স্বপ্ন পরিচয় – কল্যাণ মজুমদার

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

…….কোথায় যাব ভেবে না পেয়ে উদ্দেশ্যহীন পা বাড়াতেই দুটো চোখ নিশ্চল আটকে গেল এক শ্বেতাঙ্গিনীর উগ্র দেহে। ‘আটকে গেল’ কথাটা ভুল। আসলে ট্র্যাপিজের নিপুণ খেলোয়াড়ের মতন ঝাঁপ দিয়ে জড়িয়ে ধরল রমণীয় নারীটিকে। আমি ভীষণ সৌন্দর্য কাতর। কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারি না। নারীটি বোধহয় আর্ট গ্যালারি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। | সঙ্গীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। পীবরতনু বাতলায়, যেন পূর্ব ইউরোপীয় রাশিয়ান? চেক? হাঙ্গেরিয়ান ? শব্দগুলো নাড়াচাড়া করতে হাঙ্গেরি শব্দটা আমার ভালো লেগে যায়। এই নারী নিশ্চিত হাঙ্গেরিয়ান। না হলেও আমি তাকে সে দেশের নাগরিকত্ব দিলাম। আমিও ‘হাংগ্রি এবং অ্যাংগ্রি। ধ্বনি সাদৃশ্য বা অনোমেটপিয়ার জন্য নয়। ওর সুন্দর স্তনদুটো আসল কিনা, ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল। রক্তাক্ত ঠোঁটে ঠোঁট ডোবালে আমারও রক্ত শুষে নেবে কিনা, জানার তীব্র তাড়না বোধ করি। ভালো লাগলে ফুল ছোঁয়ার নিয়ম আছে, পছন্দের রমণীকে স্পর্শ করার কানুন নেই। না পারার হতাশায় আমার কানের দু’পাশের রগ দপদপ করে। আমি আরো গাঢ় ভাবে নারীটিকে দু’চোখ দিয়ে চেটে নিই। ইচ্ছে হয় গিয়ে বলি, আমাকে পুষবে? তোমার পায়ের কাছে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকব। শুয়ে শুয়ে হাওয়ায় ফুলে ওঠা স্কার্টের বলয় গহনে সুনিশ্চিত ব্রহ্মাণ্ডও দেখা যাবে। অর্জুন কখনো এই বিশ্বরূপ দেখেনি। মহাভারতে কোথাও লেখা নেই ।…..

…..মেয়েটি আমার দিকে এগিয়ে আসে। এগিয়ে আসে আমারই দিকে। আমি দেহমন একাগ্রভাবে গাণ্ডীবের ছিলার মতো টানটান করি। কাছে এলেই রেডিয়েশন ছড়াব।

আরো এগোতেই গণেশ পাইনের ছবি চিন্তামণির ভাস্কর্য হয়ে যায় ৷ কী শরীর। কী রেখা! উরুর ভাঁজে জড়িয়ে যায় সমৃদ্ধ প্রকৃতি, পায়ের তলায় শিহরিত ভূমিতল। বুকের বৈভবে পুঞ্জিত দুনিয়ার সব কোমলতা, মমতা, উষ্ণতা, নীড়ের নিবিড়তা। নিজের শরীর থেকে রেডিয়েশন ছড়াতে ছড়াতে ফের এস এম এস পাঠাই— ও মেয়ে, তুমি জেনো আমরা মেড্ ফর ইচ আদার। ইংরেজি ‘কিউ’র পাশে ইউ’ হয়ে পাশাপাশি থাকা আমাদের ভাবিতব্য। তুমি এসো— তোমার বুকে মুখ রেখে তীব্র দহন্নের জ্বালা জুড়াই। মুহূর্তে মেয়েটিকে ছুঁয়ে দেখার, তার বুকে মুখ রাখার তীব্র বাসনা আমার সারা সত্তায় আলোড়িত।…..