্ষে ভ্রুকুটি, অধরে রোষ। দুর্লভ রমনী রত্ন।…..
…..রিনটু জোর করে হাত ছাড়িয়ে নেয়।
-না, না। দিগিন উঠে বসে তীব্র আবেগে। বাধা দেবার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর শরীরের উপর। বয়স্ক শিশুর মতো রিনটুর গলা ধরে ঝুলে পড়ল দিগিন। তারপর তার বুকে বার বার মুখ দেয়।…..

 

ভাটিয়ালী – জ্যোৎস্নেন্দু চক্রবর্তী

….হৈমবতী হুইয়ের সামান্য বাইরে এসে বসেছিল। দুচোখে তার অজস্র কৌতূহল। ঘোর লাল রঙের শাড়ি, ঘোর লাল ব্লাউজ। সুচারু কবরী। যৌবনাক্রান্ত শরীর তার ঘটা করে সাজান।….

…..হৈমবতীর দুচোখ যেন জলপাই। পানপাতার মতন মুখ, ছোটো এক ফালি চাঁদের মতন কপালে কী সুন্দর লাল টিপ পরেছো গো! মেঘনাদ এক নজর দেখেই মুখ ফিরিয়ে নিল। তার তখন মালতীর কথা মনে হল। মালতী এ রকম সাজতে জানে না। কিন্তু তার থাকুম থুকুম স্বাস্থ্যের কাছে হৈম কিছু না।….

Please follow and like us: